Ajker Patrika

চবিতে প্রতীকী সিট বণ্টনের প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন

চবি সংবাদদাতা
চবিতে প্রতীকী সিট বণ্টনের প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন। ছবি: আজকের পত্রিকা
চবিতে প্রতীকী সিট বণ্টনের প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) প্রতীকী সিট বণ্টন কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা নবীন শিক্ষার্থীদের উপাচার্যের বাংলো ও শিক্ষক ক্লাবে প্রতীকী সিট বরাদ্দ দেওয়া হয়।

আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে সংগঠনের নেতা মোহাম্মদ পারভেজকে আইসিটি সেল ও সাঈদ বিন হাবিবকে প্রভোস্টের প্রতীকী দায়িত্ব দিয়ে অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়।

কর্মসূচিতে ভর্তি হওয়া নবীন শিক্ষার্থীদের সিট বরাদ্দ পেতে লম্বা লাইন দেখা যায়। পরে তাঁদের মাঝে উপাচার্যের বাংলো ও শিক্ষক ক্লাবে প্রতীকী সিট বরাদ্দ দেওয়া হয়।

এর আগে গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারে সাত দফা দাবি জানায় সংগঠনটি। দাবি বাস্তবায়নে সংগঠনটির পক্ষ থেকে ১০ দিনের সংস্কার ক্যাম্পেইন ঘোষণা করা হয়। এরই অংশ হিসেবে আজ প্রতীকী সিট বণ্টন কর্মসূচি পালন করেন নেতা-কর্মীরা।

আগামী বৃহস্পতিবার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময়, ৭ জুলাই গণ-স্বাক্ষর কর্মসূচি এবং ১০ জুলাই সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন করবে সংগঠনটি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নবীন শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি সিলেট থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসেছি। এখানে এসে নতুন বাসা বা কটেজ খুঁজে পেতে অনেক বেগ পেতে হয়েছে। প্রথমে এক জায়গায় আড়াই হাজার টাকার এক সিটের বাসা পেয়েছিলাম, কিন্তু সেখানে থাকার সামর্থ্য আমার ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি প্রথম বর্ষ থেকে আমাদের আবাসন সুবিধা দিত, তাহলে এসব দুর্ভোগ পোহাতে হতো না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত আবাসন সুবিধা বাড়ানো, যাতে দূরদূরান্ত থেকে আমাদের মতো নতুনরা ভোগান্তির শিকার না হয়।’

ছাত্রশিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আজ থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হচ্ছে, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একজন শিক্ষার্থীকেও আবাসন সুবিধা দিতে পারেনি। বিভিন্ন দূরদূরান্ত থেকে আসা এসব শিক্ষার্থী কোথায় থাকবে? তারা জোবরা গ্রামকে চিনে না, এখানকার ভাষা, কৃষ্টি-সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত নয়। এই যে অনিশ্চয়তা কাটানোর উদ্যোগ প্রশাসনের নেই, এটা আমাদের জন্য হতাশার।’

মোহাম্মদ আলী আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ৬ হাজার শিক্ষার্থীর আবাসন সুবিধা রয়েছে। বাকি ২২ হাজার শিক্ষার্থীর থাকার কোনো ব্যবস্থা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেই। আমরা বিভিন্ন সময় প্রশাসনে সমস্যা সমাধানের জন্য বলেছি। আজ প্রতীকী সিট বণ্টনের মাধ্যমে আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রশাসন দ্রুত সময়ের মধ্যে এর সমাধান না করলে কঠোর আন্দোলনে যাব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শাকিব খানের নামের সঙ্গে ‘মেগাস্টার’ শব্দ নিয়ে জাহিদ হাসানের আপত্তি

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তির পরই অস্ত্রের লাইসেন্স পান উপদেষ্টা আসিফ

চীনের নতুন হাইপারসনিক এয়ারক্র্যাফট, গতি ঘণ্টায় প্রায় ১৫ হাজার কিলোমিটার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এনপিবি পিস্তল কী ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র

১৬ জুলাই নিয়ে নাটক করা হয়েছে: শহীদ আবু সাঈদের ভাই

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত