Ajker Patrika

রাঙ্গুনিয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২২ শিক্ষক করোনায় আক্রান্ত 

আকাশ আহমেদ, রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ জানুয়ারি ২০২২, ১৬: ১৩
রাঙ্গুনিয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২২ শিক্ষক করোনায় আক্রান্ত 

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে করোনা মহামারির প্রবলভাবে দেখা দিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আরও পাঁচজন শিক্ষক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে আটটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২২ জন শিক্ষক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে আছেন। এভাবে শিক্ষকদের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের অভিভাবকসহ অন্য শিক্ষকদের মাঝেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সত্রে জানা যায়, উপজেলার ৬ নম্বর পোমরা ইউনিয়নের বাচাশাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রিজিয়া সুলতানার শরীরে গত ১২ জানুয়ারি প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর একই বিদ্যালয়ের বাকি তিন শিক্ষক নমুনা পরীক্ষা দেন। পরদিন ১৩ জানুয়ারি ওই স্কুলের আরও দুই শিক্ষকের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর শিক্ষকদের মধ্যে করোনাভাইরাস নিয়ে ভীতি জাগতে শুরু করে। শুক্রবার নমুনা সংগ্রহ বন্ধ থাকার পর শিক্ষকেরা শনিবার থেকে নমুনা পরীক্ষা করাতে শুরু করেন। এতে উপজেলা পৌর সদরের জাকির হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চার শিক্ষকের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এ ছাড়া গত রোববার ১১ নম্বর চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউনিয়নের কদমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুজন এবং সোমবার তিনজন শিক্ষকের করোনা শনাক্ত হয়। একই দিন ৭ নম্বর বেতাগী ইউনিয়নের পশ্চিম বেতাগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫ নম্বর পারুয়া ইউনিয়নের উত্তর পারুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১ নম্বর রাজানগর ইউনিয়নের উত্তর ঘাগড়া সেগুনবাগিচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পৌরসভার ঘাটচেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন করে শিক্ষকের করোনা শনাক্ত হয়। 

জাকির হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার ঘাটচেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দেবাশীষ মুৎসুদ্দি ও রিংকু প্রভা শীল নামের দুজন, ৪ নম্বর মরিয়মনগর ইউনিয়নের নজরের টিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুরভী বড়ুয়া নামের একজন, উত্তর পারুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বীণা প্রভা দাশ, নাহিদা ইয়াসমিন ও পুষ্প রাণী দে নামের তিনজন শিক্ষক করোনায় আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে যান।

এদিকে করোনার ভয়াবহ বিস্তারে অভিভাবকেরা তাঁদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে অনিচ্ছা প্রকাশ করছেন। শিক্ষকেরাও বিদ্যালয়মুখী হচ্ছেন আতঙ্ক আর ঝুঁকির মধ্যে। অনেক বিদ্যালয়ে মাত্র দুজন শিক্ষক দিয়েই চলছে পাঠদান। তা-ও পার্শ্ববর্তী বিদ্যালয় থেকে ধার করে।

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার হিন্দোল বারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপজেলার বিদ্যালয়গুলোতে প্রতিদিনই দু-তিনজন করে শিক্ষক করোনায় ক্রান্ত হচ্ছেন। যাঁদের করোনা শনাক্ত হচ্ছে, তাঁদের আইসোলেশনে থাকতে বলা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রত্যেক শিক্ষককে করোনার নমুনা পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে। প্রতিদিন একাধিক শিক্ষকের করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও কমে এসেছে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করার কোনো নির্দেশনা আমরা পাইনি।’ এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মহোদয়ের নির্দেশনা মতে, যেখানে শিক্ষকের স্বল্পতা দেখা দিচ্ছে, সেখানে পার্শ্ববর্তী প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষক এনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘১৩ তারিখে ঢাকা যাব’ ফেসবুকে লেখা আওয়ামী লীগ নেতাসহ ফরিদপুরে গ্রেপ্তার ৩

ফরিদপুর প্রতিনিধি
গ্রেপ্তার করা তিনজন। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার করা তিনজন। ছবি: সংগৃহীত

১৩ নভেম্বর কার্যক্রম নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের ডাকা কর্মসূচি ঘিরে ফেসবুকে পোস্ট করার পর ফরিদপুরে এক আওয়ামী লীগ নেতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে পুলিশ বলছে, ফেসবুক পোস্টের কারণে নয়, বিস্ফোরক মামলায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে মতিন মোল্লা ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া গ্রামের তৈয়বুর রহমানের ছেলে এবং পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। এ ছাড়া অন্য দুজনের মধ্যে রয়েছেন পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ মোল্লা (৬৭) ও গোপালপুর ইউনিয়ন মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি ও চরচান্দ্রা গ্রামের কাজী রুবেল (৩৫)। তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আজ রোববার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ জালাল আলম। তিনি বলেন, মূলত ফেসবুক পোস্টের কারণে নয়, থানায় দায়ের করা বিস্ফোরক আইনে হওয়া একটি পুরোনো মামলায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) মতিন মোল্লা তাঁর ফেসবুক আইডিতে ১৬ জন ব্যক্তির মাঝে নিজে দাঁড়ানো অবস্থায় একটি ছবি পোস্ট করেন। তাতে লেখেন, ‘১৩ তারিখে আমরা সবাই ঢাকা যাব। দলের দুর্দিনে আমরা দলের পাশেই আছি।’ তবে ছবিটি কোথায় এবং কবে তোলা, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এরপরই শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাতে নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এ ছাড়া একই রাতে অন্য দুজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদেরকে গত ১৮ জানুয়ারি দায়ের করা বিস্ফোরক আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

ওসি জানান, মামলাটি দায়ের করেন আলফাডাঙ্গা পৌর সদরের বুড়াইচ এলাকার ইদ্রিস সরদারের ছেলে বিএনপির সমর্থক লাভলু সরদার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৫ মামলায় হাইকোর্টে সাবেক মেয়র আইভীর জামিন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। ফাইল ছবি
ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। সিদ্ধির গঞ্জ ও ফতুল্লা থানার এসব মামলায় রুল যথাযথ ঘোষণা করে আজ রোববার বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি সগীর হোসেনের বেঞ্চ এ রায় দেন।

আইভীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আকতার রুবি।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আকতার রুবি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিনটি হত্যা মামলা ও দুটি মারধর করে মারাত্মক জখমের অভিযোগে করা মামলা ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর করা হয়।’

তবে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।

এর আগে গত মে মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পোশাক শ্রমিক মিনারুল হত্যা মামলায় কারাবন্দী নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত।

গত বছরের ২০ জুলাই সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আদমজী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন পোশাক শ্রমিক মিনারুল ইসলাম। পরে শহরের খানপুরে অবস্থিত ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরদিন গ্রামের বাড়িতে তাকে দাফন করা হয়।

এ ঘটনায় ২৩ সেপ্টেম্বর নিহত মিনারুলের ভাই নাজমুল হক বাদী হয়ে শেখ হাসিনাসহ ১৩২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০ জনকে আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় এজাহারভুক্ত ১২ নম্বর আসামি সেলিনা হায়াৎ আইভী। পরে তার বিরুদ্ধে আরও মামলা করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে সিআইডির ১৭ অর্থ পাচার মামলায় চার্জশিট

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১৪: ২৮
সালমান এফ রহমান। ফাইল ছবি
সালমান এফ রহমান। ফাইল ছবি

বিদেশি বাণিজ্যের আড়ালে ৯৭ মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগে বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ১৭টি অর্থ পাচার মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছে সিআইডি।

আজ রোববার সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বেক্সিমকোর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের ১৭টি মামলার দ্রুত সময়ের মধ্যে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার।

গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর রপ্তানি বাণিজ্যের আড়ালে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার সালমান এফ রহমানসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর মতিঝিল থানায় ১৭টি মামলা করে সিআইডি।

এ ছাড়া সালমান এফ রহমান ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোম্পানি বেক্সিমকো গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে-বেনামে প্রায় ৩৩ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণপূর্বক বিদেশে পাচারের বিষয়ে পৃথক অনুসন্ধান চালানোর কথা জানায় সিআইডি।

সিআইডি জানায়, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও বিধি অনুযায়ী পরিচালিত সিআইডির অনুসন্ধানে সালমান এফ রহমান (বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান) এবং তাঁর ভাই এ এস এফ রহমানের (বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান) স্বার্থসংশ্লিষ্ট বেক্সিমকো গ্রুপের মালিকানাধীন ১৭টি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ২০২১ সাল থেকে ২০২৪ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে জনতা ব্যাংক পিএলসি লোকাল অফিস শাখা মতিঝিলের দিলকুশা থেকে ৯৩টি এলসি/সেলস কন্ট্রাক্ট (বিক্রয় চুক্তি) নেওয়া হয়। এর বিপরীতে পণ্য রপ্তানি করে নির্ধারিত সময় পার হওয়ার পরও রপ্তানি মূল্য প্রায় ৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাংলাদেশে না এনে বিদেশে পাচারের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।

বিদেশে রপ্তানি হওয়া পণ্যগুলোর মধ্যে বেশির ভাগই বেক্সিমকো গ্রুপের মালিক সালমান এফ রহমানের ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান এবং এ এস এফ রহমানের ছেলে আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের যৌথ মালিকানাধীন আর আর গ্লোবাল ট্রেডিংয়ের (এফজেডই) শারজাহ, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সৌদি আরবের ঠিকানায় রপ্তানি করা হয়েছে।

এ ছাড়া জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, ইউকে, তুরস্ক, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশেও পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে রপ্তানি মূল্য বাংলাদেশে না এনে ওই আসামিরা পারস্পরিক যোগসাজশে বিদেশে পাচার করেছেন বলে জানিয়েছিল সিআইডি।

উল্লেখ্য, গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ১৩ আগস্ট রাতে রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে সালমান এফ রহমানকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর তাঁকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে বিভিন্ন ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলা এবং তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বিভিন্ন মামলায় তাঁকে দফায় দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফকিরহাটে বাসের চাপায় পথচারী শিশু নিহত

ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাগেরহাটের ফকিরহাটে রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগামী বাসের চাপায় মো. সামিরুল ইসলাম (১১) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। খুলনা-মোংলা মহাসড়কের কাটাখালী এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সামিরুল ইসলাম কুমিল্লার হোমনা এলাকার মো. সাইফুল ইসলামের ছেলে। সে তার বাবার সঙ্গে কাটাখালীতে একটি ওয়েল্ডিং ওয়ার্কশপে কাজ করত। সেই সুবাদে তারা কাটাখালী এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করছিল।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, রোববার (৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সামিরুল ইসলাম বাসা থেকে কাজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়। কাটাখালী এলাকায় এসে মহাসড়ক পার হওয়ার সময় ঢাকাগামী সেতু পরিবহন নামের একটি বাস তাকে চাপা দেয়। পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক উত্তম পাল জানান, শিশুটিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। 

কাটাখালী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাফর আহম্মেদ বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘাতক বাসটি আটক করা হয়েছে। তবে চালক ও সহযোগী পালিয়ে গেছেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত