মো. মনসুর আলী, সরাইল
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার হাওরাঞ্চলে অবস্থিত অরুয়াইল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্রটি হাওরাঞ্চলের প্রসূতিদের বিপদের দিনে একমাত্র আপন ঠিকানা। কেন্দ্রটির ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে আর কোনো প্রসূতি সেবাকেন্দ্র নেই। হঠাৎ কোনো প্রসূতি মায়ের সমস্যা দেখা দিলে ১৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে উপজেলা বা জেলা সদর হাসপাতালে যেতে হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সরাইল উপজেলার অরুয়াইল বাজার এলাকায় ১৯৮০ সালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্রটিতে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা ঝুমা আক্তার। ঝুমা আক্তার আসার পর বদলে যায় এর সেবা কার্যক্রম। স্বল্প সময়ের মধ্যে পরিবার কল্যাণকেন্দ্রটিকে প্রসূতিদের কাছে নিরাপদ সন্তান প্রসবের এক আপন ঠিকানায় পরিণত করে তুলেছেন তিনি। এরই মধ্যে তাঁর সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে উপজেলাসহ আশপাশের এলাকায়। বর্তমানে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি শুধু এই ইউনিয়নে সীমাবদ্ধ নেই। পাকশিমুল, চাতলপাড়, চুন্টা ইউনিয়নের প্রসূতি মায়েরা চিকিৎসাসেবা নিতে আসছেন।
হাওরাঞ্চলের প্রসূতিদের রাতদিন সেবা দিয়ে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা ঝুমা আক্তার চাকরিজীবনের আট বছরে চারবার উপজেলার শ্রেষ্ঠ পরিদর্শিকা নির্বাচিত হয়েছেন। গত মে মাসে ১৪ জন মায়ের স্বাভাবিক প্রসব করিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া ২০১৯ সালে তাঁর কর্মদক্ষতার কারণে অরুয়াইল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্রটিও উপজেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছে।
এ বিষয়ে ঝুমা আক্তার জানান, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করালে মা ও শিশু উভয়ের জীবনই ঝুঁকিতে থাকে। এ জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে তিনি সিজার ছাড়াই স্বাভাবিক প্রসবে শিশু জন্মের কাজ করছেন।
পাকশিমুল এলাকার কুতুব আলী জানান, হঠাৎ শেষ রাতে তাঁর স্ত্রীর প্রসব বেদনা ওঠে। জেলা সদরে যেতে দুই ঘণ্টা লাগবে, তাই অরুয়াইল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। এই কেন্দ্র ছাড়া অন্য কোথাও হলে প্রসব ও পরবর্তী খরচ নিম্নে ২৫ হাজার টাকা লাগত। অথচ এখানে বিনা টাকায় সবকিছু মিটে যাওয়ায় বেজায় খুশি তিনি।
উপজেলা ফতেপুর এলাকা থেকে আসা হাদিসা বেগম জানান, লোকমুখে শুনে অরুয়াইল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্রে আসেন তিনি। কোনো ধরনের সিজার ছাড়াই তাঁর স্বাভাবিক প্রসব হয়। বর্তমানে মা-সন্তান দুজনই ভালো আছে।
এ ব্যাপারে অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া জানান, অরুয়াইল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্রটি হাওরাঞ্চলের প্রসূতি মায়েদের বিপদের সময় নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র। এখানে বিনা মূল্যে স্বাভাবিক প্রসবসেবা দেওয়া হয়। এই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্রটি না থাকলে বহু অসহায় গরিব প্রসূতি মা উপজেলা ও জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যেতেন।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন আহমেদ জানান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্রের সেবা কার্যক্রম দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত দুই মাসে ২৫ জন প্রসূতি মায়ের সিজার ছাড়াই সন্তান প্রসব করানো হয়েছে। গর্ভবতী মায়েদের চিকিৎসার যেন কোনো ত্রুটি না হয়, সে বিষয়ে খুবই সতর্ক রয়েছি। ইউনিয়নভিত্তিক প্রতিটি কেন্দ্রে দিনে দিনে বাড়ছে চিকিৎসাসেবা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার হাওরাঞ্চলে অবস্থিত অরুয়াইল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্রটি হাওরাঞ্চলের প্রসূতিদের বিপদের দিনে একমাত্র আপন ঠিকানা। কেন্দ্রটির ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে আর কোনো প্রসূতি সেবাকেন্দ্র নেই। হঠাৎ কোনো প্রসূতি মায়ের সমস্যা দেখা দিলে ১৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে উপজেলা বা জেলা সদর হাসপাতালে যেতে হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সরাইল উপজেলার অরুয়াইল বাজার এলাকায় ১৯৮০ সালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্রটিতে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা ঝুমা আক্তার। ঝুমা আক্তার আসার পর বদলে যায় এর সেবা কার্যক্রম। স্বল্প সময়ের মধ্যে পরিবার কল্যাণকেন্দ্রটিকে প্রসূতিদের কাছে নিরাপদ সন্তান প্রসবের এক আপন ঠিকানায় পরিণত করে তুলেছেন তিনি। এরই মধ্যে তাঁর সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে উপজেলাসহ আশপাশের এলাকায়। বর্তমানে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি শুধু এই ইউনিয়নে সীমাবদ্ধ নেই। পাকশিমুল, চাতলপাড়, চুন্টা ইউনিয়নের প্রসূতি মায়েরা চিকিৎসাসেবা নিতে আসছেন।
হাওরাঞ্চলের প্রসূতিদের রাতদিন সেবা দিয়ে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা ঝুমা আক্তার চাকরিজীবনের আট বছরে চারবার উপজেলার শ্রেষ্ঠ পরিদর্শিকা নির্বাচিত হয়েছেন। গত মে মাসে ১৪ জন মায়ের স্বাভাবিক প্রসব করিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া ২০১৯ সালে তাঁর কর্মদক্ষতার কারণে অরুয়াইল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্রটিও উপজেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছে।
এ বিষয়ে ঝুমা আক্তার জানান, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করালে মা ও শিশু উভয়ের জীবনই ঝুঁকিতে থাকে। এ জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে তিনি সিজার ছাড়াই স্বাভাবিক প্রসবে শিশু জন্মের কাজ করছেন।
পাকশিমুল এলাকার কুতুব আলী জানান, হঠাৎ শেষ রাতে তাঁর স্ত্রীর প্রসব বেদনা ওঠে। জেলা সদরে যেতে দুই ঘণ্টা লাগবে, তাই অরুয়াইল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। এই কেন্দ্র ছাড়া অন্য কোথাও হলে প্রসব ও পরবর্তী খরচ নিম্নে ২৫ হাজার টাকা লাগত। অথচ এখানে বিনা টাকায় সবকিছু মিটে যাওয়ায় বেজায় খুশি তিনি।
উপজেলা ফতেপুর এলাকা থেকে আসা হাদিসা বেগম জানান, লোকমুখে শুনে অরুয়াইল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্রে আসেন তিনি। কোনো ধরনের সিজার ছাড়াই তাঁর স্বাভাবিক প্রসব হয়। বর্তমানে মা-সন্তান দুজনই ভালো আছে।
এ ব্যাপারে অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া জানান, অরুয়াইল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্রটি হাওরাঞ্চলের প্রসূতি মায়েদের বিপদের সময় নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র। এখানে বিনা মূল্যে স্বাভাবিক প্রসবসেবা দেওয়া হয়। এই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্রটি না থাকলে বহু অসহায় গরিব প্রসূতি মা উপজেলা ও জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যেতেন।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন আহমেদ জানান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্রের সেবা কার্যক্রম দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত দুই মাসে ২৫ জন প্রসূতি মায়ের সিজার ছাড়াই সন্তান প্রসব করানো হয়েছে। গর্ভবতী মায়েদের চিকিৎসার যেন কোনো ত্রুটি না হয়, সে বিষয়ে খুবই সতর্ক রয়েছি। ইউনিয়নভিত্তিক প্রতিটি কেন্দ্রে দিনে দিনে বাড়ছে চিকিৎসাসেবা।
টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
১৫ মিনিট আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
২২ মিনিট আগেশেরপুরের গারো পাহাড়ে মানুষের বিচরণ বাড়ার পাশাপাশি কমতে শুরু করেছে বন-জঙ্গল। এতে সেখানে বন্য হাতির জীবন সংকটে পড়েছে। প্রায়ই নানা ঘটনায় প্রাণ হারিয়ে গারো পাহাড় থেকে বিলুপ্তের পথে বিশালাকৃতির এই প্রাণী। এদিকে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্বে প্রাণ হারাচ্ছে মানুষও। গত ৩০ বছরে শেরপুরে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্বে জেলায়
২৭ মিনিট আগে২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর একনেক সভায় পাস হয় যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের ৪৭ দশমিক ৪৮ কিলোমিটার সড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণের প্রকল্প। ৪ হাজার ১৮৭ কোটি ৭০ লাখ টাকার এ প্রকল্পের মেয়াদ নির্ধারিত হয় ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় বাড়ানো হয়েছে প্রকল্পের মেয়াদ ও মূল্য।
৩১ মিনিট আগে