Ajker Patrika

সাজেকে কলেজ নির্মাণে বাধার প্রতিবাদে মানববন্ধন

রাঙামাটি প্রতিনিধি 
সাজেক এলাকাবাসীর উদ্যোগে মানববন্ধনের আয়োজন। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাজেক এলাকাবাসীর উদ্যোগে মানববন্ধনের আয়োজন। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা সাজেক ইউনিয়নের গঙ্গারাম এলাকায় কলেজ নির্মাণের বাধার প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে সাজেক এলাকাবাসীর উদ্যোগে এ মানববন্ধন আয়োজন করা হয়। গত মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে স্থানীয় বাসিন্দা ও অভিভাবকেরা সাজেক কলেজ নামে বেড়াঘর নির্মাণকাজ শুরু করেন।

মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয়, বিশাল আয়তনে সাজেকে কলেজ না থাকায় এসএসসি পাস করার পর অনেক শিক্ষার্থী ঝরে যায়। অথচ সাজেকে ৩৫টির বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং তিন উচ্চ ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয় থেকে প্রতিবছর কয়েক শ শিক্ষার্থী এসএসসি পাস করে। কিন্তু সাজেকে কলেজ না থাকায় অভিভাবকেরা খাগড়াছড়ি ও দীঘিনালা গিয়ে সন্তানদের পড়াশোনার খরচ জোগাতে পারেন না। তাই অনেকে শিক্ষার্থীর ইচ্ছা থাকলেও পড়াশোনা ধারাবাহিক রাখা হয় না। সে জন্য কয়েক মাস আগে সাজেক ইউনিয়নের গঙ্গারাম উজোবাজার এলাকায় একটি অস্থায়ী বেড়াঘরে কলেজ নির্মাণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। সম্প্রতি বন বিভাগ একটি সাইনবোর্ড টানিয়ে কলেজ নির্মাণের কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়।

আজ সকালে গঙ্গারাম উজোবাজারে সাজেক এলাকাবাসীর ব্যানারে মানববন্ধন আয়োজন করা হয়। ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গ্রামপ্রধান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কয়েক স্থানীয় পাহাড়ি-বাঙালি অংশ নেন। মানববন্ধনের সময় সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমার সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য পরিচয় চাকমা, গ্রামপ্রধান নতুনজয় চাকমা, মহালছড়ি বুধ শিশুঘর স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক সুমন চাকমা প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ‘দ্রুত কলেজ নির্মাণে বাধা তুলে নেওয়া হোক। শিক্ষা গ্রহণের অধিকার সবার আছে। শিক্ষা ও সুবিধাবঞ্চিত সাজেকবাসী নিজেদের উদ্যোগে একটি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণের মহৎ কাজ করতে যাচ্ছেন। সেখানে বন বিভাগের বাধা কেন। অথচ এ ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণে সবার সহযোগিতা ও উৎসাহ দরকার। সাজেক কলেজ সাজেকের জনমানুষের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন, এই স্বপ্নকে যারা আঘাত আনতে চাচ্ছে, তাদের আমরা তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা করি।’ দ্রুত বন বিভাগ কর্তৃক বাধা প্রত্যাহার করে সাজেক কলেজ নির্মাণের দাবি জানানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ডোমারে গাড়িবহরে হামলা: দুই ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৩ জন কারাগারে

নীলফামারী প্রতিনিধি
গোলাম ফিরোজ, মো. রাসেল ও আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত
গোলাম ফিরোজ, মো. রাসেল ও আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারীর ডোমারে বিএনপির প্রার্থীর গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় দুই ইউপি চেয়ারম্যানসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ রোববার জেলাজজ আদালতের বিচারক মো. আবুল মনছুর মিয়া এই আদেশ দেন। এর আগে আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আল মাসুদ চৌধুরী বলেন, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর মামলায় উপজেলার সোনারায় ও হরিণচড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও একজন ইউপি সদস্য রোববার জেলাজজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। বিজ্ঞ বিচারক তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আসামিরা হলেন উপজেলার সোনারায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গোলাম ফিরোজ চৌধুরী, হরিণচড়া ইউপির চেয়ারম্যান মো. রাসেল রানা এবং ডোমার সদর ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আলমগীর রহমান। তাঁরা স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।

সূত্রমতে, ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণায় অংশ নেন নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ভগ্নিপতি। সেদিন প্রচারণার কাজে যাওয়ার পথে জোড়াবাড়ী এলাকায় তাঁর গাড়িবহরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে বিএনপির কমপক্ষে ৬০ নেতা-কর্মী আহত হন।

এ ঘটনায় গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে ৩১ জনের নামে মামলা করেন। রোববার ওই মামলায় তাঁরা জেলাজজ আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. আবুল মনছুর মিয়ার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।

এ বিষয়ে ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘জানতে পেরেছি আদালতে জামিন নিতে গেলে বিজ্ঞ বিচারক তাঁদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মোহাম্মদপুরে ওয়ার্কশপে অগ্নিকাণ্ড: মোটরসাইকেলে এসে আগুন দেয় দুজন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আগুন লাগার পর বিস্ফোরণে গাড়ির যন্ত্রাংশ উড়ে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আগুন লাগার পর বিস্ফোরণে গাড়ির যন্ত্রাংশ উড়ে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ এলাকায় এক ওয়ার্কশপের সামনে থাকা একটি মাইক্রোবাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে সেখান থেকে বিস্ফোরণে পাশে থাকা একটি অ্যাম্বুলেন্স ও পিকআপ ভ্যানও পুড়ে যায়। মোটরসাইকেল করে দুই ব্যক্তি এসে গাড়িতে আগুন দেয় বলে জানিয়েছেন পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা।

গতকাল শনবির (৮ নভেম্বর) রাত দেড়টার দিকে মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন ইউল্যাব ইউনিভার্সিটির প্রধান ফটকের বাম পাশে এ ঘটনা ঘটে।

আজ রোববার (৯ নভেম্বর) সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, ইউল্যাব ইউনিভার্সিটির প্রধান ফটকঘেঁষে কয়েকটি ওয়ার্কশপ রয়েছে। সামনে খালি জায়গা এবং গাবতলী-সদরঘাট বেড়িবাঁধ সড়ক। খালি জায়গায় বিভিন্ন মালিক পিকআপ ভ্যান রাখেন এবং নষ্ট গাড়ি রেখে মেরামত করেন মেকানিকরা। শনিবার রাতের আগুনে পোড়া গাড়িগুলোর কাঠামো সেখানেই দেখা যায়।

আগুনে পুড়ে যাওয়া গাড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা
আগুনে পুড়ে যাওয়া গাড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা

অগ্নিকাণ্ডের সময় ওয়ার্কশপের নিরাপত্তাকর্মী ছিলেন লোকমান হাকিম। লোকমান জানান, শনিবার রাত দেড়টার দিকে তিনি এবং জুয়েল নামে একজন গাড়িচালক দক্ষিণ পাশে বসে কথা বলছিলেন। এ সময় বেড়িবাঁধের পাশে থাকা একটি মাইক্রোবাসে আগুন ধরে ওঠে। তাঁরা দুজন দৌড়ে গিয়ে দেখেন, ক্যাপ ও মাস্ক পরা এক ব্যক্তি দৌড়ে মোটরসাইকেলে ওঠার চেষ্টা করছে। তবে সে উঠতে পারেনি। এর মধ্যে মোটরসাইকেল নিয়ে যে অপেক্ষা করেছিল সে মোহাম্মদপুর তিন রাস্তার দিকে দ্রুত চলে যায়। আর মাস্ক পরা ব্যক্তি দৌড়ে গাবতলীর দিকে যায়।

আগুনে পুড়ে যাওয়া গাড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা
আগুনে পুড়ে যাওয়া গাড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা

লোকমান আরও জানান, তখন তাঁরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু ব্যর্থ হন। এর মধ্যে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়ে অ্যাম্বুলেন্সের ছাদ ও যন্ত্রাংশ উড়ে যায়। এ পর্যায়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তখন তাঁরা নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেন বলেও জানান লোকমান। এরপর ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভায়। ততক্ষণে তিনটি গাড়ি পুড়ে যায়।

পোড়া অ্যাম্বুলেন্সের পাশে কাঁদতে দেখা যায় এর মালিক মো. সাগরকে। তিনি বলেন, ‘দুদিন আগে গাড়িটি মেরামতের জন্য সেবা অটোমোবাইল নামে একটি গ্যারেজে দেন। তারা গাড়িটি বেড়িবাঁধের পাশে রেখেই মেরামতের কাজ করেছে। আমি তখন তাদের নিষেধ করেছিলাম, কিন্তু তারা শোনেনি। এখন আমার সব শেষ হয়ে গেল।’ তিনি বলেন, ‘সাড়ে ১৬ লাখ টাকায় এই অ্যাম্বুলেন্স কিনেছি। মুহূর্তেই সব শেষ হয়ে গেল।’

‘সেবা অটোমোবাইল’ গ্যারেজের মালিক মো. জসীম জানান, সব সময় গাড়ি গ্যারেজের সামনে রেখেই মেরামত করেন। কখনো এমন ঘটনা ঘটেনি। গতকাল কারা, কেন টার্গেট করে এই আগুন দিয়েছে তিনি বুঝতে পারছেন না। ঘটনার পর থানা-পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিক আহমেদ বলেছেন, ‘ঘটনার পরপরই স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, একটি মোটরসাইকেলে দুজন ছিল। এই মোটরসাইকেল থেকে কিছু একটা ছুড়ে মারার পরপরই বিস্ফোরণ ঘটে এবং আগুন ধরে যায়। ছুড়ে মারা বস্তুটি পেট্রল বোমা বলে ধারণা তদন্তের দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তাদের।’

ওসি আরও বলেন, ‘আমরা একটা ভিডিও ফুটেজ পেয়েছি। সেখানে একজনকে দৌড়ে চলে যেতে দেখা গেছে। মাথায় সাদা ক্যাপ। আমরা আশপাশের আরও কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করছি।’ দৌড়ে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে সন্দেহের তালিকায় রেখে তাঁকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গৌরীপুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে ‘হৃদ্‌রোগে’ ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
তানজিন আহমেদ আবিদ। ছবি: সংগৃহীত
তানজিন আহমেদ আবিদ। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার চলার সময় তানজিন আহমেদ আবিদ (৩০) নামের এক ছাত্রদল কর্মী হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। আজ রোববার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

আবিদ ময়মনসিংহ নগরীর কৃষ্টপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি জেলা উত্তর ছাত্রদলের সভাপতি নূরুজ্জামান সোহেলের অনুসারী। তাঁরা বাবা দক্ষিণ জেলা উলামা দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মরহুম দেওয়ান মো. আবুল হোসেন।

আজ (৯ নভেম্বর) বিকেলে গৌরীপুর পৌর শহরের বিএনপির দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। এতে একপক্ষ হলেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরন সমর্থক। অপর পক্ষ বিএনপি মনোনীত প্রার্থী বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এম ইকবাল হোসাইনের সমর্থক।

গৌরীপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মহিউদ্দিন তালুকদার আকাশ বলেন, ইকবাল হোসাইনের সমাবেশের শেষ পর্যায়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে আবিদ। এ সময় তাঁকে মাথায় পানি ঢেলে সুস্থ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু জ্ঞান ফিরে না আসায় তাঁকে দ্রুত অটোরিকশায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হার্টফেল করে যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষে কোনো আঘাতে আবিদ মারা যায়নি। সংঘর্ষের সময় হার্টফেল করে তাঁর মৃত্যু হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ডিসি অফিসে অবস্থান অপসো স্যালাইনের চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদে বরিশালে অপসো স্যালাইন ফার্মার শ্রমিকেরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদে বরিশালে অপসো স্যালাইন ফার্মার শ্রমিকেরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদে বরিশালে অপসো স্যালাইন ফার্মার শ্রমিকেরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছেন। রোববার বেলা ১১টার দিকে তাঁরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে তাঁরা অপসো স্যালাইন কারখানায় অবস্থান নেন।

বেলা ১১টার দিকে ডিসি অফিসের সামনে কয়েক শ শ্রমিককে স্লোগান দিতে দেখা যায়। অফিসের মূল ফটক অনেকটা অবরুদ্ধ করে রাখেন তাঁরা। এ সময় সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন দেখা যায়।

সেখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে শ্রমিক মো. খোকন বলেন, ‘শ্রমিকের করের টাকায় রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টার বেতন হয়। ৫৭০ জনের চাকরি এক কলমের খোঁচায় চলে গেল। এখন এদের পেট চলবে কী করে, পরিবার-পরিজন চলবে কী করে? তারা কি না খেয়ে ধুঁকে ধুঁকে মরবে।’ তিনি বলেন, ‘আপনারা কি চান, এই শ্রমিকেরা ছিনতাইকারী হোক। ডিসি হিসেবে আপনি সরকারের প্রতিনিধি। মানবিক দিক দিয়ে আপনি তাদের কথা বিবেচনা করেন। না হয় প্রতিদিন কর্মসূচি আসবে।’

পরে দুপুরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন ৩ দিনের মধ্যে সমাধানের আশ্বাস দিলে শ্রমিকেরা মিছিল নিয়ে ফের অপসো স্যালাইন কারখানায় অবস্থান নেন।

এ ব্যাপারে আন্দোলনে সংহতি জানানো বাসদের সমন্বয়ক মনীষা চক্রবর্তী বলেন, জেলা প্রশাসক আগামী ১২ নভেম্বর মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে বসে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। শ্রমিকদের পুনর্বহাল করা না হলে ১২ নভেম্বর থেকে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

এ সময় নগর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিনও শ্রমিকদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত