আব্দুল বাশির, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের পথশিশুরা ‘ড্যান্ডির’ (ড্যানড্রাইট অ্যাডহেসিভ তথা ড্যানড্রাইট নামের আঠা; যা মাদকসেবীদের কাছে ড্যান্ডি নামে পরিচিত) নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। নেশার টাকার জোগান দিতে অনেকে ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে বলেও জানা যায়।
এ জাতীয় নেশার ফলে তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে অভিভাবক ও সচেতন মহল। সংশ্লিষ্টরা শিশুদের নেশায় আসক্ত হওয়ার ব্যাপারে অভিভাবকদের অসচেতনতা ও বিক্রেতাদের দায়ী করছেন।
তবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দাবি, ড্যান্ডির নেশায় আসক্ত শিশুদের কাউকে এখন পর্যন্ত তাদের চোখে পড়েনি। আর পুলিশ বলছে, এসব শিশুর ৭-৮ জনের একটি গ্রুপ তাদের নজরদারিতে আছে। ওই সব শিশুর অভিভাবকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়ার কথাও জানিয়েছে পুলিশ।
৬ জুলাই চাঁপাইনবাবগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রার সভাস্থলে এক শিশু ড্যান্ডির নেশা করছিল। পরে পুলিশ তাকে শাসন করে ছেড়ে দেয়। তখন থেকে এ জেলার শিশুদের ড্যান্ডির নেশায় আসক্তের বিষয়টি আলোচনায় আসে।
আসক্ত শিশুদের দাবি, এ নেশায় তারা খুব আনন্দ পায়, উৎফুল্ল হয় এবং নিজেদের অন্য জগতের মানুষ হিসেবে মনে করে। এই আঠা কিনতে বিভিন্ন সময় তাদের অতিরিক্ত মূল্যও দিতে হয়।
পৌর এলাকার বাসিন্দা ও রিকশাচালক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘১০ থেকে ১৩ বছরের শিশুরা দলবদ্ধ হয়ে শহরের ডিসি অফিসসংলগ্ন আমবাগান, ঢাকা বাসস্ট্যান্ড, শান্তিমোড়, নিউমার্কেট, রেলওয়ে স্টেশন, পিটিআই বস্তিসহ বেশ কিছু এলাকায় ড্যান্ডির নেশা করে। এই নেশার টাকা জোগান দিতে তারা বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। সময়ের মধ্যে তাদের স্বাভাবিক জীবনে না ফেরানো গেলে, আগামীতে তারা বড় ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়তে পারে।’
বালিয়াডাঙ্গা এলাকার রিকশাচালক সেনাউল ইসলাম বলেন, ‘কিছু দিন আগে আঞ্চলিক গবেষণা কেন্দ্রের সীমানা প্রাচীর লাগোয়া নতুন সড়কটিতে কয়েক শিশু হাতে চাকু নিয়ে এক রিকশাচালককে একা পেয়ে পথ আটকানোর চেষ্টা করে। তারা ওই রিকশাচালকের কাছে টাকা দাবি করে। পরে সেই রাস্তা দিয়ে যাওয়া আরেক রিকশাচালক দৃশ্যটি দেখে ওই শিশুদের ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়। এসব শিশু নেশার টাকা জোগান দিতেই এমন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।’
মো. আখতার হোসেন নামের এক শিক্ষক বলেন, ‘গ্রামাঞ্চলের তুলনায় শহরের শিশুরা ড্যান্ডির নেশায় সবচেয়ে বেশি আসক্ত। গ্রামাঞ্চলে শিশুদের অভিভাবকেরা কড়া শাসনের মধ্যে রাখেন। কিন্তু শহরের অধিকাংশ পরিবারের সদস্যরা জীবিকার তাগিদে তাদের শিশু সন্তানদের দিকে খেয়াল রাখতে পারে না। সেই সুযোগে শিশুরা তাদের সমবয়সীদের সঙ্গে আড্ডায় জড়িয়ে পড়ে। সেখান থেকে প্রথম ধাপে শুরু হয় ড্যান্ডির নেশা, পরে আস্তে আস্তে বিড়ি-সিগারেট, গাঁজার দিকে ঝুঁকে পড়ে তারা। এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের যথেষ্ট সচেতন থাকতে হবে।’
জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান বলেন, ‘৬ জুলাই শহরের নিউ মার্কেট এলাকা থেকে যে শিশুটিকে ড্যান্ডিসহ ধরা হয়েছিল, এর আগেও তার বিরুদ্ধে অটোরিকশা থেকে টাকা চুরির অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। বয়স বিবেচনায় পরে তার অভিভাবককে ডেকে তাঁদের জিম্মায় দেওয়া হয়। এর মতোই উঠতি বয়সের ৭-৮ জনের একটি গ্রুপ আমাদের নজরদারিতে রয়েছে। তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’ নেশায় ব্যবহৃত ওই আঠা যাচাই-বাছাইয়ের পর শিশুদের কাছে বিক্রি করা গেলে তারা এই নেশা থেকে অনেকাংশে মুক্তি পাবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
পথশিশুদের ড্যান্ডি গ্রহণ থেকে বিরত রাখতে জনসচেতনতাকেই একমাত্র লক্ষ্য হিসেবে মানছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপপরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ড্যান্ডি নেশা করে এমন শিশু আমাদের চোখে পড়েনি। খোঁজখবর নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে। এসব শিশুকে আটক করে মাদকাসক্ত পুনর্বাসন নিরাময় কেন্দ্রে পাঠানো হবে। যাতে করে তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন এ কে এম শাহাব উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ড্যান্ডিতে আসক্তরা মনো-আচরণগত, শারীরিক ও সামাজিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়। এ ছাড়া শরীরের শ্বসন, পরিপাক, স্নায়ু ও রক্ত সংবহনতন্ত্রের ওপর এ ধরনের নেশার ক্ষতিকারক উপাদানসমূহ নানা বিরূপ প্রভাব ফেলে। নেশার অতিমাত্রায় শ্বসন ও হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে কিংবা শ্বাসরোধ হয়ে মারাও যেতে পারে।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জের পথশিশুরা ‘ড্যান্ডির’ (ড্যানড্রাইট অ্যাডহেসিভ তথা ড্যানড্রাইট নামের আঠা; যা মাদকসেবীদের কাছে ড্যান্ডি নামে পরিচিত) নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। নেশার টাকার জোগান দিতে অনেকে ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে বলেও জানা যায়।
এ জাতীয় নেশার ফলে তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে অভিভাবক ও সচেতন মহল। সংশ্লিষ্টরা শিশুদের নেশায় আসক্ত হওয়ার ব্যাপারে অভিভাবকদের অসচেতনতা ও বিক্রেতাদের দায়ী করছেন।
তবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দাবি, ড্যান্ডির নেশায় আসক্ত শিশুদের কাউকে এখন পর্যন্ত তাদের চোখে পড়েনি। আর পুলিশ বলছে, এসব শিশুর ৭-৮ জনের একটি গ্রুপ তাদের নজরদারিতে আছে। ওই সব শিশুর অভিভাবকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়ার কথাও জানিয়েছে পুলিশ।
৬ জুলাই চাঁপাইনবাবগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রার সভাস্থলে এক শিশু ড্যান্ডির নেশা করছিল। পরে পুলিশ তাকে শাসন করে ছেড়ে দেয়। তখন থেকে এ জেলার শিশুদের ড্যান্ডির নেশায় আসক্তের বিষয়টি আলোচনায় আসে।
আসক্ত শিশুদের দাবি, এ নেশায় তারা খুব আনন্দ পায়, উৎফুল্ল হয় এবং নিজেদের অন্য জগতের মানুষ হিসেবে মনে করে। এই আঠা কিনতে বিভিন্ন সময় তাদের অতিরিক্ত মূল্যও দিতে হয়।
পৌর এলাকার বাসিন্দা ও রিকশাচালক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘১০ থেকে ১৩ বছরের শিশুরা দলবদ্ধ হয়ে শহরের ডিসি অফিসসংলগ্ন আমবাগান, ঢাকা বাসস্ট্যান্ড, শান্তিমোড়, নিউমার্কেট, রেলওয়ে স্টেশন, পিটিআই বস্তিসহ বেশ কিছু এলাকায় ড্যান্ডির নেশা করে। এই নেশার টাকা জোগান দিতে তারা বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। সময়ের মধ্যে তাদের স্বাভাবিক জীবনে না ফেরানো গেলে, আগামীতে তারা বড় ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়তে পারে।’
বালিয়াডাঙ্গা এলাকার রিকশাচালক সেনাউল ইসলাম বলেন, ‘কিছু দিন আগে আঞ্চলিক গবেষণা কেন্দ্রের সীমানা প্রাচীর লাগোয়া নতুন সড়কটিতে কয়েক শিশু হাতে চাকু নিয়ে এক রিকশাচালককে একা পেয়ে পথ আটকানোর চেষ্টা করে। তারা ওই রিকশাচালকের কাছে টাকা দাবি করে। পরে সেই রাস্তা দিয়ে যাওয়া আরেক রিকশাচালক দৃশ্যটি দেখে ওই শিশুদের ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়। এসব শিশু নেশার টাকা জোগান দিতেই এমন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।’
মো. আখতার হোসেন নামের এক শিক্ষক বলেন, ‘গ্রামাঞ্চলের তুলনায় শহরের শিশুরা ড্যান্ডির নেশায় সবচেয়ে বেশি আসক্ত। গ্রামাঞ্চলে শিশুদের অভিভাবকেরা কড়া শাসনের মধ্যে রাখেন। কিন্তু শহরের অধিকাংশ পরিবারের সদস্যরা জীবিকার তাগিদে তাদের শিশু সন্তানদের দিকে খেয়াল রাখতে পারে না। সেই সুযোগে শিশুরা তাদের সমবয়সীদের সঙ্গে আড্ডায় জড়িয়ে পড়ে। সেখান থেকে প্রথম ধাপে শুরু হয় ড্যান্ডির নেশা, পরে আস্তে আস্তে বিড়ি-সিগারেট, গাঁজার দিকে ঝুঁকে পড়ে তারা। এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের যথেষ্ট সচেতন থাকতে হবে।’
জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান বলেন, ‘৬ জুলাই শহরের নিউ মার্কেট এলাকা থেকে যে শিশুটিকে ড্যান্ডিসহ ধরা হয়েছিল, এর আগেও তার বিরুদ্ধে অটোরিকশা থেকে টাকা চুরির অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। বয়স বিবেচনায় পরে তার অভিভাবককে ডেকে তাঁদের জিম্মায় দেওয়া হয়। এর মতোই উঠতি বয়সের ৭-৮ জনের একটি গ্রুপ আমাদের নজরদারিতে রয়েছে। তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’ নেশায় ব্যবহৃত ওই আঠা যাচাই-বাছাইয়ের পর শিশুদের কাছে বিক্রি করা গেলে তারা এই নেশা থেকে অনেকাংশে মুক্তি পাবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
পথশিশুদের ড্যান্ডি গ্রহণ থেকে বিরত রাখতে জনসচেতনতাকেই একমাত্র লক্ষ্য হিসেবে মানছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপপরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ড্যান্ডি নেশা করে এমন শিশু আমাদের চোখে পড়েনি। খোঁজখবর নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে। এসব শিশুকে আটক করে মাদকাসক্ত পুনর্বাসন নিরাময় কেন্দ্রে পাঠানো হবে। যাতে করে তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন এ কে এম শাহাব উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ড্যান্ডিতে আসক্তরা মনো-আচরণগত, শারীরিক ও সামাজিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়। এ ছাড়া শরীরের শ্বসন, পরিপাক, স্নায়ু ও রক্ত সংবহনতন্ত্রের ওপর এ ধরনের নেশার ক্ষতিকারক উপাদানসমূহ নানা বিরূপ প্রভাব ফেলে। নেশার অতিমাত্রায় শ্বসন ও হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে কিংবা শ্বাসরোধ হয়ে মারাও যেতে পারে।’
আব্দুল বাশির, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের পথশিশুরা ‘ড্যান্ডির’ (ড্যানড্রাইট অ্যাডহেসিভ তথা ড্যানড্রাইট নামের আঠা; যা মাদকসেবীদের কাছে ড্যান্ডি নামে পরিচিত) নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। নেশার টাকার জোগান দিতে অনেকে ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে বলেও জানা যায়।
এ জাতীয় নেশার ফলে তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে অভিভাবক ও সচেতন মহল। সংশ্লিষ্টরা শিশুদের নেশায় আসক্ত হওয়ার ব্যাপারে অভিভাবকদের অসচেতনতা ও বিক্রেতাদের দায়ী করছেন।
তবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দাবি, ড্যান্ডির নেশায় আসক্ত শিশুদের কাউকে এখন পর্যন্ত তাদের চোখে পড়েনি। আর পুলিশ বলছে, এসব শিশুর ৭-৮ জনের একটি গ্রুপ তাদের নজরদারিতে আছে। ওই সব শিশুর অভিভাবকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়ার কথাও জানিয়েছে পুলিশ।
৬ জুলাই চাঁপাইনবাবগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রার সভাস্থলে এক শিশু ড্যান্ডির নেশা করছিল। পরে পুলিশ তাকে শাসন করে ছেড়ে দেয়। তখন থেকে এ জেলার শিশুদের ড্যান্ডির নেশায় আসক্তের বিষয়টি আলোচনায় আসে।
আসক্ত শিশুদের দাবি, এ নেশায় তারা খুব আনন্দ পায়, উৎফুল্ল হয় এবং নিজেদের অন্য জগতের মানুষ হিসেবে মনে করে। এই আঠা কিনতে বিভিন্ন সময় তাদের অতিরিক্ত মূল্যও দিতে হয়।
পৌর এলাকার বাসিন্দা ও রিকশাচালক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘১০ থেকে ১৩ বছরের শিশুরা দলবদ্ধ হয়ে শহরের ডিসি অফিসসংলগ্ন আমবাগান, ঢাকা বাসস্ট্যান্ড, শান্তিমোড়, নিউমার্কেট, রেলওয়ে স্টেশন, পিটিআই বস্তিসহ বেশ কিছু এলাকায় ড্যান্ডির নেশা করে। এই নেশার টাকা জোগান দিতে তারা বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। সময়ের মধ্যে তাদের স্বাভাবিক জীবনে না ফেরানো গেলে, আগামীতে তারা বড় ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়তে পারে।’
বালিয়াডাঙ্গা এলাকার রিকশাচালক সেনাউল ইসলাম বলেন, ‘কিছু দিন আগে আঞ্চলিক গবেষণা কেন্দ্রের সীমানা প্রাচীর লাগোয়া নতুন সড়কটিতে কয়েক শিশু হাতে চাকু নিয়ে এক রিকশাচালককে একা পেয়ে পথ আটকানোর চেষ্টা করে। তারা ওই রিকশাচালকের কাছে টাকা দাবি করে। পরে সেই রাস্তা দিয়ে যাওয়া আরেক রিকশাচালক দৃশ্যটি দেখে ওই শিশুদের ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়। এসব শিশু নেশার টাকা জোগান দিতেই এমন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।’
মো. আখতার হোসেন নামের এক শিক্ষক বলেন, ‘গ্রামাঞ্চলের তুলনায় শহরের শিশুরা ড্যান্ডির নেশায় সবচেয়ে বেশি আসক্ত। গ্রামাঞ্চলে শিশুদের অভিভাবকেরা কড়া শাসনের মধ্যে রাখেন। কিন্তু শহরের অধিকাংশ পরিবারের সদস্যরা জীবিকার তাগিদে তাদের শিশু সন্তানদের দিকে খেয়াল রাখতে পারে না। সেই সুযোগে শিশুরা তাদের সমবয়সীদের সঙ্গে আড্ডায় জড়িয়ে পড়ে। সেখান থেকে প্রথম ধাপে শুরু হয় ড্যান্ডির নেশা, পরে আস্তে আস্তে বিড়ি-সিগারেট, গাঁজার দিকে ঝুঁকে পড়ে তারা। এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের যথেষ্ট সচেতন থাকতে হবে।’
জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান বলেন, ‘৬ জুলাই শহরের নিউ মার্কেট এলাকা থেকে যে শিশুটিকে ড্যান্ডিসহ ধরা হয়েছিল, এর আগেও তার বিরুদ্ধে অটোরিকশা থেকে টাকা চুরির অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। বয়স বিবেচনায় পরে তার অভিভাবককে ডেকে তাঁদের জিম্মায় দেওয়া হয়। এর মতোই উঠতি বয়সের ৭-৮ জনের একটি গ্রুপ আমাদের নজরদারিতে রয়েছে। তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’ নেশায় ব্যবহৃত ওই আঠা যাচাই-বাছাইয়ের পর শিশুদের কাছে বিক্রি করা গেলে তারা এই নেশা থেকে অনেকাংশে মুক্তি পাবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
পথশিশুদের ড্যান্ডি গ্রহণ থেকে বিরত রাখতে জনসচেতনতাকেই একমাত্র লক্ষ্য হিসেবে মানছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপপরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ড্যান্ডি নেশা করে এমন শিশু আমাদের চোখে পড়েনি। খোঁজখবর নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে। এসব শিশুকে আটক করে মাদকাসক্ত পুনর্বাসন নিরাময় কেন্দ্রে পাঠানো হবে। যাতে করে তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন এ কে এম শাহাব উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ড্যান্ডিতে আসক্তরা মনো-আচরণগত, শারীরিক ও সামাজিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়। এ ছাড়া শরীরের শ্বসন, পরিপাক, স্নায়ু ও রক্ত সংবহনতন্ত্রের ওপর এ ধরনের নেশার ক্ষতিকারক উপাদানসমূহ নানা বিরূপ প্রভাব ফেলে। নেশার অতিমাত্রায় শ্বসন ও হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে কিংবা শ্বাসরোধ হয়ে মারাও যেতে পারে।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জের পথশিশুরা ‘ড্যান্ডির’ (ড্যানড্রাইট অ্যাডহেসিভ তথা ড্যানড্রাইট নামের আঠা; যা মাদকসেবীদের কাছে ড্যান্ডি নামে পরিচিত) নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। নেশার টাকার জোগান দিতে অনেকে ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে বলেও জানা যায়।
এ জাতীয় নেশার ফলে তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে অভিভাবক ও সচেতন মহল। সংশ্লিষ্টরা শিশুদের নেশায় আসক্ত হওয়ার ব্যাপারে অভিভাবকদের অসচেতনতা ও বিক্রেতাদের দায়ী করছেন।
তবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দাবি, ড্যান্ডির নেশায় আসক্ত শিশুদের কাউকে এখন পর্যন্ত তাদের চোখে পড়েনি। আর পুলিশ বলছে, এসব শিশুর ৭-৮ জনের একটি গ্রুপ তাদের নজরদারিতে আছে। ওই সব শিশুর অভিভাবকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়ার কথাও জানিয়েছে পুলিশ।
৬ জুলাই চাঁপাইনবাবগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রার সভাস্থলে এক শিশু ড্যান্ডির নেশা করছিল। পরে পুলিশ তাকে শাসন করে ছেড়ে দেয়। তখন থেকে এ জেলার শিশুদের ড্যান্ডির নেশায় আসক্তের বিষয়টি আলোচনায় আসে।
আসক্ত শিশুদের দাবি, এ নেশায় তারা খুব আনন্দ পায়, উৎফুল্ল হয় এবং নিজেদের অন্য জগতের মানুষ হিসেবে মনে করে। এই আঠা কিনতে বিভিন্ন সময় তাদের অতিরিক্ত মূল্যও দিতে হয়।
পৌর এলাকার বাসিন্দা ও রিকশাচালক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘১০ থেকে ১৩ বছরের শিশুরা দলবদ্ধ হয়ে শহরের ডিসি অফিসসংলগ্ন আমবাগান, ঢাকা বাসস্ট্যান্ড, শান্তিমোড়, নিউমার্কেট, রেলওয়ে স্টেশন, পিটিআই বস্তিসহ বেশ কিছু এলাকায় ড্যান্ডির নেশা করে। এই নেশার টাকা জোগান দিতে তারা বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। সময়ের মধ্যে তাদের স্বাভাবিক জীবনে না ফেরানো গেলে, আগামীতে তারা বড় ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়তে পারে।’
বালিয়াডাঙ্গা এলাকার রিকশাচালক সেনাউল ইসলাম বলেন, ‘কিছু দিন আগে আঞ্চলিক গবেষণা কেন্দ্রের সীমানা প্রাচীর লাগোয়া নতুন সড়কটিতে কয়েক শিশু হাতে চাকু নিয়ে এক রিকশাচালককে একা পেয়ে পথ আটকানোর চেষ্টা করে। তারা ওই রিকশাচালকের কাছে টাকা দাবি করে। পরে সেই রাস্তা দিয়ে যাওয়া আরেক রিকশাচালক দৃশ্যটি দেখে ওই শিশুদের ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়। এসব শিশু নেশার টাকা জোগান দিতেই এমন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।’
মো. আখতার হোসেন নামের এক শিক্ষক বলেন, ‘গ্রামাঞ্চলের তুলনায় শহরের শিশুরা ড্যান্ডির নেশায় সবচেয়ে বেশি আসক্ত। গ্রামাঞ্চলে শিশুদের অভিভাবকেরা কড়া শাসনের মধ্যে রাখেন। কিন্তু শহরের অধিকাংশ পরিবারের সদস্যরা জীবিকার তাগিদে তাদের শিশু সন্তানদের দিকে খেয়াল রাখতে পারে না। সেই সুযোগে শিশুরা তাদের সমবয়সীদের সঙ্গে আড্ডায় জড়িয়ে পড়ে। সেখান থেকে প্রথম ধাপে শুরু হয় ড্যান্ডির নেশা, পরে আস্তে আস্তে বিড়ি-সিগারেট, গাঁজার দিকে ঝুঁকে পড়ে তারা। এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের যথেষ্ট সচেতন থাকতে হবে।’
জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান বলেন, ‘৬ জুলাই শহরের নিউ মার্কেট এলাকা থেকে যে শিশুটিকে ড্যান্ডিসহ ধরা হয়েছিল, এর আগেও তার বিরুদ্ধে অটোরিকশা থেকে টাকা চুরির অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। বয়স বিবেচনায় পরে তার অভিভাবককে ডেকে তাঁদের জিম্মায় দেওয়া হয়। এর মতোই উঠতি বয়সের ৭-৮ জনের একটি গ্রুপ আমাদের নজরদারিতে রয়েছে। তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’ নেশায় ব্যবহৃত ওই আঠা যাচাই-বাছাইয়ের পর শিশুদের কাছে বিক্রি করা গেলে তারা এই নেশা থেকে অনেকাংশে মুক্তি পাবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
পথশিশুদের ড্যান্ডি গ্রহণ থেকে বিরত রাখতে জনসচেতনতাকেই একমাত্র লক্ষ্য হিসেবে মানছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপপরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ড্যান্ডি নেশা করে এমন শিশু আমাদের চোখে পড়েনি। খোঁজখবর নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে। এসব শিশুকে আটক করে মাদকাসক্ত পুনর্বাসন নিরাময় কেন্দ্রে পাঠানো হবে। যাতে করে তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন এ কে এম শাহাব উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ড্যান্ডিতে আসক্তরা মনো-আচরণগত, শারীরিক ও সামাজিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়। এ ছাড়া শরীরের শ্বসন, পরিপাক, স্নায়ু ও রক্ত সংবহনতন্ত্রের ওপর এ ধরনের নেশার ক্ষতিকারক উপাদানসমূহ নানা বিরূপ প্রভাব ফেলে। নেশার অতিমাত্রায় শ্বসন ও হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে কিংবা শ্বাসরোধ হয়ে মারাও যেতে পারে।’

অবশেষে নীলফামারীতেই হচ্ছে চীন সরকারের উপহারের ১ হাজার শয্যার হাসপাতাল। গত ৩০ অক্টোবর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে জারি করা নোটিশে এ তথ্য জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের উপসচিব ফাতিমা তুজ জোহরা ঠাকুর স্বাক্ষরিত ওই নোটিশ ‘অতীব জরুরি’ হিসেবে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
১২ মিনিট আগে
ময়মনসিংহে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহসভাপতি জেসমিন আরা রুমাকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা দিকে নগরীর মালগুদাম এলাকার নিজ বাস থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় একটি মসজিদে ঢুকে ইমাম ও মুসল্লিদের ওপর হামলা এবং মসজিদের আসবাব ভাঙচুরের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে শেরপুর শহরের নয়ানী বাজার এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
এলাকার চিহ্নিত কিশোর গ্যাং সদস্য রবি, রনি, সাগর, সাব্বিরসহ আরও চার থেকে পাঁচজন দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করছিল। এ সময় দোকানের ক্রেতা জামিল কিশোর গ্যাং সদস্যদের বেপরোয়া আচরণের প্রতিবাদ করলে তাঁর সঙ্গে রবির বাগ্বিতণ্ডা হয়। উভয় পক্ষের বাগ্বিতণ্ডা থামাতে জামিলের বন্ধু মারুফ ঘটনাস্থলে যান।
২ ঘণ্টা আগেনীলফামারী প্রতিনিধি

অবশেষে নীলফামারীতেই হচ্ছে চীন সরকারের উপহারের ১ হাজার শয্যার হাসপাতাল। গত ৩০ অক্টোবর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে জারি করা নোটিশে এ তথ্য জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের উপসচিব ফাতিমা তুজ জোহরা ঠাকুর স্বাক্ষরিত ওই নোটিশ ‘অতীব জরুরি’ হিসেবে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের নোটিশের সূত্রমতে, নীলফামারী সদর উপজেলার চড়াইখোলা ইউনিয়নের দারোয়ানী টেক্সটাইল মাঠে সাড়ে ২৫ একর জায়গার ওপর নির্মিত হবে চীনা হাসপাতাল। হাসপাতাল স্থাপনে ইতিমধ্যে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন ও বিভিন্ন স্থাপনার ব্যয় প্রাক্কলন তৈরি করতে বলা হয়েছে।
চীন সরকারের হাসপাতাল স্থাপনে নীলফামারী জেলাকে নির্বাচিত করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এ এইচ এম সাইফুল্লাহ রুবেল ও জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার। তাঁদের মতে, হাসপাতালটির ফলে এলাকার স্বাস্থ্যসেবার মান যেমন বাড়বে, তেমনি অর্থনৈতিকভাবে শক্ত অবস্থানে দাঁড়াবে এই জেলা। উন্নত চিকিৎসা নিতে এখন আর দেশের বাইরে যেতে হবে না।
নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি সোহেল পারভেজ বলেন, ‘চীন সরকারের হাসপাতাল স্থাপন নিয়ে সরকারের সিলেকশন যথাযথ। দারোয়ানী মাঠ সব দিক থেকে এগিয়ে অন্যান্য জায়গাগুলোর চেয়ে। সব সুযোগ-সুবিধা পাবে হাসপাতালটি স্থাপনের ক্ষেত্রে। ব্যবসায়িকভাবে আরও সমৃদ্ধ হলো আমাদের জেলা।’
এ ব্যাপারে নীলফামারীর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাকিউজ্জামান বলেন, ‘চিঠিটি আমরা পেয়েছি। ১ হাজার শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল স্থাপন বিষয়ে আমরা ডিজিটাল সার্ভে শুরু করেছি। গণপূর্ত বিভাগ ইতিমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে।’
নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান জানান, দারোয়ানী টেক্সটাইল এলাকায় ৬০ একরের বেশি সরকারি জায়গা রয়েছে। চীন সরকারের এক হাজার শয্যার হাসপাতাল স্থাপনে ২৫ একর জায়গা প্রয়োজন। ২৫ একর জায়গা হাসপাতালের জন্য দিয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে হাসপাতাল স্থাপনে ব্যয় এবং ডিজাইনের কাজ শুরু হয়েছে। আশা করা যায়, নীলফামারীতে হচ্ছে হাসপাতালটি।
প্রসঙ্গত, নিজ এলাকায় এই হাসপাতাল চেয়ে আন্দোলন হয়েছে রংপুরসহ কয়েকটি জেলায়।

অবশেষে নীলফামারীতেই হচ্ছে চীন সরকারের উপহারের ১ হাজার শয্যার হাসপাতাল। গত ৩০ অক্টোবর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে জারি করা নোটিশে এ তথ্য জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের উপসচিব ফাতিমা তুজ জোহরা ঠাকুর স্বাক্ষরিত ওই নোটিশ ‘অতীব জরুরি’ হিসেবে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের নোটিশের সূত্রমতে, নীলফামারী সদর উপজেলার চড়াইখোলা ইউনিয়নের দারোয়ানী টেক্সটাইল মাঠে সাড়ে ২৫ একর জায়গার ওপর নির্মিত হবে চীনা হাসপাতাল। হাসপাতাল স্থাপনে ইতিমধ্যে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন ও বিভিন্ন স্থাপনার ব্যয় প্রাক্কলন তৈরি করতে বলা হয়েছে।
চীন সরকারের হাসপাতাল স্থাপনে নীলফামারী জেলাকে নির্বাচিত করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এ এইচ এম সাইফুল্লাহ রুবেল ও জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার। তাঁদের মতে, হাসপাতালটির ফলে এলাকার স্বাস্থ্যসেবার মান যেমন বাড়বে, তেমনি অর্থনৈতিকভাবে শক্ত অবস্থানে দাঁড়াবে এই জেলা। উন্নত চিকিৎসা নিতে এখন আর দেশের বাইরে যেতে হবে না।
নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি সোহেল পারভেজ বলেন, ‘চীন সরকারের হাসপাতাল স্থাপন নিয়ে সরকারের সিলেকশন যথাযথ। দারোয়ানী মাঠ সব দিক থেকে এগিয়ে অন্যান্য জায়গাগুলোর চেয়ে। সব সুযোগ-সুবিধা পাবে হাসপাতালটি স্থাপনের ক্ষেত্রে। ব্যবসায়িকভাবে আরও সমৃদ্ধ হলো আমাদের জেলা।’
এ ব্যাপারে নীলফামারীর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাকিউজ্জামান বলেন, ‘চিঠিটি আমরা পেয়েছি। ১ হাজার শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল স্থাপন বিষয়ে আমরা ডিজিটাল সার্ভে শুরু করেছি। গণপূর্ত বিভাগ ইতিমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে।’
নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান জানান, দারোয়ানী টেক্সটাইল এলাকায় ৬০ একরের বেশি সরকারি জায়গা রয়েছে। চীন সরকারের এক হাজার শয্যার হাসপাতাল স্থাপনে ২৫ একর জায়গা প্রয়োজন। ২৫ একর জায়গা হাসপাতালের জন্য দিয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে হাসপাতাল স্থাপনে ব্যয় এবং ডিজাইনের কাজ শুরু হয়েছে। আশা করা যায়, নীলফামারীতে হচ্ছে হাসপাতালটি।
প্রসঙ্গত, নিজ এলাকায় এই হাসপাতাল চেয়ে আন্দোলন হয়েছে রংপুরসহ কয়েকটি জেলায়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের পথশিশুরা ‘ড্যান্ডির’ (ড্যানড্রাইট অ্যাডহেসিভ তথা ড্যানড্রাইট নামের আঠা; যা মাদকসেবীদের কাছে ড্যান্ডি নামে পরিচিত) নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। নেশার টাকার জোগান দিতে অনেকে ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে বলেও জানা যায়।
২৪ জুলাই ২০২৫
ময়মনসিংহে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহসভাপতি জেসমিন আরা রুমাকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা দিকে নগরীর মালগুদাম এলাকার নিজ বাস থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় একটি মসজিদে ঢুকে ইমাম ও মুসল্লিদের ওপর হামলা এবং মসজিদের আসবাব ভাঙচুরের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে শেরপুর শহরের নয়ানী বাজার এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
এলাকার চিহ্নিত কিশোর গ্যাং সদস্য রবি, রনি, সাগর, সাব্বিরসহ আরও চার থেকে পাঁচজন দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করছিল। এ সময় দোকানের ক্রেতা জামিল কিশোর গ্যাং সদস্যদের বেপরোয়া আচরণের প্রতিবাদ করলে তাঁর সঙ্গে রবির বাগ্বিতণ্ডা হয়। উভয় পক্ষের বাগ্বিতণ্ডা থামাতে জামিলের বন্ধু মারুফ ঘটনাস্থলে যান।
২ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহসভাপতি জেসমিন আরা রুমাকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা দিকে নগরীর মালগুদাম এলাকার নিজ বাস থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার রুমা নগরীর মালগুদাম এলাকার অবসরপ্রাপ্ত রেল কর্মচারী আবু তাহেলের মেয়ে। তাঁর স্বামী সুলতান মাহমুদ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার বলে জানা গেছে।
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জেসমিন আরা রুমা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি। তাঁর বিরুদ্ধে গত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সশস্ত্র হামলার অভিযোগ রয়েছে। সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় আদালতের নির্দেশে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ময়মনসিংহে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহসভাপতি জেসমিন আরা রুমাকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা দিকে নগরীর মালগুদাম এলাকার নিজ বাস থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার রুমা নগরীর মালগুদাম এলাকার অবসরপ্রাপ্ত রেল কর্মচারী আবু তাহেলের মেয়ে। তাঁর স্বামী সুলতান মাহমুদ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার বলে জানা গেছে।
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জেসমিন আরা রুমা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি। তাঁর বিরুদ্ধে গত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সশস্ত্র হামলার অভিযোগ রয়েছে। সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় আদালতের নির্দেশে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের পথশিশুরা ‘ড্যান্ডির’ (ড্যানড্রাইট অ্যাডহেসিভ তথা ড্যানড্রাইট নামের আঠা; যা মাদকসেবীদের কাছে ড্যান্ডি নামে পরিচিত) নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। নেশার টাকার জোগান দিতে অনেকে ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে বলেও জানা যায়।
২৪ জুলাই ২০২৫
অবশেষে নীলফামারীতেই হচ্ছে চীন সরকারের উপহারের ১ হাজার শয্যার হাসপাতাল। গত ৩০ অক্টোবর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে জারি করা নোটিশে এ তথ্য জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের উপসচিব ফাতিমা তুজ জোহরা ঠাকুর স্বাক্ষরিত ওই নোটিশ ‘অতীব জরুরি’ হিসেবে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
১২ মিনিট আগে
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় একটি মসজিদে ঢুকে ইমাম ও মুসল্লিদের ওপর হামলা এবং মসজিদের আসবাব ভাঙচুরের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে শেরপুর শহরের নয়ানী বাজার এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
এলাকার চিহ্নিত কিশোর গ্যাং সদস্য রবি, রনি, সাগর, সাব্বিরসহ আরও চার থেকে পাঁচজন দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করছিল। এ সময় দোকানের ক্রেতা জামিল কিশোর গ্যাং সদস্যদের বেপরোয়া আচরণের প্রতিবাদ করলে তাঁর সঙ্গে রবির বাগ্বিতণ্ডা হয়। উভয় পক্ষের বাগ্বিতণ্ডা থামাতে জামিলের বন্ধু মারুফ ঘটনাস্থলে যান।
২ ঘণ্টা আগেনালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় একটি মসজিদে ঢুকে ইমাম ও মুসল্লিদের ওপর হামলা এবং মসজিদের আসবাব ভাঙচুরের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে শেরপুর শহরের নয়ানী বাজার এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বাতকুচি গ্রামের জহিরুল ইসলামের দুই ছেলে উমর ফারুক ওরফে ফারুক পাগলা (৩৫) ও ফরহাদ হোসেন (২৭)।
পুলিশ জানায়, ২ নভেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলার বারোমারী বাজার এলাকার চেল্লাখালী নদীর পশ্চিমপাড়ে উত্তর বাতকুচি ফরেস্ট অফিসসংলগ্ন বাইতুল নূর জামে মসজিদে ওই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
সেদিন ফরহাদ, উমর ফারুক ও রুবেল নামে তিনজন মদ্যপ অবস্থায় মসজিদে ঢুকে ইমাম শফিকুল ইসলামের উদ্দেশে বলেন, ‘আজ থেকে এই মসজিদে আজান দেওয়া যাবে না, আমাদের অনুমতি ছাড়া আর আজান হবে না।’
ইমাম প্রতিবাদ করলে তাঁরা তাঁকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। একপর্যায়ে ইমাম পালিয়ে গেলে হামলাকারীরা মসজিদে ঢুকে মাইক সেট, বৈদ্যুতিক বোর্ড, টিনের বেড়া ও অন্য সামগ্রী ভাঙচুর করেন।
এ সময় মুসল্লি হাবিবুর রহমান ও কাজল মিয়া বাধা দিতে গেলে তাঁদেরও মারধর করা হয়। পরে গ্রামবাসী আহতদের উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
ঘটনার পর মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আশরাফ আলী বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা করেন।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল রানা বলেন, ‘মসজিদে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় একটি মসজিদে ঢুকে ইমাম ও মুসল্লিদের ওপর হামলা এবং মসজিদের আসবাব ভাঙচুরের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে শেরপুর শহরের নয়ানী বাজার এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বাতকুচি গ্রামের জহিরুল ইসলামের দুই ছেলে উমর ফারুক ওরফে ফারুক পাগলা (৩৫) ও ফরহাদ হোসেন (২৭)।
পুলিশ জানায়, ২ নভেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলার বারোমারী বাজার এলাকার চেল্লাখালী নদীর পশ্চিমপাড়ে উত্তর বাতকুচি ফরেস্ট অফিসসংলগ্ন বাইতুল নূর জামে মসজিদে ওই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
সেদিন ফরহাদ, উমর ফারুক ও রুবেল নামে তিনজন মদ্যপ অবস্থায় মসজিদে ঢুকে ইমাম শফিকুল ইসলামের উদ্দেশে বলেন, ‘আজ থেকে এই মসজিদে আজান দেওয়া যাবে না, আমাদের অনুমতি ছাড়া আর আজান হবে না।’
ইমাম প্রতিবাদ করলে তাঁরা তাঁকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। একপর্যায়ে ইমাম পালিয়ে গেলে হামলাকারীরা মসজিদে ঢুকে মাইক সেট, বৈদ্যুতিক বোর্ড, টিনের বেড়া ও অন্য সামগ্রী ভাঙচুর করেন।
এ সময় মুসল্লি হাবিবুর রহমান ও কাজল মিয়া বাধা দিতে গেলে তাঁদেরও মারধর করা হয়। পরে গ্রামবাসী আহতদের উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
ঘটনার পর মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আশরাফ আলী বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা করেন।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল রানা বলেন, ‘মসজিদে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জের পথশিশুরা ‘ড্যান্ডির’ (ড্যানড্রাইট অ্যাডহেসিভ তথা ড্যানড্রাইট নামের আঠা; যা মাদকসেবীদের কাছে ড্যান্ডি নামে পরিচিত) নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। নেশার টাকার জোগান দিতে অনেকে ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে বলেও জানা যায়।
২৪ জুলাই ২০২৫
অবশেষে নীলফামারীতেই হচ্ছে চীন সরকারের উপহারের ১ হাজার শয্যার হাসপাতাল। গত ৩০ অক্টোবর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে জারি করা নোটিশে এ তথ্য জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের উপসচিব ফাতিমা তুজ জোহরা ঠাকুর স্বাক্ষরিত ওই নোটিশ ‘অতীব জরুরি’ হিসেবে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
১২ মিনিট আগে
ময়মনসিংহে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহসভাপতি জেসমিন আরা রুমাকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা দিকে নগরীর মালগুদাম এলাকার নিজ বাস থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
এলাকার চিহ্নিত কিশোর গ্যাং সদস্য রবি, রনি, সাগর, সাব্বিরসহ আরও চার থেকে পাঁচজন দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করছিল। এ সময় দোকানের ক্রেতা জামিল কিশোর গ্যাং সদস্যদের বেপরোয়া আচরণের প্রতিবাদ করলে তাঁর সঙ্গে রবির বাগ্বিতণ্ডা হয়। উভয় পক্ষের বাগ্বিতণ্ডা থামাতে জামিলের বন্ধু মারুফ ঘটনাস্থলে যান।
২ ঘণ্টা আগেগাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুর মহানগরীতে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে গাছা থানার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের কুনিয়া তারগাছ এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত যুবকের নাম মারুফ (২২)। তিনি মহানগরীর গাছা থানার কুনিয়া তারগাছ এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। আহত যুবকের নাম জামিল (২৪)। তাঁরা পরস্পর বন্ধু।
পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল অভিযুক্ত ব্যক্তিসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁরা হলেন মামলার প্রধান আসামি মো. রবিউল ইসলাম ওরফে সিগমা রবি (২৪) ও ২ নম্বর আসামি মো. সাব্বির হোসেন (১৮)। তাঁরা এলাকায় কিশোর গ্যাং হিসেবে পরিচিত হলেও সবাই তরুণ বয়সী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে গাছা থানার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের কুনিয়া তারগাছ এলাকার আক্তারের বাড়ির সামনে এলাকার চিহ্নিত কিশোর গ্যাং সদস্য রবি, রনি, সাগর, সাব্বিরসহ আরও চার থেকে পাঁচজন দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করছিল। এ সময় এক দোকানের ক্রেতা জামিল কিশোর গ্যাং সদস্যদের বেপরোয়া আচরণের প্রতিবাদ করলে তাঁর সঙ্গে রবির বাগ্বিতণ্ডা হয়। উভয় পক্ষের বাগ্বিতণ্ডা থামাতে জামিলের বন্ধু মারুফ ঘটনাস্থলে যান। এ সময় কিশোর গ্যাং সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই দুই বন্ধুকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে তারুন্নেসা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, মারুফ মারা গেছেন। প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দিয়ে জামিলকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহত জামিলের বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, রবি, রনি, সাগর, সাব্বিরসহ ৮-১০ জনের একটি সংঘবদ্ধ কিশোর গ্যাং দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক সেবন, চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নিহত যুবকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, আহত জামিলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রবি, রনি, সাগর, সাব্বিরসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে একাধিক টিম মাঠে নেমেছে।
জিএমপির ভারপ্রাপ্ত কমিশনার জাহিদুল হাসান আজকের পত্রিকাকে জানান, মারুফ হত্যাকাণ্ডে গাছা থানায় মামলা হয়েছে। এজাহারে মো. রবিউল ইসলাম ওরফে সিগমা রবিকে প্রধান আসামি করা হয়।
জাহিদুল হাসান বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান শনাক্ত করে জিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের একটি টিম পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা থেকে আজ সকালে রবিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর একটি টিম ২ নম্বর আসামি মো. সাব্বির হোসেনকে গাছা থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

গাজীপুর মহানগরীতে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে গাছা থানার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের কুনিয়া তারগাছ এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত যুবকের নাম মারুফ (২২)। তিনি মহানগরীর গাছা থানার কুনিয়া তারগাছ এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। আহত যুবকের নাম জামিল (২৪)। তাঁরা পরস্পর বন্ধু।
পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল অভিযুক্ত ব্যক্তিসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁরা হলেন মামলার প্রধান আসামি মো. রবিউল ইসলাম ওরফে সিগমা রবি (২৪) ও ২ নম্বর আসামি মো. সাব্বির হোসেন (১৮)। তাঁরা এলাকায় কিশোর গ্যাং হিসেবে পরিচিত হলেও সবাই তরুণ বয়সী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে গাছা থানার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের কুনিয়া তারগাছ এলাকার আক্তারের বাড়ির সামনে এলাকার চিহ্নিত কিশোর গ্যাং সদস্য রবি, রনি, সাগর, সাব্বিরসহ আরও চার থেকে পাঁচজন দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করছিল। এ সময় এক দোকানের ক্রেতা জামিল কিশোর গ্যাং সদস্যদের বেপরোয়া আচরণের প্রতিবাদ করলে তাঁর সঙ্গে রবির বাগ্বিতণ্ডা হয়। উভয় পক্ষের বাগ্বিতণ্ডা থামাতে জামিলের বন্ধু মারুফ ঘটনাস্থলে যান। এ সময় কিশোর গ্যাং সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই দুই বন্ধুকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে তারুন্নেসা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, মারুফ মারা গেছেন। প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দিয়ে জামিলকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহত জামিলের বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, রবি, রনি, সাগর, সাব্বিরসহ ৮-১০ জনের একটি সংঘবদ্ধ কিশোর গ্যাং দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক সেবন, চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নিহত যুবকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, আহত জামিলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রবি, রনি, সাগর, সাব্বিরসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে একাধিক টিম মাঠে নেমেছে।
জিএমপির ভারপ্রাপ্ত কমিশনার জাহিদুল হাসান আজকের পত্রিকাকে জানান, মারুফ হত্যাকাণ্ডে গাছা থানায় মামলা হয়েছে। এজাহারে মো. রবিউল ইসলাম ওরফে সিগমা রবিকে প্রধান আসামি করা হয়।
জাহিদুল হাসান বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান শনাক্ত করে জিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের একটি টিম পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা থেকে আজ সকালে রবিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর একটি টিম ২ নম্বর আসামি মো. সাব্বির হোসেনকে গাছা থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের পথশিশুরা ‘ড্যান্ডির’ (ড্যানড্রাইট অ্যাডহেসিভ তথা ড্যানড্রাইট নামের আঠা; যা মাদকসেবীদের কাছে ড্যান্ডি নামে পরিচিত) নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। নেশার টাকার জোগান দিতে অনেকে ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে বলেও জানা যায়।
২৪ জুলাই ২০২৫
অবশেষে নীলফামারীতেই হচ্ছে চীন সরকারের উপহারের ১ হাজার শয্যার হাসপাতাল। গত ৩০ অক্টোবর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে জারি করা নোটিশে এ তথ্য জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের উপসচিব ফাতিমা তুজ জোহরা ঠাকুর স্বাক্ষরিত ওই নোটিশ ‘অতীব জরুরি’ হিসেবে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
১২ মিনিট আগে
ময়মনসিংহে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহসভাপতি জেসমিন আরা রুমাকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা দিকে নগরীর মালগুদাম এলাকার নিজ বাস থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় একটি মসজিদে ঢুকে ইমাম ও মুসল্লিদের ওপর হামলা এবং মসজিদের আসবাব ভাঙচুরের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে শেরপুর শহরের নয়ানী বাজার এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে