ভোলা সংবাদদাতা

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চর কলমী ইউনিয়নের দক্ষিণ মানিকা গ্রামের গৃহবধূ তানিয়া গতকাল মঙ্গলবার সকালে ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে এসেছেন তাঁর ১ মাস ২ দিন বয়সী শিশুপুত্র তানজিলকে নিয়ে। শিশুটির মা তানিয়া বলেন, ‘আমার শিশুসন্তানটি পা বাঁকা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। শিশুর বয়স যখন ১০ দিন, তখন থেকে ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত তিনবার পায়ের প্লাস্টার করেছেন চিকিৎসকেরা। এর জন্য ব্যয় হয়েছে ৬ হাজার টাকা। এরপর ৩ হাজার টাকা দিয়ে শিশুটির পায়ের অপারেশন করানো হয়েছে। এখন তাঁর শিশুপুত্র তানজিল অনেকটা সুস্থ বলে জানান মা তানিয়া।
একই উপজেলার দুলারহাট এলাকা থেকে ১০ দিনের শিশুপুত্র তাকরিমকে নিয়ে আসা মা রুমা আক্তার বলেন, ‘এলাকার মানুষের কাছ থেকে শুনে আমার শিশুসন্তানকে নিয়ে ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে এসেছি চিকিৎসা করাতে।’ রুমা বলেন, গর্ভ থেকে তাঁর ছেলে ডান পা বাঁকা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। এখানে চিকিৎসা নিচ্ছে। চিকিৎসকেরা তাঁকে জানিয়েছেন, শিশুটির পায়ের প্লাস্টার করা হবে। এর জন্য লাগবে ৬ হাজার টাকা।
জন্মের এক সপ্তাহ পর থেকে চার বছর ধরে শিশু মারজানা ইসলাম মায়াকে ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে এসে চিকিৎসা করাচ্ছেন মা জান্নাতুল ফেরদৌস। তিনি জানান, জন্মগতভাবে দুই পা বাঁকা ছিল তাঁর শিশুকন্যা মায়ার। ২০২১ সাল থেকে দীর্ঘদিন চিকিৎসা করানোর পর এখন সুস্থ জীবন যাপন করছে। তবে এখনো নিয়মিত ব্যায়াম করতে হচ্ছে। জান্নাত জানান, প্রথমে তাঁর শিশুর পা তিনবার প্লাস্টার করা হয়েছে। এরপর অপারেশন করার পর এখন পায়ে বিশেষ ধরনের জুতা পরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সন্তানের সুস্থ হওয়ায় খুশি মা জান্নাতুল ফেরদৌস।
গতকাল ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে তানজিল, তাকরিম ও মারজানার মতো অনেক শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে। অথচ তারা বাঁকা পা নিয়ে জন্মেছিল। তাই টাকার বিনিময়ে হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে পায়ের স্বাভাবিক গড়ন ফিরে পাওয়ায় এসব শিশুর অভিভাবকেরাও বেশ উচ্ছ্বসিত।
এ বিষয়ে বাঁকা পা নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুদের চিকিৎসক ফিজিওথেরাপিস্ট অ্যান্ড কনসেটিভ প্র্যাকটিশনার মো. মাজহারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০১০ সালে প্রথমে ভোলা সদর হাসপাতালে আমরা বাঁকা পা নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুদের এ চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করেছিলাম। এরপর ২০১৯ সাল থেকে ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে এসব শিশুর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’

মাজহারুল ইসলাম আরও বলেন, এ পর্যন্ত ৮৩৭টি (৩ বছরের নিচে) শিশুকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এখানে শিশুদের প্লাস্টার, অপারেশন ও বিশেষ ধরনের জুতা পরানো হয়। বাঁকা পা নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুদের ৯৫ ভাগ সফল হয়েছে বলেও জানান এই চিকিৎসক।
মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, শিশুর দুই পায়ের জন্য ১০ হাজার টাকা ও ১ পায়ের জন্য ৬ হাজার টাকা নিয়ে এ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দুই পায়ের জন্য অপারেশন বাবদ সাড়ে ৩ হাজার ও এক পায়ের জন্য নেওয়া হয় ৩ হাজার টাকা। বাংলাদেশের ৩৩টি ক্লিনিকে চিকিৎসা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসছে ৩৮ হাজার শিশু।
ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে বাঁকা পা নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুদের চিকিৎসার ব্যাপারে হাসপাতালটির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, ‘আগে ভোলা সদর হাসপাতালে এসব শিশুর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু সেখানে সঠিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কিছুটা অবহেলা ও গাফিলতি ছিল। তাই ২০১৯ সালে আমরা ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালের তৃতীয় তলায় এসব শিশুর চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। পা বাঁকা নিয়ে জন্মগ্রহণ করা এসব শিশুর চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিতে পেরে আমরাও আনন্দিত। কারণ, বুঝতে হবে, এসব শিশু সমাজের বোঝা নয়। চিকিৎসার মাধ্যমে শিশুদের পা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে।’
এ বিষয়ে ভোলার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ নাজিউর রহমান কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও ভোলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এম ফারুকুর রহমান বলেন, ‘ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে প্রতি মঙ্গলবার সকালে বাঁকা পা নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুদের চিকিৎসার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছেন হাসপাতালটির বর্তমান নির্বাহী পরিচালক মিয়া মোহাম্মদ ইউনুছ। তিনি হাসপাতালে জায়গা দিয়ে একটি মানবিক কাজ করেছেন।’

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চর কলমী ইউনিয়নের দক্ষিণ মানিকা গ্রামের গৃহবধূ তানিয়া গতকাল মঙ্গলবার সকালে ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে এসেছেন তাঁর ১ মাস ২ দিন বয়সী শিশুপুত্র তানজিলকে নিয়ে। শিশুটির মা তানিয়া বলেন, ‘আমার শিশুসন্তানটি পা বাঁকা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। শিশুর বয়স যখন ১০ দিন, তখন থেকে ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত তিনবার পায়ের প্লাস্টার করেছেন চিকিৎসকেরা। এর জন্য ব্যয় হয়েছে ৬ হাজার টাকা। এরপর ৩ হাজার টাকা দিয়ে শিশুটির পায়ের অপারেশন করানো হয়েছে। এখন তাঁর শিশুপুত্র তানজিল অনেকটা সুস্থ বলে জানান মা তানিয়া।
একই উপজেলার দুলারহাট এলাকা থেকে ১০ দিনের শিশুপুত্র তাকরিমকে নিয়ে আসা মা রুমা আক্তার বলেন, ‘এলাকার মানুষের কাছ থেকে শুনে আমার শিশুসন্তানকে নিয়ে ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে এসেছি চিকিৎসা করাতে।’ রুমা বলেন, গর্ভ থেকে তাঁর ছেলে ডান পা বাঁকা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। এখানে চিকিৎসা নিচ্ছে। চিকিৎসকেরা তাঁকে জানিয়েছেন, শিশুটির পায়ের প্লাস্টার করা হবে। এর জন্য লাগবে ৬ হাজার টাকা।
জন্মের এক সপ্তাহ পর থেকে চার বছর ধরে শিশু মারজানা ইসলাম মায়াকে ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে এসে চিকিৎসা করাচ্ছেন মা জান্নাতুল ফেরদৌস। তিনি জানান, জন্মগতভাবে দুই পা বাঁকা ছিল তাঁর শিশুকন্যা মায়ার। ২০২১ সাল থেকে দীর্ঘদিন চিকিৎসা করানোর পর এখন সুস্থ জীবন যাপন করছে। তবে এখনো নিয়মিত ব্যায়াম করতে হচ্ছে। জান্নাত জানান, প্রথমে তাঁর শিশুর পা তিনবার প্লাস্টার করা হয়েছে। এরপর অপারেশন করার পর এখন পায়ে বিশেষ ধরনের জুতা পরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সন্তানের সুস্থ হওয়ায় খুশি মা জান্নাতুল ফেরদৌস।
গতকাল ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে তানজিল, তাকরিম ও মারজানার মতো অনেক শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে। অথচ তারা বাঁকা পা নিয়ে জন্মেছিল। তাই টাকার বিনিময়ে হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে পায়ের স্বাভাবিক গড়ন ফিরে পাওয়ায় এসব শিশুর অভিভাবকেরাও বেশ উচ্ছ্বসিত।
এ বিষয়ে বাঁকা পা নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুদের চিকিৎসক ফিজিওথেরাপিস্ট অ্যান্ড কনসেটিভ প্র্যাকটিশনার মো. মাজহারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০১০ সালে প্রথমে ভোলা সদর হাসপাতালে আমরা বাঁকা পা নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুদের এ চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করেছিলাম। এরপর ২০১৯ সাল থেকে ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে এসব শিশুর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’

মাজহারুল ইসলাম আরও বলেন, এ পর্যন্ত ৮৩৭টি (৩ বছরের নিচে) শিশুকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এখানে শিশুদের প্লাস্টার, অপারেশন ও বিশেষ ধরনের জুতা পরানো হয়। বাঁকা পা নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুদের ৯৫ ভাগ সফল হয়েছে বলেও জানান এই চিকিৎসক।
মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, শিশুর দুই পায়ের জন্য ১০ হাজার টাকা ও ১ পায়ের জন্য ৬ হাজার টাকা নিয়ে এ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দুই পায়ের জন্য অপারেশন বাবদ সাড়ে ৩ হাজার ও এক পায়ের জন্য নেওয়া হয় ৩ হাজার টাকা। বাংলাদেশের ৩৩টি ক্লিনিকে চিকিৎসা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসছে ৩৮ হাজার শিশু।
ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে বাঁকা পা নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুদের চিকিৎসার ব্যাপারে হাসপাতালটির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, ‘আগে ভোলা সদর হাসপাতালে এসব শিশুর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু সেখানে সঠিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কিছুটা অবহেলা ও গাফিলতি ছিল। তাই ২০১৯ সালে আমরা ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালের তৃতীয় তলায় এসব শিশুর চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। পা বাঁকা নিয়ে জন্মগ্রহণ করা এসব শিশুর চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিতে পেরে আমরাও আনন্দিত। কারণ, বুঝতে হবে, এসব শিশু সমাজের বোঝা নয়। চিকিৎসার মাধ্যমে শিশুদের পা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে।’
এ বিষয়ে ভোলার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ নাজিউর রহমান কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও ভোলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এম ফারুকুর রহমান বলেন, ‘ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে প্রতি মঙ্গলবার সকালে বাঁকা পা নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুদের চিকিৎসার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছেন হাসপাতালটির বর্তমান নির্বাহী পরিচালক মিয়া মোহাম্মদ ইউনুছ। তিনি হাসপাতালে জায়গা দিয়ে একটি মানবিক কাজ করেছেন।’
ভোলা সংবাদদাতা

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চর কলমী ইউনিয়নের দক্ষিণ মানিকা গ্রামের গৃহবধূ তানিয়া গতকাল মঙ্গলবার সকালে ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে এসেছেন তাঁর ১ মাস ২ দিন বয়সী শিশুপুত্র তানজিলকে নিয়ে। শিশুটির মা তানিয়া বলেন, ‘আমার শিশুসন্তানটি পা বাঁকা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। শিশুর বয়স যখন ১০ দিন, তখন থেকে ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত তিনবার পায়ের প্লাস্টার করেছেন চিকিৎসকেরা। এর জন্য ব্যয় হয়েছে ৬ হাজার টাকা। এরপর ৩ হাজার টাকা দিয়ে শিশুটির পায়ের অপারেশন করানো হয়েছে। এখন তাঁর শিশুপুত্র তানজিল অনেকটা সুস্থ বলে জানান মা তানিয়া।
একই উপজেলার দুলারহাট এলাকা থেকে ১০ দিনের শিশুপুত্র তাকরিমকে নিয়ে আসা মা রুমা আক্তার বলেন, ‘এলাকার মানুষের কাছ থেকে শুনে আমার শিশুসন্তানকে নিয়ে ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে এসেছি চিকিৎসা করাতে।’ রুমা বলেন, গর্ভ থেকে তাঁর ছেলে ডান পা বাঁকা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। এখানে চিকিৎসা নিচ্ছে। চিকিৎসকেরা তাঁকে জানিয়েছেন, শিশুটির পায়ের প্লাস্টার করা হবে। এর জন্য লাগবে ৬ হাজার টাকা।
জন্মের এক সপ্তাহ পর থেকে চার বছর ধরে শিশু মারজানা ইসলাম মায়াকে ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে এসে চিকিৎসা করাচ্ছেন মা জান্নাতুল ফেরদৌস। তিনি জানান, জন্মগতভাবে দুই পা বাঁকা ছিল তাঁর শিশুকন্যা মায়ার। ২০২১ সাল থেকে দীর্ঘদিন চিকিৎসা করানোর পর এখন সুস্থ জীবন যাপন করছে। তবে এখনো নিয়মিত ব্যায়াম করতে হচ্ছে। জান্নাত জানান, প্রথমে তাঁর শিশুর পা তিনবার প্লাস্টার করা হয়েছে। এরপর অপারেশন করার পর এখন পায়ে বিশেষ ধরনের জুতা পরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সন্তানের সুস্থ হওয়ায় খুশি মা জান্নাতুল ফেরদৌস।
গতকাল ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে তানজিল, তাকরিম ও মারজানার মতো অনেক শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে। অথচ তারা বাঁকা পা নিয়ে জন্মেছিল। তাই টাকার বিনিময়ে হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে পায়ের স্বাভাবিক গড়ন ফিরে পাওয়ায় এসব শিশুর অভিভাবকেরাও বেশ উচ্ছ্বসিত।
এ বিষয়ে বাঁকা পা নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুদের চিকিৎসক ফিজিওথেরাপিস্ট অ্যান্ড কনসেটিভ প্র্যাকটিশনার মো. মাজহারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০১০ সালে প্রথমে ভোলা সদর হাসপাতালে আমরা বাঁকা পা নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুদের এ চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করেছিলাম। এরপর ২০১৯ সাল থেকে ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে এসব শিশুর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’

মাজহারুল ইসলাম আরও বলেন, এ পর্যন্ত ৮৩৭টি (৩ বছরের নিচে) শিশুকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এখানে শিশুদের প্লাস্টার, অপারেশন ও বিশেষ ধরনের জুতা পরানো হয়। বাঁকা পা নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুদের ৯৫ ভাগ সফল হয়েছে বলেও জানান এই চিকিৎসক।
মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, শিশুর দুই পায়ের জন্য ১০ হাজার টাকা ও ১ পায়ের জন্য ৬ হাজার টাকা নিয়ে এ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দুই পায়ের জন্য অপারেশন বাবদ সাড়ে ৩ হাজার ও এক পায়ের জন্য নেওয়া হয় ৩ হাজার টাকা। বাংলাদেশের ৩৩টি ক্লিনিকে চিকিৎসা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসছে ৩৮ হাজার শিশু।
ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে বাঁকা পা নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুদের চিকিৎসার ব্যাপারে হাসপাতালটির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, ‘আগে ভোলা সদর হাসপাতালে এসব শিশুর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু সেখানে সঠিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কিছুটা অবহেলা ও গাফিলতি ছিল। তাই ২০১৯ সালে আমরা ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালের তৃতীয় তলায় এসব শিশুর চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। পা বাঁকা নিয়ে জন্মগ্রহণ করা এসব শিশুর চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিতে পেরে আমরাও আনন্দিত। কারণ, বুঝতে হবে, এসব শিশু সমাজের বোঝা নয়। চিকিৎসার মাধ্যমে শিশুদের পা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে।’
এ বিষয়ে ভোলার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ নাজিউর রহমান কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও ভোলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এম ফারুকুর রহমান বলেন, ‘ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে প্রতি মঙ্গলবার সকালে বাঁকা পা নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুদের চিকিৎসার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছেন হাসপাতালটির বর্তমান নির্বাহী পরিচালক মিয়া মোহাম্মদ ইউনুছ। তিনি হাসপাতালে জায়গা দিয়ে একটি মানবিক কাজ করেছেন।’

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চর কলমী ইউনিয়নের দক্ষিণ মানিকা গ্রামের গৃহবধূ তানিয়া গতকাল মঙ্গলবার সকালে ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে এসেছেন তাঁর ১ মাস ২ দিন বয়সী শিশুপুত্র তানজিলকে নিয়ে। শিশুটির মা তানিয়া বলেন, ‘আমার শিশুসন্তানটি পা বাঁকা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। শিশুর বয়স যখন ১০ দিন, তখন থেকে ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত তিনবার পায়ের প্লাস্টার করেছেন চিকিৎসকেরা। এর জন্য ব্যয় হয়েছে ৬ হাজার টাকা। এরপর ৩ হাজার টাকা দিয়ে শিশুটির পায়ের অপারেশন করানো হয়েছে। এখন তাঁর শিশুপুত্র তানজিল অনেকটা সুস্থ বলে জানান মা তানিয়া।
একই উপজেলার দুলারহাট এলাকা থেকে ১০ দিনের শিশুপুত্র তাকরিমকে নিয়ে আসা মা রুমা আক্তার বলেন, ‘এলাকার মানুষের কাছ থেকে শুনে আমার শিশুসন্তানকে নিয়ে ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে এসেছি চিকিৎসা করাতে।’ রুমা বলেন, গর্ভ থেকে তাঁর ছেলে ডান পা বাঁকা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। এখানে চিকিৎসা নিচ্ছে। চিকিৎসকেরা তাঁকে জানিয়েছেন, শিশুটির পায়ের প্লাস্টার করা হবে। এর জন্য লাগবে ৬ হাজার টাকা।
জন্মের এক সপ্তাহ পর থেকে চার বছর ধরে শিশু মারজানা ইসলাম মায়াকে ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে এসে চিকিৎসা করাচ্ছেন মা জান্নাতুল ফেরদৌস। তিনি জানান, জন্মগতভাবে দুই পা বাঁকা ছিল তাঁর শিশুকন্যা মায়ার। ২০২১ সাল থেকে দীর্ঘদিন চিকিৎসা করানোর পর এখন সুস্থ জীবন যাপন করছে। তবে এখনো নিয়মিত ব্যায়াম করতে হচ্ছে। জান্নাত জানান, প্রথমে তাঁর শিশুর পা তিনবার প্লাস্টার করা হয়েছে। এরপর অপারেশন করার পর এখন পায়ে বিশেষ ধরনের জুতা পরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সন্তানের সুস্থ হওয়ায় খুশি মা জান্নাতুল ফেরদৌস।
গতকাল ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে তানজিল, তাকরিম ও মারজানার মতো অনেক শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে। অথচ তারা বাঁকা পা নিয়ে জন্মেছিল। তাই টাকার বিনিময়ে হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে পায়ের স্বাভাবিক গড়ন ফিরে পাওয়ায় এসব শিশুর অভিভাবকেরাও বেশ উচ্ছ্বসিত।
এ বিষয়ে বাঁকা পা নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুদের চিকিৎসক ফিজিওথেরাপিস্ট অ্যান্ড কনসেটিভ প্র্যাকটিশনার মো. মাজহারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০১০ সালে প্রথমে ভোলা সদর হাসপাতালে আমরা বাঁকা পা নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুদের এ চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করেছিলাম। এরপর ২০১৯ সাল থেকে ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে এসব শিশুর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’

মাজহারুল ইসলাম আরও বলেন, এ পর্যন্ত ৮৩৭টি (৩ বছরের নিচে) শিশুকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এখানে শিশুদের প্লাস্টার, অপারেশন ও বিশেষ ধরনের জুতা পরানো হয়। বাঁকা পা নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুদের ৯৫ ভাগ সফল হয়েছে বলেও জানান এই চিকিৎসক।
মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, শিশুর দুই পায়ের জন্য ১০ হাজার টাকা ও ১ পায়ের জন্য ৬ হাজার টাকা নিয়ে এ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দুই পায়ের জন্য অপারেশন বাবদ সাড়ে ৩ হাজার ও এক পায়ের জন্য নেওয়া হয় ৩ হাজার টাকা। বাংলাদেশের ৩৩টি ক্লিনিকে চিকিৎসা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসছে ৩৮ হাজার শিশু।
ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে বাঁকা পা নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুদের চিকিৎসার ব্যাপারে হাসপাতালটির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, ‘আগে ভোলা সদর হাসপাতালে এসব শিশুর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু সেখানে সঠিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কিছুটা অবহেলা ও গাফিলতি ছিল। তাই ২০১৯ সালে আমরা ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালের তৃতীয় তলায় এসব শিশুর চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। পা বাঁকা নিয়ে জন্মগ্রহণ করা এসব শিশুর চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিতে পেরে আমরাও আনন্দিত। কারণ, বুঝতে হবে, এসব শিশু সমাজের বোঝা নয়। চিকিৎসার মাধ্যমে শিশুদের পা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে।’
এ বিষয়ে ভোলার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ নাজিউর রহমান কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও ভোলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এম ফারুকুর রহমান বলেন, ‘ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে প্রতি মঙ্গলবার সকালে বাঁকা পা নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুদের চিকিৎসার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছেন হাসপাতালটির বর্তমান নির্বাহী পরিচালক মিয়া মোহাম্মদ ইউনুছ। তিনি হাসপাতালে জায়গা দিয়ে একটি মানবিক কাজ করেছেন।’

বাজারে দুধ বিক্রি করে সন্ধ্যার পর বাসায় ফেরেন বাবা নিজাম প্রামাণিক (৬০)। পরে খাওয়া-দাওয়া শেষে এশার নামাজ পড়তে জায়নামাজে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এ সময় সুযোগ বুঝে হাঁসুয়া দিয়ে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেন ছেলে মোস্তফা প্রামাণিক। এমনই এক লোমহর্ষ ঘটনা ঘটেছে পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের পুরোনো...
৭ মিনিট আগে
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় জানালার গ্রিল কেটে ঢুকে পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ অর্থ, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে ডাকাত দল। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি দক্ষিণপাড়ায় (ব্যাপারী বাড়িতে) অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মো. ফজলুল হকের...
২৩ মিনিট আগে
ময়মনসিংহে অসময়ে বৃষ্টিতে আমন ধান, রবি ফসল ও শাকসবজির খেত তলিয়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। গত শুক্রবার থেকে টানা বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা। বৃষ্টির কারণে জমিতে কাজ বন্ধ হয়ে গেছে।
২৬ মিনিট আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক সাজু সরকারকে খাতা ছুড়ে মারার অভিযোগ উঠেছে একই বিভাগের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। আজ সোমবার ওই শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেন।
৩০ মিনিট আগেপাবনা প্রতিনিধি

বাজারে দুধ বিক্রি করে সন্ধ্যার পর বাসায় ফেরেন বাবা নিজাম প্রামাণিক (৬০)। পরে খাওয়া-দাওয়া শেষে এশার নামাজ পড়তে জায়নামাজে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এ সময় সুযোগ বুঝে হাঁসুয়া দিয়ে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেন ছেলে মোস্তফা প্রামাণিক। এমনই এক লোমহর্ষ ঘটনা ঘটেছে পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের পুরোনো ভাদুরডাঙ্গি গ্রামে।
গতকাল রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরে মোস্তফাকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এদিকে তাঁকে আটক করতে গিয়ে আহত হয়েছেন সদর থানার তিন উপপরিদর্শক (এসআই)। নিহত নিজাম প্রামাণিক পুরোনো ভাদুরডাঙ্গি গ্রামের মৃত ইন্তাজ প্রামাণিকের ছেলে। তিনি কৃষিকাজ করতেন। অভিযুক্ত ছেলে মোস্তফা ছিলেন মাদকাসক্ত।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রাতের খাবার শেষে ঘরে এশার নামাজ পড়ার জন্য জায়নামাজে দাঁড়িয়েছিলেন বাবা নিজাম। এ সময় দরজা আটকে হাঁসুয়া দিয়ে বাবাকে কুপিয়ে হত্যার পর ঘর থেকে বের হন ছেলে মোস্তফা। এরপর নিজেই পাশের কক্ষ দরজা বন্ধ করে বসে থাকেন তিনি। বাড়ির লোকজন টের পেয়ে ঘরে গিয়ে নিজামের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর মোস্তফাকে ঘরের ভেতরে তালাবদ্ধ অবস্থায় রেখে পুলিশে খবর দেন স্বজন ও এলাকাবাসী। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। এরপর মোস্তফাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
আটকের সময় অভিযুক্তের ছুরিকাঘাতে সদর থানার এসআই আবু বকর সিদ্দিক, এসআই জিয়াউর রহমান ও এসআই আবু রায়হান আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তাঁদের মধ্যে এসআই জিয়াউর রহমানকে সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
নিহতের আরেক ছেলে মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা খাওয়া-দাওয়া শেষে রুমে শুয়েছিলাম। এ সময় রুম আটকে নামাজরত অবস্থায় বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করে মোস্তফা। এর আগে সে আমাকেও মেহগনি ডাল দিয়ে মারাত্মক আহত করেছিল। আজকেও গামছার মধ্যে হাঁসুয়া নিয়ে আমাকে মারার জন্য মাঠের মধ্যে গিয়ে খোঁজাখুঁজি করেছে। সে মাদকের জন্য প্রায়ই বাবা ও আমাদের কাছে টাকা চাইত। না দিলেই বাড়িতে ভাঙচুর চালাত। তাঁর শাস্তি হওয়া উচিত।’
এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, লাশ উদ্ধারের পর সোমবার পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মিজানুর রহমান বাদী হয়ে অভিযুক্ত মোস্তফাকে একমাত্র আসামি করে মামলা করেছেন। পরে সেই মামলায় আটক মোস্তফাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

বাজারে দুধ বিক্রি করে সন্ধ্যার পর বাসায় ফেরেন বাবা নিজাম প্রামাণিক (৬০)। পরে খাওয়া-দাওয়া শেষে এশার নামাজ পড়তে জায়নামাজে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এ সময় সুযোগ বুঝে হাঁসুয়া দিয়ে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেন ছেলে মোস্তফা প্রামাণিক। এমনই এক লোমহর্ষ ঘটনা ঘটেছে পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের পুরোনো ভাদুরডাঙ্গি গ্রামে।
গতকাল রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরে মোস্তফাকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এদিকে তাঁকে আটক করতে গিয়ে আহত হয়েছেন সদর থানার তিন উপপরিদর্শক (এসআই)। নিহত নিজাম প্রামাণিক পুরোনো ভাদুরডাঙ্গি গ্রামের মৃত ইন্তাজ প্রামাণিকের ছেলে। তিনি কৃষিকাজ করতেন। অভিযুক্ত ছেলে মোস্তফা ছিলেন মাদকাসক্ত।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রাতের খাবার শেষে ঘরে এশার নামাজ পড়ার জন্য জায়নামাজে দাঁড়িয়েছিলেন বাবা নিজাম। এ সময় দরজা আটকে হাঁসুয়া দিয়ে বাবাকে কুপিয়ে হত্যার পর ঘর থেকে বের হন ছেলে মোস্তফা। এরপর নিজেই পাশের কক্ষ দরজা বন্ধ করে বসে থাকেন তিনি। বাড়ির লোকজন টের পেয়ে ঘরে গিয়ে নিজামের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর মোস্তফাকে ঘরের ভেতরে তালাবদ্ধ অবস্থায় রেখে পুলিশে খবর দেন স্বজন ও এলাকাবাসী। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। এরপর মোস্তফাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
আটকের সময় অভিযুক্তের ছুরিকাঘাতে সদর থানার এসআই আবু বকর সিদ্দিক, এসআই জিয়াউর রহমান ও এসআই আবু রায়হান আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তাঁদের মধ্যে এসআই জিয়াউর রহমানকে সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
নিহতের আরেক ছেলে মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা খাওয়া-দাওয়া শেষে রুমে শুয়েছিলাম। এ সময় রুম আটকে নামাজরত অবস্থায় বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করে মোস্তফা। এর আগে সে আমাকেও মেহগনি ডাল দিয়ে মারাত্মক আহত করেছিল। আজকেও গামছার মধ্যে হাঁসুয়া নিয়ে আমাকে মারার জন্য মাঠের মধ্যে গিয়ে খোঁজাখুঁজি করেছে। সে মাদকের জন্য প্রায়ই বাবা ও আমাদের কাছে টাকা চাইত। না দিলেই বাড়িতে ভাঙচুর চালাত। তাঁর শাস্তি হওয়া উচিত।’
এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, লাশ উদ্ধারের পর সোমবার পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মিজানুর রহমান বাদী হয়ে অভিযুক্ত মোস্তফাকে একমাত্র আসামি করে মামলা করেছেন। পরে সেই মামলায় আটক মোস্তফাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চর কলমী ইউনিয়নের দক্ষিণ মানিকা গ্রামের গৃহবধূ তানিয়া গতকাল মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকালে ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে এসেছেন তাঁর ১ মাস ২ দিন বয়সী শিশুপুত্র তানজিলকে নিয়ে।
২৬ মার্চ ২০২৫
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় জানালার গ্রিল কেটে ঢুকে পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ অর্থ, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে ডাকাত দল। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি দক্ষিণপাড়ায় (ব্যাপারী বাড়িতে) অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মো. ফজলুল হকের...
২৩ মিনিট আগে
ময়মনসিংহে অসময়ে বৃষ্টিতে আমন ধান, রবি ফসল ও শাকসবজির খেত তলিয়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। গত শুক্রবার থেকে টানা বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা। বৃষ্টির কারণে জমিতে কাজ বন্ধ হয়ে গেছে।
২৬ মিনিট আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক সাজু সরকারকে খাতা ছুড়ে মারার অভিযোগ উঠেছে একই বিভাগের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। আজ সোমবার ওই শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেন।
৩০ মিনিট আগেগজারিয়া (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় জানালার গ্রিল কেটে ঢুকে পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ অর্থ, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে ডাকাত দল। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি দক্ষিণপাড়ায় (ব্যাপারী বাড়িতে) অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মো. ফজলুল হকের বাড়িতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীরা জানান, জানালার গ্রিল কেটে একে একে ১৫ থেকে ২০ জন ডাকাত বিল্ডিংয়ে ঢোকে করে। ডাকাতদের হাতে রামদা, চায়নিজ কুড়াল, ছেনিসহ দেশীয় অস্ত্র ছিল। তাঁরা প্রতিটি ঘরে ঢুকে পরিবারের নারী, পুরুষ, শিশুদের অস্ত্রে মুখে জিম্মি করে ঘরে রাখা টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান সবকিছু নিয়ে যায়।
বাড়ির মালিক ফজলুল হক বলেন, ‘ডাকাত দল ঘরে ঢুকে আমার নাতির গলায় রামদা ধরে। একে একে সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। আমার স্ত্রী ও তিন ছেলের বউয়ের ৩৫ ভরি স্বর্ণালংকার, ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৯টি বিদেশি মোবাইল ফোন, কসমেটিকসসহ ঘরের মূল্যবান সবকিছু নিয়ে যায়। এসবের বর্তমান বাজারমূল্য ৭৫ থেকে ৮০ লাখ টাকা।’
ফজলুল হকের বড় ছেলের বউ ফরিদা বলেন, বাচ্চাদের গলায় অস্ত্র ধরে রাখায় আলমারিতে রাখা স্বর্ণালংকার, টাকার পাশাপাশি, গায়ে থাকা গলার চেইন, কানের দুল, এমন কি নাকে থাকা ফুলও খুলে নিয়ে যায় ডাকাতের দল।
ডাকাতির ঘটনায় গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। জিয়া নামের এক যুবক বলেন, গ্রামে ছিঁচকে চুরির ঘটনা ঘটলেও এমন ডাকাতি এ প্রথম।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে রাতেই আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও আশপাশে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। আমরা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছি।’

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় জানালার গ্রিল কেটে ঢুকে পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ অর্থ, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে ডাকাত দল। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি দক্ষিণপাড়ায় (ব্যাপারী বাড়িতে) অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মো. ফজলুল হকের বাড়িতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীরা জানান, জানালার গ্রিল কেটে একে একে ১৫ থেকে ২০ জন ডাকাত বিল্ডিংয়ে ঢোকে করে। ডাকাতদের হাতে রামদা, চায়নিজ কুড়াল, ছেনিসহ দেশীয় অস্ত্র ছিল। তাঁরা প্রতিটি ঘরে ঢুকে পরিবারের নারী, পুরুষ, শিশুদের অস্ত্রে মুখে জিম্মি করে ঘরে রাখা টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান সবকিছু নিয়ে যায়।
বাড়ির মালিক ফজলুল হক বলেন, ‘ডাকাত দল ঘরে ঢুকে আমার নাতির গলায় রামদা ধরে। একে একে সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। আমার স্ত্রী ও তিন ছেলের বউয়ের ৩৫ ভরি স্বর্ণালংকার, ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৯টি বিদেশি মোবাইল ফোন, কসমেটিকসসহ ঘরের মূল্যবান সবকিছু নিয়ে যায়। এসবের বর্তমান বাজারমূল্য ৭৫ থেকে ৮০ লাখ টাকা।’
ফজলুল হকের বড় ছেলের বউ ফরিদা বলেন, বাচ্চাদের গলায় অস্ত্র ধরে রাখায় আলমারিতে রাখা স্বর্ণালংকার, টাকার পাশাপাশি, গায়ে থাকা গলার চেইন, কানের দুল, এমন কি নাকে থাকা ফুলও খুলে নিয়ে যায় ডাকাতের দল।
ডাকাতির ঘটনায় গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। জিয়া নামের এক যুবক বলেন, গ্রামে ছিঁচকে চুরির ঘটনা ঘটলেও এমন ডাকাতি এ প্রথম।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে রাতেই আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও আশপাশে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। আমরা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছি।’

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চর কলমী ইউনিয়নের দক্ষিণ মানিকা গ্রামের গৃহবধূ তানিয়া গতকাল মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকালে ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে এসেছেন তাঁর ১ মাস ২ দিন বয়সী শিশুপুত্র তানজিলকে নিয়ে।
২৬ মার্চ ২০২৫
বাজারে দুধ বিক্রি করে সন্ধ্যার পর বাসায় ফেরেন বাবা নিজাম প্রামাণিক (৬০)। পরে খাওয়া-দাওয়া শেষে এশার নামাজ পড়তে জায়নামাজে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এ সময় সুযোগ বুঝে হাঁসুয়া দিয়ে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেন ছেলে মোস্তফা প্রামাণিক। এমনই এক লোমহর্ষ ঘটনা ঘটেছে পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের পুরোনো...
৭ মিনিট আগে
ময়মনসিংহে অসময়ে বৃষ্টিতে আমন ধান, রবি ফসল ও শাকসবজির খেত তলিয়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। গত শুক্রবার থেকে টানা বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা। বৃষ্টির কারণে জমিতে কাজ বন্ধ হয়ে গেছে।
২৬ মিনিট আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক সাজু সরকারকে খাতা ছুড়ে মারার অভিযোগ উঠেছে একই বিভাগের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। আজ সোমবার ওই শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেন।
৩০ মিনিট আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহে অসময়ে বৃষ্টিতে আমন ধান, রবি ফসল ও শাকসবজির খেত নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। গত শুক্রবার থেকে টানা বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
বৃষ্টির কারণে অনেক কৃষকের জমির কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকে ধান কাটতে পারছেন না। বৃষ্টিতে সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
ময়মনসিংহের বয়রা গ্রামের কৃষক শাম্মত আলী বলেন, ‘নভেম্বরের এ সময়ে এত বৃষ্টিপাত দেখিনি কখনো। বাড়ির সামনের ১৫ শতক জমিতে সবজির আবাদ করেছি। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ফসল ক্ষতির মুখে পড়েছে। গাছগুলো মরে যাচ্ছে।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহের উপপরিচালক মো. এনামুল হক বলেন, জেলার ১৩টি উপজেলায় চলতি আমন মৌসুমে ২ লাখ ৬৮ হাজার ১১০ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ করা হয়েছে। এ বছর ৪১ হাজার ৬৫০ হেক্টরে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে; কিন্তু বৃষ্টির কারণে সরিষা আবাদ করা যাচ্ছে না। ২১ হাজার ৬০০ হেক্টরে শাকসবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হেলেও ইতিমধ্যে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি আবাদ হয়েছে। বৃষ্টিতে ধান ও সবজির কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছেম তা নিরূপণ করে সহযোগিতা করা হবে।

ময়মনসিংহে অসময়ে বৃষ্টিতে আমন ধান, রবি ফসল ও শাকসবজির খেত নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। গত শুক্রবার থেকে টানা বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
বৃষ্টির কারণে অনেক কৃষকের জমির কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকে ধান কাটতে পারছেন না। বৃষ্টিতে সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
ময়মনসিংহের বয়রা গ্রামের কৃষক শাম্মত আলী বলেন, ‘নভেম্বরের এ সময়ে এত বৃষ্টিপাত দেখিনি কখনো। বাড়ির সামনের ১৫ শতক জমিতে সবজির আবাদ করেছি। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ফসল ক্ষতির মুখে পড়েছে। গাছগুলো মরে যাচ্ছে।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহের উপপরিচালক মো. এনামুল হক বলেন, জেলার ১৩টি উপজেলায় চলতি আমন মৌসুমে ২ লাখ ৬৮ হাজার ১১০ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ করা হয়েছে। এ বছর ৪১ হাজার ৬৫০ হেক্টরে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে; কিন্তু বৃষ্টির কারণে সরিষা আবাদ করা যাচ্ছে না। ২১ হাজার ৬০০ হেক্টরে শাকসবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হেলেও ইতিমধ্যে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি আবাদ হয়েছে। বৃষ্টিতে ধান ও সবজির কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছেম তা নিরূপণ করে সহযোগিতা করা হবে।

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চর কলমী ইউনিয়নের দক্ষিণ মানিকা গ্রামের গৃহবধূ তানিয়া গতকাল মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকালে ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে এসেছেন তাঁর ১ মাস ২ দিন বয়সী শিশুপুত্র তানজিলকে নিয়ে।
২৬ মার্চ ২০২৫
বাজারে দুধ বিক্রি করে সন্ধ্যার পর বাসায় ফেরেন বাবা নিজাম প্রামাণিক (৬০)। পরে খাওয়া-দাওয়া শেষে এশার নামাজ পড়তে জায়নামাজে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এ সময় সুযোগ বুঝে হাঁসুয়া দিয়ে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেন ছেলে মোস্তফা প্রামাণিক। এমনই এক লোমহর্ষ ঘটনা ঘটেছে পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের পুরোনো...
৭ মিনিট আগে
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় জানালার গ্রিল কেটে ঢুকে পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ অর্থ, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে ডাকাত দল। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি দক্ষিণপাড়ায় (ব্যাপারী বাড়িতে) অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মো. ফজলুল হকের...
২৩ মিনিট আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক সাজু সরকারকে খাতা ছুড়ে মারার অভিযোগ উঠেছে একই বিভাগের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। আজ সোমবার ওই শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেন।
৩০ মিনিট আগেরাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক সাজু সরকারকে খাতা ছুড়ে মারার অভিযোগ উঠেছে একই বিভাগের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। আজ সোমবার ওই শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেন। তবে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী দাবি করেছেন, ঘটনার সময় তাঁর মানসিক সমস্যা ছিল।
অভিযোগপত্রে অধ্যাপক সাজু সরকার উল্লেখ করেন, গত ১৫ মে বিভাগের ৫১৮ নম্বর কক্ষে ২০২১–২২ ও ২০২২–২৩ সেশনের (বিবিএ তৃতীয় ও দ্বিতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টার ২০২৪) শিক্ষার্থীদের পাঠদান শুরুর আগে রোল কল নেওয়ার সময় ঘটনাটি ঘটে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, রোল কলের একপর্যায়ে ২২১২৫৩৮১৩১ নম্বর রোলধারী শিক্ষার্থী তাসনিম জাহান মীমকে ডাকলে তিনি প্রথমে চুপ করে বসে থাকেন। পুনরায় ডাকলে তিনি হঠাৎ করে ব্যাগ ছুড়ে মারেন।
অধ্যাপক সাজু সরকার অভিযোগপত্রে বলেন, ‘ঘটনাস্থলে উপস্থিত মীমের বন্ধু আবিদ বিন আনাম বিষয়টিকে ‘‘জিনের আসরের সমস্যা’’ বলে দাবি করেন এবং ইউটিউব থেকে উচ্চশব্দে কিছু বাজাতে শুরু করেন। তবে ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমাকে অপমানিত করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হয়েছে।’
অভিযুক্ত শিক্ষার্থী তাসনিম জাহান মীম বলেন, ‘ঘটনার সময় আমার মানসিক সমস্যা ছিল। এটি দুই-তিন মাস আগের ঘটনা। মানসিক সমস্যার কারণে এমন আচরণ করেছিলাম, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল না। এখন এত দিন পর তিনি অভিযোগ করায় মনে হচ্ছে, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার মানহানি করতে চাইছেন।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা একটি অভিযোগপত্র পেয়েছি, যেখানে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থী তার বিভাগের শিক্ষকের সঙ্গে অসদাচরণ করেছে। তবে এক পক্ষের কথা শুনে সিদ্ধান্তে আসা যাবে না। আমরা শিক্ষার্থীর সঙ্গেও কথা বলব, এরপর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক সাজু সরকারকে খাতা ছুড়ে মারার অভিযোগ উঠেছে একই বিভাগের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। আজ সোমবার ওই শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেন। তবে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী দাবি করেছেন, ঘটনার সময় তাঁর মানসিক সমস্যা ছিল।
অভিযোগপত্রে অধ্যাপক সাজু সরকার উল্লেখ করেন, গত ১৫ মে বিভাগের ৫১৮ নম্বর কক্ষে ২০২১–২২ ও ২০২২–২৩ সেশনের (বিবিএ তৃতীয় ও দ্বিতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টার ২০২৪) শিক্ষার্থীদের পাঠদান শুরুর আগে রোল কল নেওয়ার সময় ঘটনাটি ঘটে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, রোল কলের একপর্যায়ে ২২১২৫৩৮১৩১ নম্বর রোলধারী শিক্ষার্থী তাসনিম জাহান মীমকে ডাকলে তিনি প্রথমে চুপ করে বসে থাকেন। পুনরায় ডাকলে তিনি হঠাৎ করে ব্যাগ ছুড়ে মারেন।
অধ্যাপক সাজু সরকার অভিযোগপত্রে বলেন, ‘ঘটনাস্থলে উপস্থিত মীমের বন্ধু আবিদ বিন আনাম বিষয়টিকে ‘‘জিনের আসরের সমস্যা’’ বলে দাবি করেন এবং ইউটিউব থেকে উচ্চশব্দে কিছু বাজাতে শুরু করেন। তবে ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমাকে অপমানিত করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হয়েছে।’
অভিযুক্ত শিক্ষার্থী তাসনিম জাহান মীম বলেন, ‘ঘটনার সময় আমার মানসিক সমস্যা ছিল। এটি দুই-তিন মাস আগের ঘটনা। মানসিক সমস্যার কারণে এমন আচরণ করেছিলাম, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল না। এখন এত দিন পর তিনি অভিযোগ করায় মনে হচ্ছে, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার মানহানি করতে চাইছেন।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা একটি অভিযোগপত্র পেয়েছি, যেখানে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থী তার বিভাগের শিক্ষকের সঙ্গে অসদাচরণ করেছে। তবে এক পক্ষের কথা শুনে সিদ্ধান্তে আসা যাবে না। আমরা শিক্ষার্থীর সঙ্গেও কথা বলব, এরপর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চর কলমী ইউনিয়নের দক্ষিণ মানিকা গ্রামের গৃহবধূ তানিয়া গতকাল মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকালে ভোলা ডায়াবেটিক হাসপাতালে এসেছেন তাঁর ১ মাস ২ দিন বয়সী শিশুপুত্র তানজিলকে নিয়ে।
২৬ মার্চ ২০২৫
বাজারে দুধ বিক্রি করে সন্ধ্যার পর বাসায় ফেরেন বাবা নিজাম প্রামাণিক (৬০)। পরে খাওয়া-দাওয়া শেষে এশার নামাজ পড়তে জায়নামাজে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এ সময় সুযোগ বুঝে হাঁসুয়া দিয়ে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেন ছেলে মোস্তফা প্রামাণিক। এমনই এক লোমহর্ষ ঘটনা ঘটেছে পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের পুরোনো...
৭ মিনিট আগে
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় জানালার গ্রিল কেটে ঢুকে পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ অর্থ, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে ডাকাত দল। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি দক্ষিণপাড়ায় (ব্যাপারী বাড়িতে) অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মো. ফজলুল হকের...
২৩ মিনিট আগে
ময়মনসিংহে অসময়ে বৃষ্টিতে আমন ধান, রবি ফসল ও শাকসবজির খেত তলিয়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। গত শুক্রবার থেকে টানা বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা। বৃষ্টির কারণে জমিতে কাজ বন্ধ হয়ে গেছে।
২৬ মিনিট আগে