পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে মানসিক ভারসাম্যহীন তোফাজ্জল (৩২) নিহতের ঘটনায় বরগুনার পাথরঘাটায় তাঁর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। তাঁর এমন মৃত্যুর খবরে পুরো উপজেলায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
তোফাজ্জল পাথরঘাটা উপজেলার কাঠালতলী ইউনিয়নের তালুকের চরদুয়ানী গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে এবং ওই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি বরিশাল বিএম কলেজ থেকে বাংলায় অনার্স–মাস্টার্স শেষ করে বঙ্গবন্ধু ল কলেজে ভর্তি হন। পরিবারের সদস্যদের মৃত্যুতে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন তিনি।
গতকাল বুধবার রাতে চোর সন্দেহে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের গেস্টরুমে তোফাজ্জলকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন একদল শিক্ষার্থী। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
চাচা ফজলুর রহমান বলেন, ‘তোফাজ্জলের বাবা আব্দুর রহমান প্রায় ১০ বছর আগে মারা যায়, এর তিন বছর পরে মারা যায় তার মা। এর পর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে সে। বড় ভাই নাসিরের আশ্রয়ে থাকতে শুরু করে। ভাইও দুই বছরে আগে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
‘এরপরেই অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়ে সে। বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করে সে। ভাই মারা যাওয়ার কিছুদিন পরে একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাকে মারধর করে বাজারের লোকজন। এরপরেই সে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তোফাজ্জেল মানসিক ভারসাম্যহীন হলেও কাউকে মারধর বা কিছুই করত না। সে শুধু পরিচিত লোকজনের সঙ্গে দেখা হলেই ২০ টাকা, ৫০ টাকা বা ১০০ টাকা চেয়ে নিত। কোনো কিছুতেই এর বেশি তার চাহিদা ছিল না। পাথরঘাটার এক লোক তাকে আশ্রয় দিয়ে চিকিৎসাও করেছিলেন। সেখানে থেকে কিছুটা সুস্থ হয়েছিল সে। এরপরে শুনেছি ঢাকায় চলে গেছে।
‘ঢাকায় তাকে চুরির অপবাদ দেওয়া হয়েছে এটা মানার মতো না, আমি কখনোই তাকে চুরি করতে দেখি নাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে চুরি অপবাদ দেওয়া হয়েছে—এটার কোনো সত্যতা পাইনি।’ প্রশাসনের মাধ্যমে বিষয়টি তদন্ত করে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
নিহতের চাচাতো ভাই ফারুক হোসেন বলেন, ‘আমরা আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে শুনেছি তোফাজ্জলকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এখন ঢাকা মেডিকেলে ময়নাতদন্তের জন্য নেওয়া হয়েছে। সঙ্গে আছেন চাচাতো ভাই শাহাদাত হোসেন। থানার আনুষ্ঠানিকতা শেষে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হবেন। মরদেহ আনার পর জানাজা শেষে বাবা–মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে।’
তোফাজ্জলের বড় ভাইয়ের স্ত্রী শরীফা আক্তার বলেন, ‘ভোরে অপরিচিত একটি ফোন নম্বর থেকে কল আসে। ফোনটা ধরার পরেই অপর প্রান্ত থেকে এক লোক তোফাজ্জল কী হয় সে কথা জানতে চায়। সে দেবর—এ কথা বলার পরেই তিনি বলেন, সে চুরি করে ধরা পড়েছে, তাকে বাঁচাতে হলে দুই লাখ টাকা দিতে হবে। এরপর তারা ফোনে ধমক দিতে থাকেন এবং বলেন, কোন মিথ্যা কথা বলবেন না, তাহলে সমস্যা হবে।
‘তাদের সঙ্গে কথা বলার কয়েক ঘণ্টা পরে বিভিন্ন লোকজনে ফোন দিয়ে জানান, তোফাজ্জল মারা গেছেন। আমার স্বামীর বংশ পরিচয় দেওয়ার মতো আর কিছুই রইল না। আমার দুই ছেলে, তারা বাবা হারা, তাদের একজন চাচা ছিল তা–ও শেষ করে দিল। আমরা আল্লার কাছে বিচার দিলাম, যারা এ কাজ যারা করেছে তাদের যেন বিচার করেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল মামুন বলেন, ‘আমাকে ঢাকা থেকে ফোন দিয়ে জানিয়েছে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চোর সন্দেহে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। এর পরে আমি নাম–ঠিকানা যাচাই করে জানতে পেরেছি, তার বাড়ি কাঠালতলী এলাকার তালুক চরদুয়ানী গ্রামে তার বাড়ি। সে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। তার পরিবারকে সংবাদ দিয়েছি। তারা ঢাকাতে যোগাযোগ করেছেন। সেখান থেকে তারা লাশ নিয়ে আসবেন। লাশের আইনি প্রক্রিয়া সেখান থেকেই শেষ করে পাঠাবেন তারা।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে মানসিক ভারসাম্যহীন তোফাজ্জল (৩২) নিহতের ঘটনায় বরগুনার পাথরঘাটায় তাঁর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। তাঁর এমন মৃত্যুর খবরে পুরো উপজেলায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
তোফাজ্জল পাথরঘাটা উপজেলার কাঠালতলী ইউনিয়নের তালুকের চরদুয়ানী গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে এবং ওই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি বরিশাল বিএম কলেজ থেকে বাংলায় অনার্স–মাস্টার্স শেষ করে বঙ্গবন্ধু ল কলেজে ভর্তি হন। পরিবারের সদস্যদের মৃত্যুতে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন তিনি।
গতকাল বুধবার রাতে চোর সন্দেহে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের গেস্টরুমে তোফাজ্জলকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন একদল শিক্ষার্থী। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
চাচা ফজলুর রহমান বলেন, ‘তোফাজ্জলের বাবা আব্দুর রহমান প্রায় ১০ বছর আগে মারা যায়, এর তিন বছর পরে মারা যায় তার মা। এর পর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে সে। বড় ভাই নাসিরের আশ্রয়ে থাকতে শুরু করে। ভাইও দুই বছরে আগে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
‘এরপরেই অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়ে সে। বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করে সে। ভাই মারা যাওয়ার কিছুদিন পরে একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাকে মারধর করে বাজারের লোকজন। এরপরেই সে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তোফাজ্জেল মানসিক ভারসাম্যহীন হলেও কাউকে মারধর বা কিছুই করত না। সে শুধু পরিচিত লোকজনের সঙ্গে দেখা হলেই ২০ টাকা, ৫০ টাকা বা ১০০ টাকা চেয়ে নিত। কোনো কিছুতেই এর বেশি তার চাহিদা ছিল না। পাথরঘাটার এক লোক তাকে আশ্রয় দিয়ে চিকিৎসাও করেছিলেন। সেখানে থেকে কিছুটা সুস্থ হয়েছিল সে। এরপরে শুনেছি ঢাকায় চলে গেছে।
‘ঢাকায় তাকে চুরির অপবাদ দেওয়া হয়েছে এটা মানার মতো না, আমি কখনোই তাকে চুরি করতে দেখি নাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে চুরি অপবাদ দেওয়া হয়েছে—এটার কোনো সত্যতা পাইনি।’ প্রশাসনের মাধ্যমে বিষয়টি তদন্ত করে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
নিহতের চাচাতো ভাই ফারুক হোসেন বলেন, ‘আমরা আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে শুনেছি তোফাজ্জলকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এখন ঢাকা মেডিকেলে ময়নাতদন্তের জন্য নেওয়া হয়েছে। সঙ্গে আছেন চাচাতো ভাই শাহাদাত হোসেন। থানার আনুষ্ঠানিকতা শেষে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হবেন। মরদেহ আনার পর জানাজা শেষে বাবা–মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে।’
তোফাজ্জলের বড় ভাইয়ের স্ত্রী শরীফা আক্তার বলেন, ‘ভোরে অপরিচিত একটি ফোন নম্বর থেকে কল আসে। ফোনটা ধরার পরেই অপর প্রান্ত থেকে এক লোক তোফাজ্জল কী হয় সে কথা জানতে চায়। সে দেবর—এ কথা বলার পরেই তিনি বলেন, সে চুরি করে ধরা পড়েছে, তাকে বাঁচাতে হলে দুই লাখ টাকা দিতে হবে। এরপর তারা ফোনে ধমক দিতে থাকেন এবং বলেন, কোন মিথ্যা কথা বলবেন না, তাহলে সমস্যা হবে।
‘তাদের সঙ্গে কথা বলার কয়েক ঘণ্টা পরে বিভিন্ন লোকজনে ফোন দিয়ে জানান, তোফাজ্জল মারা গেছেন। আমার স্বামীর বংশ পরিচয় দেওয়ার মতো আর কিছুই রইল না। আমার দুই ছেলে, তারা বাবা হারা, তাদের একজন চাচা ছিল তা–ও শেষ করে দিল। আমরা আল্লার কাছে বিচার দিলাম, যারা এ কাজ যারা করেছে তাদের যেন বিচার করেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল মামুন বলেন, ‘আমাকে ঢাকা থেকে ফোন দিয়ে জানিয়েছে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চোর সন্দেহে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। এর পরে আমি নাম–ঠিকানা যাচাই করে জানতে পেরেছি, তার বাড়ি কাঠালতলী এলাকার তালুক চরদুয়ানী গ্রামে তার বাড়ি। সে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। তার পরিবারকে সংবাদ দিয়েছি। তারা ঢাকাতে যোগাযোগ করেছেন। সেখান থেকে তারা লাশ নিয়ে আসবেন। লাশের আইনি প্রক্রিয়া সেখান থেকেই শেষ করে পাঠাবেন তারা।’
গাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে শ্রমিক বিক্ষোভ করছেন। আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে টঙ্গীর খাঁ-পাড়া এলাকার সিজন্স ড্রেসেস লিমিটেড নামক কারখানার শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে এ বিক্ষোভ করেন।
৭ মিনিট আগেকুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীতে টর্নেডো সৃষ্টি হয়ে পানি আকাশে উঠে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলের দিকে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের কোলদিয়াড় এলাকায় পদ্মা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। ইতিমধ্যে এ দৃশ্যের বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া...
৪৪ মিনিট আগে২০০৭ সালে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও তাঁর স্ত্রীকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১০ সালে হাইকোর্ট তাঁদের খালাস দেন। পরবর্তীতে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল কর
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুর মহানগরীর পূবাইলে ধর্ষণের অভিযোগে মসজিদের এক ইমামকে গত ২০ এপ্রিল সকালে গণপিটুনি দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ইমামকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ধর্ষণের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হলে পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। কারাগারে অসুস্থ হয়ে ওই ইমামের মৃত্যু হয়। ইমামের এই মৃত্যুকে পরিকল্পিত...
১ ঘণ্টা আগে