নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বরিশাল জাতীয় পার্টিতে (জাপা) ভাঙনের সুর দেখা দিয়েছে। বিভাগের ছয়টি জেলা থেকে পদহীন ও সাবেক কমিটির নেতা-কর্মীদের একাংশ গত শনিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত রওশনপন্থীদের সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন।
তাঁরা দাবি করেছেন, শিগগির বরিশাল মহানগরসহ জেলায় জেলায় জাপার নতুন নেতৃত্ব আত্মপ্রকাশ হতে পারে। এর নেপথ্যে জাপার এই অঞ্চলের এক শীর্ষ নেতা কলকাঠি নাড়ছেন বলে গুঞ্জন উঠেছে।
তবে জি এম কাদের অনুসারী জাপা নেতারা জানিয়েছেন, দলছুট কোনো নেতা রওশনের ডাকে সাড়া দিলে তার প্রভাব বরিশাল বিভাগে পড়বে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত শনিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত রওশন এরশাদপন্থীদের সম্মেলনে বিভাগীয় শহর বরিশাল জেলা থেকে কিছু নেতা-কর্মী অংশ নেন। যদিও তাঁরা বর্তমান কমিটিতে উল্লেখযোগ্য কোনো পদে নেই। মহানগর জাপা থেকে সাবেক এক সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের নেতৃত্বে কিছু কর্মী সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। ওই দুই নেতা সম্মেলনে অংশ নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন।
রওশনপন্থী বরিশাল জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য এবং যুব সংহতির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক গাজী মো. শোয়াইব কবির বলেন, ‘আমি সম্মেলনে জেলার পক্ষে অংশ নিয়েছিলাম। আমার সঙ্গে ঢাকায় বসবাসরত ৫০ জন নেতা-কর্মী ছিলেন। আমরা আশাবাদী, বরিশালের অনেকে নতুন নেতৃত্বে যোগ দেবেন। তাতে বরিশাল বিভাগে দু-এক সপ্তাহের মধ্যে জাপার পুনর্জাগরণ ঘটতে পারে।’
জানতে চাইলে জাপার বরিশাল মহানগর সদস্যসচিব ইকবাল হোসেন তাপস বলেন, দলটি বারবার ভাঙছে। যদিও মূলধারার বাইরে গিয়ে কেউ ভালো করতে পারেননি। তবে এটা সত্য, এ কর্মকাণ্ডে দলের কিছুটা ক্ষতি হবেই। এর মাধ্যমে মানুষ জাপার প্রতি আশাহত হয়ে পড়েছেন।
এদিকে পিরোজপুর জেলায় জাপার বিগত কমিটির অধিকাংশই রওশনপন্থী জাপায় ভিড়েছেন। তাঁরা আহ্বায়ক কমিটিও গঠন করেছেন। যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রাজন বলেন, ২০১৮ সালে সর্বশেষ গঠিত কমিটির সভাপতি মো. সেকান্দার আলী মুকুল ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সেলিমসহ সবাই রওশনপন্থীতে যোগ দিয়েছেন।
ভোলায় রওশনপন্থী জাপা নেতা মো. কেফায়েত উল্লাহ নজীব বলেন, ‘দলে অবমূল্যায়ন হওয়ায় জেলা জাপার সবাই আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।’
বরগুনার রওশনপন্থী কমিটির সদস্যসচিব মাইনুল হাসান রাসেল বলেন, ‘বরগুনা জাপার মূলধারার সবাই, এমনকি জেলা শহরের দলীয় কার্যালয়ও আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।’
জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব (রওশনপন্থী) ফখরুল আহসান শাহাজাদা শনিবার অনুষ্ঠিত সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য ছিলেন।
বরিশালের মুলাদীর বাসিন্দা শাহাজাদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, রওশন এরশাদের নেতৃত্বে জাপার যে নতুন নেতৃত্ব গড়ে উঠেছে, আগামী ৩ মাসের মধ্যে এর বড় প্রভাব পড়বে। বরিশাল বিভাগের সব জেলা থেকে ওই সম্মেলনে নেতা-কর্মীদের একাংশ অংশ নিয়েছেন। বরিশালে অনেক চমক আসছে।
জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের উপদেষ্টা ও নগর জাপার আহ্বায়ক মহসিন-উল-ইসলাম হাবুল বলেন, সরকার জাপাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে রওশনপন্থীদের দাঁড় করিয়েছে। ওই কমিটির কোনো ভিত্তি নেই। বরিশাল থেকে এ সম্মেলনে জাপার তেমন কেউ যাননি। এর কোনো প্রভাব বরিশাল বিভাগে পড়বে না।
বরিশাল জাতীয় পার্টিতে (জাপা) ভাঙনের সুর দেখা দিয়েছে। বিভাগের ছয়টি জেলা থেকে পদহীন ও সাবেক কমিটির নেতা-কর্মীদের একাংশ গত শনিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত রওশনপন্থীদের সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন।
তাঁরা দাবি করেছেন, শিগগির বরিশাল মহানগরসহ জেলায় জেলায় জাপার নতুন নেতৃত্ব আত্মপ্রকাশ হতে পারে। এর নেপথ্যে জাপার এই অঞ্চলের এক শীর্ষ নেতা কলকাঠি নাড়ছেন বলে গুঞ্জন উঠেছে।
তবে জি এম কাদের অনুসারী জাপা নেতারা জানিয়েছেন, দলছুট কোনো নেতা রওশনের ডাকে সাড়া দিলে তার প্রভাব বরিশাল বিভাগে পড়বে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত শনিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত রওশন এরশাদপন্থীদের সম্মেলনে বিভাগীয় শহর বরিশাল জেলা থেকে কিছু নেতা-কর্মী অংশ নেন। যদিও তাঁরা বর্তমান কমিটিতে উল্লেখযোগ্য কোনো পদে নেই। মহানগর জাপা থেকে সাবেক এক সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের নেতৃত্বে কিছু কর্মী সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। ওই দুই নেতা সম্মেলনে অংশ নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন।
রওশনপন্থী বরিশাল জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য এবং যুব সংহতির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক গাজী মো. শোয়াইব কবির বলেন, ‘আমি সম্মেলনে জেলার পক্ষে অংশ নিয়েছিলাম। আমার সঙ্গে ঢাকায় বসবাসরত ৫০ জন নেতা-কর্মী ছিলেন। আমরা আশাবাদী, বরিশালের অনেকে নতুন নেতৃত্বে যোগ দেবেন। তাতে বরিশাল বিভাগে দু-এক সপ্তাহের মধ্যে জাপার পুনর্জাগরণ ঘটতে পারে।’
জানতে চাইলে জাপার বরিশাল মহানগর সদস্যসচিব ইকবাল হোসেন তাপস বলেন, দলটি বারবার ভাঙছে। যদিও মূলধারার বাইরে গিয়ে কেউ ভালো করতে পারেননি। তবে এটা সত্য, এ কর্মকাণ্ডে দলের কিছুটা ক্ষতি হবেই। এর মাধ্যমে মানুষ জাপার প্রতি আশাহত হয়ে পড়েছেন।
এদিকে পিরোজপুর জেলায় জাপার বিগত কমিটির অধিকাংশই রওশনপন্থী জাপায় ভিড়েছেন। তাঁরা আহ্বায়ক কমিটিও গঠন করেছেন। যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রাজন বলেন, ২০১৮ সালে সর্বশেষ গঠিত কমিটির সভাপতি মো. সেকান্দার আলী মুকুল ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সেলিমসহ সবাই রওশনপন্থীতে যোগ দিয়েছেন।
ভোলায় রওশনপন্থী জাপা নেতা মো. কেফায়েত উল্লাহ নজীব বলেন, ‘দলে অবমূল্যায়ন হওয়ায় জেলা জাপার সবাই আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।’
বরগুনার রওশনপন্থী কমিটির সদস্যসচিব মাইনুল হাসান রাসেল বলেন, ‘বরগুনা জাপার মূলধারার সবাই, এমনকি জেলা শহরের দলীয় কার্যালয়ও আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।’
জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব (রওশনপন্থী) ফখরুল আহসান শাহাজাদা শনিবার অনুষ্ঠিত সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য ছিলেন।
বরিশালের মুলাদীর বাসিন্দা শাহাজাদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, রওশন এরশাদের নেতৃত্বে জাপার যে নতুন নেতৃত্ব গড়ে উঠেছে, আগামী ৩ মাসের মধ্যে এর বড় প্রভাব পড়বে। বরিশাল বিভাগের সব জেলা থেকে ওই সম্মেলনে নেতা-কর্মীদের একাংশ অংশ নিয়েছেন। বরিশালে অনেক চমক আসছে।
জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের উপদেষ্টা ও নগর জাপার আহ্বায়ক মহসিন-উল-ইসলাম হাবুল বলেন, সরকার জাপাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে রওশনপন্থীদের দাঁড় করিয়েছে। ওই কমিটির কোনো ভিত্তি নেই। বরিশাল থেকে এ সম্মেলনে জাপার তেমন কেউ যাননি। এর কোনো প্রভাব বরিশাল বিভাগে পড়বে না।
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ডিসি রদবদল হলে সেই উদ্ধার করা জায়গা আরেক দখলদারের
৩ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
৩ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
৩ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
৩ ঘণ্টা আগে