Ajker Patrika

নকশা না মেনে একের পর এক উঠছে ভবন

  • প্রায় এক ডজন ভবন ওপরে বাড়ানো হয়েছে নকশাবহির্ভূতভাবে।
  • শীতলাখোলা এলাকার একটি ভবনের বিষয়ে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
  • এর আগে কয়েকটি ভবনের বর্ধিতাংশ ভেঙে ফেলা হয়।
খান রফিক, বরিশাল 
বরিশাল মহানগরের শীতলাখোলা এলাকার এ ভবনটি ১০ তলা পর্যন্ত নির্মাণ করার অনুমোদন থাকলেও নকশাবহির্ভূতভাবে ১১ তলা করা হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বরিশাল মহানগরের শীতলাখোলা এলাকার এ ভবনটি ১০ তলা পর্যন্ত নির্মাণ করার অনুমোদন থাকলেও নকশাবহির্ভূতভাবে ১১ তলা করা হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ভবনটির নকশায় ১০ তলার অনুমোদন ছিল। কিন্তু গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সুউচ্চ ভবনটি নকশাবহির্ভূতভাবে ১১ তলা করা হয়েছে। বরিশাল মহানগরের শীতলাখোলার ভবনটিই শুধু নয়, অভিযোগ রয়েছে, মহানগরের প্রায় এক ডজন ভবন এভাবে নকশাবহির্ভূতভাবে বর্ধিত করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র বলেছে, বরিশাল নগরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের শীতলাখোলায় ৮৪৪ নম্বর হোল্ডিংয়ের মালিক মীর অলিউজ্জামান ১০ তলা ভবনের ওপর সম্প্রতি আরও একতলা নির্মাণ করেন। এ বিষয়ে এলাকাবাসী গত ২৬ ডিসেম্বর বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। এরপর গত ৩১ ডিসেম্বর সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল বারী ওই ভবনের কাজ বন্ধ রেখে অনুমোদিত নকশা দাখিল করতে নোটিশ দেন।

তবে ভবনমালিক অলিউজ্জামানের দাবি, ভবনটির প্ল্যান ১০ তলা। তিনি পরবর্তী সময়ে সিটি করপোরেশনের অনুমোদন নিয়ে ছাদের অর্ধেক অংশে আরেক তলা করেছেন। শিগগির বিসিসির নোটিশের জবাব দেবেন তিনি।

সিটি করপোরেশনের ঠিকাদার মো. আলতাফ নগরের ব্যস্ততম ও বাণিজ্যিক এলাকা লাইন রোডে ৯ তলার অনুমোদন নিয়ে ১০ তলা নির্মাণ করেন। তৎকালীন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর নির্দেশে বর্ধিতাংশ ভেঙে ফেলা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেই ভবন সম্প্রতি আবারও ১০ তলা করা হয়েছে।

আইনজীবী সাজু সদর গার্লস স্কুলের পেছনে নকশাবহির্ভূত বহুতল ভবন নির্মাণ করায় তৎকালীন সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর সময়ে ৪৫ লাখ টাকা জরিমানা দেন। গোরস্তানসংলগ্ন অপর একটি বহুতল ভবন করতে গিয়েও অনিয়ম করায় তাঁকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে করপোরেশনের উচ্ছেদ শাখা সূত্রে জানা গেছে।

সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু জিলা স্কুলের সামনে ৯ তলা ভবন নির্মাণের অনুমোদন পান। কিন্তু ভবনটি ১১ তলা করা হয়। ভবনটি সার্কিট হাউসের কাছে হওয়ায় আপত্তি ওঠে। মন্ত্রণালয়ের আপত্তি সত্ত্বেও সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বিধিবহির্ভূতভাবে ভবনটিকে অনুমোদন দেন।

সিটি করপোরেশনের উচ্ছেদ শাখার প্রধান স্বপন কুমার দাস বলেন, ‘আমরা শীতলাখোলার বাড়িটি গত শুক্রবার তদন্ত করেছি। ভবনটির প্ল্যান ১০ তলা। কিন্তু বানানো হয়েছে ১১ তলা। তাদের কাছে প্ল্যান চাওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, হাজি আলতাফের লাইন রোডের ভবনও এর আগে ভাঙা হয়েছে। অ্যাডভোকেট সাজুর গোরস্তান এলাকার ভবনটি প্ল্যানবহির্ভূত করায় নোটিশ করা হয়েছে।

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) বরিশালের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম বলেন, বিল্ডিং কোড অনুসরণ করে ভবন করা দরকার। এটি দেখার দায়িত্ব নগর পরিকল্পনাবিদদের। যেসব ভবন নকশার বাইরে উঠেছে, সেগুলোর দায় প্রধান নির্বাহী এড়াতে পারেন না। এ কারণেই বরিশাল নগরের মাস্টারপ্ল্যান হয়নি। সিটি করপোরেশনের উচিত ঝুঁকিপূর্ণ সুউচ্চ ভবন শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া।

এ বিষয়ে জানতে বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল বারীকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে বিসিসির সচিব রুম্পা সিকদার বলেন, প্ল্যান লঙ্ঘন করে ভবন করা হলে করপোরেশনের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিসিসি নোটিশ দিলে তো এর একটা ব্যবস্থা হবেই। নগরে নকশাবহির্ভূত ভবন করা হচ্ছে কিংবা হয়েছে কি না, তার খোঁজ নেবেন বলে জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বগুড়ায় পুলিশ কনস্টেবল থেকে খোয়া গেছে ১০ রাউন্ড গুলি

বগুড়া প্রতিনিধি
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বগুড়া সদর থানায় পাহারার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকে শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া গেছে।

গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ভোররাত ৪টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোয়া যাওয়া গুলি পাওয়া যায়নি।

বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আতোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বগুড়া সদর থানা-পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গতকাল দিবাগত রাত ১২টা থেকে ভোররাত ৪টা পর্যন্ত থানা পাহারার (সেন্ট্রি) দায়িত্বে ছিলেন কনস্টেবল অসিত কুমার। রাত আড়াইটার দিকে তিনি থানা থেকে বের হয়ে সাতমাথায় চা পান করতে যান। এ সময় তাঁর কাছে থাকা শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া যায়।

ভোররাত ৪টায় কনস্টেবল নুরুজ্জামান দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার সময় অসিত কুমার ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া যাওয়ার ঘটনাটি প্রকাশ করেন। আজ সকাল থেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও খোয়া যাওয়া গুলির হদিস পাওয়া যায়নি।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার হোসেন বলেন, সদর থানা থেকে খোয়া যাওয়া গুলি এখনো পাওয়া যায়নি। সদর থানা থেকে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জামায়াত প্রার্থীর সভায় পুলিশ কর্মকর্তার গান, ভিডিও ভাইরাল

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরায় জামায়াত প্রার্থীর সভায় পুলিশ কর্মকর্তা। ছবি: সংগৃহীত
সাতক্ষীরায় জামায়াত প্রার্থীর সভায় পুলিশ কর্মকর্তা। ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থীর সভায় এক পুলিশ কর্মকর্তার গান (জামায়াতের গুণগান-সংবলিত) পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

অভিযুক্ত মো. মহিবুল্লাহ পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক এএসআই, সশস্ত্র)। তিনি বাগেরহাট পুলিশ লাইনসে কর্মরত। এর আগে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনসে ছিলেন তিনি।

তিন মিনিট ১১ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, সাতক্ষীরা–২ (সদর-দেবহাটা) আসনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেকের একটি নির্বাচনী পথসভায় পুলিশের পোশাক পরিহিত মো. মহিবুল্লাহ গান পরিবেশন করেন। মাঝে মাঝে নারায়ে তাকবির স্লোগান দিয়ে দর্শকদের উজ্জীবিত করেন।

সূত্রে জানা গেছে, পথসভাটি ৭ ডিসেম্বরের। সাতক্ষীরা শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাটিয়া আমতলা মোড়ে ওই পথসভা হয়। সভায় ১ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের আমির মো. জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলের মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক। সভার মাঝপথে মো. মহিবুল্লাহ এই গান পরিবেশন করেন।

আরও জানা গেছে, পুলিশের ওই এএসআই সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনসে কর্মরত থাকাকালে আগরদাড়ির একটি মাহফিলে ইসলামি গান পরিবেশন করেছিলেন। তাঁর সংগীতে মুগ্ধ হয়ে মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক তাঁকে পুরস্কৃত করেন। বাগেরহাটে বদলি হয়ে গেলেও তিনি খোঁজ নিয়ে ওই পথসভায় আসেন।

জানতে চাইলে এএসআই মো. মহিবুল্লাহ বলেন, ‘আমি কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দিইনি। মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক আমাকে পুরস্কৃত করেছিলেন, সে কারণে আমি ইসলামি একটি সংগীত পরিবেশন করেছি’ বলেই লাইনটি কেটে দেন। পরে তাঁর নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা শহর জামায়াতের সেক্রেটারি খোরশেদ আলম বলেন, ‘পুলিশের পোশাক পরা ওই ব্যক্তি স্টেজে উঠে সংগীত পরিবেশন করতে চান। আমরা নিষেধ করা সত্ত্বেও তিনি সংগীত পরিবেশন করেছেন।’

সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মুকিত হাসান খাঁন জানান, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য বর্তমানে সাতক্ষীরায় কর্মরত নন। অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশের পোশাক পরে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রচারণায় অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই।

বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মহিদুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। এমন কিছু ঘটে থাকলে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টা, কৌশলে পালিয়ে রক্ষা

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষণের চেষ্টাকালে ওই গৃহবধূ কৌশলে পালিয়ে রক্ষা পান। গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ গতকাল রাতে আজাহার মিয়া (৪২) ও রাজিব মিয়া (৩৫) নামের দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে তাঁরা পলাতক রয়েছেন। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে।

মামলার বাদী গৃহবধূ বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে শিশুসন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় আজাহার মিয়া ও রাজিব মিয়া আমার কক্ষের দরজা খুলতে বলেন। ঘরে অন্য পুরুষ রয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে তাঁরা জোর করে শয়নকক্ষে ঢুকে পড়েন। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হলে তাঁরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন। এরপর শিশুকে জিম্মি ও স্বামীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ওই দুই ব্যক্তি ধর্ষণের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে কৌশলে ঘর থেকে বেরিয়ে আসি।’

এলাকার একাধিক বাসিন্দার সঙ্গে কথা হলে তাঁরা বলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা এভাবেই এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেন। সন্ধ্যার পর মদ পান করে এলাকায় অপরাধ কর্মকাণ্ড চালান।

বাড়ির মালিক বলেন, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নানাভাবে অত্যাচার-নির্যাতন করে আসছে। এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। আমার বাসার ভাড়াটের সঙ্গে যা হয়েছে, তা শতভাগ সত্য।’

মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক নারী দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিলেটে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ছিনতাইয়ের জন্য চালককে হত্যা

সিলেট প্রতিনিধি
শিপন আহমদ। ছবি: সংগৃহীত
শিপন আহমদ। ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলায় সড়কের পাশ থেকে শিপন আহমদ (২৫) নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সাদীপুর ইউনিয়নে কেশবখালী নদীর পাড় থেকে তাঁর লাশটি উদ্ধার করা হয়। তবে তাঁর অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি। শিপনের স্বজন ও পুলিশের ধারণা, অটোরিকশা ছিনতাইয়ের জন্য তাঁকে হত্যা করা হয়।

শিপন আহমদ উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের রাইকধারা (গাংপাড়) গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে। তাঁর একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।

পুলিশ জানায়, গতকাল শনিবার রাত ৮টার দিকে ভাড়ায় চালিত রেজিস্ট্রেশনবিহীন (পরীক্ষামূলক) সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বের হলে আর বাড়িতে ফেরেননি শিপন। রাত গভীর হলেও শিপনের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

আজ সকাল ৯টার দিকে ওসমানী নগরের সাদীপুর ইউনিয়নের বেগমপুর-চাতলপাড় রাস্তার পাশে কেশবখালী নদীর পাড়ে শিপনের লাশ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁর লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

ওসমানী নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোরশেদুল আলম ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, চালক শিপনকে হত্যা করে তাঁর অটোরিকশাটি নিয়ে গেছে ছিনতাইকারীরা। এ ঘটনায় পুলিশ অটোরিকশাটি উদ্ধার ও জড়িত ব্যক্তিদের আটকের চেষ্টা করছে। তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত