বরগুনা প্রতিনিধি
কয়েকদিন ধরে লঘুচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। সাগর অতিমাত্রায় উত্তাল থাকায় বরগুনার অধিকাংশ মাছ ধরার ট্রলার উপকূলে ফিরে আসছে। আবার কিছু ট্রলার গভীর সমুদ্র থেকে উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদ স্থানে অবস্থান নিয়েছে।
জেলেরা জানান, গত মঙ্গলবার থেকে সাগর উত্তাল থাকায় কাঙ্ক্ষিত ইলিশ আহরণ বন্ধ রয়েছে। ফলে ভরা মৌসুমে ইলিশ আহরণ করতে না পারায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন জেলেরা।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস থেকে জানা গেছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, মোংলা, কক্সবাজার ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে চলাচল করতে বলা হয়েছে। এই অবস্থা আগামী কয়েক দিন পর্যন্ত অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে আবহাওয়া সূত্র জানায়।
এদিকে ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে উপকূলের জেলেরা অনেক আশা নিয়ে সাগরে ইলিশ শিকারে যান। এর মধ্যে দুই দফায় বৈরী আবহাওয়ায় তাঁদের সে আশায় গুড়ে বালি পড়ে।
পাথরঘাটার চরদুয়ানী এলাকার জেলে হোসেন মাঝি বলেন, ‘এ বছর অনেক টাহা দাদন লইয়া সাগরে গেছিলাম। আমার সব শেষ। দুই বার গাঙে টিকতে না পাইরা ফিরইয়া আইছি। জানি না কপালে কী আছে। এহন যে অবস্থা, বসতভিটা বেইচ্যা দেনা শোধ করতে হবে।’ এই কষ্ট শুধু হোসেন মাঝির নয়, জেলার সমুদ্রগামী সব জেলের একই অবস্থা।
স্থানীয় জেলেরা জানান, হঠাৎ সাগর উত্তাল হয়ে পড়ায় তাঁরা ঝুঁকি না নিয়ে ঘাটে ফিরেছেন। জেলার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র (বিএফডিসি), চরদুয়ানী, বরগুনা সদর ও তালতলী মৎস্যঘাটে কয়েক শ ট্রলার নোঙর করেছে।
অন্যদিকে পুঁজি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মাছ ধরার ট্রলারের মালিকেরা। এফবি আল্লাহর দান ১, ২ ও ৩ ট্রলারে মালিক আবুল হোসেন ফরাজী বলেন, ‘এক মাস ধরেই পর্যায়ক্রমে গভীর বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ চলছে। বাজার-সওদা করে সমুদ্রে মাছ শিকারের জন্য পাঠালেও নিম্নচাপের কারণে ফিরে আসতে হয়েছে খালি হাতে। আমার তিনটি ট্রলারে গত এক মাসে ১৪ লাখ টাকার বাজার-সওদা করে পাঠিয়েছি মাছ শিকারে। এই ১৪ লাখ টাকা খরচ করে মাছ বিক্রি করতে পেরেছি মাত্র ৪ লাখ টাকার। গত এক মাসে আমার ১০ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। এই লোকসানে বেশি প্রভাব পড়েছে আমরা ট্রলারমালিক এবং জেলেদের ওপর। গত বছরের চেয়ে এ বছরে সমুদ্রে আবহাওয়া খুব বেশি খারাপ রয়েছে।’ এভাবে চলতে থাকলে এই পেশাটা ছেড়ে দিতে হবে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে বরগুনা মৎস্যজীবী ট্রলারমালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, সাগরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে উপকূলীয় এলাকার প্রায় ৪০০ ট্রলার জেলেদের নিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করে উপকূলে ফিরে এসেছে। এ বছর জেলেদের একের পর এক সমস্যা লেগেই রয়েছে। কখনো সরকার নির্দেশিত মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা, আবার প্রাকৃতিকভাবে কখনো সাগরে উত্তাল—এ নিয়ে বিপাকের মধ্যে রয়েছেন জেলেরা।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে সমুদ্র বেশ উত্তাল রয়েছে। পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলজুড়ে ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।
কয়েকদিন ধরে লঘুচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। সাগর অতিমাত্রায় উত্তাল থাকায় বরগুনার অধিকাংশ মাছ ধরার ট্রলার উপকূলে ফিরে আসছে। আবার কিছু ট্রলার গভীর সমুদ্র থেকে উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদ স্থানে অবস্থান নিয়েছে।
জেলেরা জানান, গত মঙ্গলবার থেকে সাগর উত্তাল থাকায় কাঙ্ক্ষিত ইলিশ আহরণ বন্ধ রয়েছে। ফলে ভরা মৌসুমে ইলিশ আহরণ করতে না পারায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন জেলেরা।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস থেকে জানা গেছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, মোংলা, কক্সবাজার ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে চলাচল করতে বলা হয়েছে। এই অবস্থা আগামী কয়েক দিন পর্যন্ত অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে আবহাওয়া সূত্র জানায়।
এদিকে ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে উপকূলের জেলেরা অনেক আশা নিয়ে সাগরে ইলিশ শিকারে যান। এর মধ্যে দুই দফায় বৈরী আবহাওয়ায় তাঁদের সে আশায় গুড়ে বালি পড়ে।
পাথরঘাটার চরদুয়ানী এলাকার জেলে হোসেন মাঝি বলেন, ‘এ বছর অনেক টাহা দাদন লইয়া সাগরে গেছিলাম। আমার সব শেষ। দুই বার গাঙে টিকতে না পাইরা ফিরইয়া আইছি। জানি না কপালে কী আছে। এহন যে অবস্থা, বসতভিটা বেইচ্যা দেনা শোধ করতে হবে।’ এই কষ্ট শুধু হোসেন মাঝির নয়, জেলার সমুদ্রগামী সব জেলের একই অবস্থা।
স্থানীয় জেলেরা জানান, হঠাৎ সাগর উত্তাল হয়ে পড়ায় তাঁরা ঝুঁকি না নিয়ে ঘাটে ফিরেছেন। জেলার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র (বিএফডিসি), চরদুয়ানী, বরগুনা সদর ও তালতলী মৎস্যঘাটে কয়েক শ ট্রলার নোঙর করেছে।
অন্যদিকে পুঁজি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মাছ ধরার ট্রলারের মালিকেরা। এফবি আল্লাহর দান ১, ২ ও ৩ ট্রলারে মালিক আবুল হোসেন ফরাজী বলেন, ‘এক মাস ধরেই পর্যায়ক্রমে গভীর বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ চলছে। বাজার-সওদা করে সমুদ্রে মাছ শিকারের জন্য পাঠালেও নিম্নচাপের কারণে ফিরে আসতে হয়েছে খালি হাতে। আমার তিনটি ট্রলারে গত এক মাসে ১৪ লাখ টাকার বাজার-সওদা করে পাঠিয়েছি মাছ শিকারে। এই ১৪ লাখ টাকা খরচ করে মাছ বিক্রি করতে পেরেছি মাত্র ৪ লাখ টাকার। গত এক মাসে আমার ১০ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। এই লোকসানে বেশি প্রভাব পড়েছে আমরা ট্রলারমালিক এবং জেলেদের ওপর। গত বছরের চেয়ে এ বছরে সমুদ্রে আবহাওয়া খুব বেশি খারাপ রয়েছে।’ এভাবে চলতে থাকলে এই পেশাটা ছেড়ে দিতে হবে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে বরগুনা মৎস্যজীবী ট্রলারমালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, সাগরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে উপকূলীয় এলাকার প্রায় ৪০০ ট্রলার জেলেদের নিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করে উপকূলে ফিরে এসেছে। এ বছর জেলেদের একের পর এক সমস্যা লেগেই রয়েছে। কখনো সরকার নির্দেশিত মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা, আবার প্রাকৃতিকভাবে কখনো সাগরে উত্তাল—এ নিয়ে বিপাকের মধ্যে রয়েছেন জেলেরা।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে সমুদ্র বেশ উত্তাল রয়েছে। পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলজুড়ে ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী বলেছেন, ‘আমরা কোনো পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে রাস্তায় দাঁড়াইনি, কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও না। আমরা দাঁড়িয়েছি আমাদের সহকর্মীর প্রতি একজন পুলিশ কর্মকর্তার হুমকির প্রতিবাদে। অবিলম্বে পুলিশ কমিশনারের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে
১ মিনিট আগেচট্টগ্রাম মহানগর আদালতে সেবাপ্রার্থীর কাছ থেকে পুলিশের এক সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তার (জিআরও) প্রকাশ্যে টাকা নেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় তাঁকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তা হলেন আদালতে নগর পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহীন ভূঁইয়া।
১০ মিনিট আগেমৃত্যুর আগে ওই কিশোরের বাবা সেখানে ছুটে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয়। এমনকি মাহিন মৃত্যুর আগে পানি পান করতে চাইলেও তাকে তা দিতে বাধা দেওয়া হয়। আজ শুক্রবার ভোরে ফটিকছড়ি উপজেলার কাঞ্চননগর ইউনিয়নের সাকর আলী তালুকদার বাড়ির চেইঙ্গার ব্রিজ এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
১৪ মিনিট আগেতিনি অভিযোগ করেন, সরকার আন্দোলন দমন ও ক্ষমতায় টিকে থাকতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে প্রায় দুই হাজার মানুষকে হত্যা করেছে এবং ৩০ হাজার মানুষকে অঙ্গহানির শিকার করেছে। ভবিষ্যতে যাতে কেউ বাহিনীকে পেটোয়া বাহিনীতে পরিণত করতে না পারে, সে জন্য রাষ্ট্র সংস্কারের পাশাপাশি এ বাহিনীকে জনবান্ধব
২৪ মিনিট আগে