Ajker Patrika

১৩ ছাত্রীর যৌন হয়রানির অভিযোগের পর শিক্ষক বরখাস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
আপডেট : ১১ মে ২০২৪, ২০: ৪৯
১৩ ছাত্রীর যৌন হয়রানির অভিযোগের পর শিক্ষক বরখাস্ত

বরিশাল নগরের এক বিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের সঙ্গে অশ্লীল ভাষায় কথাবার্তা এবং যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে গতকাল বৃহস্পতিবার বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। 

বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ১৩ ছাত্রীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর আগেও বিদ্যালয়টিতে ছাত্রীরা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে। 

ওই প্রতিষ্ঠানের নাম হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়। আর অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মো. মাইদুল ইসলাম। 

বিদ্যালয়ের একাধিক অভিভাবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এখানে শিক্ষকদের মধ্যে কোচিং করানো নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এখানে খণ্ডকালীন শিক্ষকদের কোচিংয়ের দিকেই ঝোঁক। তা ছাড়া প্রতিটি শ্রেণিতে খণ্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগের নামে বাণিজ্যও চলছে স্কুলটিতে। 

জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম ফখরুজ্জমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, যে শিক্ষক যৌন হয়রানি করেছেন তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গত সোমবার ছাত্রীরা শিক্ষক মাইদুলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করে। এর ভিত্তিতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়। কমিটির প্রতিবেদনে সত্যতা পাওয়ায় গত বৃহস্পতিবার খণ্ডকালীন শিক্ষক মাইদুল ইসলামকে বরখাস্ত করা হয়েছে। 

এর আগেও শিক্ষক বরখাস্তের বিষয়টি স্বীকার করে শিক্ষক বলেন, ২০১৯ সালে যৌন হয়রানির অভিযোগে বিদ্যালয়ের গণিত শিক্ষক এনামুল হক নাসিমকে বহিষ্কার করা হয়। আদালতের রায়ে বর্তমানে তিনি প্রতিষ্ঠানে বহাল রয়েছেন। বিদ্যালয়টিতে এখন ৩২ জন খণ্ডকালীন এবং ১৪ জন স্থায়ী শিক্ষক রয়েছেন। 

এত বেশি খণ্ডকালীন শিক্ষক কেন, এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক কোনো জবাব দেননি। 

তবে শিক্ষক মাইদুল ইসলাম বলেন, ‘বিগত আট বছর ধরে এ স্কুলে আছি। চারিত্রিক সমস্যা থাকলে এত দিনে কি ধরা পড়ত না?’ তাঁর দাবি, যৌন হয়রানির কোনো ঘটনা হয়নি। প্রতিটি ক্লাসে সিসি ক্যামেরা আছে। শত্রুতা করে হয়ত কোনো পক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। 

তিনি বলেন, তাঁর অষ্টম শ্রেণিতে ক্লাস নেই। অথচ ছাত্রীরা তাঁর কাছে প্রাইভেট পড়ে। কোচিং নিয়ে ঝামেলার কারণে তাঁকে ভালো চোখে দেখছেন না অনেকে। 

তদন্ত কমিটির প্রধান ও ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষক শেখ জেবুন্নেছা বলেন, তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছেন তাঁরা। ছাত্রীরা কমিটির কাছে স্বীকার করেছেন যে ওই শিক্ষক তাদের সঙ্গে অশ্লীল কথাবার্তা বলেছেন। 

বিদ্যালয়র ইংরেজি শিক্ষক মো. মহিউদ্দিন বলেন, ঘটনা সত্য হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কিন্তু আসলে দোষীদের তো কিছু হচ্ছে না। 

এ ব্যাপারে হালিমা খাতুন বালিকা বিদ্যালয়ের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁরা শিক্ষক মাইদুলকে বরখাস্ত করেছেন। শনিবার থেকে আর ক্লাস নিচ্ছেন না। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় জিডি দায়ের করবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ না করার প্রস্তাব

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত