Ajker Patrika

বরিশাল মহানগর বিএনপি: সরোয়ারের ছায়ায় ব‌ঞ্চিতদের জোট

  • সবাইকে নিয়ে কমিটি করার আহ্বান সরোয়ারের।
  • পাল্টা মিছিলকারীদের অর্ধেকই আ.লীগের দোসর: আফরোজা খানম
খান রফিক, বরিশাল 
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১: ৩২
মজিবর রহমান সরোয়ার। ফাইল ছবি
মজিবর রহমান সরোয়ার। ফাইল ছবি

বরিশাল মহানগর বিএনপিতে বঞ্চিতদের জোট ক্রমেই বড় হচ্ছে। তারা নানা কর্মসূচিতে নগর বিএনপির বিরুদ্ধে পাল্টা শোডাউন দিচ্ছে। পদবঞ্চিতদের দুটি ধারাই এখন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ারের ছায়ায় একই পথে হাঁটছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন, তারেক রহমানের মুক্তির দাবিতে কর্মসূচি, বিজয় দিবসসহ বিভিন্ন উপলক্ষে বঞ্চিতদের এমন পাল্টা কর্মসূচিতে ক্ষুব্ধ বরিশাল নগর বিএনপির নেতারা।

দলীয় সূত্র বলেছে, গত বছরের শুরুতেও নগর বিএনপির তৎকালীন কমিটির নেতারা সরোয়ারের বিরুদ্ধে ছিলেন। কিন্তু নেতৃত্ব থেকে ছিটকে পড়া অনেকে এখন সরোয়ারের অনুসারীদের সঙ্গে একজোট হয়েছেন। পদবঞ্চিত দুটি ধারার একটি নগর বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব মীর জাহিদুল কবিরের অনুসারী, অপরটি সরোয়ার অনুসারী সৈয়দ আকবর গ্রুপ। নিজেদের অস্তিত্বের লড়াইয়ে এ দুটি গ্রুপ এখন একাকার। তার সর্বশেষ প্রতিফলন বিজয় দিবসে বড় মিছিল। গত সোমবারের এ মিছিলে সরোয়ারের অনুসারীরা মীর জাহিদের লোকজনের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নগরময় ছুটেছেন। তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বিএনপির সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম রাজনও। সরোয়ারের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে একসময় রক্তাক্ত জখম হওয়া রাজন এখন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে সরোয়ারের অনুসারীদের সঙ্গেই হাঁটছেন।

জানতে চাইলে বরিশাল মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন বলেন, ‘এখন আন্দোলন নেই, আওয়ামী লীগ নেই। এখন তো পাল্টা মিছিল হবেই। এরা তো সরোয়ার ভাইয়ের লোক। তাঁর লোকই তো নতুন করে মাঠে নেমেছে।’ তিনি বলেন, ‘সোমবার বিজয় দিবসের কর্মসূচিতে আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক ভাই বক্তব্যে বলেছেন, যাঁরা এখন পাল্টা মিছিল করেন, এই লোকগুলো আন্দোলনে কোথায় ছিলেন? দুর্দিনে এঁদের কেউ কেউ ছিলেন নানকের বাসায়, কেউ আবার ঢাকায়।’ নাসরিন আরও বলেন, ‘যারা পাল্টা মিছিল করছে, তাদের অর্ধেকই আওয়ামী লীগের দোসর।’

মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব মীর জাহিদুল কবির বলেন, ‘সরোয়ার ভাই নেতৃত্ব দিচ্ছেন ৩০ বছর। বিএনপিতে এখন যাঁরা আছেন, সবাই দলের লোক। সবাই সরোয়ার ভাইয়ের কর্মী। যেহেতু মহানগর বিএনপি আমাদের ডাকে না, সেহেতু রাজনীতির টানে মাঠে নামি।’ তিনি নগর বিএনপির আহ্বায়ককে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘আমরা অন্য কোনো দল (জাপা থেকে আসা ফারুক) থেকে আসিনি। যাঁরা অন্য দল থেকে আসেন, তাঁরাই বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে এমন কথা বলেন। তাঁদের এসব কথায় ঘরে উঠব না আমরা।’

মীর জাহিদ আরও বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচিতে ভয় কেন? আমাদের ওই সব দুর্বলতা নেই যে অন্য দল থেকে এসেছি।’ তিনি বলেন, ‘এই ফারুক ভাইকে একসময় জাপা থেকে বিএনপিতে এনে সরোয়ার ভাই রোষানলে পড়েছিলেন। সেই ফারুক ভাই সরোয়ার ভাইয়ের মতো শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধাচরণ করতে পারেন না।’ তিনি চ্যালেঞ্জ রেখে বলেন, ‘প্রমাণ দেখাক তারা, মিছিলে আওয়ামী লীগের দোসর ছিল কি না।’

মজিবর রহমান সরোয়ারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত নগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আকবর বলেন, ‘রাজনীতিতে শত্রুমিত্র নেই। শেষ বলেও কিছু নেই। যাঁরা সরোয়ার ভাইয়ের বিরোধিতা করতেন, তাঁরা হয়তো নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আমরা আন্দোলনে ছিলাম, আন্দোলনে আছি। আমাদের সঙ্গে বিএনপির মাঠপর্যায়ের নেতারা আছেন। যাঁরা এখন সরোয়ার ভাইয়ের বিরোধিতা করেন, তাঁদেরও রাজনীতিতে এনেছেন এই মজিবর রহমান সরোয়ারই।’

এ ব্যাপারে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, মহানগর বিএনপিতে নানা কারণে দৈন্য দেখা দিয়েছে। নতুন যে কমিটি আছে, তাতে অনেকে বাদ পড়েছেন। এখন বিজয় দিবসসহ নানা অনুষ্ঠানে বঞ্চিতদের অবস্থান স্পষ্ট ফুটে উঠছে। সবাইকে নিয়ে কমিটি করা উচিত। সম্মেলন করলে বিভক্তি থাকবে না। ওয়ার্ড কমিটি থেকে মতামত নিয়ে এ সম্মেলন করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নোয়াখালী সরকারি কলেজে পরিবহন ব্যবস্থার দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

নোয়াখালী প্রতিনিধি
মানববন্ধনে নোয়াখালী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
মানববন্ধনে নোয়াখালী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালী সরকারি কলেজে নিজস্ব পরিবহন ও নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে এই কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। কর্মসূচিতে কলেজের বিভিন্ন বিভাগের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

আন্দোলনকারীরা জানান, জাতীয় শিক্ষা বোর্ড তথা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম নোয়াখালী সরকারি কলেজ। এই কলেজে নোয়াখালীর ৯টি উপজেলার শিক্ষার্থী ছাড়াও পার্শ্ববর্তী লক্ষ্মীপুর ও ফেনী জেলার অনেক শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। কলেজের নিজস্ব আবাসনের ব্যবস্থা কম থাকায় বেশির ভাগ শিক্ষার্থী নিজেদের বাসাবাড়ি থেকে যাতায়াত করেন।

আন্দোলনকারীরা আরও জানান, প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষার্থীরা গণপরিবহনে ক্যাম্পাসে আসেন। গণপরিবহনে বিভিন্ন সময় চালকদের দুর্ব্যবহার ও শ্রমিকদের হেনস্তার শিকার হন তাঁরা। এ ছাড়াও অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালক এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ির কারণে প্রায় সময় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন কোনো না কোনো শিক্ষার্থী। ৪ নভেম্বর কলেজ থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বাড়ি ফেরার পথে কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ইসরাত জাহান ও হিসাববিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র তানিম হাসান নিহত হন।

দেশের বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহনের ব্যবস্থা থাকলেও প্রাচীনতম এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো নিজস্ব পরিবহন নেই। দ্রুত সময়ের মধ্যে নোয়াখালী সরকারি কলেজের নিজস্ব পরিবহন চালু না করা হলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শেরপুরে কৃষি কর্মকর্তাকে পেটানোর অভিযোগে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব বহিষ্কার

শেরপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৪: ৫২
বহিষ্কার হওয়া নেতা রাহাত হাসান কাইয়ুম। ছবি: সংগৃহীত
বহিষ্কার হওয়া নেতা রাহাত হাসান কাইয়ুম। ছবি: সংগৃহীত

শেরপুরের নকলায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে পেটানোর অভিযোগে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব রাহাত হাসান কাইয়ুমকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক (সহসভাপতি পদমর্যাদা) স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিটি ছাত্রদলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও প্রকাশিত হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে শেরপুর জেলা শাখার অধীন নকলা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব রাহাত হাসান কাইয়ুমকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।’

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন। তাঁর সঙ্গে কোনো সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার জন্য ছাত্রদলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গতকাল (৫ নভেম্বর) দুপুরে নকলা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব রাহাত হাসান কাইয়ুম তাঁকে সরকারি কৃষি প্রণোদনা না দেওয়ায় উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার মোরসালিন মেহেদীর অফিসকক্ষে প্রবেশ করে তাঁকে পেটান। এ সময় রাহাত হাসান কাইয়ুমের সঙ্গে ছাত্রদল কর্মী ফজলুও ওই কর্মকর্তাকে মারধর করেন। এই ঘটনায় কাইয়ুম ও ফজলুর বিরুদ্ধে নকলা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

কৃষি কর্মকর্তাকে মারধরের সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযুক্ত রাহাত হাসান কাইয়ুম (৩৫) নকলা পৌরসভার ধুকুরিয়া গ্রামের সুরুজ মোল্লার ছেলে এবং ফজলু (৩২) একই গ্রামের সিরাজুল হকের ছেলে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজধানীতে যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের বিক্ষোভ, তীব্র যানজট

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৪: ০৬
রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে বিক্ষোভ করছে জামায়াতসহ ৮ দলের নেতা-কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা।
রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে বিক্ষোভ করছে জামায়াতসহ ৮ দলের নেতা-কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা।

নির্বাচনের আগে গণভোট এবং জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারিসহ পাঁচ দাবিতে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে বিক্ষোভ করছেন যুগপৎ আন্দোলনের শরিক জামায়াতসহ আট দলের নেতা-কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পল্টন, কাকরাইল, শাপলা চত্বর, মৎস্য ভবন এলাকায় চলা এই অবস্থান কর্মসূচির কারণে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

সকাল ১০টা থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে পল্টন মোড়ে এসে জড়ো হতে থাকেন নেতা-কর্মীরা। পরে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে মৎস্য ভবন মোড়ে এলে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। পরে মৎস্য ভবন মোড়ে অবস্থান নেন তাঁরা। এতে আশপাশ এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে ৯ সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদল উপদেষ্টার বাসভবনে গেলে নেতা-কর্মীরা মৎস্য ভবন মোড়ে অবস্থান করতে থাকেন।

এর আগে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বর এবং কাকরাইল মোড়ে জড়ো হন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা। সেখান থেকে পরে মিছিল নিয়ে পল্টনে আসেন তাঁরা।

এই কর্মসূচির ফলে রাজধানীজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। হাইকোর্ট, পল্টন, প্রেসক্লাব ও কাকরাইল এলাকায় যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। তবে অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি সেবার যানবাহন যাওয়ার পথ করে দিচ্ছেন নেতা-কর্মীরা।

রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে বিক্ষোভ করছে জামায়াতসহ ৮ দলের নেতা-কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা।
রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে বিক্ষোভ করছে জামায়াতসহ ৮ দলের নেতা-কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা।

এক পথচারী বলেন, ‘রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলন করা কাম্য না। মানুষকে কষ্ট দিয়ে কী লাভ? যৌক্তিক দাবি থাকলে সেটা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যেত।’

আট দলের নেতা-কর্মীদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে আরও রয়েছে—অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদে রাজনৈতিক হয়রানি ও গ্রেপ্তার বন্ধ, নির্বাচনে সব দলের সমান সুযোগ এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যক্রমে বাধাহীনতা নিশ্চিত করা।

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চকরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত: চৌদ্দগ্রামে ৫ নারীর দাফন সম্পন্ন

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 
আজ সকাল ১০টায় চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার চান্দিশকরা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে তিনজনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকাল ১০টায় চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার চান্দিশকরা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে তিনজনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

কক্সবাজারের চকরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত পাঁচ নারীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকাল ১০টায় চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার চান্দিশকরা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে তিনজনের ও ফালগুনকরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দুজনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তাঁদের জানাজায় শত শত মানুষ অংশ নেয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন চান্দিশকরা গ্রামের বাসিন্দা উদয় পাটোয়ারীর স্ত্রী ফারজানা মজুমদার লিজা (২৮), মা রুমি বেগম (৬৫), বোন সাদিয়া হক পাটোয়ারী (২৪), শাশুড়ি রিজওয়ানা মজুমদার শিল্পী (৫৫) ও শ্যালিকা ফারহানা মজুমদার টিজা (২৫)। এই ঘটনায় চান্দিশকরা ও ফালগুনকরা গ্রাম শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়ে।

এর আগে গত মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ঢাকার উত্তরার বাসা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে ভাড়া করা মাইক্রোবাসে রওনা দেন উদয় পাটোয়ারী, স্ত্রী ফারজানা মজুমদার লিজা, ছেলে সামাদ পাটোয়ারী, শ্যালিকা ফারহানা মজুমদার টিজা ও শ্যালক শাহেদ মজুমদার লিশান (২২)। রাত আড়াইটার দিকে চৌদ্দগ্রাম থেকে মা রুমি বেগম, বোন সাদিয়া হক পাটোয়ারী এবং শাশুড়ি রিজওয়ানা মজুমদার শিল্পীকে গাড়িতে তোলেন।

গতকাল বুধবার সকাল ৯টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালীর ঢালা এলাকায় পৌঁছালে বেপরোয়া গতিতে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে পাঁচজন মারা যান। আহত হন উদয় পাটোয়ারী, তাঁর ছেলে ও শ্যালক। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। তাঁদের মধ্যে শ্যালক শাহেদ মজুমদার লিশানের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত