Ajker Patrika

চাচাতো ভাবিকে মারধরের অভিযোগ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
চাচাতো ভাবিকে মারধরের অভিযোগ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে

চাচাতো ভাবিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সেলিম বাহাদুর নামে ভোলায় কর্মরত পুলিশের এক সদস্যের বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার সকালে বরগুনার আমতলী উপজেলার পশ্চিম নাচনাপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আহত নারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। 

জানা গেছে, উপজেলার পশ্চিম নাচনাপাড়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আলতাফ হোসেন প্যাদার সঙ্গে দেলোয়ার প্যাদার জমি নিয়ে অনেক দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এর জেরে আজ সকালে আলতাফের ছেলে পুলিশ সদস্য সেলিম বাহাদুরের সঙ্গে তাঁর চাচাতো ভাবি ও দেলোয়ারের পুত্রবধূ হালিমা বেগমের কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় ক্ষিপ্ত হয়ে সেলিম ও তাঁর পরিবারের লোকজন হালিমাকে বেধড়ক মারধর করেন। 

মারধরে হালিমা মাথায় ও হাতে জখম হন। স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ফারাহ বিনতে ফারুকী তাঁকে চিকিৎসা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। 

রিনাসহ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘পুলিশ সদস্য সেলিম বাহাদুর তাঁর চাচাতো ভাবি হালিমা বেগমকে বেধড়ক মারধর করেছেন।’ 

হালিমা বেগম বলেন, ‘আমার শ্বশুর দেলোয়ারের সঙ্গে আলতাফ প্যাদার জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এর জেরে আমাকে আলতাফের ছেলে সেলিম মারধর করেছেন। সেলিম প্রভাব খাঁটিয়ে আমার বিরুদ্ধে পাঁচটি মিথ্যা মামলা করেছেন। বিনা গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় আমাকে আমতলী থানার পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করিয়েছি। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।’ 

মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন পুলিশ সদস্য সেলিম বাহাদুর। তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রীকে হালিমা ও তাঁর লোকজন মারধর করেছেন। আমিতো বর্তমানে অন ডিউটিতে ভোলায় আছি। আমি মারধর করব কীভাবে?’ 

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ফারাহ বিনতে ফারুকী বলেন, ‘আহত নারীর যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’ 

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত