খান রফিক, বরিশাল
বৃক্ষরাজির শীতল ছায়া আর সবুজের বেষ্টনী। সেই পথ ধরে একটু এগোলেই উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন। ভবনটির পেছনেও রয়েছে পর্যাপ্ত খালি জায়গা। অথচ উন্নয়নের জন্য বর্তমান ভবনটির সামনে থাকা আট বছরের পুরোনো এই বাগানকেই সাবাড় করে দিয়েছে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ। এমনকি গাছ কাটতে বন বিভাগের কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্র ও শনিবার ছুটির দিনে বাগানটির প্রায় আড়াই শ গাছের শতাধিক গাছই কেটে ফেলেছে কর্তৃপক্ষ। স্থানীয়দের কাছে ‘ডিসি আমবাগান’ হিসেবে পরিচিত স্থানটির এমন করুণ পরিণতিতে পুরো এলাকাতেই ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকাবাসীর ভাষ্য, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোনোভাবেই গাছ কাটা যাবে না। উন্নয়নের নামে ভবনের জন্য গাছগুলো কেটে ফেলা আইনবহির্ভূত হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ আমিরুজ্জামান রিপন জানান, ২০১৪ সালে তৎকালীন জেলা প্রশাসক শহীদুল আলম বাগানটি গড়ে তোলেন। সেখানে দুই শতাধিক আমগাছ ছিল। গত কয়েক বছরে এগুলোয় আমও ধরত বেশ। যে কারণে ২০২০ সালে তৎকালীন জেলা প্রশাসক অজিয়ার রহমান নতুন ভবনের জন্য পেছনের জায়গাটিই বেছে নেন। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তের তোয়াক্কা না করে আমবাগান সাফ করেই নতুন চারতলা ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
বাকেরগঞ্জের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বেঙ্গল ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘পেছনে পর্যাপ্ত জায়গা থাকা সত্ত্বেও নতুন ভবন নির্মাণের জন্য বাগানটি সাবাড় করা হয়েছে। এমন অপরিকল্পিত উন্নয়ন কখনোই কাম্য নয়।’
অভিযোগ নিয়ে জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান সামশুল আলম চুন্নু বলেন, ‘ভবনটি পেছনে করার কথা ছিল। কিন্তু এটা করলে সৌন্দর্য থাকে না। তা ছাড়া, এই বাগানে সব টক আম। এটা আসলে জঙ্গল। তাই আলোচনা করেই গাছ কাটা হয়েছে।’
গাছ কাটার জন্য বন বিভাগের অনুমতি রয়েছে বলেও জানান চুন্নু। কিন্তু উপজেলা বন কর্মকর্তা মহিদুর রহমান বলেন, ‘বাগানের গাছ কাটার বিষয়ে উপজেলা পরিষদ আমাদের কোনো চিঠি দেয়নি। এমনকি গাছগুলো কাটলে সমস্যা নেই, এমন কোনো কথা মৌখিকভাবেও আমরা বলিনি।’
বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমরা বিবেচনার জন্য চিঠি চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা পরে আর কিছুই জানায়নি। গেজেট অনুযায়ী গাছ কাটতে হলে উপজেলা পরিষদের একটি নির্ধারিত কমিটির সম্মতি থাকতে হবে। উপজেলা বন কর্মকর্তা ওই কমিটির সদস্য।’ এ বিষয়ে জানতে বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাধবী রায়কে একাধিকবার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)-এর বরিশালের সমন্বয়কারী রফিকুল আলম বলেন, ‘উন্নয়নের নামে ভবনের জন্য গাছগুলো কেটে ফেলা আইনবহির্ভূত হয়েছে। যদি কাটতেই হয়, তাহলে কেন গাছগুলো লাগিয়েছিল। গাছ কাটার অপরাধে সংশ্লিষ্টদের শোকজ করা উচিত।
বৃক্ষরাজির শীতল ছায়া আর সবুজের বেষ্টনী। সেই পথ ধরে একটু এগোলেই উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন। ভবনটির পেছনেও রয়েছে পর্যাপ্ত খালি জায়গা। অথচ উন্নয়নের জন্য বর্তমান ভবনটির সামনে থাকা আট বছরের পুরোনো এই বাগানকেই সাবাড় করে দিয়েছে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ। এমনকি গাছ কাটতে বন বিভাগের কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্র ও শনিবার ছুটির দিনে বাগানটির প্রায় আড়াই শ গাছের শতাধিক গাছই কেটে ফেলেছে কর্তৃপক্ষ। স্থানীয়দের কাছে ‘ডিসি আমবাগান’ হিসেবে পরিচিত স্থানটির এমন করুণ পরিণতিতে পুরো এলাকাতেই ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকাবাসীর ভাষ্য, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোনোভাবেই গাছ কাটা যাবে না। উন্নয়নের নামে ভবনের জন্য গাছগুলো কেটে ফেলা আইনবহির্ভূত হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ আমিরুজ্জামান রিপন জানান, ২০১৪ সালে তৎকালীন জেলা প্রশাসক শহীদুল আলম বাগানটি গড়ে তোলেন। সেখানে দুই শতাধিক আমগাছ ছিল। গত কয়েক বছরে এগুলোয় আমও ধরত বেশ। যে কারণে ২০২০ সালে তৎকালীন জেলা প্রশাসক অজিয়ার রহমান নতুন ভবনের জন্য পেছনের জায়গাটিই বেছে নেন। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তের তোয়াক্কা না করে আমবাগান সাফ করেই নতুন চারতলা ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
বাকেরগঞ্জের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বেঙ্গল ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘পেছনে পর্যাপ্ত জায়গা থাকা সত্ত্বেও নতুন ভবন নির্মাণের জন্য বাগানটি সাবাড় করা হয়েছে। এমন অপরিকল্পিত উন্নয়ন কখনোই কাম্য নয়।’
অভিযোগ নিয়ে জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান সামশুল আলম চুন্নু বলেন, ‘ভবনটি পেছনে করার কথা ছিল। কিন্তু এটা করলে সৌন্দর্য থাকে না। তা ছাড়া, এই বাগানে সব টক আম। এটা আসলে জঙ্গল। তাই আলোচনা করেই গাছ কাটা হয়েছে।’
গাছ কাটার জন্য বন বিভাগের অনুমতি রয়েছে বলেও জানান চুন্নু। কিন্তু উপজেলা বন কর্মকর্তা মহিদুর রহমান বলেন, ‘বাগানের গাছ কাটার বিষয়ে উপজেলা পরিষদ আমাদের কোনো চিঠি দেয়নি। এমনকি গাছগুলো কাটলে সমস্যা নেই, এমন কোনো কথা মৌখিকভাবেও আমরা বলিনি।’
বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমরা বিবেচনার জন্য চিঠি চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা পরে আর কিছুই জানায়নি। গেজেট অনুযায়ী গাছ কাটতে হলে উপজেলা পরিষদের একটি নির্ধারিত কমিটির সম্মতি থাকতে হবে। উপজেলা বন কর্মকর্তা ওই কমিটির সদস্য।’ এ বিষয়ে জানতে বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাধবী রায়কে একাধিকবার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)-এর বরিশালের সমন্বয়কারী রফিকুল আলম বলেন, ‘উন্নয়নের নামে ভবনের জন্য গাছগুলো কেটে ফেলা আইনবহির্ভূত হয়েছে। যদি কাটতেই হয়, তাহলে কেন গাছগুলো লাগিয়েছিল। গাছ কাটার অপরাধে সংশ্লিষ্টদের শোকজ করা উচিত।
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
৩ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
৪ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
৪ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
৪ ঘণ্টা আগে