বরগুনা প্রতিনিধি
‘গ্যাছে বচ্ছর কেন্দ্রে যাওয়ার আগেই হ্যারা কয় অম্মে যাও কই, তোমার ভোট দেওয়া অইয়া গ্যাছে। ফাউ ওদিক যাইয়া হরবা কী? যাইয়া দেহি হাচ্চইয়ো মোর ভোট কেডা জানি দিয়া দেছে। এইফির সরকার যেরহম কইতে আছে চিন্তা হরছি, যাম ভোট দেতে। তয় চিন্তা হরতে আছি, মোর ভোটটা কি কেন্দ্রে যাইয়া মুই নিজে দেতে পারমু?’ এভাবে কথাগুলো বলছিলেন ৮০ বছরের বৃদ্ধ আজিজুল হক।
বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের বরইতলা এলাকার বাসিন্দা আজিজুল হক। এবারের নির্বাচনের প্রস্তুতি দেখে তিনি আশ্বস্ত হলেও, বিগত নির্বাচনের অভিজ্ঞতায় তিনি এমন শঙ্কা প্রকাশ করেন।
আজিজুল হকের মতো বরগুনা-১ আসনের বেশ কিছু ভোটারের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা জানান, কোনো রকম সহিংসতা ছাড়াই প্রচারণা শেষ হওয়া, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা, ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী ও সমর্থকদের একের পর এক শোকজ, জরিমানা ও মামলার ঘটনায় ভোটারদের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে নির্বাচন কমিশন।
তবে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী ও সমর্থকদের প্রতিপক্ষকে হুমকি-ধমকি ও প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা, প্রচারণা শেষ হওয়ার পরে পরপর দুই রাতে নির্বাচনী প্রচার ক্যাম্প ও ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা নিয়ে ভোটারদের মধ্যে কিছুটা হলেও নেতিবাচক প্রভাব পড়লেও একাধিক শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী থাকায় ভোটারদের অনেকেই ভোটাধিকার প্রয়োগে আগ্রহী।
ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে তাঁরা ভোট দিতে পারবেন। এর কারণ হিসেবে ওই ভোটাররা জানান, এবার এই আসনে আওয়ামী লীগেরই তিনজন হেভিওয়েট প্রার্থী থাকায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী প্রভাব বিস্তারের সুযোগ পাবেন না। এ ছাড়া প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভূমিকা ও প্রস্তুতিতে সন্তুষ্ট তাঁরা।
এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৯১১। ১৮৭টি ভোটকেন্দ্রের ১ হাজার ১৫৭টি বুথে এসব ভোটারের ভোট গ্রহণ করা হবে। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা ১৮৭ কেন্দ্রের মধ্যে বরগুনা সদরে ২৬টি, আমতলীতে ১৬ ও তালতলী উপজেলায় ৮টিসহ মোট ৫০টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় রেখেছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার পক্ষ থেকে এসব ভোটকেন্দ্রের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বরগুনার জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে সার্বিক প্রস্তুতি শেষ করেছি। আজ সকালে থেকে সব ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা দায়িত্ব পালন শুরু করেছে। এ ছাড়া সন্ধ্যা নাগাদ ভোট গ্রহনের সমস্ত সরঞ্জামাদি কেন্দ্রে পৌঁছে যাবে। নৌবাহিনী, বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে কাজ করবে। পাশাপাশি আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে নিরলস কাজ করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভোটের পরিবেশ শতভাগ শান্তিপূর্ণ রাখতে আমাদের যে প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। কেউ কোনো রকম ব্যত্যয় ঘটাতে চেষ্টা করলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের কারও বিরুদ্ধেও যদি বিন্দুমাত্র পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ ওঠে সঙ্গে ব্যবস্থা নেব।’
‘গ্যাছে বচ্ছর কেন্দ্রে যাওয়ার আগেই হ্যারা কয় অম্মে যাও কই, তোমার ভোট দেওয়া অইয়া গ্যাছে। ফাউ ওদিক যাইয়া হরবা কী? যাইয়া দেহি হাচ্চইয়ো মোর ভোট কেডা জানি দিয়া দেছে। এইফির সরকার যেরহম কইতে আছে চিন্তা হরছি, যাম ভোট দেতে। তয় চিন্তা হরতে আছি, মোর ভোটটা কি কেন্দ্রে যাইয়া মুই নিজে দেতে পারমু?’ এভাবে কথাগুলো বলছিলেন ৮০ বছরের বৃদ্ধ আজিজুল হক।
বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের বরইতলা এলাকার বাসিন্দা আজিজুল হক। এবারের নির্বাচনের প্রস্তুতি দেখে তিনি আশ্বস্ত হলেও, বিগত নির্বাচনের অভিজ্ঞতায় তিনি এমন শঙ্কা প্রকাশ করেন।
আজিজুল হকের মতো বরগুনা-১ আসনের বেশ কিছু ভোটারের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা জানান, কোনো রকম সহিংসতা ছাড়াই প্রচারণা শেষ হওয়া, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা, ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী ও সমর্থকদের একের পর এক শোকজ, জরিমানা ও মামলার ঘটনায় ভোটারদের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে নির্বাচন কমিশন।
তবে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী ও সমর্থকদের প্রতিপক্ষকে হুমকি-ধমকি ও প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা, প্রচারণা শেষ হওয়ার পরে পরপর দুই রাতে নির্বাচনী প্রচার ক্যাম্প ও ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা নিয়ে ভোটারদের মধ্যে কিছুটা হলেও নেতিবাচক প্রভাব পড়লেও একাধিক শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী থাকায় ভোটারদের অনেকেই ভোটাধিকার প্রয়োগে আগ্রহী।
ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে তাঁরা ভোট দিতে পারবেন। এর কারণ হিসেবে ওই ভোটাররা জানান, এবার এই আসনে আওয়ামী লীগেরই তিনজন হেভিওয়েট প্রার্থী থাকায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী প্রভাব বিস্তারের সুযোগ পাবেন না। এ ছাড়া প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভূমিকা ও প্রস্তুতিতে সন্তুষ্ট তাঁরা।
এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৯১১। ১৮৭টি ভোটকেন্দ্রের ১ হাজার ১৫৭টি বুথে এসব ভোটারের ভোট গ্রহণ করা হবে। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা ১৮৭ কেন্দ্রের মধ্যে বরগুনা সদরে ২৬টি, আমতলীতে ১৬ ও তালতলী উপজেলায় ৮টিসহ মোট ৫০টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় রেখেছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার পক্ষ থেকে এসব ভোটকেন্দ্রের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বরগুনার জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে সার্বিক প্রস্তুতি শেষ করেছি। আজ সকালে থেকে সব ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা দায়িত্ব পালন শুরু করেছে। এ ছাড়া সন্ধ্যা নাগাদ ভোট গ্রহনের সমস্ত সরঞ্জামাদি কেন্দ্রে পৌঁছে যাবে। নৌবাহিনী, বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে কাজ করবে। পাশাপাশি আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে নিরলস কাজ করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভোটের পরিবেশ শতভাগ শান্তিপূর্ণ রাখতে আমাদের যে প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। কেউ কোনো রকম ব্যত্যয় ঘটাতে চেষ্টা করলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের কারও বিরুদ্ধেও যদি বিন্দুমাত্র পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ ওঠে সঙ্গে ব্যবস্থা নেব।’
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করেছে জাপানের ১১০ সদস্যের একটি বিনিয়োগকারী দল। ব্র্যাক ইপিএলের উদ্যোগে জাপানি প্রতিনিধিদলটি সোনারগাঁয়ের অনন্য স্থাপত্যকীর্তি প্রাচীন পানাম নগরী, বড় সরদার বাড়ি, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর পরিদর্শন করে।
৪ মিনিট আগেবগুড়ার আদমদীঘিতে মিনি ট্রাকের ধাক্কায় আব্দুল মান্নান (৭০) নামের এক ব্যাটারিচালিত টমটমের চালক নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া খন্দকার নিশাত নামের স্কুলশিক্ষক আহত হন। আজ মঙ্গলবার সকালে আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মোড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় রাতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবিসংবলিত বিলবোর্ড ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাঁরা জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত শনাক্ত করে
১ ঘণ্টা আগেএ ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর থানার চর শিবপুর এলাকার রুবেল মিয়ার মেয়ে সোহাগী (১৮), কালু মিয়ার স্ত্রী রাবেয়া (৫০) ও একই জেলার নবীনগর থানার আলিয়াবাগ এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে রিয়াদ (১০)।
১ ঘণ্টা আগে