খান রফিক, বরিশাল

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে আলোচিত আসন বরিশাল-৫ (নগর ও সদর)। এ আসনে বিএনপির প্রাথমিকভাবে মনোনীত প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার। তাই দীর্ঘ বছরের দূরত্ব থাকা নেতা-কর্মীদের কাছে টানতে নানা কৌশল অবলম্বন করছেন তিনি। ২০২১ সাল থেকে নগরের পদ হারিয়ে স্থানীয় বিএনপিতে কোণঠাসা ছিলেন সরোয়ার। ভোটের মাঠে এখন ঘর গোছানোর চিন্তার মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সামলানো সরোয়ারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এ আসনে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম দলীয় প্রার্থী। অপর দিকে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল বরিশাল-৫ আসনের প্রার্থী। আসনভিত্তিক সমঝোতা হলে ফয়জুল ও হেলালের মধ্যে কোনো একজন হবে সরোয়ারের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী; এমনটাই গুঞ্জন সর্বত্র।
শ্রমিক দলের নেতা থেকে আব্দুর রহমান বিশ্বাসের হাত ধরে রাজনীতিতে উঠে আসেন মজিবর রহমান সরোয়ার। এরপর একে একে বরিশাল-৫ আসনের এমপি, হুইপ, এমনকি সিটি মেয়রের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। জানা গেছে, সরোয়ার গত চার বছর কোণঠাসা ছিলেন। স্থানীয় বিএনপি এই চার বছরে কোনো কর্মসূচিতে ডাকত না তাঁকে। দলের মনোনয়ন পেয়ে এবার ঘুরে দাঁড়াতে চান সরোয়ার। বিরোধ থাকা নেতাদের ডেকে দফায় দফায় বৈঠক করছেন।
সরোয়ার অনুসারী মহানগর বিএনপির সাবেক বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক হোসেন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সব গ্রুপকে ডেকে সমন্বয় সভা করেছেন সরোয়ার ভাই। অতীতের ক্ষত তুললে সমাধান হয় না। নগর সভাপতি ফারুক ভাই তুলেছিলেন, আমরা বলেছি পেছনে আর নয়।’ তিনি বলেন, ‘এটা শুধু বিএনপির ঘাঁটি নয়, এটা অ্যান্টি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। ১০ দল জোট করলেও বরিশাল-৫ আসনে সরোয়ারকে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না।’ দলের মধ্যে চার বছরের অবিশ্বাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কিছু লোকজন মোনাফেকি করতে পারে। তবে বিএনপির নেতা-কর্মীর মধ্যে সরোয়ার ভাইয়ের প্রতি আস্থার ঘাটতি নেই।’
এদিকে গোটা নগরী ও সদর উপজেলায় ব্যাপক ব্যানার, পোস্টার, লিফলেট দিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন হাতপাখা ও দাঁড়িপাল্লার অনুসারীরা। চরমোনাই পীরের বাড়ি হওয়ায় অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
দলটির মিডিয়া উপকমিটির আহ্বায়ক ও অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নাসির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্ত হচ্ছে বরিশাল-৫ আসনে হাতপাখার প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। তা ছাড়া এই বরিশালে পীরের বাড়ি। তিনি দলের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা। যে কারণে জোটে ঝামেলা হবে না। আমরা মনে করি, এটা ইসলামী আন্দোলনের রাজধানী। বর্তমান প্রেক্ষাপটে হাতপাখার সদর ও নগরে ভোট বেড়েছে।’ তিনি বলেন, ‘ফয়জুল করীমের জাতীয় ও সিটি নির্বাচনে অভিজ্ঞতা থাকায় আমরা প্রতিপক্ষকে ছেড়ে দেব না।’
বরিশাল মহানগর জামায়াতের আমির জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এক বছর আগে আমাদের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা নির্বাচনের জন্য অ্যাডভোকেট হেলালকে নিয়ে কাজ করছি। তবে কেন্দ্র ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিলে সেভাবে এগিয়ে যাব। দেশের স্বার্থে আসন সমঝোতা হবে।’ চারবারের এমপি সরোয়ারের সঙ্গে ভোটে মোকাবিলা কীভাবে করবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক বাবর বলেন, ‘মানুষ নতুন কিছু চায়।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আশাবাদী। কারণ সারা দেশে তেমনটাই সাড়া পাচ্ছি। আমরা বহুদিন নির্বাচনে ছিলাম না। তারপরও ডোর টু ডোর যাচ্ছি। হেলাল ভাইয়ের সমর্থনে সাড়াও পাচ্ছি।’
তবে নগর বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, ‘দলের আহ্বানে ধানের শীষের প্রার্থী সরোয়ারের সঙ্গে আমরা মাঠে নেমেছি। কোন কোন দল এক হয়ে জোট করল, সেটা দেখার বিষয় না। বরিশাল বিএনপির ঘাঁটি। ফেয়ার নির্বাচন হলে ধানের শীষ জিতবে।’
এ প্রসঙ্গে বরিশাল-৫ আসনের এমপি প্রার্থী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ইসলামী দলগুলো একটা বাক্সে ভোট দেব। সে অনুযায়ী আসনভিত্তিক সমঝোতা প্রক্রিয়াধীন।’ তিনি বলেন, ‘এটা ইসলামী আন্দোলনের আমিরের বাড়ি। যে কারণে বরিশালে হাতপাখার অনেক ভোট।’ সরোয়ার প্রসঙ্গে বলেন, ‘তিনি শক্ত প্রার্থী না হলে কেমনে হবে। আমরাও তো শক্ত প্রার্থীই চাই। আমি ২০০৮, ২০১৮, ২০২১ সালে এ আসনে প্রার্থী ছিলাম। জনগণের মোটিভ ঘুরে গেছে, চিন্তাভাবনায় পরিবর্তন এসেছে। যদি জনগণ চায়, তাহলে এ আসন থেকেই নির্বাচনে অংশ নেব।’
বরিশাল-৫ আসনের এমপি প্রার্থী জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুয়াযযম হোসাইন হেলাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচনে শেষ কথা বলতে কিছু নেই। রাজনীতির ময়দানে কী কথা হচ্ছে, তা সবাই জানে। নির্বাচন এলে অনেক কিছু জানা যাবে। আসনভিত্তিক জোট হয় কি না, তাও দেখবে জনগণ।’ তিনি সরোয়ার প্রসঙ্গে বলেন, ‘সরোয়ার ভাই কিংবা যে কেউ প্রার্থী হলে আমরা তাঁকে অভিনন্দন জানাই। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে দেখা যাবে ফল কী হবে।’
এ ব্যাপারে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেস্টা ও বরিশাল-৫ আসনের এমপি প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী থাকবেই। হাতপাখা আর দাঁড়িপাল্লা হয়তো জোট করবে। এ আসনে মানুষের উন্নয়ন ও কল্যাণ করেছি আমি। জনগণ তাই ধানের শীষে ভোট দিতে উন্মুখ।’ তিনি বলেন, মহানগরে ধানের শীষের ভোট বেশি। সদর উপজেলায় চরমোনাই পীরের বাড়ি হলেও সব সময় ধানের শীষ বেশি ভোট পেয়েছে।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে আলোচিত আসন বরিশাল-৫ (নগর ও সদর)। এ আসনে বিএনপির প্রাথমিকভাবে মনোনীত প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার। তাই দীর্ঘ বছরের দূরত্ব থাকা নেতা-কর্মীদের কাছে টানতে নানা কৌশল অবলম্বন করছেন তিনি। ২০২১ সাল থেকে নগরের পদ হারিয়ে স্থানীয় বিএনপিতে কোণঠাসা ছিলেন সরোয়ার। ভোটের মাঠে এখন ঘর গোছানোর চিন্তার মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সামলানো সরোয়ারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এ আসনে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম দলীয় প্রার্থী। অপর দিকে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল বরিশাল-৫ আসনের প্রার্থী। আসনভিত্তিক সমঝোতা হলে ফয়জুল ও হেলালের মধ্যে কোনো একজন হবে সরোয়ারের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী; এমনটাই গুঞ্জন সর্বত্র।
শ্রমিক দলের নেতা থেকে আব্দুর রহমান বিশ্বাসের হাত ধরে রাজনীতিতে উঠে আসেন মজিবর রহমান সরোয়ার। এরপর একে একে বরিশাল-৫ আসনের এমপি, হুইপ, এমনকি সিটি মেয়রের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। জানা গেছে, সরোয়ার গত চার বছর কোণঠাসা ছিলেন। স্থানীয় বিএনপি এই চার বছরে কোনো কর্মসূচিতে ডাকত না তাঁকে। দলের মনোনয়ন পেয়ে এবার ঘুরে দাঁড়াতে চান সরোয়ার। বিরোধ থাকা নেতাদের ডেকে দফায় দফায় বৈঠক করছেন।
সরোয়ার অনুসারী মহানগর বিএনপির সাবেক বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক হোসেন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সব গ্রুপকে ডেকে সমন্বয় সভা করেছেন সরোয়ার ভাই। অতীতের ক্ষত তুললে সমাধান হয় না। নগর সভাপতি ফারুক ভাই তুলেছিলেন, আমরা বলেছি পেছনে আর নয়।’ তিনি বলেন, ‘এটা শুধু বিএনপির ঘাঁটি নয়, এটা অ্যান্টি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। ১০ দল জোট করলেও বরিশাল-৫ আসনে সরোয়ারকে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না।’ দলের মধ্যে চার বছরের অবিশ্বাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কিছু লোকজন মোনাফেকি করতে পারে। তবে বিএনপির নেতা-কর্মীর মধ্যে সরোয়ার ভাইয়ের প্রতি আস্থার ঘাটতি নেই।’
এদিকে গোটা নগরী ও সদর উপজেলায় ব্যাপক ব্যানার, পোস্টার, লিফলেট দিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন হাতপাখা ও দাঁড়িপাল্লার অনুসারীরা। চরমোনাই পীরের বাড়ি হওয়ায় অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
দলটির মিডিয়া উপকমিটির আহ্বায়ক ও অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নাসির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্ত হচ্ছে বরিশাল-৫ আসনে হাতপাখার প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। তা ছাড়া এই বরিশালে পীরের বাড়ি। তিনি দলের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা। যে কারণে জোটে ঝামেলা হবে না। আমরা মনে করি, এটা ইসলামী আন্দোলনের রাজধানী। বর্তমান প্রেক্ষাপটে হাতপাখার সদর ও নগরে ভোট বেড়েছে।’ তিনি বলেন, ‘ফয়জুল করীমের জাতীয় ও সিটি নির্বাচনে অভিজ্ঞতা থাকায় আমরা প্রতিপক্ষকে ছেড়ে দেব না।’
বরিশাল মহানগর জামায়াতের আমির জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এক বছর আগে আমাদের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা নির্বাচনের জন্য অ্যাডভোকেট হেলালকে নিয়ে কাজ করছি। তবে কেন্দ্র ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিলে সেভাবে এগিয়ে যাব। দেশের স্বার্থে আসন সমঝোতা হবে।’ চারবারের এমপি সরোয়ারের সঙ্গে ভোটে মোকাবিলা কীভাবে করবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক বাবর বলেন, ‘মানুষ নতুন কিছু চায়।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আশাবাদী। কারণ সারা দেশে তেমনটাই সাড়া পাচ্ছি। আমরা বহুদিন নির্বাচনে ছিলাম না। তারপরও ডোর টু ডোর যাচ্ছি। হেলাল ভাইয়ের সমর্থনে সাড়াও পাচ্ছি।’
তবে নগর বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, ‘দলের আহ্বানে ধানের শীষের প্রার্থী সরোয়ারের সঙ্গে আমরা মাঠে নেমেছি। কোন কোন দল এক হয়ে জোট করল, সেটা দেখার বিষয় না। বরিশাল বিএনপির ঘাঁটি। ফেয়ার নির্বাচন হলে ধানের শীষ জিতবে।’
এ প্রসঙ্গে বরিশাল-৫ আসনের এমপি প্রার্থী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ইসলামী দলগুলো একটা বাক্সে ভোট দেব। সে অনুযায়ী আসনভিত্তিক সমঝোতা প্রক্রিয়াধীন।’ তিনি বলেন, ‘এটা ইসলামী আন্দোলনের আমিরের বাড়ি। যে কারণে বরিশালে হাতপাখার অনেক ভোট।’ সরোয়ার প্রসঙ্গে বলেন, ‘তিনি শক্ত প্রার্থী না হলে কেমনে হবে। আমরাও তো শক্ত প্রার্থীই চাই। আমি ২০০৮, ২০১৮, ২০২১ সালে এ আসনে প্রার্থী ছিলাম। জনগণের মোটিভ ঘুরে গেছে, চিন্তাভাবনায় পরিবর্তন এসেছে। যদি জনগণ চায়, তাহলে এ আসন থেকেই নির্বাচনে অংশ নেব।’
বরিশাল-৫ আসনের এমপি প্রার্থী জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুয়াযযম হোসাইন হেলাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচনে শেষ কথা বলতে কিছু নেই। রাজনীতির ময়দানে কী কথা হচ্ছে, তা সবাই জানে। নির্বাচন এলে অনেক কিছু জানা যাবে। আসনভিত্তিক জোট হয় কি না, তাও দেখবে জনগণ।’ তিনি সরোয়ার প্রসঙ্গে বলেন, ‘সরোয়ার ভাই কিংবা যে কেউ প্রার্থী হলে আমরা তাঁকে অভিনন্দন জানাই। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে দেখা যাবে ফল কী হবে।’
এ ব্যাপারে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেস্টা ও বরিশাল-৫ আসনের এমপি প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী থাকবেই। হাতপাখা আর দাঁড়িপাল্লা হয়তো জোট করবে। এ আসনে মানুষের উন্নয়ন ও কল্যাণ করেছি আমি। জনগণ তাই ধানের শীষে ভোট দিতে উন্মুখ।’ তিনি বলেন, মহানগরে ধানের শীষের ভোট বেশি। সদর উপজেলায় চরমোনাই পীরের বাড়ি হলেও সব সময় ধানের শীষ বেশি ভোট পেয়েছে।
খান রফিক, বরিশাল

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে আলোচিত আসন বরিশাল-৫ (নগর ও সদর)। এ আসনে বিএনপির প্রাথমিকভাবে মনোনীত প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার। তাই দীর্ঘ বছরের দূরত্ব থাকা নেতা-কর্মীদের কাছে টানতে নানা কৌশল অবলম্বন করছেন তিনি। ২০২১ সাল থেকে নগরের পদ হারিয়ে স্থানীয় বিএনপিতে কোণঠাসা ছিলেন সরোয়ার। ভোটের মাঠে এখন ঘর গোছানোর চিন্তার মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সামলানো সরোয়ারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এ আসনে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম দলীয় প্রার্থী। অপর দিকে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল বরিশাল-৫ আসনের প্রার্থী। আসনভিত্তিক সমঝোতা হলে ফয়জুল ও হেলালের মধ্যে কোনো একজন হবে সরোয়ারের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী; এমনটাই গুঞ্জন সর্বত্র।
শ্রমিক দলের নেতা থেকে আব্দুর রহমান বিশ্বাসের হাত ধরে রাজনীতিতে উঠে আসেন মজিবর রহমান সরোয়ার। এরপর একে একে বরিশাল-৫ আসনের এমপি, হুইপ, এমনকি সিটি মেয়রের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। জানা গেছে, সরোয়ার গত চার বছর কোণঠাসা ছিলেন। স্থানীয় বিএনপি এই চার বছরে কোনো কর্মসূচিতে ডাকত না তাঁকে। দলের মনোনয়ন পেয়ে এবার ঘুরে দাঁড়াতে চান সরোয়ার। বিরোধ থাকা নেতাদের ডেকে দফায় দফায় বৈঠক করছেন।
সরোয়ার অনুসারী মহানগর বিএনপির সাবেক বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক হোসেন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সব গ্রুপকে ডেকে সমন্বয় সভা করেছেন সরোয়ার ভাই। অতীতের ক্ষত তুললে সমাধান হয় না। নগর সভাপতি ফারুক ভাই তুলেছিলেন, আমরা বলেছি পেছনে আর নয়।’ তিনি বলেন, ‘এটা শুধু বিএনপির ঘাঁটি নয়, এটা অ্যান্টি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। ১০ দল জোট করলেও বরিশাল-৫ আসনে সরোয়ারকে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না।’ দলের মধ্যে চার বছরের অবিশ্বাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কিছু লোকজন মোনাফেকি করতে পারে। তবে বিএনপির নেতা-কর্মীর মধ্যে সরোয়ার ভাইয়ের প্রতি আস্থার ঘাটতি নেই।’
এদিকে গোটা নগরী ও সদর উপজেলায় ব্যাপক ব্যানার, পোস্টার, লিফলেট দিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন হাতপাখা ও দাঁড়িপাল্লার অনুসারীরা। চরমোনাই পীরের বাড়ি হওয়ায় অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
দলটির মিডিয়া উপকমিটির আহ্বায়ক ও অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নাসির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্ত হচ্ছে বরিশাল-৫ আসনে হাতপাখার প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। তা ছাড়া এই বরিশালে পীরের বাড়ি। তিনি দলের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা। যে কারণে জোটে ঝামেলা হবে না। আমরা মনে করি, এটা ইসলামী আন্দোলনের রাজধানী। বর্তমান প্রেক্ষাপটে হাতপাখার সদর ও নগরে ভোট বেড়েছে।’ তিনি বলেন, ‘ফয়জুল করীমের জাতীয় ও সিটি নির্বাচনে অভিজ্ঞতা থাকায় আমরা প্রতিপক্ষকে ছেড়ে দেব না।’
বরিশাল মহানগর জামায়াতের আমির জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এক বছর আগে আমাদের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা নির্বাচনের জন্য অ্যাডভোকেট হেলালকে নিয়ে কাজ করছি। তবে কেন্দ্র ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিলে সেভাবে এগিয়ে যাব। দেশের স্বার্থে আসন সমঝোতা হবে।’ চারবারের এমপি সরোয়ারের সঙ্গে ভোটে মোকাবিলা কীভাবে করবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক বাবর বলেন, ‘মানুষ নতুন কিছু চায়।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আশাবাদী। কারণ সারা দেশে তেমনটাই সাড়া পাচ্ছি। আমরা বহুদিন নির্বাচনে ছিলাম না। তারপরও ডোর টু ডোর যাচ্ছি। হেলাল ভাইয়ের সমর্থনে সাড়াও পাচ্ছি।’
তবে নগর বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, ‘দলের আহ্বানে ধানের শীষের প্রার্থী সরোয়ারের সঙ্গে আমরা মাঠে নেমেছি। কোন কোন দল এক হয়ে জোট করল, সেটা দেখার বিষয় না। বরিশাল বিএনপির ঘাঁটি। ফেয়ার নির্বাচন হলে ধানের শীষ জিতবে।’
এ প্রসঙ্গে বরিশাল-৫ আসনের এমপি প্রার্থী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ইসলামী দলগুলো একটা বাক্সে ভোট দেব। সে অনুযায়ী আসনভিত্তিক সমঝোতা প্রক্রিয়াধীন।’ তিনি বলেন, ‘এটা ইসলামী আন্দোলনের আমিরের বাড়ি। যে কারণে বরিশালে হাতপাখার অনেক ভোট।’ সরোয়ার প্রসঙ্গে বলেন, ‘তিনি শক্ত প্রার্থী না হলে কেমনে হবে। আমরাও তো শক্ত প্রার্থীই চাই। আমি ২০০৮, ২০১৮, ২০২১ সালে এ আসনে প্রার্থী ছিলাম। জনগণের মোটিভ ঘুরে গেছে, চিন্তাভাবনায় পরিবর্তন এসেছে। যদি জনগণ চায়, তাহলে এ আসন থেকেই নির্বাচনে অংশ নেব।’
বরিশাল-৫ আসনের এমপি প্রার্থী জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুয়াযযম হোসাইন হেলাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচনে শেষ কথা বলতে কিছু নেই। রাজনীতির ময়দানে কী কথা হচ্ছে, তা সবাই জানে। নির্বাচন এলে অনেক কিছু জানা যাবে। আসনভিত্তিক জোট হয় কি না, তাও দেখবে জনগণ।’ তিনি সরোয়ার প্রসঙ্গে বলেন, ‘সরোয়ার ভাই কিংবা যে কেউ প্রার্থী হলে আমরা তাঁকে অভিনন্দন জানাই। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে দেখা যাবে ফল কী হবে।’
এ ব্যাপারে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেস্টা ও বরিশাল-৫ আসনের এমপি প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী থাকবেই। হাতপাখা আর দাঁড়িপাল্লা হয়তো জোট করবে। এ আসনে মানুষের উন্নয়ন ও কল্যাণ করেছি আমি। জনগণ তাই ধানের শীষে ভোট দিতে উন্মুখ।’ তিনি বলেন, মহানগরে ধানের শীষের ভোট বেশি। সদর উপজেলায় চরমোনাই পীরের বাড়ি হলেও সব সময় ধানের শীষ বেশি ভোট পেয়েছে।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে আলোচিত আসন বরিশাল-৫ (নগর ও সদর)। এ আসনে বিএনপির প্রাথমিকভাবে মনোনীত প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার। তাই দীর্ঘ বছরের দূরত্ব থাকা নেতা-কর্মীদের কাছে টানতে নানা কৌশল অবলম্বন করছেন তিনি। ২০২১ সাল থেকে নগরের পদ হারিয়ে স্থানীয় বিএনপিতে কোণঠাসা ছিলেন সরোয়ার। ভোটের মাঠে এখন ঘর গোছানোর চিন্তার মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সামলানো সরোয়ারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এ আসনে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম দলীয় প্রার্থী। অপর দিকে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল বরিশাল-৫ আসনের প্রার্থী। আসনভিত্তিক সমঝোতা হলে ফয়জুল ও হেলালের মধ্যে কোনো একজন হবে সরোয়ারের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী; এমনটাই গুঞ্জন সর্বত্র।
শ্রমিক দলের নেতা থেকে আব্দুর রহমান বিশ্বাসের হাত ধরে রাজনীতিতে উঠে আসেন মজিবর রহমান সরোয়ার। এরপর একে একে বরিশাল-৫ আসনের এমপি, হুইপ, এমনকি সিটি মেয়রের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। জানা গেছে, সরোয়ার গত চার বছর কোণঠাসা ছিলেন। স্থানীয় বিএনপি এই চার বছরে কোনো কর্মসূচিতে ডাকত না তাঁকে। দলের মনোনয়ন পেয়ে এবার ঘুরে দাঁড়াতে চান সরোয়ার। বিরোধ থাকা নেতাদের ডেকে দফায় দফায় বৈঠক করছেন।
সরোয়ার অনুসারী মহানগর বিএনপির সাবেক বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক হোসেন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সব গ্রুপকে ডেকে সমন্বয় সভা করেছেন সরোয়ার ভাই। অতীতের ক্ষত তুললে সমাধান হয় না। নগর সভাপতি ফারুক ভাই তুলেছিলেন, আমরা বলেছি পেছনে আর নয়।’ তিনি বলেন, ‘এটা শুধু বিএনপির ঘাঁটি নয়, এটা অ্যান্টি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। ১০ দল জোট করলেও বরিশাল-৫ আসনে সরোয়ারকে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না।’ দলের মধ্যে চার বছরের অবিশ্বাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কিছু লোকজন মোনাফেকি করতে পারে। তবে বিএনপির নেতা-কর্মীর মধ্যে সরোয়ার ভাইয়ের প্রতি আস্থার ঘাটতি নেই।’
এদিকে গোটা নগরী ও সদর উপজেলায় ব্যাপক ব্যানার, পোস্টার, লিফলেট দিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন হাতপাখা ও দাঁড়িপাল্লার অনুসারীরা। চরমোনাই পীরের বাড়ি হওয়ায় অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
দলটির মিডিয়া উপকমিটির আহ্বায়ক ও অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নাসির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্ত হচ্ছে বরিশাল-৫ আসনে হাতপাখার প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। তা ছাড়া এই বরিশালে পীরের বাড়ি। তিনি দলের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা। যে কারণে জোটে ঝামেলা হবে না। আমরা মনে করি, এটা ইসলামী আন্দোলনের রাজধানী। বর্তমান প্রেক্ষাপটে হাতপাখার সদর ও নগরে ভোট বেড়েছে।’ তিনি বলেন, ‘ফয়জুল করীমের জাতীয় ও সিটি নির্বাচনে অভিজ্ঞতা থাকায় আমরা প্রতিপক্ষকে ছেড়ে দেব না।’
বরিশাল মহানগর জামায়াতের আমির জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এক বছর আগে আমাদের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা নির্বাচনের জন্য অ্যাডভোকেট হেলালকে নিয়ে কাজ করছি। তবে কেন্দ্র ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিলে সেভাবে এগিয়ে যাব। দেশের স্বার্থে আসন সমঝোতা হবে।’ চারবারের এমপি সরোয়ারের সঙ্গে ভোটে মোকাবিলা কীভাবে করবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক বাবর বলেন, ‘মানুষ নতুন কিছু চায়।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আশাবাদী। কারণ সারা দেশে তেমনটাই সাড়া পাচ্ছি। আমরা বহুদিন নির্বাচনে ছিলাম না। তারপরও ডোর টু ডোর যাচ্ছি। হেলাল ভাইয়ের সমর্থনে সাড়াও পাচ্ছি।’
তবে নগর বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, ‘দলের আহ্বানে ধানের শীষের প্রার্থী সরোয়ারের সঙ্গে আমরা মাঠে নেমেছি। কোন কোন দল এক হয়ে জোট করল, সেটা দেখার বিষয় না। বরিশাল বিএনপির ঘাঁটি। ফেয়ার নির্বাচন হলে ধানের শীষ জিতবে।’
এ প্রসঙ্গে বরিশাল-৫ আসনের এমপি প্রার্থী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ইসলামী দলগুলো একটা বাক্সে ভোট দেব। সে অনুযায়ী আসনভিত্তিক সমঝোতা প্রক্রিয়াধীন।’ তিনি বলেন, ‘এটা ইসলামী আন্দোলনের আমিরের বাড়ি। যে কারণে বরিশালে হাতপাখার অনেক ভোট।’ সরোয়ার প্রসঙ্গে বলেন, ‘তিনি শক্ত প্রার্থী না হলে কেমনে হবে। আমরাও তো শক্ত প্রার্থীই চাই। আমি ২০০৮, ২০১৮, ২০২১ সালে এ আসনে প্রার্থী ছিলাম। জনগণের মোটিভ ঘুরে গেছে, চিন্তাভাবনায় পরিবর্তন এসেছে। যদি জনগণ চায়, তাহলে এ আসন থেকেই নির্বাচনে অংশ নেব।’
বরিশাল-৫ আসনের এমপি প্রার্থী জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুয়াযযম হোসাইন হেলাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচনে শেষ কথা বলতে কিছু নেই। রাজনীতির ময়দানে কী কথা হচ্ছে, তা সবাই জানে। নির্বাচন এলে অনেক কিছু জানা যাবে। আসনভিত্তিক জোট হয় কি না, তাও দেখবে জনগণ।’ তিনি সরোয়ার প্রসঙ্গে বলেন, ‘সরোয়ার ভাই কিংবা যে কেউ প্রার্থী হলে আমরা তাঁকে অভিনন্দন জানাই। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে দেখা যাবে ফল কী হবে।’
এ ব্যাপারে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেস্টা ও বরিশাল-৫ আসনের এমপি প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী থাকবেই। হাতপাখা আর দাঁড়িপাল্লা হয়তো জোট করবে। এ আসনে মানুষের উন্নয়ন ও কল্যাণ করেছি আমি। জনগণ তাই ধানের শীষে ভোট দিতে উন্মুখ।’ তিনি বলেন, মহানগরে ধানের শীষের ভোট বেশি। সদর উপজেলায় চরমোনাই পীরের বাড়ি হলেও সব সময় ধানের শীষ বেশি ভোট পেয়েছে।

আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
১ মিনিট আগে
মেহেরপুরের গাংনীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকেশ আহমেদ নামের একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাকেশ আহমেদ উপজেলার তেরাইল গ্রামের মো. কামরুল ইসলামের ছেলে।
১৩ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।
১ ঘণ্টা আগেমুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালপত্র লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার দিবাগত রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চান্দেরচর গ্রামের কুয়েতপ্রবাসী মো. আল-আমিনের ডুপ্লেক্স বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। নৌপথে ট্রলারযোগে এসে ১২-১৫ জন মুখোশ পরা ডাকাত এই ডাকাতি করে।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, কুয়েত থেকে দেশে ফেরার মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় ডাকাতির কবলে পড়েন মো. আল-আমিন। ডাকাতেরা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে এবং একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পরিবারের সদস্যদের আতঙ্কিত করে তোলে। এ সময় তারা আনুমানিক ২৬ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ প্রায় ৫ লাখ টাকা, কুয়েতি মুদ্রা প্রায় ১০০ দিনার এবং দুটি মোবাইল ফোন লুট করে নেয়। লুট হওয়া মালপত্রের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করা হয়েছে। ফুটেজে ১০-১৫ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দলকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আ. হান্নান বলেন, ‘ডাকাতির খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অন্য কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে রয়েছেন। এই ঘটনায় আমরা তদন্ত শুরু করেছি। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাকাতদের শনাক্ত করতে পারব। তবে এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা হয়নি।’

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালপত্র লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার দিবাগত রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চান্দেরচর গ্রামের কুয়েতপ্রবাসী মো. আল-আমিনের ডুপ্লেক্স বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। নৌপথে ট্রলারযোগে এসে ১২-১৫ জন মুখোশ পরা ডাকাত এই ডাকাতি করে।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, কুয়েত থেকে দেশে ফেরার মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় ডাকাতির কবলে পড়েন মো. আল-আমিন। ডাকাতেরা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে এবং একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পরিবারের সদস্যদের আতঙ্কিত করে তোলে। এ সময় তারা আনুমানিক ২৬ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ প্রায় ৫ লাখ টাকা, কুয়েতি মুদ্রা প্রায় ১০০ দিনার এবং দুটি মোবাইল ফোন লুট করে নেয়। লুট হওয়া মালপত্রের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করা হয়েছে। ফুটেজে ১০-১৫ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দলকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আ. হান্নান বলেন, ‘ডাকাতির খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অন্য কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে রয়েছেন। এই ঘটনায় আমরা তদন্ত শুরু করেছি। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাকাতদের শনাক্ত করতে পারব। তবে এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা হয়নি।’

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে আলোচিত আসন বরিশাল-৫ (নগর ও সদর)। এ আসনে বিএনপির প্রাথমিকভাবে মনোনীত প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার। তাই দীর্ঘ বছরের দূরত্ব থাকা নেতা-কর্মীদের কাছে টানতে নানা কৌশল অবলম্বন করছেন তিনি।
১৪ দিন আগে
মেহেরপুরের গাংনীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকেশ আহমেদ নামের একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাকেশ আহমেদ উপজেলার তেরাইল গ্রামের মো. কামরুল ইসলামের ছেলে।
১৩ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।
১ ঘণ্টা আগেগাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি

মেহেরপুরের গাংনীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকেশ আহমেদ নামের একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাকেশ আহমেদ উপজেলার তেরাইল গ্রামের মো. কামরুল ইসলামের ছেলে। সে স্থানীয় বামন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
আহত ব্যক্তিরা হলো মেহেরপুর মল্লিকপাড়ার আব্দুল বাকির ছেলে অভিক আহমেদ (২৮) ও বামন্দী মিনকুল ইসলামের ছেলে শয়ন আলী (১৬)।
প্রত্যক্ষদর্শী হাসেম আলী বলেন, দুটি মোটরসাইকেল বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর কর হয়। একজন স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
বামন্দী সেন্ট্রাল হাসপাতালের চিকিৎসক মাহফুজুর রহমান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়া রাকেশ আহমেদ নামের একজন মারা গেছে। হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। আহত একজনকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আরেকজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম কুমার দাস বলেন, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

মেহেরপুরের গাংনীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকেশ আহমেদ নামের একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাকেশ আহমেদ উপজেলার তেরাইল গ্রামের মো. কামরুল ইসলামের ছেলে। সে স্থানীয় বামন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
আহত ব্যক্তিরা হলো মেহেরপুর মল্লিকপাড়ার আব্দুল বাকির ছেলে অভিক আহমেদ (২৮) ও বামন্দী মিনকুল ইসলামের ছেলে শয়ন আলী (১৬)।
প্রত্যক্ষদর্শী হাসেম আলী বলেন, দুটি মোটরসাইকেল বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর কর হয়। একজন স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
বামন্দী সেন্ট্রাল হাসপাতালের চিকিৎসক মাহফুজুর রহমান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়া রাকেশ আহমেদ নামের একজন মারা গেছে। হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। আহত একজনকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আরেকজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম কুমার দাস বলেন, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে আলোচিত আসন বরিশাল-৫ (নগর ও সদর)। এ আসনে বিএনপির প্রাথমিকভাবে মনোনীত প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার। তাই দীর্ঘ বছরের দূরত্ব থাকা নেতা-কর্মীদের কাছে টানতে নানা কৌশল অবলম্বন করছেন তিনি।
১৪ দিন আগে
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
১ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।
১ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি সূত্র জানায়, সীমান্ত এলাকায় নিজস্ব গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ব্যাটালিয়ন সদর ও বিওপির নিয়মিত টহলের পাশাপাশি বিশেষ টহল দল মোতায়েন করে সীমান্তবর্তী গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বিশেষ টহলের অংশ হিসেবে সীমান্ত এলাকায় চলাচলকারী যানবাহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।
এ ছাড়া ব্যাটালিয়নের অধীন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে (আইসিপি) নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। আইসিপি দিয়ে যাতায়াতকারী যানবাহন ও যাত্রীদের নিবিড়ভাবে তল্লাশি করা হচ্ছে। পাশাপাশি কে-৯ ইউনিটের (ডগ স্কোয়াড) মাধ্যমে বিশেষ তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ কায়েস বলেন, ‘আমাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা দিয়ে কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে পার্শ্ববর্তী দেশে পালাতে না পারে, সে বিষয়ে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি সীমান্ত নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে।’

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি সূত্র জানায়, সীমান্ত এলাকায় নিজস্ব গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ব্যাটালিয়ন সদর ও বিওপির নিয়মিত টহলের পাশাপাশি বিশেষ টহল দল মোতায়েন করে সীমান্তবর্তী গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বিশেষ টহলের অংশ হিসেবে সীমান্ত এলাকায় চলাচলকারী যানবাহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।
এ ছাড়া ব্যাটালিয়নের অধীন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে (আইসিপি) নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। আইসিপি দিয়ে যাতায়াতকারী যানবাহন ও যাত্রীদের নিবিড়ভাবে তল্লাশি করা হচ্ছে। পাশাপাশি কে-৯ ইউনিটের (ডগ স্কোয়াড) মাধ্যমে বিশেষ তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ কায়েস বলেন, ‘আমাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা দিয়ে কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে পার্শ্ববর্তী দেশে পালাতে না পারে, সে বিষয়ে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি সীমান্ত নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে।’

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে আলোচিত আসন বরিশাল-৫ (নগর ও সদর)। এ আসনে বিএনপির প্রাথমিকভাবে মনোনীত প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার। তাই দীর্ঘ বছরের দূরত্ব থাকা নেতা-কর্মীদের কাছে টানতে নানা কৌশল অবলম্বন করছেন তিনি।
১৪ দিন আগে
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
১ মিনিট আগে
মেহেরপুরের গাংনীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকেশ আহমেদ নামের একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাকেশ আহমেদ উপজেলার তেরাইল গ্রামের মো. কামরুল ইসলামের ছেলে।
১৩ মিনিট আগে
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।
১ ঘণ্টা আগেভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।
বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী দায়ের করা পাঁচটি পৃথক মামলায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে ৫০ হাজার টাকা করে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সিরাজগঞ্জের অছির আলীর ছেলে ইজতেহার (৫০), নড়াইলের দাউদ মোল্লার ছেলে নুর মোহাম্মদ (৩৬), বরগুনার নাসির খানের ছেলে হাসান (২৪), ভূঞাপুরের মোকতেল হোসেনের ছেলে করিম (৩৫) ও সানু মিয়ার ছেলে জহুরুল (৩০)।
এ সময় ভূঞাপুর থানা-পুলিশ, নৌ পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুব হাসান বলেন, যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে পাঁচজনকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন রোধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।
বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী দায়ের করা পাঁচটি পৃথক মামলায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে ৫০ হাজার টাকা করে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সিরাজগঞ্জের অছির আলীর ছেলে ইজতেহার (৫০), নড়াইলের দাউদ মোল্লার ছেলে নুর মোহাম্মদ (৩৬), বরগুনার নাসির খানের ছেলে হাসান (২৪), ভূঞাপুরের মোকতেল হোসেনের ছেলে করিম (৩৫) ও সানু মিয়ার ছেলে জহুরুল (৩০)।
এ সময় ভূঞাপুর থানা-পুলিশ, নৌ পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুব হাসান বলেন, যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে পাঁচজনকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন রোধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে আলোচিত আসন বরিশাল-৫ (নগর ও সদর)। এ আসনে বিএনপির প্রাথমিকভাবে মনোনীত প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার। তাই দীর্ঘ বছরের দূরত্ব থাকা নেতা-কর্মীদের কাছে টানতে নানা কৌশল অবলম্বন করছেন তিনি।
১৪ দিন আগে
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
১ মিনিট আগে
মেহেরপুরের গাংনীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকেশ আহমেদ নামের একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাকেশ আহমেদ উপজেলার তেরাইল গ্রামের মো. কামরুল ইসলামের ছেলে।
১৩ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১ ঘণ্টা আগে