বরগুনা ও আমতলী প্রতিনিধি

আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে বরগুনার আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে আমতলী উপজেলা প্রশাসন ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা।
আজ রোববার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ আবু জাহের অননুমোদিত সভার কার্যক্রম বন্ধ করে দেন।
আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রোববার সকাল ১০টার দিকে বিশেষ বর্ধিত সভার আয়োজন করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। সকাল ১০ টায় পৌর শহরের আব্দুল্লাহ মার্কেটে সভা শুরু হয়। দলীয় সভা হলেও সভা স্থানে ছয়টি মাইক ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও সভা সফল করতে গুলিশাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাড. এইচএম মনিরুল ইসলাম মনি, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সোবাহান লিটন ও পৌর কাউন্সিলর রিয়াজ উদ্দিন মৃধাসহ অন্যদের নেতৃত্বে বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজারো লোক মিছিল নিয়ে সভাস্থলে আসেন।
সভার শুরুতে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মেয়র মতিয়ার রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশ যারা নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করছেন তাদের তালিকা করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকবে না, অন্যান্য প্রার্থীদের সঙ্গে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।’
বরগুনা-১ (আমতলী-তালতলী ও বরগুনা সদর) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু উপস্থিতিতেই তিনি এমন বক্তব্য দেন।
বর্ধিত সভার নামে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর প্রচারণা সভা ও উসকানিমূলক বক্তব্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সরোয়ার ফোরকান সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আচরণবিধি লঙ্ঘনের মৌখিক অভিযোগ করেন।
অননুমোদিত সভা করে জনসমাগম ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের খবর পেয়ে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও যুগ্ম জেলা জজ আহম্মদ সাইদ সভাস্থালে উপস্থিত হন। তার নির্দেশে আচরণবিধি লঙ্ঘিত হওয়ায় সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বর্ধিত সভার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেন।
পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ আবু জাহের সভাস্থলে উপস্থিত হয়ে কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। পরে সংক্ষিপ্ত পরিসরে মাইক বাদ দিয় তরিঘরি করে সভা শেষ করা হয়। এ ঘটনার পর স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সরোয়ার ফোরকান প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এতে মতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে ‘১৮ তারিখের পরে কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মাঠে থাকবে না, যদি থাকে তাদের পিটিয়ে নির্বাচনী মাঠ থেকে বিতারিত করা হবে, এমনকি কোনো এজেন্টও দিতে পারবে না’ এমন উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ায় শাস্তির দাবি জানানো হয়।
স্বতন্ত্র প্রার্থী বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগ সাবেক সদস্য গোলাম সরোয়ার ফোরকান বলেন, ‘উপজেলা আওয়ামী লীগ বর্ধিত সভার নামে আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে। দলীয় নেতা কর্মীরা মিছিল নিয়ে সভামঞ্চে এসেছেন। এটা আচরণবিধির চরম লঙ্ঘন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আচরণবিধিতে মাইক ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তারা তা মানছেন না। অনেক মাইক ব্যবহার করে বর্ধিত সভা করেছেন। ওই সভায় মেয়র মতিয়ার রহমান স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকবে না বলে হুমকি দেন। এটা আচরণবিধির চরম লঙ্ঘন।’ এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান বলেন, ‘বিশেষ বর্ধিত সভা আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ সভা ছিল। ওই সভায় প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়া হয়নি বা আচরণবিধি লঙ্ঘন হয় এমন কোনো কার্যক্রম করা হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসন আমাদের মাইক ব্যবহার বন্ধ করতে ও জন সমাগম কমাতে বলেছেন। আমরা প্রশাসনের নির্দেশ মত মাইক বন্ধ করেছি।’ পরবর্তীতে সংক্ষিপ্ত পরিসরে সভার কার্যক্রম শেষ করেছি।
আমতলী উপজেলা সহকারী কমিশনা (ভূমি) আব্দুল্লাহ আবু জাহের আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অননুমোদিত নির্বাচনী সভায় জনসমাগম, আচরণবিধি লঙ্ঘন ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ায় সভার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছি।’
নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির ১০৯ বরগুনা-১, চেয়ারম্যান ও যুগ্ম জেলা জজ আহম্মদ সাইদ বলেন, ‘আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারনে উপজেলা প্রশাসনকে সভার কার্যক্রম বন্ধের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ দিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ ব্যাপারে পরবর্তীতে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে বরগুনার আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে আমতলী উপজেলা প্রশাসন ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা।
আজ রোববার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ আবু জাহের অননুমোদিত সভার কার্যক্রম বন্ধ করে দেন।
আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রোববার সকাল ১০টার দিকে বিশেষ বর্ধিত সভার আয়োজন করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। সকাল ১০ টায় পৌর শহরের আব্দুল্লাহ মার্কেটে সভা শুরু হয়। দলীয় সভা হলেও সভা স্থানে ছয়টি মাইক ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও সভা সফল করতে গুলিশাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাড. এইচএম মনিরুল ইসলাম মনি, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সোবাহান লিটন ও পৌর কাউন্সিলর রিয়াজ উদ্দিন মৃধাসহ অন্যদের নেতৃত্বে বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজারো লোক মিছিল নিয়ে সভাস্থলে আসেন।
সভার শুরুতে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মেয়র মতিয়ার রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশ যারা নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করছেন তাদের তালিকা করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকবে না, অন্যান্য প্রার্থীদের সঙ্গে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।’
বরগুনা-১ (আমতলী-তালতলী ও বরগুনা সদর) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু উপস্থিতিতেই তিনি এমন বক্তব্য দেন।
বর্ধিত সভার নামে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর প্রচারণা সভা ও উসকানিমূলক বক্তব্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সরোয়ার ফোরকান সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আচরণবিধি লঙ্ঘনের মৌখিক অভিযোগ করেন।
অননুমোদিত সভা করে জনসমাগম ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের খবর পেয়ে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও যুগ্ম জেলা জজ আহম্মদ সাইদ সভাস্থালে উপস্থিত হন। তার নির্দেশে আচরণবিধি লঙ্ঘিত হওয়ায় সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বর্ধিত সভার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেন।
পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ আবু জাহের সভাস্থলে উপস্থিত হয়ে কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। পরে সংক্ষিপ্ত পরিসরে মাইক বাদ দিয় তরিঘরি করে সভা শেষ করা হয়। এ ঘটনার পর স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সরোয়ার ফোরকান প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এতে মতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে ‘১৮ তারিখের পরে কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মাঠে থাকবে না, যদি থাকে তাদের পিটিয়ে নির্বাচনী মাঠ থেকে বিতারিত করা হবে, এমনকি কোনো এজেন্টও দিতে পারবে না’ এমন উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ায় শাস্তির দাবি জানানো হয়।
স্বতন্ত্র প্রার্থী বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগ সাবেক সদস্য গোলাম সরোয়ার ফোরকান বলেন, ‘উপজেলা আওয়ামী লীগ বর্ধিত সভার নামে আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে। দলীয় নেতা কর্মীরা মিছিল নিয়ে সভামঞ্চে এসেছেন। এটা আচরণবিধির চরম লঙ্ঘন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আচরণবিধিতে মাইক ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তারা তা মানছেন না। অনেক মাইক ব্যবহার করে বর্ধিত সভা করেছেন। ওই সভায় মেয়র মতিয়ার রহমান স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকবে না বলে হুমকি দেন। এটা আচরণবিধির চরম লঙ্ঘন।’ এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান বলেন, ‘বিশেষ বর্ধিত সভা আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ সভা ছিল। ওই সভায় প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়া হয়নি বা আচরণবিধি লঙ্ঘন হয় এমন কোনো কার্যক্রম করা হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসন আমাদের মাইক ব্যবহার বন্ধ করতে ও জন সমাগম কমাতে বলেছেন। আমরা প্রশাসনের নির্দেশ মত মাইক বন্ধ করেছি।’ পরবর্তীতে সংক্ষিপ্ত পরিসরে সভার কার্যক্রম শেষ করেছি।
আমতলী উপজেলা সহকারী কমিশনা (ভূমি) আব্দুল্লাহ আবু জাহের আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অননুমোদিত নির্বাচনী সভায় জনসমাগম, আচরণবিধি লঙ্ঘন ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ায় সভার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছি।’
নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির ১০৯ বরগুনা-১, চেয়ারম্যান ও যুগ্ম জেলা জজ আহম্মদ সাইদ বলেন, ‘আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারনে উপজেলা প্রশাসনকে সভার কার্যক্রম বন্ধের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ দিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ ব্যাপারে পরবর্তীতে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বরগুনা ও আমতলী প্রতিনিধি

আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে বরগুনার আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে আমতলী উপজেলা প্রশাসন ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা।
আজ রোববার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ আবু জাহের অননুমোদিত সভার কার্যক্রম বন্ধ করে দেন।
আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রোববার সকাল ১০টার দিকে বিশেষ বর্ধিত সভার আয়োজন করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। সকাল ১০ টায় পৌর শহরের আব্দুল্লাহ মার্কেটে সভা শুরু হয়। দলীয় সভা হলেও সভা স্থানে ছয়টি মাইক ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও সভা সফল করতে গুলিশাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাড. এইচএম মনিরুল ইসলাম মনি, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সোবাহান লিটন ও পৌর কাউন্সিলর রিয়াজ উদ্দিন মৃধাসহ অন্যদের নেতৃত্বে বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজারো লোক মিছিল নিয়ে সভাস্থলে আসেন।
সভার শুরুতে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মেয়র মতিয়ার রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশ যারা নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করছেন তাদের তালিকা করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকবে না, অন্যান্য প্রার্থীদের সঙ্গে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।’
বরগুনা-১ (আমতলী-তালতলী ও বরগুনা সদর) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু উপস্থিতিতেই তিনি এমন বক্তব্য দেন।
বর্ধিত সভার নামে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর প্রচারণা সভা ও উসকানিমূলক বক্তব্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সরোয়ার ফোরকান সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আচরণবিধি লঙ্ঘনের মৌখিক অভিযোগ করেন।
অননুমোদিত সভা করে জনসমাগম ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের খবর পেয়ে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও যুগ্ম জেলা জজ আহম্মদ সাইদ সভাস্থালে উপস্থিত হন। তার নির্দেশে আচরণবিধি লঙ্ঘিত হওয়ায় সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বর্ধিত সভার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেন।
পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ আবু জাহের সভাস্থলে উপস্থিত হয়ে কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। পরে সংক্ষিপ্ত পরিসরে মাইক বাদ দিয় তরিঘরি করে সভা শেষ করা হয়। এ ঘটনার পর স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সরোয়ার ফোরকান প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এতে মতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে ‘১৮ তারিখের পরে কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মাঠে থাকবে না, যদি থাকে তাদের পিটিয়ে নির্বাচনী মাঠ থেকে বিতারিত করা হবে, এমনকি কোনো এজেন্টও দিতে পারবে না’ এমন উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ায় শাস্তির দাবি জানানো হয়।
স্বতন্ত্র প্রার্থী বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগ সাবেক সদস্য গোলাম সরোয়ার ফোরকান বলেন, ‘উপজেলা আওয়ামী লীগ বর্ধিত সভার নামে আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে। দলীয় নেতা কর্মীরা মিছিল নিয়ে সভামঞ্চে এসেছেন। এটা আচরণবিধির চরম লঙ্ঘন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আচরণবিধিতে মাইক ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তারা তা মানছেন না। অনেক মাইক ব্যবহার করে বর্ধিত সভা করেছেন। ওই সভায় মেয়র মতিয়ার রহমান স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকবে না বলে হুমকি দেন। এটা আচরণবিধির চরম লঙ্ঘন।’ এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান বলেন, ‘বিশেষ বর্ধিত সভা আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ সভা ছিল। ওই সভায় প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়া হয়নি বা আচরণবিধি লঙ্ঘন হয় এমন কোনো কার্যক্রম করা হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসন আমাদের মাইক ব্যবহার বন্ধ করতে ও জন সমাগম কমাতে বলেছেন। আমরা প্রশাসনের নির্দেশ মত মাইক বন্ধ করেছি।’ পরবর্তীতে সংক্ষিপ্ত পরিসরে সভার কার্যক্রম শেষ করেছি।
আমতলী উপজেলা সহকারী কমিশনা (ভূমি) আব্দুল্লাহ আবু জাহের আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অননুমোদিত নির্বাচনী সভায় জনসমাগম, আচরণবিধি লঙ্ঘন ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ায় সভার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছি।’
নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির ১০৯ বরগুনা-১, চেয়ারম্যান ও যুগ্ম জেলা জজ আহম্মদ সাইদ বলেন, ‘আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারনে উপজেলা প্রশাসনকে সভার কার্যক্রম বন্ধের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ দিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ ব্যাপারে পরবর্তীতে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে বরগুনার আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে আমতলী উপজেলা প্রশাসন ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা।
আজ রোববার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ আবু জাহের অননুমোদিত সভার কার্যক্রম বন্ধ করে দেন।
আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রোববার সকাল ১০টার দিকে বিশেষ বর্ধিত সভার আয়োজন করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। সকাল ১০ টায় পৌর শহরের আব্দুল্লাহ মার্কেটে সভা শুরু হয়। দলীয় সভা হলেও সভা স্থানে ছয়টি মাইক ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও সভা সফল করতে গুলিশাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাড. এইচএম মনিরুল ইসলাম মনি, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সোবাহান লিটন ও পৌর কাউন্সিলর রিয়াজ উদ্দিন মৃধাসহ অন্যদের নেতৃত্বে বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজারো লোক মিছিল নিয়ে সভাস্থলে আসেন।
সভার শুরুতে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মেয়র মতিয়ার রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশ যারা নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করছেন তাদের তালিকা করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকবে না, অন্যান্য প্রার্থীদের সঙ্গে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।’
বরগুনা-১ (আমতলী-তালতলী ও বরগুনা সদর) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু উপস্থিতিতেই তিনি এমন বক্তব্য দেন।
বর্ধিত সভার নামে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর প্রচারণা সভা ও উসকানিমূলক বক্তব্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সরোয়ার ফোরকান সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আচরণবিধি লঙ্ঘনের মৌখিক অভিযোগ করেন।
অননুমোদিত সভা করে জনসমাগম ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের খবর পেয়ে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও যুগ্ম জেলা জজ আহম্মদ সাইদ সভাস্থালে উপস্থিত হন। তার নির্দেশে আচরণবিধি লঙ্ঘিত হওয়ায় সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বর্ধিত সভার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেন।
পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ আবু জাহের সভাস্থলে উপস্থিত হয়ে কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। পরে সংক্ষিপ্ত পরিসরে মাইক বাদ দিয় তরিঘরি করে সভা শেষ করা হয়। এ ঘটনার পর স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সরোয়ার ফোরকান প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এতে মতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে ‘১৮ তারিখের পরে কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মাঠে থাকবে না, যদি থাকে তাদের পিটিয়ে নির্বাচনী মাঠ থেকে বিতারিত করা হবে, এমনকি কোনো এজেন্টও দিতে পারবে না’ এমন উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ায় শাস্তির দাবি জানানো হয়।
স্বতন্ত্র প্রার্থী বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগ সাবেক সদস্য গোলাম সরোয়ার ফোরকান বলেন, ‘উপজেলা আওয়ামী লীগ বর্ধিত সভার নামে আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে। দলীয় নেতা কর্মীরা মিছিল নিয়ে সভামঞ্চে এসেছেন। এটা আচরণবিধির চরম লঙ্ঘন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আচরণবিধিতে মাইক ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তারা তা মানছেন না। অনেক মাইক ব্যবহার করে বর্ধিত সভা করেছেন। ওই সভায় মেয়র মতিয়ার রহমান স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকবে না বলে হুমকি দেন। এটা আচরণবিধির চরম লঙ্ঘন।’ এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান বলেন, ‘বিশেষ বর্ধিত সভা আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ সভা ছিল। ওই সভায় প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়া হয়নি বা আচরণবিধি লঙ্ঘন হয় এমন কোনো কার্যক্রম করা হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসন আমাদের মাইক ব্যবহার বন্ধ করতে ও জন সমাগম কমাতে বলেছেন। আমরা প্রশাসনের নির্দেশ মত মাইক বন্ধ করেছি।’ পরবর্তীতে সংক্ষিপ্ত পরিসরে সভার কার্যক্রম শেষ করেছি।
আমতলী উপজেলা সহকারী কমিশনা (ভূমি) আব্দুল্লাহ আবু জাহের আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অননুমোদিত নির্বাচনী সভায় জনসমাগম, আচরণবিধি লঙ্ঘন ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ায় সভার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছি।’
নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির ১০৯ বরগুনা-১, চেয়ারম্যান ও যুগ্ম জেলা জজ আহম্মদ সাইদ বলেন, ‘আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারনে উপজেলা প্রশাসনকে সভার কার্যক্রম বন্ধের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ দিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ ব্যাপারে পরবর্তীতে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়ে টানা পাঁচ দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাতের কনকনে ঠান্ডা হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বাড়লেও দিনে ঝলমলে রোদে স্বস্তি পাচ্ছেন মানুষ। তবে ভোর ও রাতে শীতের দাপটে জনজীবন কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।
১৫ মিনিট আগে
আহত সেনা কর্মকর্তার বড় বোন শামীমা আক্তার মোবাইল ফোনে জানান, সন্ত্রাসী হামলায় স্প্লিন্টারের আঘাতে খালেকুজ্জামানের বাঁ হাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে তাঁর অবস্থা গুরুতর নয়। ঘটনার পরপরই হেলিকপ্টারে করে তাঁকে আবি শহরের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
১৮ মিনিট আগে
ভিটেবাড়ি ও ফসলি জমি একে একে নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় এখন আব্দুল রাজ্জাক দম্পতি কার্যত আশ্রয়হীন। একসময় যাঁর নিজের জমি ছিল, আজ তিনি অন্যের দেওয়া সামান্য জমিতে মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজছেন।
২০ মিনিট আগে
খুলনার পূর্ব রূপসায় দুর্বৃত্তের গুলিতে সাগর শেখ (৩৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রাত ১১টার দিকে রূপসা সেতুর পূর্বপাশে জাপুসা চৌরাস্তা সিএনজি স্টেশনের পাশে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক গ্রিন বাংলা আবাসিকের পেছনের বাসিন্দা ফয়েক শেখের ছেলে। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রূপসা থানার এসআই সৌরভ দাশ।
২৪ মিনিট আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়ে টানা পাঁচ দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাতের কনকনে ঠান্ডা হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বাড়লেও দিনে ঝলমলে রোদে স্বস্তি পাচ্ছেন মানুষ। তবে ভোর ও রাতে শীতের দাপটে জনজীবন কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯ থেকে ১০ কিলোমিটার, যা শীতের অনুভূতিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কুয়াশাহীন ভোরে সূর্যের ঝলমলে আলোয় প্রকৃতি স্নিগ্ধ হয়ে উঠেছে। রোদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে স্বাভাবিক কর্মচাঞ্চল্যও লক্ষ্য করা গেছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের তথ্যে জানা যায়, গত এক সপ্তাহে তাপমাত্রায় ওঠানামা দেখা গেছে। আজ সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে রোববার ও শনিবার ৯ দশমিক ৩, শুক্রবার ৯ দশমিক ৫, বৃহস্পতিবার ৮ দশমিক ৯, বুধবার ও মঙ্গলবার ১০ দশমিক ৭ এবং আগের সোমবার ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। গতকাল রোববার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংজ্ঞা অনুযায়ী, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি হলে মাঝারি এবং ৬ ডিগ্রির নিচে নামলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে গণ্য করা হয়। সে হিসেবে বর্তমানে তেঁতুলিয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, কয়েক দিনে জেলার তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমছে। বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় শীতের অনুভূতি আরও তীব্র হচ্ছে। পরিস্থিতি আরও কয়েক দিন স্থায়ী হতে পারে। রাত ও ভোরে তাপমাত্রা আরও কমে শীতের দাপট বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।

উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়ে টানা পাঁচ দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাতের কনকনে ঠান্ডা হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বাড়লেও দিনে ঝলমলে রোদে স্বস্তি পাচ্ছেন মানুষ। তবে ভোর ও রাতে শীতের দাপটে জনজীবন কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯ থেকে ১০ কিলোমিটার, যা শীতের অনুভূতিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কুয়াশাহীন ভোরে সূর্যের ঝলমলে আলোয় প্রকৃতি স্নিগ্ধ হয়ে উঠেছে। রোদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে স্বাভাবিক কর্মচাঞ্চল্যও লক্ষ্য করা গেছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের তথ্যে জানা যায়, গত এক সপ্তাহে তাপমাত্রায় ওঠানামা দেখা গেছে। আজ সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে রোববার ও শনিবার ৯ দশমিক ৩, শুক্রবার ৯ দশমিক ৫, বৃহস্পতিবার ৮ দশমিক ৯, বুধবার ও মঙ্গলবার ১০ দশমিক ৭ এবং আগের সোমবার ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। গতকাল রোববার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংজ্ঞা অনুযায়ী, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি হলে মাঝারি এবং ৬ ডিগ্রির নিচে নামলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে গণ্য করা হয়। সে হিসেবে বর্তমানে তেঁতুলিয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, কয়েক দিনে জেলার তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমছে। বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় শীতের অনুভূতি আরও তীব্র হচ্ছে। পরিস্থিতি আরও কয়েক দিন স্থায়ী হতে পারে। রাত ও ভোরে তাপমাত্রা আরও কমে শীতের দাপট বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।

আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে বরগুনার আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে আমতলী উপজেলা প্রশাসন ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা।
১০ ডিসেম্বর ২০২৩
আহত সেনা কর্মকর্তার বড় বোন শামীমা আক্তার মোবাইল ফোনে জানান, সন্ত্রাসী হামলায় স্প্লিন্টারের আঘাতে খালেকুজ্জামানের বাঁ হাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে তাঁর অবস্থা গুরুতর নয়। ঘটনার পরপরই হেলিকপ্টারে করে তাঁকে আবি শহরের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
১৮ মিনিট আগে
ভিটেবাড়ি ও ফসলি জমি একে একে নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় এখন আব্দুল রাজ্জাক দম্পতি কার্যত আশ্রয়হীন। একসময় যাঁর নিজের জমি ছিল, আজ তিনি অন্যের দেওয়া সামান্য জমিতে মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজছেন।
২০ মিনিট আগে
খুলনার পূর্ব রূপসায় দুর্বৃত্তের গুলিতে সাগর শেখ (৩৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রাত ১১টার দিকে রূপসা সেতুর পূর্বপাশে জাপুসা চৌরাস্তা সিএনজি স্টেশনের পাশে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক গ্রিন বাংলা আবাসিকের পেছনের বাসিন্দা ফয়েক শেখের ছেলে। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রূপসা থানার এসআই সৌরভ দাশ।
২৪ মিনিট আগেকুষ্টিয়া প্রতিনিধি

সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সন্ত্রাসী হামলায় আহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লে. কর্নেল খালেকুজ্জামানের পরিবার দিন কাটাচ্ছে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায়। তাঁর বাড়ি কুষ্টিয়া শহরের ঈদগাহ পাড়ায়।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তিনি সুদানে শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দেন। এর আগে তিনি বগুড়া ক্যান্টনমেন্টে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার (সিও) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) ছবি প্রকাশের পর বিষয়টি জানতে পারে পরিবার। এর পর থেকেই স্বজনদের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে।
আহত সেনা কর্মকর্তার বড় বোন শামীমা আক্তার মোবাইল ফোনে জানান, সন্ত্রাসী হামলায় স্প্লিন্টারের আঘাতে খালেকুজ্জামানের বাঁ হাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে তাঁর অবস্থা গুরুতর নয়। ঘটনার পরপরই হেলিকপ্টারে করে তাঁকে আবি শহরের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। পরিবারের সঙ্গে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে বলেও জানান তিনি।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, লে. কর্নেল খালেকুজ্জামান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তাঁর বাবা খন্দকার আক্তারুজ্জামান (মৃত)। পরিবারের সদস্যরা বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় বসবাস করেন।
রোববার বিকেল ৪টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের ঈদগাহ পাড়ায় খালেকুজ্জামানের বাড়িতে গিয়ে মূল ফটকে তালা ঝুলতে দেখা যায়। এ সময় পাশের বাড়িতে বসবাসরত তাঁর চাচা ও খালাতো বোনের সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা জানান, খালেকুজ্জামানের মা বর্তমানে শহরের গোশালা রোড এলাকায় থাকেন। তবে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে চাননি। মোবাইল ফোনে শুধু জানান, ছেলের আহত হওয়ার খবর তিনি পেয়েছেন।
খালেকুজ্জামানের খালাতো বোন গুলশান আরা হাসান বলেন, ‘খালেকুজ্জামান আমাদের সামনে মানুষ হয়েছে। খুব ভালো ছেলে। শুনেছি শান্তিরক্ষা মিশনে গিয়ে হাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। দোয়া করি, সে যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে।’
চাচা খন্দকার আসাদুজ্জামান খোকন অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে বলেন, ‘খালেকুজ্জামান আমার মেজো ভাইয়ের ছেলে। শান্তিরক্ষা মিশনে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে। সেখানে তার কয়েকজন সহকর্মী নিহত হয়েছেন বলে শুনেছি। সে নিজেও গুলিবিদ্ধ হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, খালেকুজ্জামান বিবাহিত এবং তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সন্ত্রাসী হামলায় আহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লে. কর্নেল খালেকুজ্জামানের পরিবার দিন কাটাচ্ছে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায়। তাঁর বাড়ি কুষ্টিয়া শহরের ঈদগাহ পাড়ায়।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তিনি সুদানে শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দেন। এর আগে তিনি বগুড়া ক্যান্টনমেন্টে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার (সিও) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) ছবি প্রকাশের পর বিষয়টি জানতে পারে পরিবার। এর পর থেকেই স্বজনদের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে।
আহত সেনা কর্মকর্তার বড় বোন শামীমা আক্তার মোবাইল ফোনে জানান, সন্ত্রাসী হামলায় স্প্লিন্টারের আঘাতে খালেকুজ্জামানের বাঁ হাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে তাঁর অবস্থা গুরুতর নয়। ঘটনার পরপরই হেলিকপ্টারে করে তাঁকে আবি শহরের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। পরিবারের সঙ্গে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে বলেও জানান তিনি।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, লে. কর্নেল খালেকুজ্জামান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তাঁর বাবা খন্দকার আক্তারুজ্জামান (মৃত)। পরিবারের সদস্যরা বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় বসবাস করেন।
রোববার বিকেল ৪টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের ঈদগাহ পাড়ায় খালেকুজ্জামানের বাড়িতে গিয়ে মূল ফটকে তালা ঝুলতে দেখা যায়। এ সময় পাশের বাড়িতে বসবাসরত তাঁর চাচা ও খালাতো বোনের সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা জানান, খালেকুজ্জামানের মা বর্তমানে শহরের গোশালা রোড এলাকায় থাকেন। তবে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে চাননি। মোবাইল ফোনে শুধু জানান, ছেলের আহত হওয়ার খবর তিনি পেয়েছেন।
খালেকুজ্জামানের খালাতো বোন গুলশান আরা হাসান বলেন, ‘খালেকুজ্জামান আমাদের সামনে মানুষ হয়েছে। খুব ভালো ছেলে। শুনেছি শান্তিরক্ষা মিশনে গিয়ে হাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। দোয়া করি, সে যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে।’
চাচা খন্দকার আসাদুজ্জামান খোকন অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে বলেন, ‘খালেকুজ্জামান আমার মেজো ভাইয়ের ছেলে। শান্তিরক্ষা মিশনে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে। সেখানে তার কয়েকজন সহকর্মী নিহত হয়েছেন বলে শুনেছি। সে নিজেও গুলিবিদ্ধ হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, খালেকুজ্জামান বিবাহিত এবং তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে বরগুনার আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে আমতলী উপজেলা প্রশাসন ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা।
১০ ডিসেম্বর ২০২৩
উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়ে টানা পাঁচ দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাতের কনকনে ঠান্ডা হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বাড়লেও দিনে ঝলমলে রোদে স্বস্তি পাচ্ছেন মানুষ। তবে ভোর ও রাতে শীতের দাপটে জনজীবন কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।
১৫ মিনিট আগে
ভিটেবাড়ি ও ফসলি জমি একে একে নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় এখন আব্দুল রাজ্জাক দম্পতি কার্যত আশ্রয়হীন। একসময় যাঁর নিজের জমি ছিল, আজ তিনি অন্যের দেওয়া সামান্য জমিতে মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজছেন।
২০ মিনিট আগে
খুলনার পূর্ব রূপসায় দুর্বৃত্তের গুলিতে সাগর শেখ (৩৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রাত ১১টার দিকে রূপসা সেতুর পূর্বপাশে জাপুসা চৌরাস্তা সিএনজি স্টেশনের পাশে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক গ্রিন বাংলা আবাসিকের পেছনের বাসিন্দা ফয়েক শেখের ছেলে। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রূপসা থানার এসআই সৌরভ দাশ।
২৪ মিনিট আগেআব্দুল্লাহ আল মারুফ, সিরাজগঞ্জ

সাদা দাড়িতে অর্ধেক মেহেদি, কপালে গভীর চিন্তার ভাঁজ। ডান পায়ে ফোঁড়ার// কারণে বাঁধা ব্যান্ডেজ। কাঠের টুলে বসে থাকা মানুষটির দিকে তাকালে বোঝার উপায় নেই—মাত্র এক বছর আগেও তিনি ছিলেন সাড়ে চার বিঘা আবাদি জমির মালিক।
৬৬ বছর বয়সী এই বৃদ্ধের নাম আব্দুল রাজ্জাক। স্ত্রী মর্জিনা বেগমের বয়স ৫৫। চার ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে একসময় ভালোই চলছিল তাঁদের সংসার। জমিতে বছরে বিভিন্ন সময়ে গম, ভুট্টা, খেসারি, কালাই ও বাদামের চাষ হতো। পরিশ্রম করেই চলত জীবন। তবে হঠাৎ করেই সবকিছু বদলে দেয় যমুনা নদীর ভাঙন।
ভিটেবাড়ি ও ফসলি জমি একে একে নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় এখন আব্দুল রাজ্জাক দম্পতি কার্যত আশ্রয়হীন। একসময় যাঁর নিজের জমি ছিল, আজ তিনি অন্যের দেওয়া সামান্য জমিতে মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজছেন। বন, বস্তার চাটাই আর পলিথিনে মোড়ানো ছোট একটি ঘরই তাঁদের বর্তমান ঠিকানা। আব্দুল রাজ্জাক সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কাওয়াখোলা ইউনিয়নের দোরতা এলাকার বাসিন্দা। তিনি ওই এলাকার মৃত রহিজ তালুকদারের ছেলে।
শনিবার দুপুর গড়িয়ে বিকেলে সিরাজগঞ্জ ক্রসবার এলাকায় প্লাস্টিকের টুলে বসে কথা বলছিলেন আব্দুল রাজ্জাক। তিনি জানান, তাঁর দাদার প্রায় ২৪ বিঘা জমি ছিল। উত্তরাধিকার সূত্রে তিনি পান সাড়ে চার বিঘা। গত বছরেও সেই জমিতে গম, ভুট্টা, কালাইসহ নানা ফসল আবাদ করেছিলেন। ‘বুড়া-বুড়ির ভালোই চলছিল,’ বলেন তিনি।
সন্তানদের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কিছুক্ষণ নীরব থাকেন আব্দুল রাজ্জাক। এরপর ধীর কণ্ঠে বলেন, ‘ওদের নিজেদেরই খুব কষ্ট। আমাদের দেখবে কীভাবে?’
বর্তমানে ফুফাতো ভাইয়ের জমির ওপর কোনোমতে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। শীত এলে দুর্ভোগ আরও বাড়ে। আয়ের একমাত্র সম্বল পাঁচটি গরু। তবে বয়স ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে এখন বাইরে গিয়ে কাজ করতে পারেন না তিনি।
আব্দুল রাজ্জাক বলেন, ‘তোমার চাচি যমুনার চরে গিয়ে গরুর জন্য ঘাস কেটে আনে। আর অন্যদের সামান্য সহযোগিতা আর মেয়েরা মাঝে মাঝে যা দেয়, তা দিয়েই কোনোমতে সংসার চলে।’
কথার একপর্যায়ে তাঁর কণ্ঠ ভারী হয়ে আসে। শেষবারের মতো বলেন, ‘আমাকে যদি কেউ একটা ঘর আর মাসে মাসে একটু খাবার বা কিছু টাকার ব্যবস্থা করে দিত, তাহলে সারা জীবন দোয়া করতাম।’
যমুনার ভাঙনে হারিয়ে যাওয়া অসংখ্য জীবনের ভিড়ে আব্দুল রাজ্জাক ও মর্জিনা বেগমের গল্পটি শুধু একটি উদাহরণ—নদীভাঙনে সর্বস্ব হারানো মানুষের নীরব দীর্ঘশ্বাসের গল্প।

সাদা দাড়িতে অর্ধেক মেহেদি, কপালে গভীর চিন্তার ভাঁজ। ডান পায়ে ফোঁড়ার// কারণে বাঁধা ব্যান্ডেজ। কাঠের টুলে বসে থাকা মানুষটির দিকে তাকালে বোঝার উপায় নেই—মাত্র এক বছর আগেও তিনি ছিলেন সাড়ে চার বিঘা আবাদি জমির মালিক।
৬৬ বছর বয়সী এই বৃদ্ধের নাম আব্দুল রাজ্জাক। স্ত্রী মর্জিনা বেগমের বয়স ৫৫। চার ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে একসময় ভালোই চলছিল তাঁদের সংসার। জমিতে বছরে বিভিন্ন সময়ে গম, ভুট্টা, খেসারি, কালাই ও বাদামের চাষ হতো। পরিশ্রম করেই চলত জীবন। তবে হঠাৎ করেই সবকিছু বদলে দেয় যমুনা নদীর ভাঙন।
ভিটেবাড়ি ও ফসলি জমি একে একে নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় এখন আব্দুল রাজ্জাক দম্পতি কার্যত আশ্রয়হীন। একসময় যাঁর নিজের জমি ছিল, আজ তিনি অন্যের দেওয়া সামান্য জমিতে মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজছেন। বন, বস্তার চাটাই আর পলিথিনে মোড়ানো ছোট একটি ঘরই তাঁদের বর্তমান ঠিকানা। আব্দুল রাজ্জাক সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কাওয়াখোলা ইউনিয়নের দোরতা এলাকার বাসিন্দা। তিনি ওই এলাকার মৃত রহিজ তালুকদারের ছেলে।
শনিবার দুপুর গড়িয়ে বিকেলে সিরাজগঞ্জ ক্রসবার এলাকায় প্লাস্টিকের টুলে বসে কথা বলছিলেন আব্দুল রাজ্জাক। তিনি জানান, তাঁর দাদার প্রায় ২৪ বিঘা জমি ছিল। উত্তরাধিকার সূত্রে তিনি পান সাড়ে চার বিঘা। গত বছরেও সেই জমিতে গম, ভুট্টা, কালাইসহ নানা ফসল আবাদ করেছিলেন। ‘বুড়া-বুড়ির ভালোই চলছিল,’ বলেন তিনি।
সন্তানদের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কিছুক্ষণ নীরব থাকেন আব্দুল রাজ্জাক। এরপর ধীর কণ্ঠে বলেন, ‘ওদের নিজেদেরই খুব কষ্ট। আমাদের দেখবে কীভাবে?’
বর্তমানে ফুফাতো ভাইয়ের জমির ওপর কোনোমতে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। শীত এলে দুর্ভোগ আরও বাড়ে। আয়ের একমাত্র সম্বল পাঁচটি গরু। তবে বয়স ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে এখন বাইরে গিয়ে কাজ করতে পারেন না তিনি।
আব্দুল রাজ্জাক বলেন, ‘তোমার চাচি যমুনার চরে গিয়ে গরুর জন্য ঘাস কেটে আনে। আর অন্যদের সামান্য সহযোগিতা আর মেয়েরা মাঝে মাঝে যা দেয়, তা দিয়েই কোনোমতে সংসার চলে।’
কথার একপর্যায়ে তাঁর কণ্ঠ ভারী হয়ে আসে। শেষবারের মতো বলেন, ‘আমাকে যদি কেউ একটা ঘর আর মাসে মাসে একটু খাবার বা কিছু টাকার ব্যবস্থা করে দিত, তাহলে সারা জীবন দোয়া করতাম।’
যমুনার ভাঙনে হারিয়ে যাওয়া অসংখ্য জীবনের ভিড়ে আব্দুল রাজ্জাক ও মর্জিনা বেগমের গল্পটি শুধু একটি উদাহরণ—নদীভাঙনে সর্বস্ব হারানো মানুষের নীরব দীর্ঘশ্বাসের গল্প।

আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে বরগুনার আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে আমতলী উপজেলা প্রশাসন ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা।
১০ ডিসেম্বর ২০২৩
উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়ে টানা পাঁচ দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাতের কনকনে ঠান্ডা হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বাড়লেও দিনে ঝলমলে রোদে স্বস্তি পাচ্ছেন মানুষ। তবে ভোর ও রাতে শীতের দাপটে জনজীবন কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।
১৫ মিনিট আগে
আহত সেনা কর্মকর্তার বড় বোন শামীমা আক্তার মোবাইল ফোনে জানান, সন্ত্রাসী হামলায় স্প্লিন্টারের আঘাতে খালেকুজ্জামানের বাঁ হাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে তাঁর অবস্থা গুরুতর নয়। ঘটনার পরপরই হেলিকপ্টারে করে তাঁকে আবি শহরের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
১৮ মিনিট আগে
খুলনার পূর্ব রূপসায় দুর্বৃত্তের গুলিতে সাগর শেখ (৩৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রাত ১১টার দিকে রূপসা সেতুর পূর্বপাশে জাপুসা চৌরাস্তা সিএনজি স্টেশনের পাশে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক গ্রিন বাংলা আবাসিকের পেছনের বাসিন্দা ফয়েক শেখের ছেলে। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রূপসা থানার এসআই সৌরভ দাশ।
২৪ মিনিট আগেখুলনা প্রতিনিধি

খুলনার পূর্ব রূপসায় দুর্বৃত্তের গুলিতে সাগর শেখ (৩৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রাত ১১টার দিকে রূপসা সেতুর পূর্বপাশে জাপুসা চৌরাস্তা সিএনজি স্টেশনের পাশে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক গ্রিন বাংলা আবাসিকের পেছনের বাসিন্দা ফয়েক শেখের ছেলে। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রূপসা থানার এসআই সৌরভ দাশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রাত সাড়ে ১০ টার দিকে সাগর বাড়ির দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে রাত ১১টায় কয়েকজন যুবক তার গতি রোধ করে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। একটি গুলি তার মাথায় এবং অপরটি তার হাঁটুতে লাগে। গুলির শব্দে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে দুর্বৃত্তরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরবর্তী সময়ে তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রূপসা থানার এএসআই গৌতম বলেন, গোলাগুলির শব্দ শুনতে পেয়ে ওই এলাকার বাসিন্দা আ. রহমান রাতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে ঘটনার বিস্তারিত জানায়। পরে ৯৯৯ থেকে আমাদের ফোন দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়।
রূপসা থানার এসআই সৌরভ দাশ বলেন, ‘রাতে জাপুসা এলাকায় ডিউটি করছিলাম। থানা থেকে ফোন আসলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিষয়টি জানার চেষ্টা করি। পরে জানতে পারলাম তারা এখানে জায়গা কিনে নতুন বাড়ি করেছে।’ তবে কারা এবং কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তার প্রকৃত কারণ তিনি বলতে পারেনি।
রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ. রাজ্জাক মীর বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। খুনিদের গ্রেপ্তারে আশপাশের এলাকায় অভিযান শুরু হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন আছে।’

খুলনার পূর্ব রূপসায় দুর্বৃত্তের গুলিতে সাগর শেখ (৩৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রাত ১১টার দিকে রূপসা সেতুর পূর্বপাশে জাপুসা চৌরাস্তা সিএনজি স্টেশনের পাশে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক গ্রিন বাংলা আবাসিকের পেছনের বাসিন্দা ফয়েক শেখের ছেলে। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রূপসা থানার এসআই সৌরভ দাশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রাত সাড়ে ১০ টার দিকে সাগর বাড়ির দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে রাত ১১টায় কয়েকজন যুবক তার গতি রোধ করে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। একটি গুলি তার মাথায় এবং অপরটি তার হাঁটুতে লাগে। গুলির শব্দে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে দুর্বৃত্তরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরবর্তী সময়ে তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রূপসা থানার এএসআই গৌতম বলেন, গোলাগুলির শব্দ শুনতে পেয়ে ওই এলাকার বাসিন্দা আ. রহমান রাতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে ঘটনার বিস্তারিত জানায়। পরে ৯৯৯ থেকে আমাদের ফোন দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়।
রূপসা থানার এসআই সৌরভ দাশ বলেন, ‘রাতে জাপুসা এলাকায় ডিউটি করছিলাম। থানা থেকে ফোন আসলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিষয়টি জানার চেষ্টা করি। পরে জানতে পারলাম তারা এখানে জায়গা কিনে নতুন বাড়ি করেছে।’ তবে কারা এবং কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তার প্রকৃত কারণ তিনি বলতে পারেনি।
রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ. রাজ্জাক মীর বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। খুনিদের গ্রেপ্তারে আশপাশের এলাকায় অভিযান শুরু হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন আছে।’

আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে বরগুনার আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে আমতলী উপজেলা প্রশাসন ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা।
১০ ডিসেম্বর ২০২৩
উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়ে টানা পাঁচ দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাতের কনকনে ঠান্ডা হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বাড়লেও দিনে ঝলমলে রোদে স্বস্তি পাচ্ছেন মানুষ। তবে ভোর ও রাতে শীতের দাপটে জনজীবন কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।
১৫ মিনিট আগে
আহত সেনা কর্মকর্তার বড় বোন শামীমা আক্তার মোবাইল ফোনে জানান, সন্ত্রাসী হামলায় স্প্লিন্টারের আঘাতে খালেকুজ্জামানের বাঁ হাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে তাঁর অবস্থা গুরুতর নয়। ঘটনার পরপরই হেলিকপ্টারে করে তাঁকে আবি শহরের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
১৮ মিনিট আগে
ভিটেবাড়ি ও ফসলি জমি একে একে নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় এখন আব্দুল রাজ্জাক দম্পতি কার্যত আশ্রয়হীন। একসময় যাঁর নিজের জমি ছিল, আজ তিনি অন্যের দেওয়া সামান্য জমিতে মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজছেন।
২০ মিনিট আগে