পাথরঘাটা(বরগুনা) প্রতিনিধি
পাথরঘাটায় যুবদল নেতা নাসির হাওলাদার হত্যার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত রাব্বি ও হাসানকে নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা বিরাজ করছে। কোনো সংগঠনই এ দুজনের দায়ভার নিতে চাইছে না।
হত্যাকে কেন্দ্র করে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছে। এদিকে ছাত্রলীগও এক বিবৃতি দিয়েছে।
গত বুধবার (১ জানুয়ারি) পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা ওয়ার্ড যুবদলের সদস্য নাসিরের ওপর হামলা চালিয়ে পায়ের রগ কেটে হত্যা করে। তিনি পাথরঘাটা পৌর এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে।
নাসিরের রগ কেটে পালানোর সময় স্থানীয়রা হাসান ও রাব্বি নামের দুজনকে ঘটনাস্থলে দেখতে পায়। এর পর থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাঁদের শিবিরের কর্মী বলে দাবি করে আসছেন। এ ছাড়া এর পেছনে জামায়াতের স্থানীয় নেতাদের ইন্ধন রয়েছে বলে দাবি করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদ হাসান মোল্লা বলেন, ‘আমরা দেখেছি জামায়াতের আইডি কার্ড ঝোলানো ছাত্রলীগের কর্মী হাসান ও রাব্বি জামায়াতের সহযোগী সদস্য সম্মেলন অংশগ্রহণ করেছে। যার একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। পাথরঘাটায় জামায়াতের লোক কম থাকায় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের জামায়াতের সদস্য বানিয়ে তাদের দল ভারী করছে।’ আর এখন জামায়াত নেতারা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের দুষ্কৃতকারীদের দিয়ে বিএনপিকে নির্মূল করার পাঁয়তারায় ব্যস্ত রয়েছে।
এদিকে, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের পাথরঘাটা উপজেলা সভাপতি আহমেদ সুজন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘হাসান ও রাব্বি ছাত্রলীগের কোনো সদস্য নয়। বিএনপির অভিযোগ ভিত্তিহীন।’
অন্যদিকে গতকাল সন্ধ্যায় জেলা জামায়াতের আমির মোহিব্বুল্লাহ হারুন সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, ‘হাসান ও রাব্বি জামায়াত-শিবিরের কেউ নয়। তাদের গলায় থাকা কার্ডটি ইসলামী আন্দোলনের। একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী জামায়াত-শিবিরকে হেয় করার অপচেষ্টা করছে। আমরাও নাসির হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’
আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন পাথরঘাটা উপজেলা শাখা। এ সময় আন্দোলনের সভাপতি এম এস সোহাগ বাদশাহ বলেন, ‘হাসান ও রাব্বির শিবিরের কর্মী এটা প্রমাণিত। যেই কার্ডের কথা জামায়াতের আমির ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রোগ্রামের কার্ড বলে চালিয়ে দিচ্ছে, সেটা আমাদের ছিল না। দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে জামায়াতের আমির আমাদের দলের নামে যে অহেতুক মিথ্যা এবং বানোয়াট তোহমদ দিয়েছেন। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
স্থানীয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি অনলাইন জুয়া খেলার জন্য হাসান বাড়ি থেকে গরু বিক্রি করে। এ বিষয়ে হাসানের বাবা ফরিদ গাজী যুবদল নেতা নাসিরের কাছে অভিযোগ করেন। বিষয়টি হাসানের কাছে নাসির জানতে চাইলে ৫ আগস্টের পরের নেতা বলে হাসান-নাসিরকে ইঙ্গিত করে অপমানমূলক কথা বলেন। তখন নাসির হাসানকে দু-একটি চড়থাপ্পড় মারে।
পরে ঘটনার দিন বুধবার (১ জানুয়ারি) সকালে পাথরঘাটা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাফেজ আলমগীর উভয়কে নিয়ে সালিস করেন। এতে হাসান সন্তুষ্ট না হয়ে বৈঠক ছেড়ে চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পর স্থানীয় পাথরঘাটা পৌরসভার ৯ সম্বর ওয়ার্ডের জামায়াতের ইউনিট সভাপতি ঈসা ও পৌর শিবিরের সভাপতি কাইয়ুম, শিবিরের কর্মী আবু সাইদ এসে নাসিরকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই নাসিরকে রগ কেটে হত্যা করা হয়।
এদিকে হাসান ও রাব্বিকে নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাদা ছোড়াছুড়িতে মূল ঘাতকদের আড়াল করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।
পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘অপরাধ করার পর অপরাধীর দায়ভার কেউ নিতে চায় না। নাসির হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিষয়টিও এমন হয়েছে। তবে অপরাধী যেই সংগঠনের হোক না কেন দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
এ বিষয়ে বরগুনা পুলিশ সুপার ইব্রাহিম খলিল সাংবাদিকদের বলেন, ‘হাসান ও রাব্বি ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছে কি না জানা নেই, তবে আমাদের কাছে যতটুকু তথ্যপ্রমাণ রয়েছে তাতে তারা শিবিরের কর্মী। নাসির হত্যা মামলায় আটজন আসামির মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে চেষ্টা চলছে।’
পাথরঘাটায় যুবদল নেতা নাসির হাওলাদার হত্যার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত রাব্বি ও হাসানকে নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা বিরাজ করছে। কোনো সংগঠনই এ দুজনের দায়ভার নিতে চাইছে না।
হত্যাকে কেন্দ্র করে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছে। এদিকে ছাত্রলীগও এক বিবৃতি দিয়েছে।
গত বুধবার (১ জানুয়ারি) পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা ওয়ার্ড যুবদলের সদস্য নাসিরের ওপর হামলা চালিয়ে পায়ের রগ কেটে হত্যা করে। তিনি পাথরঘাটা পৌর এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে।
নাসিরের রগ কেটে পালানোর সময় স্থানীয়রা হাসান ও রাব্বি নামের দুজনকে ঘটনাস্থলে দেখতে পায়। এর পর থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাঁদের শিবিরের কর্মী বলে দাবি করে আসছেন। এ ছাড়া এর পেছনে জামায়াতের স্থানীয় নেতাদের ইন্ধন রয়েছে বলে দাবি করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদ হাসান মোল্লা বলেন, ‘আমরা দেখেছি জামায়াতের আইডি কার্ড ঝোলানো ছাত্রলীগের কর্মী হাসান ও রাব্বি জামায়াতের সহযোগী সদস্য সম্মেলন অংশগ্রহণ করেছে। যার একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। পাথরঘাটায় জামায়াতের লোক কম থাকায় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের জামায়াতের সদস্য বানিয়ে তাদের দল ভারী করছে।’ আর এখন জামায়াত নেতারা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের দুষ্কৃতকারীদের দিয়ে বিএনপিকে নির্মূল করার পাঁয়তারায় ব্যস্ত রয়েছে।
এদিকে, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের পাথরঘাটা উপজেলা সভাপতি আহমেদ সুজন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘হাসান ও রাব্বি ছাত্রলীগের কোনো সদস্য নয়। বিএনপির অভিযোগ ভিত্তিহীন।’
অন্যদিকে গতকাল সন্ধ্যায় জেলা জামায়াতের আমির মোহিব্বুল্লাহ হারুন সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, ‘হাসান ও রাব্বি জামায়াত-শিবিরের কেউ নয়। তাদের গলায় থাকা কার্ডটি ইসলামী আন্দোলনের। একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী জামায়াত-শিবিরকে হেয় করার অপচেষ্টা করছে। আমরাও নাসির হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’
আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন পাথরঘাটা উপজেলা শাখা। এ সময় আন্দোলনের সভাপতি এম এস সোহাগ বাদশাহ বলেন, ‘হাসান ও রাব্বির শিবিরের কর্মী এটা প্রমাণিত। যেই কার্ডের কথা জামায়াতের আমির ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রোগ্রামের কার্ড বলে চালিয়ে দিচ্ছে, সেটা আমাদের ছিল না। দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে জামায়াতের আমির আমাদের দলের নামে যে অহেতুক মিথ্যা এবং বানোয়াট তোহমদ দিয়েছেন। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
স্থানীয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি অনলাইন জুয়া খেলার জন্য হাসান বাড়ি থেকে গরু বিক্রি করে। এ বিষয়ে হাসানের বাবা ফরিদ গাজী যুবদল নেতা নাসিরের কাছে অভিযোগ করেন। বিষয়টি হাসানের কাছে নাসির জানতে চাইলে ৫ আগস্টের পরের নেতা বলে হাসান-নাসিরকে ইঙ্গিত করে অপমানমূলক কথা বলেন। তখন নাসির হাসানকে দু-একটি চড়থাপ্পড় মারে।
পরে ঘটনার দিন বুধবার (১ জানুয়ারি) সকালে পাথরঘাটা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাফেজ আলমগীর উভয়কে নিয়ে সালিস করেন। এতে হাসান সন্তুষ্ট না হয়ে বৈঠক ছেড়ে চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পর স্থানীয় পাথরঘাটা পৌরসভার ৯ সম্বর ওয়ার্ডের জামায়াতের ইউনিট সভাপতি ঈসা ও পৌর শিবিরের সভাপতি কাইয়ুম, শিবিরের কর্মী আবু সাইদ এসে নাসিরকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই নাসিরকে রগ কেটে হত্যা করা হয়।
এদিকে হাসান ও রাব্বিকে নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাদা ছোড়াছুড়িতে মূল ঘাতকদের আড়াল করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।
পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘অপরাধ করার পর অপরাধীর দায়ভার কেউ নিতে চায় না। নাসির হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিষয়টিও এমন হয়েছে। তবে অপরাধী যেই সংগঠনের হোক না কেন দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
এ বিষয়ে বরগুনা পুলিশ সুপার ইব্রাহিম খলিল সাংবাদিকদের বলেন, ‘হাসান ও রাব্বি ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছে কি না জানা নেই, তবে আমাদের কাছে যতটুকু তথ্যপ্রমাণ রয়েছে তাতে তারা শিবিরের কর্মী। নাসির হত্যা মামলায় আটজন আসামির মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে চেষ্টা চলছে।’
নতুন করারোপ ছাড়া খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৭১৯ কোটি ৫০ লাখ ৩৬ হাজার টাকার প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে করপোরেশনের শহীদ আলতাফ মিলনায়তনে এ বাজেট ঘোষণা করেন সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার।
২৫ মিনিট আগেরাজধানীর কামরাঙ্গীরচর খোলামোড়া এলাকায় আকরাম হোসেন (২৭) নামের ছুরিকাহত ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা যান তিনি।
২৮ মিনিট আগেবগুড়া-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান রিপু ও তাঁর স্ত্রী জোবাইদা আহসান জবার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইব্রাহিম মিয়া নিষেধাজ্ঞা জারির এই আদেশ দেন।
১ ঘণ্টা আগেআব্দুল্লাহ আল নোমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দলান্ধ। নির্বাচন নিয়ে আমরা আমাদের দাবিদাওয়া জানাব। প্রশাসন যদি সেগুলো না মানে, তাহলে আমরা নির্বাচনে যাব কি না, ভেবে দেখব এবং পরে বসে সিদ্ধান্ত নেব। তবে আমরা লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে সন্দিহান।’
১ ঘণ্টা আগে