Ajker Patrika

বান্দরবানে সেতুতে সমৃদ্ধির স্বপ্ন

বদরুল ইসলাম মাসুদ, বান্দরবান
বান্দরবানে সেতুতে সমৃদ্ধির স্বপ্ন

বান্দরবানের লামার শীলেরতুয়া-রূপসীপাড়া সড়কের খরস্রোতা মাতামুহুরী নদীর ওপর একটি সেতুর নির্মাণকাজ চলছে। ইতিমধ্যে সেতুটির ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের প্রথম মাসে সেতুটি ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া সম্ভব হবে। এর ফলে বদলে যেতে পারে রূপসীপাড়া ইউনিয়নের জনজীবন।

১৮৪ মিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতুটিকে ঘিরে স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বপ্নের শেষ নেই। তাঁরা বলছেন, এতে উপকৃত হবেন এ অঞ্চলের আনুমানিক পাঁচ হাজার বাসিন্দা।

জানা গেছে, ২০১৯ সালের মে মাসে বান্দরবানের লামার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মাতামুহুরী নদীর ওপর শীলেরতুয়া-রূপসীপাড়া সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বান্দরবান বিভাগ ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দরপত্রের মাধ্যমে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করে।

বান্দরবান এলজিইডি সূত্র জানায়, ১১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৮৪ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণের দায়িত্ব পায় মেসার্স তমা ও এম এ জাহেদ কন্সট্রাকশন।

মেসার্স তমা কন্সট্রাকশনের সহকারী প্রকৌশলী রুবায়েত আলম বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ ছিল। তবে সম্প্রতি সেতুর কাজ আবার শুরু হয়েছে।

কোনো ধরনের সমস্যা না হলে আগামী ডিসেম্বর মাসে নির্মাণকাজ শেষ হবে। এরপর এলজিইডিকে সেতুটি বুঝিয়ে দিতে পারবেন বলে আশা করেন তিনি।

এলজিইডির লামা উপজেলা প্রকৌশলী মো. মাহফুজুল হক জানান, করোনার কারণে সেতুর নির্মাণকাজ কিছুটা দেরি হয়। এর প্রায় ৮০ ভাগ কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। অবশিষ্ট কাজ দ্রুতগতিতে করা হচ্ছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে সেতুটি চলাচলে জন্য খুলে দেওয়া হবে। এটি চালু হলে শীলেরতুয়া-রূপসীপাড়া সড়কটিকে সেতুবন্ধন সৃষ্টি হবে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শীলেরতুয়া ও রূপসীপাড়ার দুইপাড়ের মানুষ এত দিন নৌকায় করে পারাপার হতো। এতে সময় যেমন লাগত তেমনি দুর্ভোগও পোহাতে হত। এই সেতু নির্মাণ হলে মানুষের দুর্ভোগ থাকবে না।

এই সেতু চালু হলে রূপসীপাড়া ইউনিয়নের পাশাপাশি নয়াপাড়া, সিদ্দিকপাড়া, ঠান্ডাঝিরি, মারমা পাড়া, চামাইছড়ি, সাতপাড়াসহ অন্তত ৩০টি পাড়ার মানুষের চলাচল আরও সহজ হবে। এতে পাড়ায় উৎপাদিত শস্য কম খরচে বাজারে নেওয়া যাবে। 

মাতামুহুরী ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী আসাই মারমা বলেন, প্রতিদিন কলেজে যাতায়াতে নৌকার জন্য অপেক্ষা করতে হত। সেতুটি নির্মাণ হলে তাঁদের ভোগান্তি কমবে।

রূপসীপাড়া-শীলেরতুয়া অংশসহ মাতামুহুরী নদীতে ২৭ বছর নৌকা চালান আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, নদীতে পানি বেশি হলে মানুষ পারাপারে সীমাহীন কষ্ট হয়। মানুষের মাঝে ভয় কাজ করে। তিনি আরও বলেন, সেতুটি নির্মিত হলে তাঁর  আয় কমে যাবে। এরপরও তিনি খুশি।

রূপসীপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাচিংপ্রু বলেন, তাঁর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের আনুমানিক সাড়ে চার হাজার মানুষ শীলেরতুয়া-রূপসীপাড়ার সড়কটি ব্যবহার করে।

এখানকার মানুষের জীবন জীবিকা কৃষি নির্ভর। সেতুর অভাবে কৃষিপণ্য বাজারজাত করতে তাঁদের কষ্ট হয়। সেতুটি ব্যবহারের অপেক্ষায় রয়েছেন বলে জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২০৫০ সাল নাগাদ ইনফ্লুয়েন্সারদের চেহারা কেমন হবে, ধারণা দিলেন গবেষকেরা

প্রিজন ভ্যান থামিয়ে ছাগল-কাণ্ডের মতিউরকে অনৈতিক সুবিধা, ১১ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত

দেশে প্রথমবারের মতো চালু হলো ভয়েস ওভার ওয়াই-ফাই, সুবিধা কী

জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যাচ্ছেন না মোদি, কী বার্তা দিচ্ছে দিল্লি

মেডিকেল কলেজ: মানের ঘাটতিতে হবে বন্ধ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত