Ajker Patrika

কেএনএফের আতঙ্কে থানচির ৫ গ্রামের মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কেএনএফের আতঙ্কে থানচির ৫ গ্রামের মানুষ

বান্দরবানের থানচিতে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নামের একটি সশস্ত্র সংগঠনের কর্মীদের কর্মকাণ্ডে আতঙ্কে দিন পার করছেন পাঁচ গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ। 

স্থানীয়দের দাবি, তারা নির্ভয়ে চলাফেরা করতে পারছে না। জুমের ফসল বাজারজাতকরণ, পর্যটন শিল্প, শিক্ষাসহ তাঁদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের নানা কর্মকাণ্ড প্রভাবিত হচ্ছে। এতে তাঁদের জীবনযাপন প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে। 

গ্রামবাসীর অভিযোগ, কেএনএফ সদস্যরা তাঁদের গৃহপালিত পশুপাখি নিয়ে যায়। ভয়ে ছেলে মেয়েদের ঠিকমতো স্কুলে পাঠাতে পারেন না। বিভিন্ন রাস্তা বন্ধ করে রাখায় বাজারে নির্ভয়ে যাতায়াত করতে পারেন না। কেনাবেচা করতে পারেন না জুমের ফসলও। 

থানচি উপজেলার তিন্দু ইউনিয়নের সালুক্যাপাড়া, বংকুপাড়া, সাক্রয়পাড়া, হাজরাইপাড়া, নেপিউপাড়া, লালদুসাংপাড়া, মতিলালপাড়া, সাজাইপাড়া, মংখয়পাড়া, খুংলাইপাড়া, পারাওপাড়া, হৈতেপাড়া, অর্জুনপাড়া, রেমংপাড়া, বদুন্যাপাড়া এবং থানচি সদর ইউনিয়নের সিংত্লাংপিপাড়া, থাংডয়পাড়া, সেরকরপাড়া, কাইতংপাড়া, কুংলাপাড়া, বোল্ডিংপাড়া, শাহজাহানপাড়াসহ অর্ধশতাধিক পাড়ার মানুষ এমন আতঙ্কে আছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। 

পাশের রুমা উপজেলার রেমাক্রী প্রাংসা ইউনিয়নের লুংওেয়ারপাড়া, পাইনোওয়ামপাড়া, সলোপিপাড়া, দুলিচাংপাড়া, থামলোপাড়ার বাসিন্দাদের দূরত্বের কারণে থানচি বাজার থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা-বেচা করতে হয়। থানচি বাজারে রুমার এসব পাড়া থেকে আসা কয়েক জন নারী ও পুরুষের সঙ্গে কথা হয়। সেখানকার অবস্থার কথা জানতে চাইলে তাঁরা প্রথমে কিছু বলতে চাইছিলেন না। 

পরে নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, কেএনএফ সদস্যদের আতঙ্কে তাঁদের আশপাশের প্রায় ৩০ থেকে ৩৫টি পাড়ার মানুষেরা ঠিকমতো কাজ করতে ও জুমে যেতে পারছেন না। কেএনএফ সদস্যরা এসে তাঁদের গরু, ছাগল, হাস, মুরগি এমনকি কুকুর পর্যন্ত নিয়ে যায়। ছেলে-মেয়েদের ঠিকমতো স্কুলে পাঠানো থেকে শুরু করে বাজারে নির্ভয়ে যাতায়াত করতে পারছে না অনেকে।

তিন্দু ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ভাগ্য চন্দ্র ত্রিপুরা বলেন বলেন, ‘আমাদের গ্রাম থেকে থানচি বাজারে যাওয়ার পথ ব্লক করে রেখেছে কেএনএফ সদস্যরা। তাই থানচি বাজার থেকে নাপ্পি, তৈল, মরিচ, ডাল, চাল, সারসহ নিত্য প্রয়োজনীয় ইচ্ছেমতো কিনতে পারছি না। পরিবহনের ব্যবস্থা না থাকায় গ্রামে মালামালও আনা সম্ভব হচ্ছে না।’

ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘কেএনএফের সদস্যদের ভয়ে রাতে বা সন্ধ্যায় জরুরি প্রয়োজন হলে বাজারে যেতে পারি না। প্রতিবেশী হিসেবে একগ্রাম থেকে অন্য গ্রামেও যাওয়া যাচ্ছে না। তাই অনেকেই গ্রাম ছেড়ে শহরের বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনের বাসায় আশ্রয় নিয়েছেন। এ ছাড়া নিজেদের জুম-বাগানে চাষ করা ফসল-ফলাদি বাজারে বিক্রি করতে পারি না। নিজের জমির চাষের জমি ইচ্ছে মতো কেনা-বেচা না পারলে স্থানীয়দের না খেয়ে মরতে হবে।’ 

ভাগ্য চন্দ্র ত্রিপুরা আরও বলেন, ‘কেএনএফ সদস্যদের উৎপাতের জন্য আমরা এত দিন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দিকে তাকিয়ে ছিলাম। কিন্তু সমস্যাটি জাতীয় ইস্যু। তাই আমরা আর শুধুমাত্র তাদের দিকে তাকিয়ে থাকব না। এলাকাবাসীদের নিয়ে আলোচনা করে শিগগিরই এ নিয়ে সমাধানের রাস্তা খুঁজে বের করব। প্রয়োজনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরও সহযোগিতা নেব।’ 

এ বিষয়ে থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমদাদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক কথা বলছি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা পেলে আশা করি বিষয়টির সমাধান হয়ে যাবে।’ 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহা. আবুল মনসুর বলেন, ‘এলাকার শান্তির জন্য জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আলোচনা চলছে। শিগগিরই এ নিয়ে একটি কার্যকরী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

বিচার বিভাগ: পদোন্নতির প্যানেলে ১১ শতাধিক কর্মকর্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দলীয় প্রার্থী ঘোষণার পর গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষ-ভাঙচুর, আহত ১০

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ৪২
মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। ছবি: আজকের পত্রিকা
মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। ছবি: আজকের পত্রিকা

দলীয় প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা প্রকাশের পরপরই মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গাংনী বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

জানা গেছে, গতকাল সোমবার বিএনপি থেকে মেহেরপুর-২ আসনে আমজাদ হোসেনকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর জেরে আজ পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলফাজ উদ্দিন কালু, যিনি মনোনয়ন না পাওয়া জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থক। তিনি অভিযোগ করেন, আমজাদ হোসেনের সমর্থকেরা তাঁদের অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছেন। অন্যদিকে আমজাদ হোসেনের সমর্থকেরা অভিযোগ করেন, প্রথমে মিল্টনের সমর্থকেরা একতরফাভাবে হামলা চালান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তখন দর্শকের ভূমিকায় ছিল।

জানতে চাইলে মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন বলেন, ‘মনোনয়ন না পাওয়া জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। এতে অন্তত ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।’

মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। ছবি: আজকের পত্রিকা
মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। ছবি: আজকের পত্রিকা

বক্তব্য জানতে বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার পর গাংনীতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাজ করছে।

মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। ছবি: আজকের পত্রিকা
মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। ছবি: আজকের পত্রিকা

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

বিচার বিভাগ: পদোন্নতির প্যানেলে ১১ শতাধিক কর্মকর্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নাটোর গুদাম থেকে ১৫০ বস্তা চাল লুট

নাটোর প্রতিনিধি 
নাটোরে গুদামে শাটারের তালা ভেঙে ও কেটে চাল লুট। ছবি: আজকের পত্রিকা
নাটোরে গুদামে শাটারের তালা ভেঙে ও কেটে চাল লুট। ছবি: আজকের পত্রিকা

নাটোর শহরতলির ফুলবাগান এলাকার সেলিম ভূঁইয়া নামের এক ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ১৫০ বস্তা চাল লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানায়, সোমবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে ফুলবাগান এলাকার সড়ক ভবন-সংলগ্ন সেলিম ট্রেডার্সের সামনে একটি ট্রাক এনে দাঁড় করায় দুর্বৃত্তরা। তারা শাটারের তালা ভেঙে ও কেটে দোকানে প্রবেশ করে ক্যাশ বাক্স থেকে নগদ ১২ হাজার টাকাসহ প্রায় ১৫০ বস্তা চাল ট্রাকে লোড করে নিয়ে যায়।

ব্যবসায়ী সেলিম ভূঁইয়া বলেন, ‘ফজরের নামাজের সময় স্থানীয় এক ব্যক্তি ফোনে জানান, গুদামের শাটার কাটা ও আরেকটি পুরোপুরি খোলা। পরে সেখানে এসে দেখি, দুর্বৃত্তরা স্তূপাকারে রাখা চালের বস্তাগুলো নিয়ে গেছে। স্টক রেজিস্টার থেকে জেনেছি, চালের বস্তা ছিল ১৫০টি।’

এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, এই ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

বিচার বিভাগ: পদোন্নতির প্যানেলে ১১ শতাধিক কর্মকর্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সাতক্ষীরায় মনোনয়ন না পাওয়া প্রার্থীর সমর্থনে সড়ক অবরোধ

দেবহাটা ও সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ২৫
সাতক্ষীরা-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় অধ্যাপক মো. শহিদুল আলমের সমর্থকদের সড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাতক্ষীরা-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় অধ্যাপক মো. শহিদুল আলমের সমর্থকদের সড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি-কালিগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় ‘গরিবের ডাক্তার’ নামে পরিচিত মো. শহিদুল আলমের সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।

আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কালিগঞ্জ প্রধান মহাসড়কে স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে।

বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, শহিদুল আলম দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে মানবিক সেবা দিয়ে আসছেন। কিন্তু তাঁকে মনোনয়ন না দিয়ে অন্যকে প্রার্থী করায় দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

এ সময় তাঁরা শহিদুল আলমকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে স্লোগান দেন এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সদস্য শেখ নুরুজ্জামান, নলতা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান, নলতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কেসমতুল বারি, সাধারণ সম্পাদক মিলন কুমার সরকার, কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক শেখ খায়রুল আলম, সাবেক ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

বিচার বিভাগ: পদোন্নতির প্যানেলে ১১ শতাধিক কর্মকর্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মারধরের ঘটনায় জাবি শিক্ষার্থীদের ৫ দাবি মেনে নিল সেনাবাহিনী

জাবি প্রতিনিধি 
সমস্যা সমাধানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসেন সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
সমস্যা সমাধানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসেন সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

সেনাবাহিনী কর্তৃক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জানানো পাঁচ দফা দাবি মেনে নিয়েছেন সাভার অঞ্চলে দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম ইমদাদুল হক ইমন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ৫০তম (২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ) ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।

জানা গেছে, গতকাল সোমবার বিকেলে টিউশনি শেষে বাইকে করে ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন ইমন। এ সময় তাঁর হেলমেট না থাকায় সাভারের পাকিজা এলাকায় সেনাসদস্যরা তাঁকে আটকান। এ সময় তাঁর সঙ্গে গাড়ির কাগজপত্র ছিল না। এতে তাঁকে প্রায় ২ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং তাঁর এক ভাই সেনাবাহিনীতে কর্মরত আছেন বলে জানান সেনাসদস্যদের। একপর্যায়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাঁকে মারধর করেন এবং তাঁদের পা ধরে মাফ চাইতে বাধ্য করেন।

এই ঘটনার জেরে সোমবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করেন। এতে সড়কের উভয় পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রায় আধা ঘণ্টা অবরোধ চলার পর সাভার অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ক্যাম্পাসে এসে সমস্যার সমাধান করতে চাইলে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।

রাত পৌনে ১১টার দিকে সেই সেনা কর্মকর্তাসহ সাভার অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ক্যাম্পাসে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও জাকসুর মধ্যস্থতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। এ সময় তাঁরা সেনাবাহিনীর সদস্য কর্তৃক সংঘটিত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।

আলোচনা শেষে ভুক্তভোগী ইমনের পক্ষ থেকে পাঁচটি দাবি উত্থাপন করেন জাকসুর ভিপি আব্দুর রশিদ জিতু। দাবিগুলো হলো—অভিযুক্ত মেজর এহসান ও ওয়ারেন্ট অফিসার আলীকে ক্ষমা চাইতে হবে; ভুক্তভোগী ইমনের সম্পূর্ণ চিকিৎসার দায়ভার সেনাবাহিনীকে গ্রহণ করতে হবে; ভবিষ্যতে এই ঘটনার জের ধরে ইমন বা তাঁর পরিবার যেন কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হয়, তার নিশ্চয়তা দিতে হবে; দেশের কোনো সাধারণ নাগরিক যেন সেনাবাহিনীর দ্বারা এমন আচরণের শিকার না হন, তার নিশ্চয়তা দিতে হবে; ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ‘কোর্ট অব ইনকোয়ারি’ গঠন করে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচার করতে হবে।

আলোচনায় উপস্থিত সেনাবাহিনীর সাভার স্টেশন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইনতেখাব হায়দার খান শিক্ষার্থীদের পাঁচ দাবি মেনে নেন এবং তার অগ্রগতি সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়কে অবহিত করবেন বলে জানান। পাঁচ দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত দুই সেনা কর্মকর্তা মেজর এহসান ও ওয়ারেন্ট অফিসার আলী তাৎক্ষণিক তাঁদের ভুলের জন্য ক্ষমা চান।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীর সঙ্গে যা ঘটেছে, সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে আমরা সাভারে সেনাবাহিনীর দায়িত্বরত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং তাঁদেরকে ক্যাম্পাসে এসে সমস্যাটি সমাধানের অনুরোধ করেছি। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাতে তাঁরা ক্যাম্পাসে আসেন এবং শিক্ষার্থীদের জানানো পাঁচটি দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

বিচার বিভাগ: পদোন্নতির প্যানেলে ১১ শতাধিক কর্মকর্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত