Ajker Patrika

ফুটবল টুর্নামেন্টের ট্রফি ভাঙলেন ক্ষুব্ধ ইউএনও

আলীকদম (বান্দরবান) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৮: ২৩
ফুটবল টুর্নামেন্টের ট্রফি ভাঙলেন ক্ষুব্ধ ইউএনও

বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় একটি ফুটবল টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণীতে গিয়ে ট্রফি ভেঙে ফেলেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহরুবা ইসলাম। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার বিকেল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে। ইউএনওর বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানাচ্ছেন অনেকে। ইউএনওর বিরুদ্ধে ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে তাঁর অপসারণ দাবি করেছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল কালাম। 

এ ব্যাপারে ওই সময় উপস্থিত থাকা চৈক্ষ্যং ইউপি চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘ইউএনও বক্তব্য দেওয়ার সময় কেউ কেউ “ব্যাড সাউন্ড” করায় ইউএনও ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন।’ 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের মাংতাই হেডম্যান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে আবাসিক স্বাধীন যুব সমাজের উদ্যোগে জুনিয়র একাদশ বনাম রেপারপাড়া বাজার একাদশ ফুটবল টিমের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহরুবা ইসলাম। 

সমাপনী খেলার প্রথমে দুই দলে ৩৫ মিনিট করে ৭০ মিনিট খেলার পর ড্র হয়ে যায়। এ কারণে রেফারি দুই দলকে টাইব্রেকার খেলার সিদ্ধান্ত দেয়। টাইব্রেকারে আবাসিক জুনিয়র দল তিনটি গোল দেয়, আর রেপার পাড়া একাদশ গোল দেয় একটি। খেলার নিয়ম অনুযায়ী আবাসিক জুনিয়র একাদশ চ্যাম্পিয়ন এবং রেপার পাড়া একাদশ রানার্স আপ হয়। 

কিন্তু জয়-বিজয় নিয়ে বিরোধ থেকেই যায়। একপক্ষ ট্রফি নিতে চায়, আরেক পক্ষ রাজি হয় না। এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে মাইক্রোফোন নেন ইউএনও মেহরুবা ইসলাম। তিনি বলেন, ‘খেলায় হার-জিত থাকবে। এতে কারও মন খারাপের কারণ নেই।’ উপস্থিত জনতার কাছে খেলার ফলাফলে সন্তুষ্ট কি না জানতে চাইলে কয়েকজন খেলার ‘ফলাফল মানি না’ বলে চিৎকার করে। এতে ইউএনও ক্ষিপ্ত হন। তিনি বলেন, ‘আমি ডিসিশন নিয়েছি, এখন ট্রফিগুলো রেখে মেডেলগুলো দিয়ে যাব। আপনারা যত দিন পর্যন্ত সহনশীল না হতে পারবেন, তত দিন এগুলো (ট্রফিগুলো) আমার কাছে আমানত হিসেবে থাকবে। তারপর আরেকটি ম্যাচ হলে তারপর দেব। আপনারা রাজি নাকি?’ তখন জনতার মধ্যে থেকে একপক্ষ ‘না না’ বলে চিৎকার করে উঠে। 

যদি ট্রফি না থাকত, আমরা খেলতাম না?...আমি ট্রফিটা ভেঙে এখন খেলা শুরু করব—এই বলেই ট্রফি দুটি একে একে আছড়ে ভেঙে ফেলেন ইউএনও। 

গতকাল বিকেলে এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে গেছে। 

 অনুষ্ঠানে সবার সামনে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের ট্রফি ভেঙে ফেলেন ইউএনও মেহরুবা ইসলাম। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়াএ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউএনও মেহেরুবা ইসলাম বলেন, ‘খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণের সময় হঠাৎ একজন এসে বললেন যে, তিন গোল চার গোল তারা মানে না। তখন আমি বললাম, খেলা আবার হবে কি না। তখন এটা নিয়ে পেছন থেকে খুব আওয়াজ শুরু হলো। কয়েকজন বলল তারা ট্রফি নেবে না, এ ট্রফি যত দিন থাকবে একটা আক্রোশ থাকবে। তারা বলল, ট্রফি ভেঙে ফেলা হোক। পরে আমি বললাম, তাহলে ঠিক আছে আপনারা মেডেলগুলো নিয়ে যান।’ 

ইউএনও বলেন, ‘তারা সেগুলোও না নেওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়। ওরাই বলছে ট্রফিটা ভেঙে ফেলা হোক। তাই ভেঙে ফেলা হয়েছে। ওখানে বহিরাগত কিছু ছেলে এসেছিল। স্থানীয় চেয়ারম্যানরাও তাদের চেনেন না বলে জানিয়েছেন।’ 

জানতে চাইলে আজ সকালে চৈক্ষ্যং ইউপি চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আমি এ খেলায় উপস্থিত ছিলাম। ইউএনওর বক্তব্যকালে কেউ কেউ “ব্যাড সাউন্ড” দেয়। বলে যে, আবারও খেলতে হবে। এতে সাময়িক উত্তেজনা হয়।’ চেয়ারম্যান বলেন, ‘টমটম চালক আব্দুর রশিদের ছেলে এবং বাজার পাড়ার একাদশের পক্ষের করিম নামে একজন এই হট্টগোল করে। এরপর ইউএনও ক্ষিপ্ত হন।’ 

ইউএনওর ট্রফি ভাঙার ঘটনায় কেউ কেউ ফেসবুকে ইউএনওর প্রত্যাহার এবং আন্দোলনের ঘোষণাও দিচ্ছেন। এ ব্যাপারে খেলার আয়োজক সংগঠন ‘আবাসিক স্বাধীন যুব সমাজ’-এর সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘ট্রফি ভাঙার বিষয়ে আমাদের কোনো আন্দোলন বা কর্মসূচি নেই। যারা আন্দোলনের ডাক দিয়েছে তাদের সঙ্গে আমাদের একাত্মতা নেই। এ বিষয়ে আমরা কোথাও অভিযোগও দেইনি।’ 

ঘটনার বর্ণনায় খেলায় উপস্থিত যুবক আনিসুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাকে কেন্দ্র করে একশ্রেণির মানুষ তাদের স্বার্থ হাসিল করছে। ইউএনওকে ট্রফি ভেঙে ফেলার অনুরোধ উপস্থিত জনতাই করেছিল। খেলার ফলাফল দুই পক্ষ মেনে না নেওয়ায় এমন দাবি উঠেছিল। পরে খেলার মাঠে বা ওই এলাকাতে ট্রফি ভাঙাকে কেন্দ্র করে কোনো গন্ডগোল হয়নি, বিজয়ী ও পরাজিত দুই দলকে প্রাইজবন্ড দিয়ে খেলা সমাপ্ত হয়।’ 

এদিকে, আলীকদম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম ইউএনও মেহেরুবা ইসলামের প্রত্যাহার চেয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। আজ বিকেলে মানববন্ধনে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইউএনওকে প্রশাসন পরিচালনায় ‘অপরিপক্ব’ ও ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ বলে মন্তব্য করেন। তিনি ২৪ ঘণ্টার মধ্য ইউএনওকে প্রত্যাহারের দাবি জানান। অন্যথায় আলীকদম অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পর নারীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঝিনাইদহ সদরের কলামনখালী বাজারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার সকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার কলামনখালী এলাকায় রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও দোগাছি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আসাদ চৌধুরী গ্রুপ এবং আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া পরিষদের থানা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ জোয়ার্দার গ্রুপের মধ্যে অনেক দিন ধরে বিরোধ চলছে। কয়েকদিন আগে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এর জেরে আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কলামনখালী বাজারে উভয় পক্ষের লোকজন ধারালো দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আব্দুর রহিম মোল্লা, হাসেম আলী, গোলাম রসুল, বসারত জোয়ার্দার, সুরুজ ও ইয়ালিদসহ ১০ জনকে ঝিনাদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।

সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুলতানা মেফতাহুল জান্নাত জানান, আহতদের শরীরে ধারালো অস্ত্রের এবং ইটের আঘাতের ক্ষত রয়েছে। এখন তাঁরা সবাই শঙ্কামুক্ত বলে জানান তিনি।

হাসপাতালে ভর্তি বসারত জোয়ার্দার বলেন, মাসুদ গ্রুপের লোকজন গ্রামের উত্তরপাড়ার আসাদ গ্রুপের কয়েকজনকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এ ছাড়া আমিরুল নামের এক ব্যক্তিকে মেরে পা ভেঙে দেয়। এ নিয়ে মীমাংসা করার কথা বললেও নেতারা কারও কথা শোনেন না। এরই জেরে সকালে বাজারে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়।

জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও দোগাছি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আসাদ চৌধুরী বলেন, ‘মাসুদের লোকজন আমাদের এক সমর্থক আমিরুলকে কিছুদিন আগে মেরে পা ভেঙে দেয়। পরে তারা বাজার দখল করে রাখে। আজ সকালে এসে তারা বাজারের দোকানপাট সব বন্ধ করে দেয় । এরই জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।’

আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া পরিষদের থানা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ জোয়ার্দার বলেন, ‘বাজার দখল বা দোকানপাট বন্ধের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তারা আমাদের ওপর মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে। আর আমিরুলকে আমরা মারধর করিনি। আমিরুলের জমাজমি নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে তার পরিবারের লোকজনেরা তাকে মারধর করে।’

ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।’

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ বলেন, এটা দলীয় কোনো ব্যাপার নয়। এটা সামাজিক দ্বন্দ্ব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পর নারীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মুস্তফা কামাল, রেজাউল, শামীম ওসমানসহ ৭ জনের আয়কর নথি জব্দের আদেশ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আ হ ম মুস্তফা কামাল, রেজাউল করিম ও শামীম ওসমান (বাঁ থেকে)। ছবি: সংগৃহীত
আ হ ম মুস্তফা কামাল, রেজাউল করিম ও শামীম ওসমান (বাঁ থেকে)। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়ে; সাবেক প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ও পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য রেজাউল করিম ও তাঁর স্ত্রী এবং নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক সাত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন বলে জানান দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।

দুদকের আবেদন থেকে জানা গেছে, মুস্তফা কামাল, তাঁর স্ত্রী কাশমিরি কামাল এবং মেয়ে নাফিসা কামাল ও কাশফি কামালের আয়কর নথি জব্দের আবেদন করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ। এদিকে সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ও তাঁর স্ত্রী ফিরোজা পারভীনের আয়কর নথি জব্দেরও আবেদন করেন মো. আবুল কালাম আজাদ। অন্যদিকে শামীম ওসমানের আয়কর নথি জব্দের আবেদন করেন সহকারী পরিচালক পিয়াস পাল।

প্রত্যেকের আয়কর নথির তথ্য চেয়ে পৃথক আবেদনগুলোতে বলা হয়েছে, প্রত্যেকের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ইতিমধ্যে দুদক মামলা করেছে। মামলার অভিযোগগুলো তদন্তের স্বার্থে প্রত্যেকের আয়কর নথির স্থায়ী অংশ, বিবিধ অংশ ও অ্যাসেসমেন্ট প্রতিবেদন যাচাই করা দরকার। এ কারণে নথিগুলো জব্দ করতে আদালতের নির্দেশ প্রয়োজন।

প্রত্যেকের বিরুদ্ধে করা মামলাসূত্রে জানা গেছে, রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৯৬ লাখ ৭০ হাজার ৩১২ টাকার, তাঁর স্ত্রী ফিরোজা পারভীনের বিরুদ্ধে ৪ কোটি ৬ লাখ ৩৮ হাজার ৫৪৭ টাকার, শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে ৬ কোটি ৬৭ লাখ ৫৩ হাজার ৬৮৯ টাকার, মুস্তফা কামালের স্ত্রী কাশমিরি কামালের বিরুদ্ধে ৪৪ কোটি ১১ লাখ ৬২ হাজার ১৪৬ টাকার, মুস্তফা কামালের মেয়ে নাফিসা কামালের বিরুদ্ধে ৬২ কোটি ৬৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫১৬ টাকার ও আরও এক মেয়ে কাশফি কামালের বিরুদ্ধে ৩১ কোটি ৭৮ লাখ ৮৩ হাজার ১৯৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা করেছে দুদক।

মুস্তফা কামালের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া প্রত্যেকের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পর নারীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বড়াল নদে গোসল করতে গিয়ে দুই বন্ধুর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
ঘটনাস্থলে লোকজন জড়ো হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘটনাস্থলে লোকজন জড়ো হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহীর চারঘাটে বড়াল নদে গোসলে নেমে দুই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে চারঘাট উপজেলা সদরে বড়াল নদের উৎসমুখের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মৃত কিশোরেরা হলো উপজেলার থানাপাড়া এলাকার ইসরাফিল ইসলামের ছেলে রিহান ইসলাম (১৭) ও সাজ্জাদ হোসেনের ছেলে মাহিদ হোসেন (১৭)। দুজনেই এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল এবং এক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছিল।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রিহান ও মাহিদ প্রায় প্রতিদিন একসঙ্গে সময় কাটাত। অন্যান্য দিনের মতো কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে নদীর পাড়ে ফুটবল খেলার পর গোসল করতে নামে তারা। বড়াল নদে বর্তমানে বেশির ভাগ জায়গায় পানি কম থাকলেও কিছু স্থানে গভীর গর্ত রয়েছে। গোসলের একপর্যায়ে রিহান গভীর পানিতে তলিয়ে যেতে থাকলে তাকে বাঁচাতে ঝাঁপ দেয় মাহিদ। কিন্তু সেও আর ওপরে উঠতে পারেনি। এ সময় সঙ্গে থাকা অন্য বন্ধুরা চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছান। দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে ডুবুরি দল ও স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের উদ্ধার করে চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

চারঘাট ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে রওনা হয়েছিলাম। তবে ডুবুরি দল জেলা সদরের স্টেশন থেকে আসায় উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করতে কিছুটা সময় লেগেছে। পরে তাদের দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পর নারীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সুন্দরবনে হরিণশিকারিদের হামলায় কর্মকর্তা আহত

খুলনা প্রতিনিধি
আটক তিনজন। ছবি: সংগৃহীত
আটক তিনজন। ছবি: সংগৃহীত

সুন্দরবনের দুবলার আলোর কোলের ডিমেরচরে হরিণশিকারিদের হামলায় আহত হয়েছেন সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা রানা দেব। এ ঘটনায় তিনজন হরিণশিকারিকে আটক করা হয়েছে।

হামলায় আহত রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) রানা দেব জানান, আজ সোমবার বেলা দেড়টার দিকে দুবলার আলোরকোল এলাকার ডিমেরচর বনাঞ্চলে হেঁটে টহলের সময় বনের মধ্যে হরিণ ধরার জন্য শিকারিদের পেতে রাখা ফাঁদ দেখতে পান বনরক্ষীরা। এ সময় বনের মধ্যে চার-পাঁচজন লোক দেখতে পেয়ে তাঁদের ধরার জন্য বনরক্ষীরা ধাওয়া করেন। তখন তিনি দৌড়ে একজন শিকারিকে ধরে ফেলেন। এ সময় অন্য শিকারিরা এসিএফকে বেধড়ক মারধর করে আটক ওই শিকারিকে ছিনিয়ে নিয়ে বনের মধ্যে পালিয়ে যায়। এ সময়ে বনরক্ষীরা ঘটনাস্থল থেকে ১৮টি হাঁটা ফাঁদ জব্দ করেন।

এ ঘটনার পর সুন্দরবন থেকে তিনজনকে আটক করেছেন বনরক্ষীরা। আটক ব্যক্তিরা হলেন বাগেরহাটের সুগন্ধি গ্রামের রাফি হাসান (২৬), রামপালের সোনাতুলিয়া গ্রামের শাহিদ মল্লিক (২৮) ও রামপাল ঝালবাড়ী গ্রামের আলামিন আকুন্জি (২৭)।

আহত এসিএফকে দুবলার অস্থায়ী স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

কেন্দ্রের মেডিকেল কর্মকর্তা সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, মারধরে আহত এসিএফের অভ্যন্তরীণ আঘাতের বিস্তারিত বুঝতে তাঁকে দ্রুত এক্সরে করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পর নারীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত