সুমেল সারাফাত, মোংলা (বাগেরহাট)

বাগেরহাটের মোংলা ও খুলনার দাকোপ উপজেলার ১০ হাজারের বেশি শ্রমিককে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে করে দুটি নদী পার হয়ে প্রতিদিন কর্মস্থল মোংলা ইপিজেড ও মোংলা বন্দর শিল্পাঞ্চলে আসা-যাওয়া করতে হয়। এসব কর্মজীবী মানুষকে পারাপারে ট্রলারচালক ও মালিক সমিতি কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
মোংলা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) ও মোংলা বন্দর শিল্পাঞ্চলে কর্মরত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মোংলা ইপিজেডে বর্তমানে চলমান কারখানার সংখ্যা ৩০টি। আবার মোংলা বন্দর শিল্পাঞ্চলে ২০টির বেশি কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় মোংলা উপজেলা এবং খুলনার দাকোপ উপজেলার ১০ হাজারের বেশি শ্রমিক ও কর্মচারী কাজ করেন। দাকোপের শ্রমিকদের শিল্পাঞ্চলে আসার জন্য পশুর নদ এবং মোংলার শ্রমিকদের আসার জন্য মোংলা নদী পার হতে হয়। যাত্রী পারাপারের জন্য মোংলায় একটি ট্রলার ঘাট এবং দাকোপে পশুর নদের তীরে তিনটি ট্রলার ঘাট রয়েছে। প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় এই দুটি নদীতে ট্রলারগুলো অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই করে পারাপার করে। যাত্রীরাও সঠিক সময়ে কর্মস্থলে পৌঁছানোর জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এভাবে পার হন।
গত শনিবার সকাল ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত ১ ঘণ্টা মোংলা ট্রলার ঘাটে অবস্থান করে দুই হাজারের বেশি শ্রমিক-কর্মচারীকে মোংলা নদী পার হতে দেখা যায়। সব ট্রলারেই অতিরিক্ত বোঝাই। জায়গা না থাকলেও অনেক পুরুষ শ্রমিক সাইকেল নিয়ে ট্রলারে উঠে যাচ্ছেন। সবার মধ্যেই চরম ব্যস্ততা। ট্রলারে অতিরিক্ত যাত্রী ওঠার সময়ও কেউ প্রতিবাদ করছেন না; বরং আগে ট্রলারে ওঠার জন্য হুড়াহুড়ি করছেন। ট্রলারচালকেরাও বেশি আয়ের লোভে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার করছেন।
এভাবে ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই করার কারণে ২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর খুলনার দাকোপ উপজেলার লাউডোব ঘাট থেকে পশুর নদ পার হয়ে মোংলা হোলসিম ঘাটে আসার সময় যাত্রীবাহী একটি ট্রলার ডুবে যায়। এতে দাকোপ উপজেলার বাজুয়া গ্রামের সুন্দর বিশ্বাস (৫৫) নামের একজনের মৃত্যু হয়।
মোংলার শেহালাবুনিয়া এলাকার নাসিমা, জাহানারা; মিঠাখালী গ্রামের হনুফা, পারভীন; চাঁদপাই গ্রামের সেলিনা ও সানজিদা বলেন, ‘সকালে কারখানায় যাওয়ার সময় ও ফেরার সময় নৌকায় উঠতে গিয়ে ধাক্কাধাক্কিতে অনেকে নদীতেও পড়ে যায়। তা ছাড়া নৌকাডুবির ঝুঁকিও থাকে। এভাবে ঝুঁকি থাকলেও আমাদের নদী পার হয়ে নির্ধারিত সময়েই কারখানায় পৌঁছাতে হয়। তা না হলে কারখানায় অনুপস্থিত দেখিয়ে বেতন কেটে নেওয়া হয়। আমরা তো পেটের দায়েই কারখানায় কাজ করি। প্রশাসন বা আমাদের মালিকপক্ষ যদি নদী পারাপারের জন্য বেশি ট্রলারের ব্যবস্থা করে দিত, তাহলে এ সমস্যা আর থাকত না।’
বাইসাইকেল নিয়ে ট্রলারে ওঠা জয়খা গ্রামের শ্যামল, তপন চাপড়া গ্রামের মিঠুন ও কৃষ্ণ বলেন, ‘মোংলা নদীতে কোনো সেতু নেই। এই নদী পার হওয়ার জন্য একটিমাত্র ফেরি রয়েছে। সেটি আবার ভাটার সময় চলে না। আবার কোনো পরিবহন পারাপারের জন্য না এলে ফেরি ছাড়েও না। ফলে নদী পারাপারে আমাদের একমাত্র উপায় হলো এই ট্রলার। তার সংখ্যাও আবার হাতে গোনা। আর সকালে নির্ধারিত সময়ের আগে কর্মস্থলে যাওয়ার চাপের কারণে আমাদের এভাবে ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হতে হয়। ট্রলারমালিক সমিতি যদি এখানে পর্যাপ্তসংখ্যক ট্রলারের ব্যবস্থা রাখত, তাহলে এ সমস্যার কিছুটা হলেও সমাধান হতো।’ তাঁরা অভিযোগ করেন, প্রশাসন ও ট্রলারমালিক সমিতি এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ উদাসীন। অনেক বছর ধরে এ রকম অবস্থা চলে এলেও, এখনো এ সমস্যা সমাধানে কোনো ব্যবস্থা কেউ নেয়নি।
মোংলা বন্দর যন্ত্রচালিত মাঝিমাল্লা সংঘের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘সকালে ১ ঘণ্টা এবং সন্ধ্যায় ১ ঘণ্টা মোংলা ইপিজেড ও বন্দরের শিল্পাঞ্চলে কর্মরত শ্রমিকদের পারাপারের জন্য ঘাটে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়। তখন আমরা প্রতি ট্রলারে ৪০-৪৫ জন যাত্রী পারাপার করি। দিনের অন্যান্য সময় প্রতি ট্রলারে ২০ জনের বেশি যাত্রী কোনো ট্রলারে উঠানো হয় না। আমাদের ট্রলারের সংখ্যা ২২টি এবং প্রতিটিতে ৭০-৭৫ জন যাত্রী পারাপার করা যায়। যাত্রী পারাপারের চাপ কমানোর জন্য তিন মাস পরপর আমরা একটি নতুন ট্রলার নদীতে নামাই। আর সকালে এবং সন্ধ্যায় শ্রমিক পারাপারের সময় আমাদের সমিতির নেতা-কর্মীরা দায়িত্ব পালন করেন, যাতে ট্রলারে অতিরিক্ত যাত্রী না ওঠে।’ তাঁর দাবি, সকালে যাত্রীরা নিয়মের বাইরে অতিরিক্ত হয়ে ট্রলারে উঠে যান। তখন যাত্রীরা কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেন না। যেটা আসলেই ঝুঁকিপূর্ণ।
মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং পৌর প্রশাসক শারমিন আক্তার সুমি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি। যাত্রী পারাপারের সঠিক নিয়ম ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই আমরা মাঝিমাল্লা সংঘের নেতাসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে বসব।’

বাগেরহাটের মোংলা ও খুলনার দাকোপ উপজেলার ১০ হাজারের বেশি শ্রমিককে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে করে দুটি নদী পার হয়ে প্রতিদিন কর্মস্থল মোংলা ইপিজেড ও মোংলা বন্দর শিল্পাঞ্চলে আসা-যাওয়া করতে হয়। এসব কর্মজীবী মানুষকে পারাপারে ট্রলারচালক ও মালিক সমিতি কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
মোংলা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) ও মোংলা বন্দর শিল্পাঞ্চলে কর্মরত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মোংলা ইপিজেডে বর্তমানে চলমান কারখানার সংখ্যা ৩০টি। আবার মোংলা বন্দর শিল্পাঞ্চলে ২০টির বেশি কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় মোংলা উপজেলা এবং খুলনার দাকোপ উপজেলার ১০ হাজারের বেশি শ্রমিক ও কর্মচারী কাজ করেন। দাকোপের শ্রমিকদের শিল্পাঞ্চলে আসার জন্য পশুর নদ এবং মোংলার শ্রমিকদের আসার জন্য মোংলা নদী পার হতে হয়। যাত্রী পারাপারের জন্য মোংলায় একটি ট্রলার ঘাট এবং দাকোপে পশুর নদের তীরে তিনটি ট্রলার ঘাট রয়েছে। প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় এই দুটি নদীতে ট্রলারগুলো অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই করে পারাপার করে। যাত্রীরাও সঠিক সময়ে কর্মস্থলে পৌঁছানোর জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এভাবে পার হন।
গত শনিবার সকাল ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত ১ ঘণ্টা মোংলা ট্রলার ঘাটে অবস্থান করে দুই হাজারের বেশি শ্রমিক-কর্মচারীকে মোংলা নদী পার হতে দেখা যায়। সব ট্রলারেই অতিরিক্ত বোঝাই। জায়গা না থাকলেও অনেক পুরুষ শ্রমিক সাইকেল নিয়ে ট্রলারে উঠে যাচ্ছেন। সবার মধ্যেই চরম ব্যস্ততা। ট্রলারে অতিরিক্ত যাত্রী ওঠার সময়ও কেউ প্রতিবাদ করছেন না; বরং আগে ট্রলারে ওঠার জন্য হুড়াহুড়ি করছেন। ট্রলারচালকেরাও বেশি আয়ের লোভে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার করছেন।
এভাবে ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই করার কারণে ২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর খুলনার দাকোপ উপজেলার লাউডোব ঘাট থেকে পশুর নদ পার হয়ে মোংলা হোলসিম ঘাটে আসার সময় যাত্রীবাহী একটি ট্রলার ডুবে যায়। এতে দাকোপ উপজেলার বাজুয়া গ্রামের সুন্দর বিশ্বাস (৫৫) নামের একজনের মৃত্যু হয়।
মোংলার শেহালাবুনিয়া এলাকার নাসিমা, জাহানারা; মিঠাখালী গ্রামের হনুফা, পারভীন; চাঁদপাই গ্রামের সেলিনা ও সানজিদা বলেন, ‘সকালে কারখানায় যাওয়ার সময় ও ফেরার সময় নৌকায় উঠতে গিয়ে ধাক্কাধাক্কিতে অনেকে নদীতেও পড়ে যায়। তা ছাড়া নৌকাডুবির ঝুঁকিও থাকে। এভাবে ঝুঁকি থাকলেও আমাদের নদী পার হয়ে নির্ধারিত সময়েই কারখানায় পৌঁছাতে হয়। তা না হলে কারখানায় অনুপস্থিত দেখিয়ে বেতন কেটে নেওয়া হয়। আমরা তো পেটের দায়েই কারখানায় কাজ করি। প্রশাসন বা আমাদের মালিকপক্ষ যদি নদী পারাপারের জন্য বেশি ট্রলারের ব্যবস্থা করে দিত, তাহলে এ সমস্যা আর থাকত না।’
বাইসাইকেল নিয়ে ট্রলারে ওঠা জয়খা গ্রামের শ্যামল, তপন চাপড়া গ্রামের মিঠুন ও কৃষ্ণ বলেন, ‘মোংলা নদীতে কোনো সেতু নেই। এই নদী পার হওয়ার জন্য একটিমাত্র ফেরি রয়েছে। সেটি আবার ভাটার সময় চলে না। আবার কোনো পরিবহন পারাপারের জন্য না এলে ফেরি ছাড়েও না। ফলে নদী পারাপারে আমাদের একমাত্র উপায় হলো এই ট্রলার। তার সংখ্যাও আবার হাতে গোনা। আর সকালে নির্ধারিত সময়ের আগে কর্মস্থলে যাওয়ার চাপের কারণে আমাদের এভাবে ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হতে হয়। ট্রলারমালিক সমিতি যদি এখানে পর্যাপ্তসংখ্যক ট্রলারের ব্যবস্থা রাখত, তাহলে এ সমস্যার কিছুটা হলেও সমাধান হতো।’ তাঁরা অভিযোগ করেন, প্রশাসন ও ট্রলারমালিক সমিতি এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ উদাসীন। অনেক বছর ধরে এ রকম অবস্থা চলে এলেও, এখনো এ সমস্যা সমাধানে কোনো ব্যবস্থা কেউ নেয়নি।
মোংলা বন্দর যন্ত্রচালিত মাঝিমাল্লা সংঘের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘সকালে ১ ঘণ্টা এবং সন্ধ্যায় ১ ঘণ্টা মোংলা ইপিজেড ও বন্দরের শিল্পাঞ্চলে কর্মরত শ্রমিকদের পারাপারের জন্য ঘাটে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়। তখন আমরা প্রতি ট্রলারে ৪০-৪৫ জন যাত্রী পারাপার করি। দিনের অন্যান্য সময় প্রতি ট্রলারে ২০ জনের বেশি যাত্রী কোনো ট্রলারে উঠানো হয় না। আমাদের ট্রলারের সংখ্যা ২২টি এবং প্রতিটিতে ৭০-৭৫ জন যাত্রী পারাপার করা যায়। যাত্রী পারাপারের চাপ কমানোর জন্য তিন মাস পরপর আমরা একটি নতুন ট্রলার নদীতে নামাই। আর সকালে এবং সন্ধ্যায় শ্রমিক পারাপারের সময় আমাদের সমিতির নেতা-কর্মীরা দায়িত্ব পালন করেন, যাতে ট্রলারে অতিরিক্ত যাত্রী না ওঠে।’ তাঁর দাবি, সকালে যাত্রীরা নিয়মের বাইরে অতিরিক্ত হয়ে ট্রলারে উঠে যান। তখন যাত্রীরা কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেন না। যেটা আসলেই ঝুঁকিপূর্ণ।
মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং পৌর প্রশাসক শারমিন আক্তার সুমি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি। যাত্রী পারাপারের সঠিক নিয়ম ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই আমরা মাঝিমাল্লা সংঘের নেতাসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে বসব।’
সুমেল সারাফাত, মোংলা (বাগেরহাট)

বাগেরহাটের মোংলা ও খুলনার দাকোপ উপজেলার ১০ হাজারের বেশি শ্রমিককে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে করে দুটি নদী পার হয়ে প্রতিদিন কর্মস্থল মোংলা ইপিজেড ও মোংলা বন্দর শিল্পাঞ্চলে আসা-যাওয়া করতে হয়। এসব কর্মজীবী মানুষকে পারাপারে ট্রলারচালক ও মালিক সমিতি কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
মোংলা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) ও মোংলা বন্দর শিল্পাঞ্চলে কর্মরত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মোংলা ইপিজেডে বর্তমানে চলমান কারখানার সংখ্যা ৩০টি। আবার মোংলা বন্দর শিল্পাঞ্চলে ২০টির বেশি কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় মোংলা উপজেলা এবং খুলনার দাকোপ উপজেলার ১০ হাজারের বেশি শ্রমিক ও কর্মচারী কাজ করেন। দাকোপের শ্রমিকদের শিল্পাঞ্চলে আসার জন্য পশুর নদ এবং মোংলার শ্রমিকদের আসার জন্য মোংলা নদী পার হতে হয়। যাত্রী পারাপারের জন্য মোংলায় একটি ট্রলার ঘাট এবং দাকোপে পশুর নদের তীরে তিনটি ট্রলার ঘাট রয়েছে। প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় এই দুটি নদীতে ট্রলারগুলো অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই করে পারাপার করে। যাত্রীরাও সঠিক সময়ে কর্মস্থলে পৌঁছানোর জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এভাবে পার হন।
গত শনিবার সকাল ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত ১ ঘণ্টা মোংলা ট্রলার ঘাটে অবস্থান করে দুই হাজারের বেশি শ্রমিক-কর্মচারীকে মোংলা নদী পার হতে দেখা যায়। সব ট্রলারেই অতিরিক্ত বোঝাই। জায়গা না থাকলেও অনেক পুরুষ শ্রমিক সাইকেল নিয়ে ট্রলারে উঠে যাচ্ছেন। সবার মধ্যেই চরম ব্যস্ততা। ট্রলারে অতিরিক্ত যাত্রী ওঠার সময়ও কেউ প্রতিবাদ করছেন না; বরং আগে ট্রলারে ওঠার জন্য হুড়াহুড়ি করছেন। ট্রলারচালকেরাও বেশি আয়ের লোভে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার করছেন।
এভাবে ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই করার কারণে ২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর খুলনার দাকোপ উপজেলার লাউডোব ঘাট থেকে পশুর নদ পার হয়ে মোংলা হোলসিম ঘাটে আসার সময় যাত্রীবাহী একটি ট্রলার ডুবে যায়। এতে দাকোপ উপজেলার বাজুয়া গ্রামের সুন্দর বিশ্বাস (৫৫) নামের একজনের মৃত্যু হয়।
মোংলার শেহালাবুনিয়া এলাকার নাসিমা, জাহানারা; মিঠাখালী গ্রামের হনুফা, পারভীন; চাঁদপাই গ্রামের সেলিনা ও সানজিদা বলেন, ‘সকালে কারখানায় যাওয়ার সময় ও ফেরার সময় নৌকায় উঠতে গিয়ে ধাক্কাধাক্কিতে অনেকে নদীতেও পড়ে যায়। তা ছাড়া নৌকাডুবির ঝুঁকিও থাকে। এভাবে ঝুঁকি থাকলেও আমাদের নদী পার হয়ে নির্ধারিত সময়েই কারখানায় পৌঁছাতে হয়। তা না হলে কারখানায় অনুপস্থিত দেখিয়ে বেতন কেটে নেওয়া হয়। আমরা তো পেটের দায়েই কারখানায় কাজ করি। প্রশাসন বা আমাদের মালিকপক্ষ যদি নদী পারাপারের জন্য বেশি ট্রলারের ব্যবস্থা করে দিত, তাহলে এ সমস্যা আর থাকত না।’
বাইসাইকেল নিয়ে ট্রলারে ওঠা জয়খা গ্রামের শ্যামল, তপন চাপড়া গ্রামের মিঠুন ও কৃষ্ণ বলেন, ‘মোংলা নদীতে কোনো সেতু নেই। এই নদী পার হওয়ার জন্য একটিমাত্র ফেরি রয়েছে। সেটি আবার ভাটার সময় চলে না। আবার কোনো পরিবহন পারাপারের জন্য না এলে ফেরি ছাড়েও না। ফলে নদী পারাপারে আমাদের একমাত্র উপায় হলো এই ট্রলার। তার সংখ্যাও আবার হাতে গোনা। আর সকালে নির্ধারিত সময়ের আগে কর্মস্থলে যাওয়ার চাপের কারণে আমাদের এভাবে ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হতে হয়। ট্রলারমালিক সমিতি যদি এখানে পর্যাপ্তসংখ্যক ট্রলারের ব্যবস্থা রাখত, তাহলে এ সমস্যার কিছুটা হলেও সমাধান হতো।’ তাঁরা অভিযোগ করেন, প্রশাসন ও ট্রলারমালিক সমিতি এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ উদাসীন। অনেক বছর ধরে এ রকম অবস্থা চলে এলেও, এখনো এ সমস্যা সমাধানে কোনো ব্যবস্থা কেউ নেয়নি।
মোংলা বন্দর যন্ত্রচালিত মাঝিমাল্লা সংঘের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘সকালে ১ ঘণ্টা এবং সন্ধ্যায় ১ ঘণ্টা মোংলা ইপিজেড ও বন্দরের শিল্পাঞ্চলে কর্মরত শ্রমিকদের পারাপারের জন্য ঘাটে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়। তখন আমরা প্রতি ট্রলারে ৪০-৪৫ জন যাত্রী পারাপার করি। দিনের অন্যান্য সময় প্রতি ট্রলারে ২০ জনের বেশি যাত্রী কোনো ট্রলারে উঠানো হয় না। আমাদের ট্রলারের সংখ্যা ২২টি এবং প্রতিটিতে ৭০-৭৫ জন যাত্রী পারাপার করা যায়। যাত্রী পারাপারের চাপ কমানোর জন্য তিন মাস পরপর আমরা একটি নতুন ট্রলার নদীতে নামাই। আর সকালে এবং সন্ধ্যায় শ্রমিক পারাপারের সময় আমাদের সমিতির নেতা-কর্মীরা দায়িত্ব পালন করেন, যাতে ট্রলারে অতিরিক্ত যাত্রী না ওঠে।’ তাঁর দাবি, সকালে যাত্রীরা নিয়মের বাইরে অতিরিক্ত হয়ে ট্রলারে উঠে যান। তখন যাত্রীরা কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেন না। যেটা আসলেই ঝুঁকিপূর্ণ।
মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং পৌর প্রশাসক শারমিন আক্তার সুমি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি। যাত্রী পারাপারের সঠিক নিয়ম ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই আমরা মাঝিমাল্লা সংঘের নেতাসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে বসব।’

বাগেরহাটের মোংলা ও খুলনার দাকোপ উপজেলার ১০ হাজারের বেশি শ্রমিককে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে করে দুটি নদী পার হয়ে প্রতিদিন কর্মস্থল মোংলা ইপিজেড ও মোংলা বন্দর শিল্পাঞ্চলে আসা-যাওয়া করতে হয়। এসব কর্মজীবী মানুষকে পারাপারে ট্রলারচালক ও মালিক সমিতি কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
মোংলা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) ও মোংলা বন্দর শিল্পাঞ্চলে কর্মরত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মোংলা ইপিজেডে বর্তমানে চলমান কারখানার সংখ্যা ৩০টি। আবার মোংলা বন্দর শিল্পাঞ্চলে ২০টির বেশি কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় মোংলা উপজেলা এবং খুলনার দাকোপ উপজেলার ১০ হাজারের বেশি শ্রমিক ও কর্মচারী কাজ করেন। দাকোপের শ্রমিকদের শিল্পাঞ্চলে আসার জন্য পশুর নদ এবং মোংলার শ্রমিকদের আসার জন্য মোংলা নদী পার হতে হয়। যাত্রী পারাপারের জন্য মোংলায় একটি ট্রলার ঘাট এবং দাকোপে পশুর নদের তীরে তিনটি ট্রলার ঘাট রয়েছে। প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় এই দুটি নদীতে ট্রলারগুলো অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই করে পারাপার করে। যাত্রীরাও সঠিক সময়ে কর্মস্থলে পৌঁছানোর জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এভাবে পার হন।
গত শনিবার সকাল ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত ১ ঘণ্টা মোংলা ট্রলার ঘাটে অবস্থান করে দুই হাজারের বেশি শ্রমিক-কর্মচারীকে মোংলা নদী পার হতে দেখা যায়। সব ট্রলারেই অতিরিক্ত বোঝাই। জায়গা না থাকলেও অনেক পুরুষ শ্রমিক সাইকেল নিয়ে ট্রলারে উঠে যাচ্ছেন। সবার মধ্যেই চরম ব্যস্ততা। ট্রলারে অতিরিক্ত যাত্রী ওঠার সময়ও কেউ প্রতিবাদ করছেন না; বরং আগে ট্রলারে ওঠার জন্য হুড়াহুড়ি করছেন। ট্রলারচালকেরাও বেশি আয়ের লোভে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার করছেন।
এভাবে ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই করার কারণে ২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর খুলনার দাকোপ উপজেলার লাউডোব ঘাট থেকে পশুর নদ পার হয়ে মোংলা হোলসিম ঘাটে আসার সময় যাত্রীবাহী একটি ট্রলার ডুবে যায়। এতে দাকোপ উপজেলার বাজুয়া গ্রামের সুন্দর বিশ্বাস (৫৫) নামের একজনের মৃত্যু হয়।
মোংলার শেহালাবুনিয়া এলাকার নাসিমা, জাহানারা; মিঠাখালী গ্রামের হনুফা, পারভীন; চাঁদপাই গ্রামের সেলিনা ও সানজিদা বলেন, ‘সকালে কারখানায় যাওয়ার সময় ও ফেরার সময় নৌকায় উঠতে গিয়ে ধাক্কাধাক্কিতে অনেকে নদীতেও পড়ে যায়। তা ছাড়া নৌকাডুবির ঝুঁকিও থাকে। এভাবে ঝুঁকি থাকলেও আমাদের নদী পার হয়ে নির্ধারিত সময়েই কারখানায় পৌঁছাতে হয়। তা না হলে কারখানায় অনুপস্থিত দেখিয়ে বেতন কেটে নেওয়া হয়। আমরা তো পেটের দায়েই কারখানায় কাজ করি। প্রশাসন বা আমাদের মালিকপক্ষ যদি নদী পারাপারের জন্য বেশি ট্রলারের ব্যবস্থা করে দিত, তাহলে এ সমস্যা আর থাকত না।’
বাইসাইকেল নিয়ে ট্রলারে ওঠা জয়খা গ্রামের শ্যামল, তপন চাপড়া গ্রামের মিঠুন ও কৃষ্ণ বলেন, ‘মোংলা নদীতে কোনো সেতু নেই। এই নদী পার হওয়ার জন্য একটিমাত্র ফেরি রয়েছে। সেটি আবার ভাটার সময় চলে না। আবার কোনো পরিবহন পারাপারের জন্য না এলে ফেরি ছাড়েও না। ফলে নদী পারাপারে আমাদের একমাত্র উপায় হলো এই ট্রলার। তার সংখ্যাও আবার হাতে গোনা। আর সকালে নির্ধারিত সময়ের আগে কর্মস্থলে যাওয়ার চাপের কারণে আমাদের এভাবে ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হতে হয়। ট্রলারমালিক সমিতি যদি এখানে পর্যাপ্তসংখ্যক ট্রলারের ব্যবস্থা রাখত, তাহলে এ সমস্যার কিছুটা হলেও সমাধান হতো।’ তাঁরা অভিযোগ করেন, প্রশাসন ও ট্রলারমালিক সমিতি এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ উদাসীন। অনেক বছর ধরে এ রকম অবস্থা চলে এলেও, এখনো এ সমস্যা সমাধানে কোনো ব্যবস্থা কেউ নেয়নি।
মোংলা বন্দর যন্ত্রচালিত মাঝিমাল্লা সংঘের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘সকালে ১ ঘণ্টা এবং সন্ধ্যায় ১ ঘণ্টা মোংলা ইপিজেড ও বন্দরের শিল্পাঞ্চলে কর্মরত শ্রমিকদের পারাপারের জন্য ঘাটে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়। তখন আমরা প্রতি ট্রলারে ৪০-৪৫ জন যাত্রী পারাপার করি। দিনের অন্যান্য সময় প্রতি ট্রলারে ২০ জনের বেশি যাত্রী কোনো ট্রলারে উঠানো হয় না। আমাদের ট্রলারের সংখ্যা ২২টি এবং প্রতিটিতে ৭০-৭৫ জন যাত্রী পারাপার করা যায়। যাত্রী পারাপারের চাপ কমানোর জন্য তিন মাস পরপর আমরা একটি নতুন ট্রলার নদীতে নামাই। আর সকালে এবং সন্ধ্যায় শ্রমিক পারাপারের সময় আমাদের সমিতির নেতা-কর্মীরা দায়িত্ব পালন করেন, যাতে ট্রলারে অতিরিক্ত যাত্রী না ওঠে।’ তাঁর দাবি, সকালে যাত্রীরা নিয়মের বাইরে অতিরিক্ত হয়ে ট্রলারে উঠে যান। তখন যাত্রীরা কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেন না। যেটা আসলেই ঝুঁকিপূর্ণ।
মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং পৌর প্রশাসক শারমিন আক্তার সুমি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি। যাত্রী পারাপারের সঠিক নিয়ম ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই আমরা মাঝিমাল্লা সংঘের নেতাসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে বসব।’

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের মক্তাগাড়ি গ্রাম থেকে ওমরপুরগামী কাঁচা রাস্তার পাশে ধানখেত থেকে এক অটোভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি হলেন উপজেলার চতরা ইউনিয়নের সোনাতলা গোবিন্দপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৫)।
১০ মিনিট আগে
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ রেজওয়ানের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন—মো. মাসুম ও মো. ফাহিম খান।
২১ মিনিট আগে
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
৩৩ মিনিট আগে
মেহেরপুরের গাংনীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকেশ আহমেদ নামের একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাকেশ আহমেদ উপজেলার তেরাইল গ্রামের মো. কামরুল ইসলামের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেপীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের মক্তাগাড়ি গ্রাম থেকে ওমরপুরগামী কাঁচা রাস্তার পাশে ধানখেত থেকে এক অটোভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি হলেন উপজেলার চতরা ইউনিয়নের সোনাতলা গোবিন্দপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সকালে ধানখেতে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দিলে পীরগঞ্জ থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের মক্তাগাড়ি গ্রাম থেকে ওমরপুরগামী কাঁচা রাস্তার পাশে ধানখেত থেকে এক অটোভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি হলেন উপজেলার চতরা ইউনিয়নের সোনাতলা গোবিন্দপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সকালে ধানখেতে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দিলে পীরগঞ্জ থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

বাগেরহাটের মোংলা ও খুলনার দাকোপ উপজেলার ১০ হাজারের বেশি শ্রমিককে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে করে দুটি নদী পার হয়ে প্রতিদিন কর্মস্থল মোংলা ইপিজেড ও মোংলা বন্দর শিল্পাঞ্চলে আসা-যাওয়া করতে হয়। এসব কর্মজীবী মানুষকে পারাপারে ট্রলারচালক ও মালিক সমিতি কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
২০ অক্টোবর ২০২৫
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ রেজওয়ানের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন—মো. মাসুম ও মো. ফাহিম খান।
২১ মিনিট আগে
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
৩৩ মিনিট আগে
মেহেরপুরের গাংনীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকেশ আহমেদ নামের একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাকেশ আহমেদ উপজেলার তেরাইল গ্রামের মো. কামরুল ইসলামের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ রেজওয়ানের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন—মো. মাসুম ও মো. ফাহিম খান।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উত্তরা-পূর্ব থানা সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টর এলাকায় জুলাই রেভেলস সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ রেজওয়ানের ওপর হামলা চালায় কতিপয় দুর্বৃত্ত। এতে তিনি আহত হলে দ্রুত তাঁকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য পুলিশ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চলাকালে আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ভোর আনুমানিক ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকা থেকে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ।
তালেবুর রহমান জানান, মামলার সুষ্ঠু তদন্ত এবং এজাহারনামীয় অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।
গতকাল শনিবার বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন মোহাম্মদ রেজওয়ান। সেখান থেকে জুলাই রেভেলসের অফিসে এসে বসেছিলেন।
এ বিষয়ে জুলাই রেভেলসের সহসংগঠক মো. পারভেজ জানান, ‘হাদি ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন শেষ করে সন্ধ্যায় অফিসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য গিয়েছিলেন রেজওয়ান। এ সময় কিছু সন্ত্রাসী রেজওয়ানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আহত রেজওয়ান সংগঠনের প্রস্তাবিত সহসংগঠক।’

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ রেজওয়ানের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন—মো. মাসুম ও মো. ফাহিম খান।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উত্তরা-পূর্ব থানা সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টর এলাকায় জুলাই রেভেলস সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ রেজওয়ানের ওপর হামলা চালায় কতিপয় দুর্বৃত্ত। এতে তিনি আহত হলে দ্রুত তাঁকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য পুলিশ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চলাকালে আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ভোর আনুমানিক ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকা থেকে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ।
তালেবুর রহমান জানান, মামলার সুষ্ঠু তদন্ত এবং এজাহারনামীয় অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।
গতকাল শনিবার বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন মোহাম্মদ রেজওয়ান। সেখান থেকে জুলাই রেভেলসের অফিসে এসে বসেছিলেন।
এ বিষয়ে জুলাই রেভেলসের সহসংগঠক মো. পারভেজ জানান, ‘হাদি ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন শেষ করে সন্ধ্যায় অফিসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য গিয়েছিলেন রেজওয়ান। এ সময় কিছু সন্ত্রাসী রেজওয়ানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আহত রেজওয়ান সংগঠনের প্রস্তাবিত সহসংগঠক।’

বাগেরহাটের মোংলা ও খুলনার দাকোপ উপজেলার ১০ হাজারের বেশি শ্রমিককে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে করে দুটি নদী পার হয়ে প্রতিদিন কর্মস্থল মোংলা ইপিজেড ও মোংলা বন্দর শিল্পাঞ্চলে আসা-যাওয়া করতে হয়। এসব কর্মজীবী মানুষকে পারাপারে ট্রলারচালক ও মালিক সমিতি কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
২০ অক্টোবর ২০২৫
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের মক্তাগাড়ি গ্রাম থেকে ওমরপুরগামী কাঁচা রাস্তার পাশে ধানখেত থেকে এক অটোভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি হলেন উপজেলার চতরা ইউনিয়নের সোনাতলা গোবিন্দপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৫)।
১০ মিনিট আগে
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
৩৩ মিনিট আগে
মেহেরপুরের গাংনীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকেশ আহমেদ নামের একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাকেশ আহমেদ উপজেলার তেরাইল গ্রামের মো. কামরুল ইসলামের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেমুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালপত্র লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার দিবাগত রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চান্দেরচর গ্রামের কুয়েতপ্রবাসী মো. আল-আমিনের ডুপ্লেক্স বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। নৌপথে ট্রলারযোগে এসে ১২-১৫ জন মুখোশ পরা ডাকাত এই ডাকাতি করে।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, কুয়েত থেকে দেশে ফেরার মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় ডাকাতির কবলে পড়েন মো. আল-আমিন। ডাকাতেরা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে এবং একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পরিবারের সদস্যদের আতঙ্কিত করে তোলে। এ সময় তারা আনুমানিক ২৬ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ প্রায় ৫ লাখ টাকা, কুয়েতি মুদ্রা প্রায় ১০০ দিনার এবং দুটি মোবাইল ফোন লুট করে নেয়। লুট হওয়া মালপত্রের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করা হয়েছে। ফুটেজে ১০-১৫ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দলকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আ. হান্নান বলেন, ‘ডাকাতির খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অন্য কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে রয়েছেন। এই ঘটনায় আমরা তদন্ত শুরু করেছি। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাকাতদের শনাক্ত করতে পারব। তবে এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা হয়নি।’

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালপত্র লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার দিবাগত রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চান্দেরচর গ্রামের কুয়েতপ্রবাসী মো. আল-আমিনের ডুপ্লেক্স বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। নৌপথে ট্রলারযোগে এসে ১২-১৫ জন মুখোশ পরা ডাকাত এই ডাকাতি করে।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, কুয়েত থেকে দেশে ফেরার মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় ডাকাতির কবলে পড়েন মো. আল-আমিন। ডাকাতেরা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে এবং একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পরিবারের সদস্যদের আতঙ্কিত করে তোলে। এ সময় তারা আনুমানিক ২৬ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ প্রায় ৫ লাখ টাকা, কুয়েতি মুদ্রা প্রায় ১০০ দিনার এবং দুটি মোবাইল ফোন লুট করে নেয়। লুট হওয়া মালপত্রের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করা হয়েছে। ফুটেজে ১০-১৫ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দলকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আ. হান্নান বলেন, ‘ডাকাতির খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অন্য কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে রয়েছেন। এই ঘটনায় আমরা তদন্ত শুরু করেছি। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাকাতদের শনাক্ত করতে পারব। তবে এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা হয়নি।’

বাগেরহাটের মোংলা ও খুলনার দাকোপ উপজেলার ১০ হাজারের বেশি শ্রমিককে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে করে দুটি নদী পার হয়ে প্রতিদিন কর্মস্থল মোংলা ইপিজেড ও মোংলা বন্দর শিল্পাঞ্চলে আসা-যাওয়া করতে হয়। এসব কর্মজীবী মানুষকে পারাপারে ট্রলারচালক ও মালিক সমিতি কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
২০ অক্টোবর ২০২৫
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের মক্তাগাড়ি গ্রাম থেকে ওমরপুরগামী কাঁচা রাস্তার পাশে ধানখেত থেকে এক অটোভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি হলেন উপজেলার চতরা ইউনিয়নের সোনাতলা গোবিন্দপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৫)।
১০ মিনিট আগে
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ রেজওয়ানের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন—মো. মাসুম ও মো. ফাহিম খান।
২১ মিনিট আগে
মেহেরপুরের গাংনীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকেশ আহমেদ নামের একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাকেশ আহমেদ উপজেলার তেরাইল গ্রামের মো. কামরুল ইসলামের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেগাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি

মেহেরপুরের গাংনীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকেশ আহমেদ নামের একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাকেশ আহমেদ উপজেলার তেরাইল গ্রামের মো. কামরুল ইসলামের ছেলে। সে স্থানীয় বামন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
আহত ব্যক্তিরা হলো মেহেরপুর মল্লিকপাড়ার আব্দুল বাকির ছেলে অভিক আহমেদ (২৮) ও বামন্দী মিনকুল ইসলামের ছেলে শয়ন আলী (১৬)।
প্রত্যক্ষদর্শী হাসেম আলী বলেন, দুটি মোটরসাইকেল বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর কর হয়। একজন স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
বামন্দী সেন্ট্রাল হাসপাতালের চিকিৎসক মাহফুজুর রহমান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়া রাকেশ আহমেদ নামের একজন মারা গেছে। হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। আহত একজনকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আরেকজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম কুমার দাস বলেন, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

মেহেরপুরের গাংনীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকেশ আহমেদ নামের একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাকেশ আহমেদ উপজেলার তেরাইল গ্রামের মো. কামরুল ইসলামের ছেলে। সে স্থানীয় বামন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
আহত ব্যক্তিরা হলো মেহেরপুর মল্লিকপাড়ার আব্দুল বাকির ছেলে অভিক আহমেদ (২৮) ও বামন্দী মিনকুল ইসলামের ছেলে শয়ন আলী (১৬)।
প্রত্যক্ষদর্শী হাসেম আলী বলেন, দুটি মোটরসাইকেল বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর কর হয়। একজন স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
বামন্দী সেন্ট্রাল হাসপাতালের চিকিৎসক মাহফুজুর রহমান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়া রাকেশ আহমেদ নামের একজন মারা গেছে। হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। আহত একজনকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আরেকজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম কুমার দাস বলেন, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

বাগেরহাটের মোংলা ও খুলনার দাকোপ উপজেলার ১০ হাজারের বেশি শ্রমিককে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে করে দুটি নদী পার হয়ে প্রতিদিন কর্মস্থল মোংলা ইপিজেড ও মোংলা বন্দর শিল্পাঞ্চলে আসা-যাওয়া করতে হয়। এসব কর্মজীবী মানুষকে পারাপারে ট্রলারচালক ও মালিক সমিতি কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
২০ অক্টোবর ২০২৫
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের মক্তাগাড়ি গ্রাম থেকে ওমরপুরগামী কাঁচা রাস্তার পাশে ধানখেত থেকে এক অটোভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি হলেন উপজেলার চতরা ইউনিয়নের সোনাতলা গোবিন্দপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৫)।
১০ মিনিট আগে
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ রেজওয়ানের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন—মো. মাসুম ও মো. ফাহিম খান।
২১ মিনিট আগে
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
৩৩ মিনিট আগে