মারুফ ইসলাম
বৈশ্বিক খাদ্যসংকটের আশঙ্কা ঘনীভূত হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বনেতাদের মুখে ‘খাদ্যসংকট’, ‘দুর্ভিক্ষ’ শব্দগুলো হরহামেশাই উচ্চারিত হচ্ছে। অনেকেই বলছেন, রাশিয়া–ইউক্রেন সংকটই এর মূল কারণ। অন্যদিকে বিশ্ববাজারের অবস্থাও কিছুটা বেগতিক। তবে কি বৈশ্বিক খাদ্যসংকট আবার ফিরে আসছে?
গেল মাসেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বিশ্বের খাদ্যনিরাপত্তা দিনকে দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। এর জন্য রাশিয়াই দায়ী। তাকেই যুদ্ধটা শেষ করতে হবে।’ রাশিয়াকে দায়ী করার পাশাপাশি তিনি খাদ্যসংকট মোকাবিলায় এ বছরের জন্য প্রায় ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার তহবিল সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছেন।
গত আগস্টে ইউক্রেনের ওদেসা বন্দর পরিদর্শনে গিয়েছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশগুলোতে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা এখনো একটি বড় সমস্যা। এই সমস্যা শিগগিরই শেষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বরং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে খাদ্যসংকট আরও বাড়বে।’
এ ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেপ বোরেল, জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক, ফ্রান্সের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন ইভেস লে ড্রিয়ান এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও সাম্প্রতিক সময়ে বৈশ্বিক খাদ্যসংকট ও দুর্ভিক্ষ নিয়ে সতর্ক হতে বলেছেন বারবার। বিশ্বনেতাদের এসব হুঁশিয়ারির প্রেক্ষাপটে অনেকেরই আশঙ্কা, দুর্ভিক্ষ সম্ভবত খুব জোরেশোরেই কড়া নাড়তে শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো, গত ফেব্রুয়ারিতে হামলা শুরুর পর থেকেই ইউক্রেনের বন্দর অবরুদ্ধ করে রেখেছে রাশিয়া। তবে বন্দর থেকে শিপমেন্ট চালু করার ব্যাপারে গত জুলাইয়ে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় একটি ঐতিহাসিক চুক্তিতে সম্মত হয় উভয় দেশ। সেই চুক্তি অনুযায়ী, আগস্টের ১ তারিখে প্রথম একটি শস্যবাহী জাহাজ ইউক্রেনের ওদেসা বন্দর ছেড়ে যায়। এরপর আরও বেশ কয়েকটি শস্যবাহী জাহাজ ইউক্রেন বন্দর ত্যাগ করে।
ওই চুক্তি ও শস্যবাহী জাহাজ ছেড়ে যাওয়ার পর অনেকেই সুড়ঙ্গের শেষে আশার আলো দেখেছিলেন। এ উদ্যোগকে ‘বৈশ্বিক ক্ষুধা নিবারণের ক্ষেত্রে একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছিল। বিশ্বনেতারা ভেবেছিলেন, পৃথিবীর খাদ্যসংকট হয়তো কমবে।
কিন্তু সেই আশার গুড়েও বালি পড়তে শুরু করেছে। আবারও বিশ্বের সচেতন মানুষের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ দেখা দিয়েছে। কারণ, রুশ কর্মকর্তারা সম্প্রতি ওই চুক্তি থেকে সরে এসেছেন। এর পেছনে কারণও আছে বটে। দিন কয়েক আগে ইউক্রেনের সেনারা রুশ অধিকৃত ক্রিমিয়ার নৌবহরে ড্রোন হামলা করে বসে। আর এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে রাশিয়া শস্য রপ্তানির চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়।
ক্রিমিয়ার সেবাস্তোপোর শহরের কাছে কৃষ্ণসাগরের নৌবহরে ইউক্রেনের হামলাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এর পরই তিন মাস আগে করা চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসে মস্কো।
শস্যচুক্তি প্রত্যাহার মানে ইউক্রেনের বন্দর থেকে আর কোনো শস্যবাহী জাহাজ পৃথিবীর কোনো দেশে যেতে দেবে না রাশিয়া। কারণ বন্দরগুলো এখনো তারা অবরুদ্ধ করে রেখেছে। আর এ কারণেই আবারও গভীর দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বিশ্বনেতারা। ‘পৃথিবীর রুটির ঝুড়ি’ হিসেবে পরিচিত ইউক্রেন যদি শস্য রপ্তানি করতে না পারে, তবে তা পৃথিবীবাসীর জন্য ‘খাদ্যসংকট’ বয়ে আনতে পারে।
গতকাল শনিবার জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক রুশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, যাতে কৃষ্ণসাগর দিয়ে শস্য রপ্তানি চুক্তি পুনরায় শুরু করে রাশিয়া। স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, ‘পৃথিবীর লাখ লাখ মানুষের খাদ্যের জন্যই চুক্তিটি চালু রাখা দরকার।’
ইউক্রেন অবশ্য চুক্তি বাতিলের জন্য রাশিয়ার ওপরই দোষ চাপিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেছেন, ‘চুক্তি প্রত্যাহার করা রাশিয়ার পূর্বপরিকল্পনা ছিল। আমাদের শস্য করিডর অবরুদ্ধ করে রাখতেই এসব মিথ্যা অজুহাত দাঁড় করাচ্ছে রাশিয়া।’ তিনি মস্কোর কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘আপনারা এই ক্ষুধার খেলা বন্ধ করুন।’
সত্যিকার অর্থেই কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনের বন্দরগুলোর সঙ্গে পৃথিবীর খাদ্য সরবরাহের একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার জোসেফ স্মিডুবার বলেছেন, ‘প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টন খাদ্যশস্য ইউক্রেনের অভ্যন্তরে আটকে আছে।’
ইউক্রেনের গ্রেইন অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, ফেব্রুয়ারিতে পুতিন আক্রমণ শুরু করার আগে ইউক্রেন প্রতি মাসে ৬০ লাখ টন শস্য বিভিন্ন দেশে পাঠাত। মার্চ মাসে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি নেমে আসে ৩ লাখ টনে।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে খাদ্যশস্য রপ্তানির জন্য ইউক্রেনের বন্দরগুলো যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, সে ব্যাপারে কারোরই কোনো সন্দেহ নেই। সেই বন্দরগুলো যদি মাসের পর মাস বন্ধ থাকে, তবে তা বৈশ্বিক খাদ্যভান্ডারে অবশ্যই সংকট সৃষ্টি করবে। আর এর ফলে বিশ্বের বুকে নেমে আসতে পারে অবধারিত দুর্ভিক্ষ। সেই দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি সম্ভবত শুরু হয়ে গেছে!
তথ্যসূত্র: ফোর্বস, সিএনএন, ডয়চে ভেলে, আনাদোলু এজেন্সি, আল-জাজিরা ও বিবিসি
বৈশ্বিক খাদ্যসংকটের আশঙ্কা ঘনীভূত হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বনেতাদের মুখে ‘খাদ্যসংকট’, ‘দুর্ভিক্ষ’ শব্দগুলো হরহামেশাই উচ্চারিত হচ্ছে। অনেকেই বলছেন, রাশিয়া–ইউক্রেন সংকটই এর মূল কারণ। অন্যদিকে বিশ্ববাজারের অবস্থাও কিছুটা বেগতিক। তবে কি বৈশ্বিক খাদ্যসংকট আবার ফিরে আসছে?
গেল মাসেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বিশ্বের খাদ্যনিরাপত্তা দিনকে দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। এর জন্য রাশিয়াই দায়ী। তাকেই যুদ্ধটা শেষ করতে হবে।’ রাশিয়াকে দায়ী করার পাশাপাশি তিনি খাদ্যসংকট মোকাবিলায় এ বছরের জন্য প্রায় ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার তহবিল সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছেন।
গত আগস্টে ইউক্রেনের ওদেসা বন্দর পরিদর্শনে গিয়েছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশগুলোতে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা এখনো একটি বড় সমস্যা। এই সমস্যা শিগগিরই শেষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বরং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে খাদ্যসংকট আরও বাড়বে।’
এ ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেপ বোরেল, জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক, ফ্রান্সের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন ইভেস লে ড্রিয়ান এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও সাম্প্রতিক সময়ে বৈশ্বিক খাদ্যসংকট ও দুর্ভিক্ষ নিয়ে সতর্ক হতে বলেছেন বারবার। বিশ্বনেতাদের এসব হুঁশিয়ারির প্রেক্ষাপটে অনেকেরই আশঙ্কা, দুর্ভিক্ষ সম্ভবত খুব জোরেশোরেই কড়া নাড়তে শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো, গত ফেব্রুয়ারিতে হামলা শুরুর পর থেকেই ইউক্রেনের বন্দর অবরুদ্ধ করে রেখেছে রাশিয়া। তবে বন্দর থেকে শিপমেন্ট চালু করার ব্যাপারে গত জুলাইয়ে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় একটি ঐতিহাসিক চুক্তিতে সম্মত হয় উভয় দেশ। সেই চুক্তি অনুযায়ী, আগস্টের ১ তারিখে প্রথম একটি শস্যবাহী জাহাজ ইউক্রেনের ওদেসা বন্দর ছেড়ে যায়। এরপর আরও বেশ কয়েকটি শস্যবাহী জাহাজ ইউক্রেন বন্দর ত্যাগ করে।
ওই চুক্তি ও শস্যবাহী জাহাজ ছেড়ে যাওয়ার পর অনেকেই সুড়ঙ্গের শেষে আশার আলো দেখেছিলেন। এ উদ্যোগকে ‘বৈশ্বিক ক্ষুধা নিবারণের ক্ষেত্রে একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছিল। বিশ্বনেতারা ভেবেছিলেন, পৃথিবীর খাদ্যসংকট হয়তো কমবে।
কিন্তু সেই আশার গুড়েও বালি পড়তে শুরু করেছে। আবারও বিশ্বের সচেতন মানুষের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ দেখা দিয়েছে। কারণ, রুশ কর্মকর্তারা সম্প্রতি ওই চুক্তি থেকে সরে এসেছেন। এর পেছনে কারণও আছে বটে। দিন কয়েক আগে ইউক্রেনের সেনারা রুশ অধিকৃত ক্রিমিয়ার নৌবহরে ড্রোন হামলা করে বসে। আর এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে রাশিয়া শস্য রপ্তানির চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়।
ক্রিমিয়ার সেবাস্তোপোর শহরের কাছে কৃষ্ণসাগরের নৌবহরে ইউক্রেনের হামলাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এর পরই তিন মাস আগে করা চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসে মস্কো।
শস্যচুক্তি প্রত্যাহার মানে ইউক্রেনের বন্দর থেকে আর কোনো শস্যবাহী জাহাজ পৃথিবীর কোনো দেশে যেতে দেবে না রাশিয়া। কারণ বন্দরগুলো এখনো তারা অবরুদ্ধ করে রেখেছে। আর এ কারণেই আবারও গভীর দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বিশ্বনেতারা। ‘পৃথিবীর রুটির ঝুড়ি’ হিসেবে পরিচিত ইউক্রেন যদি শস্য রপ্তানি করতে না পারে, তবে তা পৃথিবীবাসীর জন্য ‘খাদ্যসংকট’ বয়ে আনতে পারে।
গতকাল শনিবার জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক রুশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, যাতে কৃষ্ণসাগর দিয়ে শস্য রপ্তানি চুক্তি পুনরায় শুরু করে রাশিয়া। স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, ‘পৃথিবীর লাখ লাখ মানুষের খাদ্যের জন্যই চুক্তিটি চালু রাখা দরকার।’
ইউক্রেন অবশ্য চুক্তি বাতিলের জন্য রাশিয়ার ওপরই দোষ চাপিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেছেন, ‘চুক্তি প্রত্যাহার করা রাশিয়ার পূর্বপরিকল্পনা ছিল। আমাদের শস্য করিডর অবরুদ্ধ করে রাখতেই এসব মিথ্যা অজুহাত দাঁড় করাচ্ছে রাশিয়া।’ তিনি মস্কোর কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘আপনারা এই ক্ষুধার খেলা বন্ধ করুন।’
সত্যিকার অর্থেই কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনের বন্দরগুলোর সঙ্গে পৃথিবীর খাদ্য সরবরাহের একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার জোসেফ স্মিডুবার বলেছেন, ‘প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টন খাদ্যশস্য ইউক্রেনের অভ্যন্তরে আটকে আছে।’
ইউক্রেনের গ্রেইন অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, ফেব্রুয়ারিতে পুতিন আক্রমণ শুরু করার আগে ইউক্রেন প্রতি মাসে ৬০ লাখ টন শস্য বিভিন্ন দেশে পাঠাত। মার্চ মাসে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি নেমে আসে ৩ লাখ টনে।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে খাদ্যশস্য রপ্তানির জন্য ইউক্রেনের বন্দরগুলো যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, সে ব্যাপারে কারোরই কোনো সন্দেহ নেই। সেই বন্দরগুলো যদি মাসের পর মাস বন্ধ থাকে, তবে তা বৈশ্বিক খাদ্যভান্ডারে অবশ্যই সংকট সৃষ্টি করবে। আর এর ফলে বিশ্বের বুকে নেমে আসতে পারে অবধারিত দুর্ভিক্ষ। সেই দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি সম্ভবত শুরু হয়ে গেছে!
তথ্যসূত্র: ফোর্বস, সিএনএন, ডয়চে ভেলে, আনাদোলু এজেন্সি, আল-জাজিরা ও বিবিসি
লাদাখ অ্যাপেক্স বডির সমন্বয়ক জিগমাত পালজোর আল-জাজিরাকে বলেন, ‘আজ লাদাখের ইতিহাসের রক্তাক্ত দিন। আমাদের তরুণদের হত্যা করা হয়েছে—যাঁরা সাধারণ মানুষ, শুধু অনশনের দাবিকে সমর্থন জানাতে রাস্তায় নেমেছিলেন।’ তিনি আরও বলেন, পাঁচ বছর ধরে সরকারের ভুয়া প্রতিশ্রুতিতে মানুষ ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল।
১৯ ঘণ্টা আগেনেপালের শুরুটা হয়েছিল ভক্তপুর শহরে এক রাজনীতিবিদের মেয়ের বিয়েকে কেন্দ্র করে। সে সময় খবর ছড়ায়—ভিআইপি অতিথিদের জন্য শহরের প্রধান সড়ক ঘণ্টার পর ঘণ্টা বন্ধ ছিল এবং এতে বড় ধরনের যানজট তৈরি হয়।
১ দিন আগেজাতিসংঘের মঞ্চে ফিলিস্তিনকে স্বাধীনতা রাষ্ট্র হিসেবে ব্রিটেন ও ফ্রান্সের স্বীকৃতি শতবর্ষী ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের ইতিহাসে এক অভূতপূর্ব মুহূর্ত। তবে এটি এক ধরনের কূটনৈতিক ঝুঁকিও। কারণ, বড় ইউরোপীয় শক্তিগুলো মনে করছে—সংঘাত এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, তাদের এমন নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হতে হচ্ছে।
২ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রে ৭০ বছরের বেশি সময় ধরে জায়নবাদী বয়ান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায়। এই বয়ান এবং তা দিয়ে জনমত তৈরিতে ভূমিকা রাখছে লবিস্ট, খ্রিষ্টান ধর্মপ্রচারকেরা এবং প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যমগুলো। ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা শুরুর আগপর্যন্ত এ বয়ানকে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়নি।
২ দিন আগে