অনলাইন ডেস্ক
ইরানের ফোরদো পারমাণবিক কেন্দ্র সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে নজরদারির মধ্যে থাকা জায়গাগুলোর একটি। ২০০৯ সালে পশ্চিমা গোয়েন্দারা গোপন এই পারমাণবিক স্থাপনাটির তথ্য প্রথম প্রকাশ্যে আনেন। ইরান ও ইসরায়েলের সংঘাতে সম্প্রতি সেখানেই বোমা হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, এই হামলার ফলে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি কয়েক দশকের জন্য পিছিয়ে গেছে।
তবে মার্কিন হামলায় আসলে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটিই নির্ধারণ করবে ভবিষ্যতে সংঘাত কোন দিকে মোড় নেবে।
উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে, বোমার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত ফোরদো পরমাণু কেন্দ্রটির মাটি ফেটে যাওয়া ও ধুলোর চিহ্ন। তবে তা থেকে জোরালো কোনো ভূগর্ভস্থ ক্ষয়ক্ষতির প্রমাণ মেলে না। পর্বতের ভেতরে বড় কোনো ধসও ধরা পড়েনি।
এর মানে হতে পারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একাধিক বোমা ব্যবহার করলেও ইরান হয়তো মজবুত কংক্রিট ব্যবহার করে স্থাপনাটিকে এমনভাবে সুরক্ষিত করেছিল, মূল হল বা ভেতরের যন্ত্রপাতির কাছে হামলা পৌঁছায়নি।
এ বিষয়ে আজ বুধবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ধরনের বোমা এবারই প্রথম ব্যবহার করা হয়েছে। এর ফলে এই হামলার প্রকৃত ফল নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। এই হামলায় আসলে কী ক্ষতি হয়েছে, তা বোঝার জন্য বিভিন্ন ধরনের গোয়েন্দা তথ্য প্রয়োজন। যেমন ভূকম্প পরিমাপক যন্ত্র, যা মাটির নিচে বিস্ফোরণের গভীরতা ও তীব্রতা বিশ্লেষণ করতে পারে। ‘স্নিফার’ নামের যন্ত্র, যা রেডিয়েশন বা তেজস্ক্রিয়তা খুঁজে পায় এবং ‘লাইট ডিটেকশন অ্যান্ড রেঞ্জিং’-এর মতো সেন্সর, যা ড্রোন বা বিমানের মাধ্যমে লেজার তরঙ্গ পাঠিয়ে পর্বতের ভেতরের থ্রি-ডি ম্যাপ তৈরি করতে পারে।
নিঃসন্দেহে এই হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি কিছুটা পিছিয়ে গেছে। তবে পিছিয়েছে আসলে কতটা? এই প্রশ্নের উত্তর নির্ভর করছে—হামলার পর আসলে কী কী অক্ষত রয়ে গেছে, তা নিরূপণের ওপর এবং শেষ পর্যন্ত, প্রশ্নটির উত্তরে কিছুটা অনিশ্চয়তা থেকেই যাবে। কারণ, তা নির্ভর করবে অনুমানের ওপর, নিশ্চিত পরিসংখ্যানের ওপর নয়।
ইরানের ফোরদো পারমাণবিক কেন্দ্র সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে নজরদারির মধ্যে থাকা জায়গাগুলোর একটি। ২০০৯ সালে পশ্চিমা গোয়েন্দারা গোপন এই পারমাণবিক স্থাপনাটির তথ্য প্রথম প্রকাশ্যে আনেন। ইরান ও ইসরায়েলের সংঘাতে সম্প্রতি সেখানেই বোমা হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, এই হামলার ফলে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি কয়েক দশকের জন্য পিছিয়ে গেছে।
তবে মার্কিন হামলায় আসলে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটিই নির্ধারণ করবে ভবিষ্যতে সংঘাত কোন দিকে মোড় নেবে।
উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে, বোমার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত ফোরদো পরমাণু কেন্দ্রটির মাটি ফেটে যাওয়া ও ধুলোর চিহ্ন। তবে তা থেকে জোরালো কোনো ভূগর্ভস্থ ক্ষয়ক্ষতির প্রমাণ মেলে না। পর্বতের ভেতরে বড় কোনো ধসও ধরা পড়েনি।
এর মানে হতে পারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একাধিক বোমা ব্যবহার করলেও ইরান হয়তো মজবুত কংক্রিট ব্যবহার করে স্থাপনাটিকে এমনভাবে সুরক্ষিত করেছিল, মূল হল বা ভেতরের যন্ত্রপাতির কাছে হামলা পৌঁছায়নি।
এ বিষয়ে আজ বুধবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ধরনের বোমা এবারই প্রথম ব্যবহার করা হয়েছে। এর ফলে এই হামলার প্রকৃত ফল নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। এই হামলায় আসলে কী ক্ষতি হয়েছে, তা বোঝার জন্য বিভিন্ন ধরনের গোয়েন্দা তথ্য প্রয়োজন। যেমন ভূকম্প পরিমাপক যন্ত্র, যা মাটির নিচে বিস্ফোরণের গভীরতা ও তীব্রতা বিশ্লেষণ করতে পারে। ‘স্নিফার’ নামের যন্ত্র, যা রেডিয়েশন বা তেজস্ক্রিয়তা খুঁজে পায় এবং ‘লাইট ডিটেকশন অ্যান্ড রেঞ্জিং’-এর মতো সেন্সর, যা ড্রোন বা বিমানের মাধ্যমে লেজার তরঙ্গ পাঠিয়ে পর্বতের ভেতরের থ্রি-ডি ম্যাপ তৈরি করতে পারে।
নিঃসন্দেহে এই হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি কিছুটা পিছিয়ে গেছে। তবে পিছিয়েছে আসলে কতটা? এই প্রশ্নের উত্তর নির্ভর করছে—হামলার পর আসলে কী কী অক্ষত রয়ে গেছে, তা নিরূপণের ওপর এবং শেষ পর্যন্ত, প্রশ্নটির উত্তরে কিছুটা অনিশ্চয়তা থেকেই যাবে। কারণ, তা নির্ভর করবে অনুমানের ওপর, নিশ্চিত পরিসংখ্যানের ওপর নয়।
বলা হচ্ছে, শুধু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে খুশি করতেই হঠাৎ করে একটি বিশেষ সম্মেলন আয়োজন করেছে ইউরোপীয় দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটো। শুধু তা-ই নয়, ট্রাম্পকে সন্তুষ্ট করতে এবার ন্যাটো সম্মেলনে ইউরোপীয় নেতারা তাঁর জন্য লালগালিচাও বিছিয়ে দিয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগেমধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিরতি যে কতটা অস্থির ও অনির্ভরযোগ্য, তা এখন হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ঘোষণার পরই ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টা হামলা, সামাজিক মাধ্যমে মরিয়া সতর্কবার্তা ও নেতানিয়াহুকে ফোন করে শান্ত থাকার অনুরোধ—সবই তাঁর গভীর হতাশার ইঙ্গিত দেয়।
১ দিন আগেইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। উভয় পক্ষই লক্ষ্য অর্জনের দাবি করছে। এই ১২ দিনের যুদ্ধের জয়-পরাজয় ও বিভিন্ন পক্ষের অর্জন নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতামত এখন আলোচনার কেন্দ্রে।
১ দিন আগে১৯৭৮ সালের অক্টোবর। তৎকালীন ইরানি শাহ সরকারের বিরোধী দুই নেতা— সেক্যুলার নেতা করিম সানজাবি এবং শিয়া ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি প্যারিসের শহরতলি নফল-ল্য-শ্যাতোতে বৈঠকে বসেন। সেখানে বিপ্লব-পরবর্তী সরকারের লক্ষ্য নির্ধারণে একটি খসড়া ঘোষণাপত্র তৈরি হয়। সানজাবির ভাষ্য অনুযায়ী...
২ দিন আগে