তামান্না–ই–জাহান
লুইস ইনাসিও লুলা দা সিলভার চমকপ্রদ প্রত্যাবর্তনে ব্রাজিলজুড়ে চলছে উদযাপন। চরম ডানপন্থি জইর বলসোনারোকে পরাজিত করে ক্ষমতায় ফিরলেও অনেক প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি সাবেক এই প্রেসিডেন্ট। দারিদ্র্য নিরসন, আবাসন সমস্যা ও পৃথিবীর ‘ফুসফুস খ্যাত’ আমাজনের ক্ষত সারিয়ে তোলার মতো কঠিন প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে হবে বামপন্থী এই নেতাকে।
আগামী ১ জানুয়ারি ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবেন লুলা। অবধারিতভাবেই তাঁকে বলসোনারো সরকারের রেখে যাওয়া দুরবস্থা মোকাবিলায় কোমর বেঁধে কাজ করতে হবে। দারিদ্র্য, আবাসন ও আমাজনের মতো ইস্যুর সঙ্গে ব্রাজিলীয়দের মধ্যে সৃষ্ট বিভেদও দূর করতে হবে তাঁকে।
বলসোনারো সরকারের আমলে দেশটির ৩ কোটির বেশি মানুষ চরম খাদ্যসংকটে পড়েছে, দরিদ্র হয়েছে ১০ কোটি মানুষ। আমাজন উজাড়ে বলসোনারোর নীতি ব্রাজিলকে সমালোচিত করেছে বিশ্বজুড়ে। এসব সংকট কাটিয়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েই ক্ষমতায় এসেছেন লুলা।
নির্বাচনে জয়ের পরের ভাষণেও দারিদ্র্য মোকাবিলাকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন লুলা। ‘মানুষ না খেয়ে থাকবেন’ তা কোনোভাবেই মানতে পারবেন না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। লুলা বলেন, ‘আমাদের দেশ বিশ্বে খাদ্য উৎপাদনে তৃতীয় হওয়ার পরও লাখ লাখ শিশু, নারী ও পুরুষ না খেয়ে থাকছেন। এটি হতে পারে না। ব্রাজিলের প্রত্যেকটি মানুষ প্রত্যেকটা দিন যাতে তিনবেলা খেতে পান, তা নিশ্চিত করা আমাদের কর্তব্য।’
২০০৩ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব সামলেছেন লুলা। সে সময় তাঁর সরকারের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সামাজিক নীতি লাখ লাখ মানুষকে দারিদ্র্যমুক্ত করেছিল। এবারও তিনি সেই নীতিই অব্যাহত রাখবেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, করোনা মহামারি পরবর্তী অর্থনৈতিক অবস্থায় লুলার পক্ষে আগের মতো সাফল্য পাওয়া কঠিন হতে পারে। এ ছাড়া কংগ্রেসে বলসোনারোর সমর্থকদের জোর বাধার সম্মুখীন হতে পারেন তিনি।
দেশবাসীকে সাধ্যের মধ্যে আবাসন সুবিধা এবং গ্রাম পর্যায় বিদ্যুৎ ও পানির সুব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বামপন্থী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা লুলা। তবে সবার জন্য সাধ্যমতো আবাসন খুব সহজ নয়। বিশ্লেষকেরা বলছেন, লুলার উদারনীতি উচ্চাভিলাষে পর্যবসিত হতে পারে।
২০১৯ সালে বলসোনারো ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ক্রমাগত আমাজন বন ধ্বংসের হার বাড়তে থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, বন উজাড় ও অগ্নিকাণ্ডের কারণে আগের দশকের চেয়ে ২০১৯ ও ২০২০ সালে কার্বন নিঃস্বরণ বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। গত বছর আমাজনের প্রায় ১০ লাখ হেক্টর এলাকা আগুনে পুড়ে যায়। পৃথিবীর ‘ফুসফুস খ্যাত’ আমাজন বনাঞ্চল সুরক্ষার বিষয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় জোর দিয়েছিলেন লুলা। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের সামনে তাই আমাজনের ক্ষত সারিয়ে তোলা বড় চ্যালেঞ্জ।
গত সপ্তাহে ব্রাজিলবাসীর উদ্দেশে একটি খোলা চিঠি লিখেন লুলা। সেখানে নারী–পুরুষের সমান মজুরি, হাসপাতালগুলোয় অস্ত্রোপচার ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা সহজ ও দ্রুত করা এবং নবজাতকদের জন্য ডে–কেয়ারের ব্যবস্থা অগ্রাধিকারের তালিকায় ছিল। তবে এই তালিকা ‘খুব একটা কার্যকর হবে’ বলে মনে করছেন না বিশ্লেষকেরা।
এদিকে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের উপায় ও অর্থায়ন নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি লুলা। করোনা মহামারি পরবর্তী দুরাবস্থা কাটিয়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট লাঘবের চ্যালেঞ্জ কতটা দক্ষ হাতে মোকাবিলা করতে পারেন ৭৭ বছর বয়সী লুলা, সেটিই এখন বড় প্রশ্ন।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, বিবিসি, এনবিসি, ব্লুমবার্গ
লুইস ইনাসিও লুলা দা সিলভার চমকপ্রদ প্রত্যাবর্তনে ব্রাজিলজুড়ে চলছে উদযাপন। চরম ডানপন্থি জইর বলসোনারোকে পরাজিত করে ক্ষমতায় ফিরলেও অনেক প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি সাবেক এই প্রেসিডেন্ট। দারিদ্র্য নিরসন, আবাসন সমস্যা ও পৃথিবীর ‘ফুসফুস খ্যাত’ আমাজনের ক্ষত সারিয়ে তোলার মতো কঠিন প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে হবে বামপন্থী এই নেতাকে।
আগামী ১ জানুয়ারি ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবেন লুলা। অবধারিতভাবেই তাঁকে বলসোনারো সরকারের রেখে যাওয়া দুরবস্থা মোকাবিলায় কোমর বেঁধে কাজ করতে হবে। দারিদ্র্য, আবাসন ও আমাজনের মতো ইস্যুর সঙ্গে ব্রাজিলীয়দের মধ্যে সৃষ্ট বিভেদও দূর করতে হবে তাঁকে।
বলসোনারো সরকারের আমলে দেশটির ৩ কোটির বেশি মানুষ চরম খাদ্যসংকটে পড়েছে, দরিদ্র হয়েছে ১০ কোটি মানুষ। আমাজন উজাড়ে বলসোনারোর নীতি ব্রাজিলকে সমালোচিত করেছে বিশ্বজুড়ে। এসব সংকট কাটিয়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েই ক্ষমতায় এসেছেন লুলা।
নির্বাচনে জয়ের পরের ভাষণেও দারিদ্র্য মোকাবিলাকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন লুলা। ‘মানুষ না খেয়ে থাকবেন’ তা কোনোভাবেই মানতে পারবেন না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। লুলা বলেন, ‘আমাদের দেশ বিশ্বে খাদ্য উৎপাদনে তৃতীয় হওয়ার পরও লাখ লাখ শিশু, নারী ও পুরুষ না খেয়ে থাকছেন। এটি হতে পারে না। ব্রাজিলের প্রত্যেকটি মানুষ প্রত্যেকটা দিন যাতে তিনবেলা খেতে পান, তা নিশ্চিত করা আমাদের কর্তব্য।’
২০০৩ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব সামলেছেন লুলা। সে সময় তাঁর সরকারের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সামাজিক নীতি লাখ লাখ মানুষকে দারিদ্র্যমুক্ত করেছিল। এবারও তিনি সেই নীতিই অব্যাহত রাখবেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, করোনা মহামারি পরবর্তী অর্থনৈতিক অবস্থায় লুলার পক্ষে আগের মতো সাফল্য পাওয়া কঠিন হতে পারে। এ ছাড়া কংগ্রেসে বলসোনারোর সমর্থকদের জোর বাধার সম্মুখীন হতে পারেন তিনি।
দেশবাসীকে সাধ্যের মধ্যে আবাসন সুবিধা এবং গ্রাম পর্যায় বিদ্যুৎ ও পানির সুব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বামপন্থী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা লুলা। তবে সবার জন্য সাধ্যমতো আবাসন খুব সহজ নয়। বিশ্লেষকেরা বলছেন, লুলার উদারনীতি উচ্চাভিলাষে পর্যবসিত হতে পারে।
২০১৯ সালে বলসোনারো ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ক্রমাগত আমাজন বন ধ্বংসের হার বাড়তে থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, বন উজাড় ও অগ্নিকাণ্ডের কারণে আগের দশকের চেয়ে ২০১৯ ও ২০২০ সালে কার্বন নিঃস্বরণ বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। গত বছর আমাজনের প্রায় ১০ লাখ হেক্টর এলাকা আগুনে পুড়ে যায়। পৃথিবীর ‘ফুসফুস খ্যাত’ আমাজন বনাঞ্চল সুরক্ষার বিষয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় জোর দিয়েছিলেন লুলা। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের সামনে তাই আমাজনের ক্ষত সারিয়ে তোলা বড় চ্যালেঞ্জ।
গত সপ্তাহে ব্রাজিলবাসীর উদ্দেশে একটি খোলা চিঠি লিখেন লুলা। সেখানে নারী–পুরুষের সমান মজুরি, হাসপাতালগুলোয় অস্ত্রোপচার ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা সহজ ও দ্রুত করা এবং নবজাতকদের জন্য ডে–কেয়ারের ব্যবস্থা অগ্রাধিকারের তালিকায় ছিল। তবে এই তালিকা ‘খুব একটা কার্যকর হবে’ বলে মনে করছেন না বিশ্লেষকেরা।
এদিকে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের উপায় ও অর্থায়ন নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি লুলা। করোনা মহামারি পরবর্তী দুরাবস্থা কাটিয়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট লাঘবের চ্যালেঞ্জ কতটা দক্ষ হাতে মোকাবিলা করতে পারেন ৭৭ বছর বয়সী লুলা, সেটিই এখন বড় প্রশ্ন।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, বিবিসি, এনবিসি, ব্লুমবার্গ
নিজের ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প জানান, তিনি ইতিমধ্যে নির্বাহী আদেশে সই করেছেন এবং নতুন কোনো শর্ত আরোপ করা হচ্ছে না। একই সময়ে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও মার্কিন পণ্যে তাদের শুল্ক স্থগিতাদেশ একই মেয়াদে বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। তাদের পূর্বের চুক্তি শেষ হওয়ার কথা ছিল মঙ্গলবার রাত ১২টা ১ মিনিটে।
২ ঘণ্টা আগেবিশ্বজুড়েই ছাত্র ইউনিয়নগুলো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা ইস্যুতে সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগকারী গোষ্ঠী হিসেবে কাজ করে। ইতিহাস বলে, এই ছাত্ররাই সরকারকে দায়বদ্ধ করে তোলে এবং তরুণদের অধিকার রক্ষা করে। বাংলাদেশে অনেক ছাত্র নেতা পরবর্তীকালে মূলধারার রাজনীতিতে প্রবেশ...
২ দিন আগেশেখ হাসিনার পতনের বর্ষপূর্তি উদ্যাপন ও বাংলাদেশের এক নতুন ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতির আশায় হাজারো মানুষ গত সপ্তাহে ঢাকায় জড়ো হয়েছিলেন। বর্ষাস্নাত দিনটিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে নেতা, অধিকারকর্মীদের উপস্থিতিতে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক ‘নয়া বাংলাদেশের’ ঘোষণাপত্র উন্মোচন করেছেন।
২ দিন আগেমিয়ানমারে জান্তা বাহিনী ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে। সেই ঘটনার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত কিছু ব্যক্তি ও কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তবে গত ২৪ জুলাই মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট কিছু ব্যক্তি ও কোম্পানির ওপর...
৩ দিন আগে