ডয়চে ভেলের প্রতিবেদন
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চলমান কূটনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা ও চিকিৎসাসেবা ব্যাপকভাবে সীমিত হয়ে পড়েছে। গত আগস্টে শেখ হাসিনার পতনের পর রাজনৈতিক অস্থিরতায় ভারত বাংলাদেশে তাদের ভিসা সেন্টারগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখে। এর মধ্যে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ভারতীয় হাইকমিশন ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে ভিসা সেবা স্থগিত করে প্রায় ২০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি নাগরিকের পাসপোর্ট ফেরত পাঠায়।
শুধু বাংলাদেশ নয়, এই পরিস্থিতির জন্য অর্থনৈতিক প্রভাব পড়েছে ভারতের ওপরেও। কারণ পর্যটননির্ভর ভারতের কিছু অঞ্চলে বাংলাদেশি পর্যটক না যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সেসব এলাকার মানুষ। বিশেষ করে কলকাতা, চেন্নাই ও বেঙ্গালুরুতে বাংলাদেশি রোগীদের ভ্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। ফলে, বিপাকে পড়েছেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা।
তবে নতুন বছরের জানুয়ারি থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট ও খুলনার পাঁচটি ভিসা সেন্টারে কেবল জরুরি ও মানবিক আবেদনের ক্ষেত্রে ভিসা প্রক্রিয়াকরণ চালু রেখেছে।
ভিসা সেন্টারগুলোর তথ্যমতে, আগে দৈনিক ভিসা প্রক্রিয়ার সংখ্যা ছিল ৭ হাজারের মতো। কিন্তু বর্তমানে তা ৫০০ থেকে ৭০০-তে নেমে এসেছে। এদিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার বিষয়েও কোনো নিশ্চিত সময়সীমা নেই।
ভারত বাংলাদেশিদের জন্য ১৫ ধরনের ভিসা প্রদান করে, যার মধ্যে ‘জরুরি সেবা’ ভিসাও অন্তর্ভুক্ত। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা ডিডব্লিউকে বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। স্বাভাবিক হলে পূর্ণাঙ্গ ভিসা সেবা চালু করব।’
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্য কর্মকর্তারা জানান, ভিসা সেবা পুরোপুরি চালু করতে আরও সময় লাগবে।
সম্প্রতি সীমান্তে ভারতের কিছু কর্মকাণ্ডে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়ছে। ভারত সীমান্তের পাঁচটি স্থানে শূন্য রেখার প্রায় শেষ প্রান্তে এসে বেড়া নির্মাণ করেছে বলে অভিযোগ করে সীমান্তবর্তী এলাকার বাংলাদেশিরা। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে এই বিষয়টির সত্যতাও পাওয়া যায়। ফলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করে।
এর প্রতিক্রিয়ায় ভারতে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মো. নূরুল ইসলামকেও তলব করে দিল্লি।
চলমান সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা চিকিৎসা পর্যটনেও প্রভাব ফেলেছে। ভারতীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বাংলাদেশিদের সংখ্যা ২৫ থেকে প্রায় ৪০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
কেয়ারএজ রেটিংস নামে একটি জ্ঞানভিত্তিক বিশ্লেষণী সংস্থার মতে, ভারতের সাশ্রয়ী চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় হাজারো রোগী বিপাকে পড়েছেন। তবে বিকল্প চিকিৎসার জন্য অনেক বাংলাদেশি এখন থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও তুরস্কের দিকেও ঝুঁকছেন।
সাবেক কূটনীতিক অজয় বিসারিয়া বলেন, ‘দেশ দুটির মধ্যে চলাচলে বিধিনিষেধ রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের ফলাফল। ভারত ও বাংলাদেশকে সংলাপের মাধ্যমে এই সমস্যাগুলোর সমাধান করতে হবে।’
অজয় বিসারিয়া আরও বলেন, ‘পারস্পরিক বিশ্বাস পুনর্গঠন করতে হবে। এগুলো সহজেই সমাধানযোগ্য, তবে ২০২৫ সালে ভিসা ব্যবস্থার উন্নতিতে সমঝোতা ও আলোচনার প্রয়োজন।’
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা ইউরোপীয় দেশগুলোতে, যেমন; ফিনল্যান্ড, রোমানিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্রে পড়াশোনার জন্য ভিসা আবেদন করলে ভারতে যেতে হয়। কিন্তু ভারতীয় ভিসার অনিশ্চয়তা তাঁদের জন্য বড় ধরনের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইতিমধ্যে প্রায় ১ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফার লেটার পেলেও ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারছেন না।
গত ডিসেম্বরে ইউরোপীয় কূটনীতিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ইউরোপীয় দেশগুলোকে তাদের ভিসা কেন্দ্র দিল্লি থেকে ঢাকায় স্থানান্তরের আহ্বান জানান।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চলমান কূটনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা ও চিকিৎসাসেবা ব্যাপকভাবে সীমিত হয়ে পড়েছে। গত আগস্টে শেখ হাসিনার পতনের পর রাজনৈতিক অস্থিরতায় ভারত বাংলাদেশে তাদের ভিসা সেন্টারগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখে। এর মধ্যে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ভারতীয় হাইকমিশন ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে ভিসা সেবা স্থগিত করে প্রায় ২০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি নাগরিকের পাসপোর্ট ফেরত পাঠায়।
শুধু বাংলাদেশ নয়, এই পরিস্থিতির জন্য অর্থনৈতিক প্রভাব পড়েছে ভারতের ওপরেও। কারণ পর্যটননির্ভর ভারতের কিছু অঞ্চলে বাংলাদেশি পর্যটক না যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সেসব এলাকার মানুষ। বিশেষ করে কলকাতা, চেন্নাই ও বেঙ্গালুরুতে বাংলাদেশি রোগীদের ভ্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। ফলে, বিপাকে পড়েছেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা।
তবে নতুন বছরের জানুয়ারি থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট ও খুলনার পাঁচটি ভিসা সেন্টারে কেবল জরুরি ও মানবিক আবেদনের ক্ষেত্রে ভিসা প্রক্রিয়াকরণ চালু রেখেছে।
ভিসা সেন্টারগুলোর তথ্যমতে, আগে দৈনিক ভিসা প্রক্রিয়ার সংখ্যা ছিল ৭ হাজারের মতো। কিন্তু বর্তমানে তা ৫০০ থেকে ৭০০-তে নেমে এসেছে। এদিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার বিষয়েও কোনো নিশ্চিত সময়সীমা নেই।
ভারত বাংলাদেশিদের জন্য ১৫ ধরনের ভিসা প্রদান করে, যার মধ্যে ‘জরুরি সেবা’ ভিসাও অন্তর্ভুক্ত। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা ডিডব্লিউকে বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। স্বাভাবিক হলে পূর্ণাঙ্গ ভিসা সেবা চালু করব।’
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্য কর্মকর্তারা জানান, ভিসা সেবা পুরোপুরি চালু করতে আরও সময় লাগবে।
সম্প্রতি সীমান্তে ভারতের কিছু কর্মকাণ্ডে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়ছে। ভারত সীমান্তের পাঁচটি স্থানে শূন্য রেখার প্রায় শেষ প্রান্তে এসে বেড়া নির্মাণ করেছে বলে অভিযোগ করে সীমান্তবর্তী এলাকার বাংলাদেশিরা। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে এই বিষয়টির সত্যতাও পাওয়া যায়। ফলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করে।
এর প্রতিক্রিয়ায় ভারতে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মো. নূরুল ইসলামকেও তলব করে দিল্লি।
চলমান সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা চিকিৎসা পর্যটনেও প্রভাব ফেলেছে। ভারতীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বাংলাদেশিদের সংখ্যা ২৫ থেকে প্রায় ৪০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
কেয়ারএজ রেটিংস নামে একটি জ্ঞানভিত্তিক বিশ্লেষণী সংস্থার মতে, ভারতের সাশ্রয়ী চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় হাজারো রোগী বিপাকে পড়েছেন। তবে বিকল্প চিকিৎসার জন্য অনেক বাংলাদেশি এখন থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও তুরস্কের দিকেও ঝুঁকছেন।
সাবেক কূটনীতিক অজয় বিসারিয়া বলেন, ‘দেশ দুটির মধ্যে চলাচলে বিধিনিষেধ রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের ফলাফল। ভারত ও বাংলাদেশকে সংলাপের মাধ্যমে এই সমস্যাগুলোর সমাধান করতে হবে।’
অজয় বিসারিয়া আরও বলেন, ‘পারস্পরিক বিশ্বাস পুনর্গঠন করতে হবে। এগুলো সহজেই সমাধানযোগ্য, তবে ২০২৫ সালে ভিসা ব্যবস্থার উন্নতিতে সমঝোতা ও আলোচনার প্রয়োজন।’
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা ইউরোপীয় দেশগুলোতে, যেমন; ফিনল্যান্ড, রোমানিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্রে পড়াশোনার জন্য ভিসা আবেদন করলে ভারতে যেতে হয়। কিন্তু ভারতীয় ভিসার অনিশ্চয়তা তাঁদের জন্য বড় ধরনের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইতিমধ্যে প্রায় ১ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফার লেটার পেলেও ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারছেন না।
গত ডিসেম্বরে ইউরোপীয় কূটনীতিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ইউরোপীয় দেশগুলোকে তাদের ভিসা কেন্দ্র দিল্লি থেকে ঢাকায় স্থানান্তরের আহ্বান জানান।
বিশ্বজুড়েই ছাত্র ইউনিয়নগুলো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা ইস্যুতে সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগকারী গোষ্ঠী হিসেবে কাজ করে। ইতিহাস বলে, এই ছাত্ররাই সরকারকে দায়বদ্ধ করে তোলে এবং তরুণদের অধিকার রক্ষা করে। বাংলাদেশে অনেক ছাত্র নেতা পরবর্তীকালে মূলধারার রাজনীতিতে প্রবেশ...
১৩ ঘণ্টা আগেশেখ হাসিনার পতনের বর্ষপূর্তি উদ্যাপন ও বাংলাদেশের এক নতুন ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতির আশায় হাজারো মানুষ গত সপ্তাহে ঢাকায় জড়ো হয়েছিলেন। বর্ষাস্নাত দিনটিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে নেতা, অধিকারকর্মীদের উপস্থিতিতে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক ‘নয়া বাংলাদেশের’ ঘোষণাপত্র উন্মোচন করেছেন।
১ দিন আগেমিয়ানমারে জান্তা বাহিনী ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে। সেই ঘটনার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত কিছু ব্যক্তি ও কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তবে গত ২৪ জুলাই মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট কিছু ব্যক্তি ও কোম্পানির ওপর...
২ দিন আগে১৫৮ বছর আগে মাত্র ৭২ লাখ মার্কিন ডলারের বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আলাস্কা বিক্রি করে দিয়েছিল রাশিয়া। আর ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধানসূত্র খুঁজতে সেখানেই বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ট্রাম্প-পুতিন। মার্কিন মুল্লুকের এত সব জৌলুস এলাকা বাদ দিয়ে কেন এই হিমশীতল অঙ্গরাজ্য আলাস্কাকে বেছে নেওয়া হলো? এর পেছনে রহস্য কী?
২ দিন আগে