আজকের পত্রিকা ডেস্ক
পৃথক এক মামলার শুনানিতে অংশ নিতে গত মঙ্গলবার রাজধানী ইসলামাবাদের হাইকোর্টে গিয়েছিলেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রধান ইমরান খান। এ সময় হাইকোর্ট চত্বর থেকে তাঁকে আধা সামরিক বাহিনী রেঞ্জার্সের সহায়তায় গ্রেপ্তার করে দেশটির ন্যাশনাল অ্যাকাউন্ট্যাবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)।
গ্রেপ্তারের পর ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজি) আকবর নাসির খানকে উদ্ধৃত করে ইসলামাবাদ পুলিশ এক বিবৃতিতে বলেছে, একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির পাঁচ হাজার কোটি রুপির বৈধতা দেওয়ার বিনিময়ে কয়েক শ কোটি রুপি ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ইমরান খান এবং তাঁর স্ত্রীর বুশরা বিবির বিরুদ্ধে। সেই মামলাতেই গ্রেপ্তার হয়েছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে পিটিআই দাবি করেছে, গ্রেপ্তার করার সময় ইমরান খানের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে দেশজুড়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছে। যে পদ্ধতিতে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং এর প্রভাব কেমন হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক, সাংবাদিক ও আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেছে সংবাদমাধ্যম ডন। তাঁদের আলাপচারিতায় গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় উঠে এসেছে, যা তুলে ধরা হলো।
ডনের সঙ্গে আলাপচারিতায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের একজন হলেন আইনজীবী আবদুল ময়েজ জাফেরি। তিনি বলেন, ‘ইমরানকে গ্রেপ্তারের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো এর পদ্ধতি। তিনি একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিভিন্ন জরিপের তথ্যানুসারে তিনি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ। তাঁর গ্রেপ্তার ঘিরে যে হিংসাত্মক ও উদ্বেগজনক চিত্র আমরা দেখছি, তা সাধারণত একটি অধিকৃত অঞ্চলে দেখা যায়। কিন্তু দুঃখজনকভাবে তা দেখতে হচ্ছে একটি স্বাধীন দেশে।’
আইনজীবী রিদা হোসেনের চিন্তাও জাফেরির সঙ্গে মিলে যায়। তিনি বলেন, ইমরান খানকে যেভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা আইনের শাসনে বিশ্বাসী প্রত্যেকের জন্যই বেদনাদায়ক। এটা কোনোভাবেই ন্যায়সংগত নয়। শতাধিক রেঞ্জার্স কর্মকর্তা জড়ো হয়েছিলেন, জানালা ভাঙা হয়েছিল এবং একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের জন্য আদালত প্রাঙ্গণ থেকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। রেঞ্জার্সের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, সরকারকে অবশ্যই স্পষ্ট করতে হবে যে তারা বেসামরিক ক্ষমতার সহায়তায় রেঞ্জার্সকে আদৌ ডেকেছে কি না। সেটা হলেও ইউনিফর্ম পরিহিত বিপুলসংখ্যক রেঞ্জার্স সদস্যকে গ্রেপ্তার করার জন্য পাঠানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই।
পদ্ধতির বাইরে গ্রেপ্তারের আইনগত ভিত্তি নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এনএবি অধ্যাদেশের ২৪ ধারায় বলা হয়েছে, যদি একজন অভিযুক্ত ইচ্ছাকৃতভাবে বারবার নোটিশের পরে তদন্তে যোগদান না করেন, অভিযুক্ত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন, দুর্নীতির যথেষ্ট প্রমাণ থাকে, তবে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা যেতে পারে। ইমরানকে গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে ওপরের কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
অবশ্য আইনজীবী মির্জা ময়েজ বেগের চিন্তা কিছুটা ভিন্ন। তিনি বলেন, যেহেতু পাকিস্তান একটা কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্র, সেহেতু এই গ্রেপ্তারকে শুধু আইনি লেন্স দিয়ে দেখা উচিত হবে না।
এদিকে ‘ইমরান নিজের ওষুধের স্বাদ নিজেই পাচ্ছেন’ বলে উল্লেখ করেছেন সাংবাদিক শাহচজেব জিলানি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান খান তাঁর সমালোচক ও বিরোধীদের নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এনএবি ও এফআইবিকে ব্যবহার করেছিলেন। আজ নিজের ওষুধের কিছুটা স্বাদ তিনি নিজেও পাচ্ছেন।
অন্যদিকে সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের উইলসন সেন্টারের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান এই গ্রেপ্তারকে দীর্ঘ ও বিশ্রী সংকটের বাড়াবাড়ি বলে উল্লেখ করেন।তিনি বলেন, এক সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জোরের সঙ্গে অভিযোগ উত্থাপনের পরপরই ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হলো। এটা দুঃখজনক।
পৃথক এক মামলার শুনানিতে অংশ নিতে গত মঙ্গলবার রাজধানী ইসলামাবাদের হাইকোর্টে গিয়েছিলেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রধান ইমরান খান। এ সময় হাইকোর্ট চত্বর থেকে তাঁকে আধা সামরিক বাহিনী রেঞ্জার্সের সহায়তায় গ্রেপ্তার করে দেশটির ন্যাশনাল অ্যাকাউন্ট্যাবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)।
গ্রেপ্তারের পর ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজি) আকবর নাসির খানকে উদ্ধৃত করে ইসলামাবাদ পুলিশ এক বিবৃতিতে বলেছে, একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির পাঁচ হাজার কোটি রুপির বৈধতা দেওয়ার বিনিময়ে কয়েক শ কোটি রুপি ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ইমরান খান এবং তাঁর স্ত্রীর বুশরা বিবির বিরুদ্ধে। সেই মামলাতেই গ্রেপ্তার হয়েছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে পিটিআই দাবি করেছে, গ্রেপ্তার করার সময় ইমরান খানের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে দেশজুড়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছে। যে পদ্ধতিতে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং এর প্রভাব কেমন হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক, সাংবাদিক ও আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেছে সংবাদমাধ্যম ডন। তাঁদের আলাপচারিতায় গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় উঠে এসেছে, যা তুলে ধরা হলো।
ডনের সঙ্গে আলাপচারিতায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের একজন হলেন আইনজীবী আবদুল ময়েজ জাফেরি। তিনি বলেন, ‘ইমরানকে গ্রেপ্তারের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো এর পদ্ধতি। তিনি একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিভিন্ন জরিপের তথ্যানুসারে তিনি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ। তাঁর গ্রেপ্তার ঘিরে যে হিংসাত্মক ও উদ্বেগজনক চিত্র আমরা দেখছি, তা সাধারণত একটি অধিকৃত অঞ্চলে দেখা যায়। কিন্তু দুঃখজনকভাবে তা দেখতে হচ্ছে একটি স্বাধীন দেশে।’
আইনজীবী রিদা হোসেনের চিন্তাও জাফেরির সঙ্গে মিলে যায়। তিনি বলেন, ইমরান খানকে যেভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা আইনের শাসনে বিশ্বাসী প্রত্যেকের জন্যই বেদনাদায়ক। এটা কোনোভাবেই ন্যায়সংগত নয়। শতাধিক রেঞ্জার্স কর্মকর্তা জড়ো হয়েছিলেন, জানালা ভাঙা হয়েছিল এবং একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের জন্য আদালত প্রাঙ্গণ থেকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। রেঞ্জার্সের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, সরকারকে অবশ্যই স্পষ্ট করতে হবে যে তারা বেসামরিক ক্ষমতার সহায়তায় রেঞ্জার্সকে আদৌ ডেকেছে কি না। সেটা হলেও ইউনিফর্ম পরিহিত বিপুলসংখ্যক রেঞ্জার্স সদস্যকে গ্রেপ্তার করার জন্য পাঠানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই।
পদ্ধতির বাইরে গ্রেপ্তারের আইনগত ভিত্তি নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এনএবি অধ্যাদেশের ২৪ ধারায় বলা হয়েছে, যদি একজন অভিযুক্ত ইচ্ছাকৃতভাবে বারবার নোটিশের পরে তদন্তে যোগদান না করেন, অভিযুক্ত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন, দুর্নীতির যথেষ্ট প্রমাণ থাকে, তবে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা যেতে পারে। ইমরানকে গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে ওপরের কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
অবশ্য আইনজীবী মির্জা ময়েজ বেগের চিন্তা কিছুটা ভিন্ন। তিনি বলেন, যেহেতু পাকিস্তান একটা কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্র, সেহেতু এই গ্রেপ্তারকে শুধু আইনি লেন্স দিয়ে দেখা উচিত হবে না।
এদিকে ‘ইমরান নিজের ওষুধের স্বাদ নিজেই পাচ্ছেন’ বলে উল্লেখ করেছেন সাংবাদিক শাহচজেব জিলানি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান খান তাঁর সমালোচক ও বিরোধীদের নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এনএবি ও এফআইবিকে ব্যবহার করেছিলেন। আজ নিজের ওষুধের কিছুটা স্বাদ তিনি নিজেও পাচ্ছেন।
অন্যদিকে সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের উইলসন সেন্টারের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান এই গ্রেপ্তারকে দীর্ঘ ও বিশ্রী সংকটের বাড়াবাড়ি বলে উল্লেখ করেন।তিনি বলেন, এক সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জোরের সঙ্গে অভিযোগ উত্থাপনের পরপরই ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হলো। এটা দুঃখজনক।
শেখ হাসিনার পতনের পর বিভিন্ন ইস্যুতে কূটনৈতিক পর্যায়ে বাগ্যুদ্ধের পর প্রতিবেশী ভারত ও বাংলাদেশ সম্প্রতি পাল্টাপাল্টি বাণিজ্য বিধিনিষেধ আরোপ করছে। এতে উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা সম্ভাব্য ক্ষতির মুখে পড়বেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
১৭ ঘণ্টা আগেআব্দুল বাসিত সতর্ক করে বলেন, আগামী কয়েক সপ্তাহই ‘পরিস্থিতি কীভাবে এগোবে তা নির্ধারণ করবে।’ তিনি বলেন, ‘জেনারেল মুনির কীভাবে এই সংকট মোকাবিলা করেন, তা তাঁকে একজন সৈনিক হিসেবে, একজন ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে এবং পাকিস্তান কী ধরনের আঞ্চলিক অভিনেতা হতে চায়—তা সংজ্ঞায়িত করবে এবং এই মুহূর্তে সেই পছন্দটি মূল
১ দিন আগেএই ধরনের হামলা প্রায়শই প্রতিশোধ হিসেবে চালানো হয়। যখন কোনো সামরিক ইউনিট আক্রান্ত হয়, তখন সেখানকার কর্মীরা পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে এমন অভিযান চালায়। তবে এই ধরনের অভিযান কখনোই নিশ্চিত করা হয় না। এর উদ্দেশ্য হলো অন্য দেশকে একটি বার্তা দেওয়া, কিন্তু এমন পরিস্থিতি তৈরি না করা যাতে তারা পাল্টা জবাব দিতে
২ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের সেলেম স্টেট ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক কানিষ্কম সাতাশিভম নিউজউইককে বলেন, জনসংখ্যা এবং জিডিপির ক্ষেত্রে ভারসাম্যহীনতা থাকলেও দুই দেশের সামরিক শক্তি ‘ততটা ভিন্ন নয়।’ তিনি জানান, ১৯৭১ সালের যুদ্ধে পরাজয়ের পর পাকিস্তান নিশ্চিত করেছে যে তাদের সক্ষমতা ‘অন্তত ভারতের
২ দিন আগে