গোলাম ওয়াদুদ, ঢাকা
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনির স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। হামাসের হামলার পর পাল্টা হামলা চালায় ইসরায়েল। তাদের হামলায় গাজার হাজার হাজার সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়। জাতিসংঘ বলছে, গাজায় বাস্তচ্যুত হয়েছে প্রায় ১০ লাখ নাগরিক। গাজায় স্থল হামলা করার হুমকি দিয়ে নাগরিকদের সরে যেতে বলেছে ইসরায়েল। এরপর অনেকে মিসর ও গাজার রাফাহ সীমান্তে যেতে শুরু করেছে। অন্য সব সীমান্ত আপাতত বন্ধ করে রেখেছে ইসরায়েল। একমাত্র পথ হিসেবে রাফাহ সীমান্ত রয়েছে গাজাবাসীর জন্য।
রাফাহ ক্রসিং গাজা থেকে বের হয়ে যাওয়ার সবচেয়ে দক্ষিণের সীমান্ত এবং মিসরের সিনাই উপদ্বীপের সীমানা। সাধারণত রাফাহ হয়ে গাজা ছেড়ে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সহজ নয়। যারা এই সীমান্ত দিয়ে যেতে ইচ্ছুক, তাদের স্থানীয় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে চার সপ্তাহ আগে নিবন্ধন করতে হবে। এখানে ফিলিস্তিনি বা মিসরীয় কর্তৃপক্ষ সামান্য ভুলের কথা বলেও আবেদন বাতিল করতে পারে।
এমন কঠিন একটি সীমান্তই এখন গাজাবাসীর লাইফলাইন কেন হলো? বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্যানুযায়ী, ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় এবং অন্যান্য সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছে। মানবিক সহায়তার জন্য একমাত্র এই সীমান্ত অবশিষ্ট রয়েছে।
ইতিমধ্যে মিসর রাফাহ সীমান্ত খুলে দিতে সম্মত হয়েছে। গতকাল বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গে বৈঠকের পর এটা খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন। আগামীকাল শুক্রবারের মধ্যে সীমান্ত দিয়ে ত্রাণসামগ্রী গাজায় পৌঁছাবে বলে জানা গেছে।
কেন রাফাহ ক্রসিং এখন গুরুত্বপূর্ণ?
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের মধ্যকার যুদ্ধ গড়িয়েছে ১৩তম দিনে। এই কদিনে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত সাড়ে ৩ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অন্তত ১২ হাজার।
গাজায় একের পর এক বিমান হামলায় নিরাপত্তাহীনতায় সাধারণ জনগণ। এর মধ্যে গাজার এক হাসপাতালে ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ৫০০ সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছে। জাতিসংঘের মতে, গাজায় নিরাপদ কোনো স্থান অবশিষ্ট নেই।
নিরাপত্তার শঙ্কায় গাজা ত্যাগ করতে চেষ্টা করছে জনগণ। কিন্তু ইসরায়েল ইরেজ ও কেরেম শালোম সীমান্ত একেবারে বন্ধ করে দিয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত খুলতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এখন শুধুই মিসর সীমান্ত রাফাহ ক্রসিংই গাজাবাসীর একমাত্র পথ। রাফাহ এখন মানবিক সাহায্যের একমাত্র ক্রসিং পয়েন্ট।
এই রাফাহ সীমান্তই তাদের জীবন বাঁচাতে পারে, তাই হাজার হাজার মানুষ রাফাহ সীমান্তে অবস্থান করছে। এটাই তাদের বের হওয়ার একমাত্র পথ।
ক্রসিং এ যা হচ্ছে?
গাজায় ইসরায়েলের হামলা তীব্র হওয়ার পর থেকে রাফাহ সীমান্তের দিকে যাচ্ছে গাজাবাসী। সেখানেই অপেক্ষা করে পার হওয়ার জন্য। তবে সেখানেও বিমান হামলা করেছে ইসরায়েল।
মিসরীয় মিডিয়া বলেছে, ৯ ও ১০ অক্টোবর তিনটি হামলা করে ইসরায়েল। এরপর ক্রসিংটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তবে ১২ অক্টোবর ইসরায়েলকে সীমান্তে হামলা বন্ধের আহ্বান জানায় মিসর, যাতে গাজার জনগণের জন্য ‘সহায়তা লাইফলাইন’ হিসাবে কাজ করতে পারে রাফাহ। তারা এর মধ্য দিয়ে স্পষ্ট করেছিল যে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত তারা সীমান্ত খুলবে না।
তবে গতকাল বুধবার ইসরায়েলের বিমানবাহিনীর হামলায় বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় মানবিক সংকট কমাতে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছানোর জন্য মিসরকে রাজি করিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বাইডেন জানিয়েছেন, মিসর ও গাজা সীমান্তের রাফাহ ক্রসিং খুলে দিতে রাজি হয়েছে মিসর।
জানা যায়, আগামীকাল শুক্রবারের মধ্যেই গাজায় ত্রাণসামগ্রী পৌঁছানো শুরু হবে।
ইসরায়েল সফর শেষে ফেরার পথে সাংবাদিকদের উদ্দেশে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসির সঙ্গে টেলিফোনে আমার কথা হয়েছে। গাজার বেসামরিক লোকজনের জন্য ত্রাণ সরবরাহের জন্য রাফাহ ক্রসিং খুলে দিতে রাজি হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও এ ব্যাপারে পূর্ণ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’
বাইডেন বলেন, ‘আশা করছি শুক্রবারের মধ্যেই এই ক্রসিং দিয়ে ত্রাণসামগ্রীবাহী ট্রাকগুলো গাজায় প্রবেশ শুরু করবে। প্রথম দিন ২০টি ট্রাককে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। তবে এই ক্রসিং খোলা হবে কেবল ত্রাণসামগ্রী সরবরাহের জন্য। শরণার্থীরা এই ক্রসিং ব্যবহার করতে পারবে না।’
এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র বলেছিলেন যে, নাগরিকদের রাফাহ অভিমুখে দ্রুত যাওয়া উচিত কারণ যেকোনো সময় সীমান্ত খুলে দিতে পারে আর সেটা খুব কম সময়ের জন্য।
রাফাহ ক্রসিং বন্ধ কেন?
২০০৭ সালে হামাস গাজা ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে ইসরায়েল ও মিসর গাজার ভেতরে ও বাইরে পণ্য ও মানুষের চলাচল সীমিত করেছে। দুই দেশই বলছে, নিরাপত্তার কারণে তারা এটা করছে।
হামাসের মারাত্মক আক্রমণের প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসাবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গত ৯ অক্টোবর গাজাকে ‘সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ’ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘সেখানে বিদ্যুৎ, খাবার, জ্বালানি—সবকিছু বন্ধ করে দেওয়া হবে।’
মানবিক সাহায্যের জন্য রাফাহ ক্রসিং পুনরায় খোলার জন্য প্রস্তুতি নিলেও আশঙ্কা আছে মিসরের। তারা ভাবছে, প্রচুর ফিলিস্তিনি শরণার্থী সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করতে পারে।
এর আগে মিসরের প্রেসিডেন্ট ফিলিস্তিনিদের ‘তাদের ভূমিতে অবিচল থাকার’ আহ্বান জানিয়েছে।
রাফাহ ক্রসিং সাধারণত কীভাবে ব্যবহার করা হয়?
রাফাহ হয়ে গাজা ছেড়ে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সহজ নয়। এই ক্রসিং পার হতে একজন ফিলিস্তিনিকে তাদের দেশের কর্তৃপক্ষের কাছে চার সপ্তাহ আগে নিবন্ধন করাতে হবে। শুধু নিবন্ধন করলেই হবে না, অপেক্ষায় থাকতে হবে কর্তৃপক্ষের গ্রিন সিগন্যালের। বেশির ভাগ সময় তুচ্ছ কারণ দেখিয়ে অনুমতি দেওয়া হয় না। করা হয় প্রত্যাখ্যান।
জাতিসংঘের মতে, ২০২৩ সালের আগস্টে মিসরীয় কর্তৃপক্ষ গাজা থেকে ১৯ হাজার ৬০৮ জনকে প্রবেশের অনুমতি দেয়। এ ছাড়া ৩১৪ জনকে প্রবেশাধিকার দেয়নি।
শত কষ্ট হলেও রাফাহ সীমান্তই এখন গাজাবাসীদের জন্য একমাত্র পথ, যেখান দিয়ে নিরাপদে পৌঁছাতে পারবে। জীবন বাঁচাতে তারা চাইবে এই ক্রসিং পাড়ি দিতে। দিনের পর দিন তারা সীমান্তে অবস্থান করছে।
সূত্র: বিবিসি, আল জাজিরা, দ্য গার্ডিয়ান, টাইমস অব ইসরায়েল
লেখক: সহ সম্পাদক, আজকের পত্রিকা
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনির স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। হামাসের হামলার পর পাল্টা হামলা চালায় ইসরায়েল। তাদের হামলায় গাজার হাজার হাজার সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়। জাতিসংঘ বলছে, গাজায় বাস্তচ্যুত হয়েছে প্রায় ১০ লাখ নাগরিক। গাজায় স্থল হামলা করার হুমকি দিয়ে নাগরিকদের সরে যেতে বলেছে ইসরায়েল। এরপর অনেকে মিসর ও গাজার রাফাহ সীমান্তে যেতে শুরু করেছে। অন্য সব সীমান্ত আপাতত বন্ধ করে রেখেছে ইসরায়েল। একমাত্র পথ হিসেবে রাফাহ সীমান্ত রয়েছে গাজাবাসীর জন্য।
রাফাহ ক্রসিং গাজা থেকে বের হয়ে যাওয়ার সবচেয়ে দক্ষিণের সীমান্ত এবং মিসরের সিনাই উপদ্বীপের সীমানা। সাধারণত রাফাহ হয়ে গাজা ছেড়ে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সহজ নয়। যারা এই সীমান্ত দিয়ে যেতে ইচ্ছুক, তাদের স্থানীয় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে চার সপ্তাহ আগে নিবন্ধন করতে হবে। এখানে ফিলিস্তিনি বা মিসরীয় কর্তৃপক্ষ সামান্য ভুলের কথা বলেও আবেদন বাতিল করতে পারে।
এমন কঠিন একটি সীমান্তই এখন গাজাবাসীর লাইফলাইন কেন হলো? বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্যানুযায়ী, ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় এবং অন্যান্য সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছে। মানবিক সহায়তার জন্য একমাত্র এই সীমান্ত অবশিষ্ট রয়েছে।
ইতিমধ্যে মিসর রাফাহ সীমান্ত খুলে দিতে সম্মত হয়েছে। গতকাল বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গে বৈঠকের পর এটা খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন। আগামীকাল শুক্রবারের মধ্যে সীমান্ত দিয়ে ত্রাণসামগ্রী গাজায় পৌঁছাবে বলে জানা গেছে।
কেন রাফাহ ক্রসিং এখন গুরুত্বপূর্ণ?
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের মধ্যকার যুদ্ধ গড়িয়েছে ১৩তম দিনে। এই কদিনে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত সাড়ে ৩ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অন্তত ১২ হাজার।
গাজায় একের পর এক বিমান হামলায় নিরাপত্তাহীনতায় সাধারণ জনগণ। এর মধ্যে গাজার এক হাসপাতালে ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ৫০০ সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছে। জাতিসংঘের মতে, গাজায় নিরাপদ কোনো স্থান অবশিষ্ট নেই।
নিরাপত্তার শঙ্কায় গাজা ত্যাগ করতে চেষ্টা করছে জনগণ। কিন্তু ইসরায়েল ইরেজ ও কেরেম শালোম সীমান্ত একেবারে বন্ধ করে দিয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত খুলতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এখন শুধুই মিসর সীমান্ত রাফাহ ক্রসিংই গাজাবাসীর একমাত্র পথ। রাফাহ এখন মানবিক সাহায্যের একমাত্র ক্রসিং পয়েন্ট।
এই রাফাহ সীমান্তই তাদের জীবন বাঁচাতে পারে, তাই হাজার হাজার মানুষ রাফাহ সীমান্তে অবস্থান করছে। এটাই তাদের বের হওয়ার একমাত্র পথ।
ক্রসিং এ যা হচ্ছে?
গাজায় ইসরায়েলের হামলা তীব্র হওয়ার পর থেকে রাফাহ সীমান্তের দিকে যাচ্ছে গাজাবাসী। সেখানেই অপেক্ষা করে পার হওয়ার জন্য। তবে সেখানেও বিমান হামলা করেছে ইসরায়েল।
মিসরীয় মিডিয়া বলেছে, ৯ ও ১০ অক্টোবর তিনটি হামলা করে ইসরায়েল। এরপর ক্রসিংটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তবে ১২ অক্টোবর ইসরায়েলকে সীমান্তে হামলা বন্ধের আহ্বান জানায় মিসর, যাতে গাজার জনগণের জন্য ‘সহায়তা লাইফলাইন’ হিসাবে কাজ করতে পারে রাফাহ। তারা এর মধ্য দিয়ে স্পষ্ট করেছিল যে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত তারা সীমান্ত খুলবে না।
তবে গতকাল বুধবার ইসরায়েলের বিমানবাহিনীর হামলায় বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় মানবিক সংকট কমাতে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছানোর জন্য মিসরকে রাজি করিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বাইডেন জানিয়েছেন, মিসর ও গাজা সীমান্তের রাফাহ ক্রসিং খুলে দিতে রাজি হয়েছে মিসর।
জানা যায়, আগামীকাল শুক্রবারের মধ্যেই গাজায় ত্রাণসামগ্রী পৌঁছানো শুরু হবে।
ইসরায়েল সফর শেষে ফেরার পথে সাংবাদিকদের উদ্দেশে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসির সঙ্গে টেলিফোনে আমার কথা হয়েছে। গাজার বেসামরিক লোকজনের জন্য ত্রাণ সরবরাহের জন্য রাফাহ ক্রসিং খুলে দিতে রাজি হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও এ ব্যাপারে পূর্ণ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’
বাইডেন বলেন, ‘আশা করছি শুক্রবারের মধ্যেই এই ক্রসিং দিয়ে ত্রাণসামগ্রীবাহী ট্রাকগুলো গাজায় প্রবেশ শুরু করবে। প্রথম দিন ২০টি ট্রাককে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। তবে এই ক্রসিং খোলা হবে কেবল ত্রাণসামগ্রী সরবরাহের জন্য। শরণার্থীরা এই ক্রসিং ব্যবহার করতে পারবে না।’
এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র বলেছিলেন যে, নাগরিকদের রাফাহ অভিমুখে দ্রুত যাওয়া উচিত কারণ যেকোনো সময় সীমান্ত খুলে দিতে পারে আর সেটা খুব কম সময়ের জন্য।
রাফাহ ক্রসিং বন্ধ কেন?
২০০৭ সালে হামাস গাজা ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে ইসরায়েল ও মিসর গাজার ভেতরে ও বাইরে পণ্য ও মানুষের চলাচল সীমিত করেছে। দুই দেশই বলছে, নিরাপত্তার কারণে তারা এটা করছে।
হামাসের মারাত্মক আক্রমণের প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসাবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গত ৯ অক্টোবর গাজাকে ‘সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ’ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘সেখানে বিদ্যুৎ, খাবার, জ্বালানি—সবকিছু বন্ধ করে দেওয়া হবে।’
মানবিক সাহায্যের জন্য রাফাহ ক্রসিং পুনরায় খোলার জন্য প্রস্তুতি নিলেও আশঙ্কা আছে মিসরের। তারা ভাবছে, প্রচুর ফিলিস্তিনি শরণার্থী সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করতে পারে।
এর আগে মিসরের প্রেসিডেন্ট ফিলিস্তিনিদের ‘তাদের ভূমিতে অবিচল থাকার’ আহ্বান জানিয়েছে।
রাফাহ ক্রসিং সাধারণত কীভাবে ব্যবহার করা হয়?
রাফাহ হয়ে গাজা ছেড়ে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সহজ নয়। এই ক্রসিং পার হতে একজন ফিলিস্তিনিকে তাদের দেশের কর্তৃপক্ষের কাছে চার সপ্তাহ আগে নিবন্ধন করাতে হবে। শুধু নিবন্ধন করলেই হবে না, অপেক্ষায় থাকতে হবে কর্তৃপক্ষের গ্রিন সিগন্যালের। বেশির ভাগ সময় তুচ্ছ কারণ দেখিয়ে অনুমতি দেওয়া হয় না। করা হয় প্রত্যাখ্যান।
জাতিসংঘের মতে, ২০২৩ সালের আগস্টে মিসরীয় কর্তৃপক্ষ গাজা থেকে ১৯ হাজার ৬০৮ জনকে প্রবেশের অনুমতি দেয়। এ ছাড়া ৩১৪ জনকে প্রবেশাধিকার দেয়নি।
শত কষ্ট হলেও রাফাহ সীমান্তই এখন গাজাবাসীদের জন্য একমাত্র পথ, যেখান দিয়ে নিরাপদে পৌঁছাতে পারবে। জীবন বাঁচাতে তারা চাইবে এই ক্রসিং পাড়ি দিতে। দিনের পর দিন তারা সীমান্তে অবস্থান করছে।
সূত্র: বিবিসি, আল জাজিরা, দ্য গার্ডিয়ান, টাইমস অব ইসরায়েল
লেখক: সহ সম্পাদক, আজকের পত্রিকা
গত এক সপ্তাহে মোদির কাশ্মীর নীতির বড় দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। এই নীতি এখন অচলাবস্থার মুখে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী সুমান্ত্র বোস বলেছেন, পেহেলগাম হামলা মোদির ‘নয়া কাশ্মীর’ বয়ানের (ন্যারেটিভ) বেলুন ফুটো করে দিয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেডোনাল্ড ট্রাম্প মনে করেন, তিনিই বিশ্ব চালাচ্ছেন। তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষা সীমাহীন। কিন্তু এটি বিপজ্জনক ঔদ্ধত্যেরও ইঙ্গিত দেয় এবং একটি গুরুতর প্রশ্ন তোলে—এই বিশৃঙ্খল ও প্রতিহিংসাপরায়ণ প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে পৃথিবী কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? দ্য আটলান্টিককে দেওয়া নতুন এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বিশ্বব্যাপী আধিপত্য...
১ দিন আগেবড় প্রশ্ন হলো, ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনো সামরিক পদক্ষেপ নেবে কি না? ২০১৯ সালে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৪০ ভারতীয় পুলিশ নিহত হয়। এরপর পেহেলগামের হামলাই ছিল কাশ্মীরে সবচেয়ে প্রাণঘাতী। এমনকি এটি ১৯৮৯ সালে কাশ্মীরে ভারতীয় নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু হওয়ার পর থেকে সেখানকার
১ দিন আগেবিশ্লেষকদের মতে, ভারত হয়তো কিছুটা সংযত আচরণই করবে। কারণ, দেশটির সামরিক বাহিনী এখনো পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ফলে, তাদের প্রকাশ্যে এনে যুদ্ধের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়ার মধ্যে ঝুঁকি আছে। ২০১৮ সালে ভারতীয় পার্লামেন্টের এক প্রতিবেদনে দেশের ৬৮ শতাংশ সামরিক সরঞ্জামকে ‘পুরোনো মডেলের’, ২৪ শতাংশকে...
২ দিন আগে