আজকের পত্রিকা ডেস্ক
বুলগেরিয়া ও পোল্যান্ডে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ গতকাল বুধবার থেকে বন্ধ করেছে রাশিয়া। ইউরো বা ডলারের পরিবর্তে রুশ মুদ্রা রুবলে চলতি মাসে সরবরাহকৃত গ্যাসের দাম পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়া ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়ার বৃহত্তম প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহকারী কোম্পানি গ্যাজপ্রম। দেশ দুটি রুবলে গ্যাসের দাম দিতে সম্মত হলে পুনরায় গ্যাস সরবরাহ শুরু করা হবে। গতকাল এক বিবৃতিতে এসব বিষয় জানিয়েছে গ্যাজপ্রম।
পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, গ্যাসকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে রাশিয়া। গ্যাস সরবরাহ বন্ধের মধ্য দিয়ে চুক্তি ভঙ্গ হয়েছে। এর বিরুদ্ধে যাবতীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কিন্তু রাশিয়া বলছে, না, মস্কোর ওপর পশ্চিমাদের নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা এবং ৩০ হাজার কোটি ডলারের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা জব্দের পর ডলার বা ইউরো গ্রহণের কোনো অর্থ নেই। গত মাসেই ‘অমিত্র দেশগুলোকে’ রুবলে রুশ পণ্যের দাম পরিশোধের কথা জানানো হয়েছে।
রয়টার্স জানায়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রায় ৪০ শতাংশ গ্যাস আসে রাশিয়া থেকে। পোল্যান্ডে রুশ গ্যাস আসত ইয়াম্যাল-ইউরোপ পাইপলাইন হয়ে। এই পাইপলাইন হয়ে জার্মানি ও ইউরোপের অন্য দেশে এখনো রুশ গ্যাস সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে। আর বুলগেরিয়ায় রুশ গ্যাস আসত তুরস্ক হয়ে বিভিন্ন গ্যাস লাইনের মধ্য দিয়ে। পোল্যান্ডের মোট ভোক্তা গ্যাসের প্রায় ৫০ শতাংশ এবং বুলগেরিয়ার প্রায় ৯০ শতাংশ আসে রাশিয়া থেকে।
রুশ গ্যাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ওই সব দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন, বাসাবাড়ির গ্যাস, রেস্তোরাঁসহ দৈনন্দিন জীবন ব্যাপক চাপে পড়বে। কারণ, হঠাৎ করে বিকল্প উৎস থেকে বা নিজেদের ভান্ডারে মজুত গ্যাস থেকে কতটুকু গ্যাস সংগ্রহ করা যাবে, তা প্রশ্নসাপেক্ষ।
আল জাজিরার এক বিশ্লেষণে বলা হয়, গত এক মাসে বুলগেরিয়া, পোল্যান্ডসহ ইইউর দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও কাতার থেকে এলএনজি আমদানি বাড়িয়েছে। তবে রুশ গ্যাসের বিকল্প হিসেবে তা যথেষ্ট নয়। এ অবস্থায় জ্বালানি জরুরি অবস্থার মধ্য দিয়ে গ্যাস বা জ্বালানি তেলসংকট মোকাবিলা করতে হবে ইইউকে।
ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রুশ গ্যাস কেনে জার্মানি। তারপর ইতালি ও নেদারল্যান্ডস। হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়ায় রুশ গ্যাস আমদানি করে নিজেদের প্রয়োজনের যথাক্রমে ৯০ ও ৭০ শতাংশ। শুরুর দিকে রুবলে গ্যাস ও তেলের দাম পরিশোধ না করতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত তাতে সম্মত হচ্ছে অস্ট্রিয়া ও জার্মানি।
বিশ্লেষণ সম্পর্কিত পড়ুন:
বুলগেরিয়া ও পোল্যান্ডে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ গতকাল বুধবার থেকে বন্ধ করেছে রাশিয়া। ইউরো বা ডলারের পরিবর্তে রুশ মুদ্রা রুবলে চলতি মাসে সরবরাহকৃত গ্যাসের দাম পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়া ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়ার বৃহত্তম প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহকারী কোম্পানি গ্যাজপ্রম। দেশ দুটি রুবলে গ্যাসের দাম দিতে সম্মত হলে পুনরায় গ্যাস সরবরাহ শুরু করা হবে। গতকাল এক বিবৃতিতে এসব বিষয় জানিয়েছে গ্যাজপ্রম।
পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, গ্যাসকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে রাশিয়া। গ্যাস সরবরাহ বন্ধের মধ্য দিয়ে চুক্তি ভঙ্গ হয়েছে। এর বিরুদ্ধে যাবতীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কিন্তু রাশিয়া বলছে, না, মস্কোর ওপর পশ্চিমাদের নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা এবং ৩০ হাজার কোটি ডলারের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা জব্দের পর ডলার বা ইউরো গ্রহণের কোনো অর্থ নেই। গত মাসেই ‘অমিত্র দেশগুলোকে’ রুবলে রুশ পণ্যের দাম পরিশোধের কথা জানানো হয়েছে।
রয়টার্স জানায়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রায় ৪০ শতাংশ গ্যাস আসে রাশিয়া থেকে। পোল্যান্ডে রুশ গ্যাস আসত ইয়াম্যাল-ইউরোপ পাইপলাইন হয়ে। এই পাইপলাইন হয়ে জার্মানি ও ইউরোপের অন্য দেশে এখনো রুশ গ্যাস সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে। আর বুলগেরিয়ায় রুশ গ্যাস আসত তুরস্ক হয়ে বিভিন্ন গ্যাস লাইনের মধ্য দিয়ে। পোল্যান্ডের মোট ভোক্তা গ্যাসের প্রায় ৫০ শতাংশ এবং বুলগেরিয়ার প্রায় ৯০ শতাংশ আসে রাশিয়া থেকে।
রুশ গ্যাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ওই সব দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন, বাসাবাড়ির গ্যাস, রেস্তোরাঁসহ দৈনন্দিন জীবন ব্যাপক চাপে পড়বে। কারণ, হঠাৎ করে বিকল্প উৎস থেকে বা নিজেদের ভান্ডারে মজুত গ্যাস থেকে কতটুকু গ্যাস সংগ্রহ করা যাবে, তা প্রশ্নসাপেক্ষ।
আল জাজিরার এক বিশ্লেষণে বলা হয়, গত এক মাসে বুলগেরিয়া, পোল্যান্ডসহ ইইউর দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও কাতার থেকে এলএনজি আমদানি বাড়িয়েছে। তবে রুশ গ্যাসের বিকল্প হিসেবে তা যথেষ্ট নয়। এ অবস্থায় জ্বালানি জরুরি অবস্থার মধ্য দিয়ে গ্যাস বা জ্বালানি তেলসংকট মোকাবিলা করতে হবে ইইউকে।
ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রুশ গ্যাস কেনে জার্মানি। তারপর ইতালি ও নেদারল্যান্ডস। হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়ায় রুশ গ্যাস আমদানি করে নিজেদের প্রয়োজনের যথাক্রমে ৯০ ও ৭০ শতাংশ। শুরুর দিকে রুবলে গ্যাস ও তেলের দাম পরিশোধ না করতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত তাতে সম্মত হচ্ছে অস্ট্রিয়া ও জার্মানি।
বিশ্লেষণ সম্পর্কিত পড়ুন:
ইরানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্ব নতুন মোড় নিয়েছে। আর এই দ্বন্দ্বে চীনের অবস্থান হয়ে উঠছে ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ। বেইজিং এই সংকটে এমন এক কৌশলী অবস্থান নিয়েছে, যেখানে একদিকে ইরানের প্রতি কৌশলগত সমর্থন দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে ইসরায়েলের সঙ্গেও সম্পর্কের সেতু ধরে
১ ঘণ্টা আগেইরান-ইসরায়েল সংঘাত গতকাল শনিবার নবম দিনে গড়িয়েছে। এই ৯ দিনে দুপক্ষই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে, যদিও ইরানের ক্ষয়ক্ষতি ইসরায়েলের তুলনায় অনেক বেশি। অনেক পর্যবেক্ষক বলছেন, এই যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হতে চলেছে। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধে জড়ালে ভিন্ন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে..
২০ ঘণ্টা আগেইরানের উত্তরাঞ্চলে গতকাল শুক্রবার মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতের এই সময়ে ভূকম্পন ইরানের গোপন পারমাণবিক পরীক্ষা কি না, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে।
১ দিন আগেকয়েক মাস ধরে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের করণীয় কী হওয়া উচিত—তা নিয়ে তীব্র বিতর্ক চলছে। এই তর্ক-বিতর্কের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র আগের কঠোর নিষেধাজ্ঞাকে আরও জোরালো করেছে। আর ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) গত জানুয়ারিতে ঘোষণা দিয়েছে, তারা আগামী ১ জুলাই থেকে ইরানি তেলে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর...
১ দিন আগে