একটি টুইটকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলের রাজনৈতিক মহলে বিভক্তি রেখা স্পষ্ট হয়ে গেছে বলে দাবি করা হয়েছে আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে।
গত রোববার (২৯ অক্টোবর) মধ্যরাতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাক্সে ওই টুইটটি করেছিলেন। টুইটে তিনি দাবি করেন—গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাস যে আকস্মিক হামলা পরিচালনা করেছিল সে বিষয়ে ন্যূনতম আভাসও কেউ তাঁকে দিতে পারেনি। প্রকারান্তরে ওই হামলায় ১ হাজার ৪০০ ইসরায়েলি নিহতের দায় তিনি তাঁর দেশের সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দাপ্রধানদের ওপর চাপিয়ে দেন।
নেতানিয়াহুর এই বক্তব্য তীব্র অসন্তোষের জন্ম দেয়। ইসরায়েলের রাজনৈতিক নেতারা এমন সংঘাতময় পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক কূটচাল নিয়ে ব্যস্ত থাকার অভিযোগ আনেন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে। ঘটনার জল এতটাই গড়ায় যে, আলোচিত ওই টুইটটি অ্যাক্স থেকে মুছে দিতে বাধ্য হন তিনি। এমনকি বিষয়টির উল্লেখ করে নম্র কণ্ঠে তিনি ক্ষমাও চান এবং বলেন, ‘আমি ভুল ছিলাম।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের ঘটনা প্রবাহ ইসরায়েলের রাজনৈতিক এবং সামরিক ক্ষেত্রে যে ফাটল দেখা দিয়েছে—তা আরও স্পষ্ট করে তুলেছে। এ অবস্থায় দেশটির যুদ্ধ পরিস্থিতিতে নেতানিয়াহুর নেতৃত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ব্রিটিশ থিংক ট্যাংক ‘চ্যাথাম হাউস’-এর মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা প্রোগ্রামের পরিচালক ইয়োসি মিকেলবার্গ বলেছেন—‘এটি একটি কঠিন সামরিক পদক্ষেপের মুহূর্ত। তাই এমন পরিস্থিতির মধ্যে দায়িত্বশীল একজন প্রধানমন্ত্রী কাম্য। কিন্তু নেতানিয়াহুকে এখন তাঁর সরকারের কেউই বিশ্বাস করছেন না। এটাই এখন দেশটির মন্ত্রিসভার প্রধান সমস্যা।’
গত ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার পরপরই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে একটি জরুরি ঐক্যের সরকার গঠন করেন এবং এতে বিরোধীদের সমর্থিত অনেক জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাকে যুক্ত করেন। তাঁদেরই একজন ছিলেন বেনি গেঁৎজ। সাবেক এই প্রতিরক্ষামন্ত্রী নেতানিয়াহুর টুইটের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন এবং একই সঙ্গে তিনি দেশটির সেনাবাহিনী ও অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থার প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেছিলেন।
নেতানিয়াহুর টুইটকে ঘিরে তীব্র সমালোচনা শুরু হয় রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যেও। এর মধ্যে বিরোধীদলীয় সাংসদ অ্যাভিগডর লিবারম্যান বলেন, ‘নিরাপত্তায় কোনো আগ্রহ নেই নেতানিয়াহুর, জিম্মিদের নিয়েও তার কোনো চিন্তা নেই। তার আগ্রহ শুধু রাজনীতিতে।’ বর্তমানে বিরোধীদলীয় সাংসদ হলেও লিবারম্যান একসময় নেতানিয়াহুর সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ছিলেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ইসরায়েলের রাজনৈতিক অঙ্গন এবং যুদ্ধকালীন জরুরি সরকারে যে ভাঙন দেখা দিয়েছে—এসব বাদানুবাদের মধ্য দিয়ে তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
গত ৭ অক্টোবরের পর ইসরায়েলের হাজার হাজার রিজার্ভ সেনা হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছে। ১৯৭৩ সালে মিশর ও সিরিয়ার বিরুদ্ধে দেশটির যে যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল, তার পর এবারই সবচেয়ে বড় লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছে তারা।
গত সোমবার (৩০ অক্টোবর) ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, তাদের পদাতিক সেনারা এবং সাঁজোয়া যানগুলো গাজার ভেতরে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এর মধ্য দিয়ে দেশটি যুদ্ধের দ্বিতীয় অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে বলেও জানানো হয়। প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে গাজা শহরের ওপর একটানা বোমাবর্ষণের পর এই স্থল অভিযান শুরু হলো। বোমা হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় ৮ হাজারের বেশি সাধারণ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে পুরো জনপদ।
কিন্তু বিশ্লেষকেরা বলছেন, হামাসকে মোকাবিলায় ইসরায়েলের যে ঐক্য, তা এখন আর নেতানিয়াহুর সরকারকে সমর্থন করছে না। আরব বিশ্ব এবং মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সাময়িকী ‘জাদালিয়া’র সম্পাদক মৌইন রাব্বানি বলেন—গত ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার আগেই সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আস্থার সংকটে পড়েছিল এই সরকার। বিশেষ করে, জনসমর্থন হারাতে শুরু করেছিল তারা।
সেই অর্থে গাজায় হামলার তীব্রতা বাড়ালেও অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি নিয়ে এই মুহূর্তে বেশ বেকায়দায় আছে ইসরায়েল। সামনের দিনগুলোতে যা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
একটি টুইটকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলের রাজনৈতিক মহলে বিভক্তি রেখা স্পষ্ট হয়ে গেছে বলে দাবি করা হয়েছে আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে।
গত রোববার (২৯ অক্টোবর) মধ্যরাতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাক্সে ওই টুইটটি করেছিলেন। টুইটে তিনি দাবি করেন—গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাস যে আকস্মিক হামলা পরিচালনা করেছিল সে বিষয়ে ন্যূনতম আভাসও কেউ তাঁকে দিতে পারেনি। প্রকারান্তরে ওই হামলায় ১ হাজার ৪০০ ইসরায়েলি নিহতের দায় তিনি তাঁর দেশের সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দাপ্রধানদের ওপর চাপিয়ে দেন।
নেতানিয়াহুর এই বক্তব্য তীব্র অসন্তোষের জন্ম দেয়। ইসরায়েলের রাজনৈতিক নেতারা এমন সংঘাতময় পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক কূটচাল নিয়ে ব্যস্ত থাকার অভিযোগ আনেন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে। ঘটনার জল এতটাই গড়ায় যে, আলোচিত ওই টুইটটি অ্যাক্স থেকে মুছে দিতে বাধ্য হন তিনি। এমনকি বিষয়টির উল্লেখ করে নম্র কণ্ঠে তিনি ক্ষমাও চান এবং বলেন, ‘আমি ভুল ছিলাম।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের ঘটনা প্রবাহ ইসরায়েলের রাজনৈতিক এবং সামরিক ক্ষেত্রে যে ফাটল দেখা দিয়েছে—তা আরও স্পষ্ট করে তুলেছে। এ অবস্থায় দেশটির যুদ্ধ পরিস্থিতিতে নেতানিয়াহুর নেতৃত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ব্রিটিশ থিংক ট্যাংক ‘চ্যাথাম হাউস’-এর মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা প্রোগ্রামের পরিচালক ইয়োসি মিকেলবার্গ বলেছেন—‘এটি একটি কঠিন সামরিক পদক্ষেপের মুহূর্ত। তাই এমন পরিস্থিতির মধ্যে দায়িত্বশীল একজন প্রধানমন্ত্রী কাম্য। কিন্তু নেতানিয়াহুকে এখন তাঁর সরকারের কেউই বিশ্বাস করছেন না। এটাই এখন দেশটির মন্ত্রিসভার প্রধান সমস্যা।’
গত ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার পরপরই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে একটি জরুরি ঐক্যের সরকার গঠন করেন এবং এতে বিরোধীদের সমর্থিত অনেক জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাকে যুক্ত করেন। তাঁদেরই একজন ছিলেন বেনি গেঁৎজ। সাবেক এই প্রতিরক্ষামন্ত্রী নেতানিয়াহুর টুইটের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন এবং একই সঙ্গে তিনি দেশটির সেনাবাহিনী ও অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থার প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেছিলেন।
নেতানিয়াহুর টুইটকে ঘিরে তীব্র সমালোচনা শুরু হয় রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যেও। এর মধ্যে বিরোধীদলীয় সাংসদ অ্যাভিগডর লিবারম্যান বলেন, ‘নিরাপত্তায় কোনো আগ্রহ নেই নেতানিয়াহুর, জিম্মিদের নিয়েও তার কোনো চিন্তা নেই। তার আগ্রহ শুধু রাজনীতিতে।’ বর্তমানে বিরোধীদলীয় সাংসদ হলেও লিবারম্যান একসময় নেতানিয়াহুর সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ছিলেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ইসরায়েলের রাজনৈতিক অঙ্গন এবং যুদ্ধকালীন জরুরি সরকারে যে ভাঙন দেখা দিয়েছে—এসব বাদানুবাদের মধ্য দিয়ে তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
গত ৭ অক্টোবরের পর ইসরায়েলের হাজার হাজার রিজার্ভ সেনা হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছে। ১৯৭৩ সালে মিশর ও সিরিয়ার বিরুদ্ধে দেশটির যে যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল, তার পর এবারই সবচেয়ে বড় লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছে তারা।
গত সোমবার (৩০ অক্টোবর) ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, তাদের পদাতিক সেনারা এবং সাঁজোয়া যানগুলো গাজার ভেতরে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এর মধ্য দিয়ে দেশটি যুদ্ধের দ্বিতীয় অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে বলেও জানানো হয়। প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে গাজা শহরের ওপর একটানা বোমাবর্ষণের পর এই স্থল অভিযান শুরু হলো। বোমা হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় ৮ হাজারের বেশি সাধারণ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে পুরো জনপদ।
কিন্তু বিশ্লেষকেরা বলছেন, হামাসকে মোকাবিলায় ইসরায়েলের যে ঐক্য, তা এখন আর নেতানিয়াহুর সরকারকে সমর্থন করছে না। আরব বিশ্ব এবং মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সাময়িকী ‘জাদালিয়া’র সম্পাদক মৌইন রাব্বানি বলেন—গত ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার আগেই সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আস্থার সংকটে পড়েছিল এই সরকার। বিশেষ করে, জনসমর্থন হারাতে শুরু করেছিল তারা।
সেই অর্থে গাজায় হামলার তীব্রতা বাড়ালেও অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি নিয়ে এই মুহূর্তে বেশ বেকায়দায় আছে ইসরায়েল। সামনের দিনগুলোতে যা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চার বছর আগে, ২০২১ সালের জুনে, জেনেভায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও পুতিনের শেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তখনো রাশিয়া ইউক্রেনে পূর্ণাঙ্গ হামলা চালায়নি। কিন্তু সেই বছরের শেষের দিকেই পুতিন ইউক্রেন সীমান্তে হাজার হাজার সেনা পাঠান এবং যুক্তরাষ্ট্রে সাইবার হামলা চালানো হয়। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার
১ দিন আগেআলাস্কার শান্ত শহর অ্যাঙ্কোরেজ হঠাৎ পরিণত হয়েছে বিশ্বরাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঐতিহাসিক শীর্ষ বৈঠক হতে চলেছে শহরটিতে। বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধের ফয়সালাসহ দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে।
১ দিন আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে বহুল আলোচিত ও প্রতীক্ষিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামীকাল শুক্রবার। যুক্তরাষ্ট্রের রাশিয়াসংলগ্ন অঙ্গরাজ্য আলাস্কায় অবস্থিত যৌথ ঘাঁটি এলমেনডর্ফ-রিচার্ডসনে মুখোমুখি বসবেন ট্রাম্প-পুতিন। বৈঠকের প্রধান আলোচ্য বিষয়
২ দিন আগেনিজের ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প জানান, তিনি ইতিমধ্যে নির্বাহী আদেশে সই করেছেন এবং নতুন কোনো শর্ত আরোপ করা হচ্ছে না। একই সময়ে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও মার্কিন পণ্যে তাদের শুল্ক স্থগিতাদেশ একই মেয়াদে বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। তাদের পূর্বের চুক্তি শেষ হওয়ার কথা ছিল মঙ্গলবার রাত ১২টা ১ মিনিটে।
৪ দিন আগে