অনলাইন ডেস্ক
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও দাবি করেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি দ্রুত অগ্রগতির কোনো ইঙ্গিত না পান, তাহলে কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনার প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়াবেন। ট্রাম্পের এমন মনোভাব নিয়ে এখন চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। তবে কি তিনি শান্তি প্রক্রিয়ার মাঝপথে ধৈর্য হারালেন নাকি কোনো কৌশলগত চাপের মুখে পড়েছেন—সেই প্রশ্নটিই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে বিশ্লেষকদের মধ্যে।
নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, তিনি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই যুদ্ধ শেষ করে দেবেন। অনেকে এটিকে তখন একটি নির্বাচনী স্টান্ট হিসেবেই নিয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষিক্ত হওয়ার পরে তিনি তিন মাস সময় দেন এই আলোচনার জন্য এবং এই আলোচনার নেতৃত্ব দেন তাঁর গলফ খেলার পুরোনো সাথি ও মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফকে।
শান্তিচুক্তির জন্য চাপ দিতে গিয়ে ট্রাম্পের ধৈর্য হারানোর লক্ষণ ইতিমধ্যেই কয়েকবার প্রকাশ পেয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত একটি বিভ্রান্তিকর বৈঠকে ট্রাম্প ও তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইউক্রেনের কৃতজ্ঞতা দাবি করেন এবং মার্কিন সহায়তার বিনিময়ে ইউক্রেনের সঙ্গে একটি খনিজসম্পদ চুক্তির প্রস্তাব দেন। শেষ পর্যন্ত সেই চুক্তিতে স্বাক্ষর না করেই হোয়াইট হাউস ত্যাগ করেন জেলেনস্কি।
এদিকে উইটকফ এরই মধ্যে মস্কোতে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি রুবিওকে নিয়ে প্যারিসে ইউরোপীয় ও ইউক্রেনীয় কূটনীতিকদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। ওই দিনই প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি অভিযোগ করেন, হোয়াইট হাউসের এই বিশেষ দূত রাশিয়ার প্রোপাগান্ডায় বিশ্বাস করছেন। এর কয়েক ঘণ্টা পরই আবার জেলেনস্কির উপপ্রধানমন্ত্রী জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খনিজসম্পদ চুক্তি আবার চালু হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহে এটি স্বাক্ষরিত হতে পারে। মোট কথা হলো—পুরো বিষয়টির মধ্যেই একটি হযবরল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
ট্রাম্প অবশ্য পুতিনকেও কিছু হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। রুশ তেল কেনা দেশগুলোর ওপর অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছেন তিনি। তবে এই সপ্তাহে তাঁর ক্ষোভ আবার ইউক্রেনের দিকেই ফিরেছে। সামাজিক মাধ্যমে তিনি ইউক্রেনকেই যুদ্ধ শুরুর জন্য দায়ী করেছেন, যদিও পরে তিনি মন্তব্যটি আংশিকভাবে প্রত্যাহার করে নেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে এক বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি জেলেনস্কির ওপর দোষ দিচ্ছি না, কিন্তু এই যুদ্ধ শুরু হওয়াটা আমার ভালো লাগেনি।’
এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি আনারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। সেই প্রতিশ্রুতিও বাস্তবায়নযোগ্য হয়নি। কিছুদিনের জন্য যুদ্ধে বিরতি দিয়ে ইসরায়েল আবারও গাজায় বর্বর অভিযান শুরু করেছে।
এ অবস্থায় রুবিওর হুঁশিয়ারি মনে করিয়ে দেয়—ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে আলোচনা হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা। তবে এবার তিনি ব্যক্তিগতভাবে কোনো আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন না। সরাসরি কোনো হাই-প্রোফাইল বৈঠক না করে এর বদলে বরং তিনি ফোনে পুতিনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
তবে বিশ্লেষকেরা মনে করেন, মাঝপথে এসে আলোচনার প্রক্রিয়া ব্যর্থ হলে যারাই দায় নিক না কেন, ইউক্রেনই সবচেয়ে বড় ক্ষতিগ্রস্ত হবে। গত মাসে মার্কিন গোয়েন্দা সহযোগিতা কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে গেলে ইউক্রেন মারাত্মকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিল রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহত করার ক্ষেত্রে। ইউক্রেনের হাতে থাকা প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রায় ফুরিয়ে এসেছে। আর ইউরোপীয় অর্থায়নে নতুন সরবরাহের কোনো নিশ্চয়তাও এখন নেই। ইউক্রেনকে এই ধরনের সহযোগিতা করার জন্য ইউরোপের কারও কাছেই তেমন কার্যকর ব্যবস্থাও নেই। এই মুহূর্তটিকেই কাজে লাগিয়ে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও দুর্বল করে দিতে চাইছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সর্বশেষ ইউক্রেনের সুমি শহরে সংঘটিত ভয়াবহ হামলা তারই প্রমাণ।
রুশ প্রেসিডেন্ট আশা করছেন, এই বছরই তিনি এই যুদ্ধে জিতে যাবেন। অন্তত ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল নিজের দখলে নেওয়ার লক্ষ্যে বাস্তবায়ন হবে। ট্রাম্প কী এমন প্রস্তাব দিতে পারেন, যা পুতিনকে থামাতে পারবে—সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও দাবি করেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি দ্রুত অগ্রগতির কোনো ইঙ্গিত না পান, তাহলে কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনার প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়াবেন। ট্রাম্পের এমন মনোভাব নিয়ে এখন চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। তবে কি তিনি শান্তি প্রক্রিয়ার মাঝপথে ধৈর্য হারালেন নাকি কোনো কৌশলগত চাপের মুখে পড়েছেন—সেই প্রশ্নটিই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে বিশ্লেষকদের মধ্যে।
নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, তিনি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই যুদ্ধ শেষ করে দেবেন। অনেকে এটিকে তখন একটি নির্বাচনী স্টান্ট হিসেবেই নিয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষিক্ত হওয়ার পরে তিনি তিন মাস সময় দেন এই আলোচনার জন্য এবং এই আলোচনার নেতৃত্ব দেন তাঁর গলফ খেলার পুরোনো সাথি ও মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফকে।
শান্তিচুক্তির জন্য চাপ দিতে গিয়ে ট্রাম্পের ধৈর্য হারানোর লক্ষণ ইতিমধ্যেই কয়েকবার প্রকাশ পেয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত একটি বিভ্রান্তিকর বৈঠকে ট্রাম্প ও তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইউক্রেনের কৃতজ্ঞতা দাবি করেন এবং মার্কিন সহায়তার বিনিময়ে ইউক্রেনের সঙ্গে একটি খনিজসম্পদ চুক্তির প্রস্তাব দেন। শেষ পর্যন্ত সেই চুক্তিতে স্বাক্ষর না করেই হোয়াইট হাউস ত্যাগ করেন জেলেনস্কি।
এদিকে উইটকফ এরই মধ্যে মস্কোতে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি রুবিওকে নিয়ে প্যারিসে ইউরোপীয় ও ইউক্রেনীয় কূটনীতিকদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। ওই দিনই প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি অভিযোগ করেন, হোয়াইট হাউসের এই বিশেষ দূত রাশিয়ার প্রোপাগান্ডায় বিশ্বাস করছেন। এর কয়েক ঘণ্টা পরই আবার জেলেনস্কির উপপ্রধানমন্ত্রী জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খনিজসম্পদ চুক্তি আবার চালু হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহে এটি স্বাক্ষরিত হতে পারে। মোট কথা হলো—পুরো বিষয়টির মধ্যেই একটি হযবরল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
ট্রাম্প অবশ্য পুতিনকেও কিছু হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। রুশ তেল কেনা দেশগুলোর ওপর অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছেন তিনি। তবে এই সপ্তাহে তাঁর ক্ষোভ আবার ইউক্রেনের দিকেই ফিরেছে। সামাজিক মাধ্যমে তিনি ইউক্রেনকেই যুদ্ধ শুরুর জন্য দায়ী করেছেন, যদিও পরে তিনি মন্তব্যটি আংশিকভাবে প্রত্যাহার করে নেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে এক বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি জেলেনস্কির ওপর দোষ দিচ্ছি না, কিন্তু এই যুদ্ধ শুরু হওয়াটা আমার ভালো লাগেনি।’
এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি আনারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। সেই প্রতিশ্রুতিও বাস্তবায়নযোগ্য হয়নি। কিছুদিনের জন্য যুদ্ধে বিরতি দিয়ে ইসরায়েল আবারও গাজায় বর্বর অভিযান শুরু করেছে।
এ অবস্থায় রুবিওর হুঁশিয়ারি মনে করিয়ে দেয়—ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে আলোচনা হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা। তবে এবার তিনি ব্যক্তিগতভাবে কোনো আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন না। সরাসরি কোনো হাই-প্রোফাইল বৈঠক না করে এর বদলে বরং তিনি ফোনে পুতিনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
তবে বিশ্লেষকেরা মনে করেন, মাঝপথে এসে আলোচনার প্রক্রিয়া ব্যর্থ হলে যারাই দায় নিক না কেন, ইউক্রেনই সবচেয়ে বড় ক্ষতিগ্রস্ত হবে। গত মাসে মার্কিন গোয়েন্দা সহযোগিতা কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে গেলে ইউক্রেন মারাত্মকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিল রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহত করার ক্ষেত্রে। ইউক্রেনের হাতে থাকা প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রায় ফুরিয়ে এসেছে। আর ইউরোপীয় অর্থায়নে নতুন সরবরাহের কোনো নিশ্চয়তাও এখন নেই। ইউক্রেনকে এই ধরনের সহযোগিতা করার জন্য ইউরোপের কারও কাছেই তেমন কার্যকর ব্যবস্থাও নেই। এই মুহূর্তটিকেই কাজে লাগিয়ে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও দুর্বল করে দিতে চাইছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সর্বশেষ ইউক্রেনের সুমি শহরে সংঘটিত ভয়াবহ হামলা তারই প্রমাণ।
রুশ প্রেসিডেন্ট আশা করছেন, এই বছরই তিনি এই যুদ্ধে জিতে যাবেন। অন্তত ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল নিজের দখলে নেওয়ার লক্ষ্যে বাস্তবায়ন হবে। ট্রাম্প কী এমন প্রস্তাব দিতে পারেন, যা পুতিনকে থামাতে পারবে—সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
১৯৭৮ সালের অক্টোবর। তৎকালীন ইরানি শাহ সরকারের বিরোধী দুই নেতা— সেক্যুলার নেতা করিম সানজাবি এবং শিয়া ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি প্যারিসের শহরতলি নফল-ল্য-শ্যাতোতে বৈঠকে বসেন। সেখানে বিপ্লব-পরবর্তী সরকারের লক্ষ্য নির্ধারণে একটি খসড়া ঘোষণাপত্র তৈরি হয়। সানজাবির ভাষ্য অনুযায়ী...
৫ ঘণ্টা আগেকয়েক দশক ধরে বহু সংলাপ ও সংযমের করুণায় সরাসরি সামরিক সংঘর্ষ এড়িয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান। একের পর এক মার্কিন প্রেসিডেন্ট এসেছেন, চলে গেছেন। মধ্যপ্রাচ্যে ভয়াবহ যুদ্ধ এড়াতে তাঁরা ইরানের বিরুদ্ধে সরাসরি সামরিক শক্তি ব্যবহার থেকে বিরত থেকেছেন।
৭ ঘণ্টা আগে‘এই লোক বলেন এক কথা, করেন ঠিক আরেকটা’—মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে বাংকার বাস্টার বোমা ফেলবেন কি না, তা নিয়ে যখন ব্যাপক গুঞ্জন; তখনই এ মন্তব্য করেন এক রাজনৈতিক ভাষ্যকার। ট্রাম্পের কাজকর্মের ধরন সম্পর্কে তাঁর এ কথায় একমত লোকের অভাব হবে না, তা ভরসা নিয়েই বলা যায়। আর জনমনের সেই ধারণা সত্যি
১ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের রাতের বিমান হামলায় ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর পুরো অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইরান পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, এই হামলার ‘চিরস্থায়ী পরিণতি’ হবে।
১ দিন আগে