সম্পাদকীয়
প্রকৃত নাম জন গ্রিফিথ চেইনে হলেও জ্যাক লন্ডন নামে খ্যাতি পেয়েছেন এই বিখ্যাত মার্কিন লেখক। তাঁর জন্ম ১৮৭৬ সালের ১২ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায়।
শৈশব থেকেই জ্যাককে দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে। তিনি পৃথিবীর অর্ধেকের বেশি জায়গায় যাযাবরের মতো ঘুরে বেড়িয়েছেন। নানা সময় কাজ করেছেন মাস্তুলের নাবিক, জাহাজের খালাসি, ঝিনুক লুণ্ঠনকারী পাইরেট ও স্বর্ণখনির শ্রমিক হিসেবে। প্রায়ই তাঁকে ক্ষুধার্ত থাকতে হয়েছে। পার্কের বেঞ্চিতে কিংবা খড়ের গাদায় ঘুমিয়েছেন। মাঝে মাঝে তিনি এতই ক্লান্ত হয়ে পড়তেন যে মালগাড়ির ওপর বসে থাকতে থাকতে সেখানেই ঘুমিয়ে পড়তেন। গুন্ডামিও করেছেন। নিজ দেশসহ বিভিন্ন দেশে তাঁকে শতবার জেলে যেতে হয়েছে।
জ্যাক লন্ডনের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয় একটি ঘটনা। একদিন তিনি একটি পাবলিক লাইব্রেরিতে ঢুকে রবিনসন ক্রুসো পড়া শুরু করেন। মুগ্ধতার রেশ তাঁকে ছাড়ে না। এভাবে তিনি সেখানে একের পর এক বই পড়তে লাগলেন। প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ ঘণ্টা বই পড়তেন। পড়তে পড়তেই তিনি লেখক হতে চাইলেন। সেই প্রতিজ্ঞা থেকে এক স্কুলে ভর্তি হলেন। দিনরাত পড়তে লাগলেন। এরপর একটা অসম্ভব ঘটনা ঘটিয়ে ফেললেন। সেটা হলো, তিনি চার বছরের পড়া মাত্র তিন মাসে শেষ করে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেন! এরপর প্রতিদিন লেখা শুরু করলেন। এক সাহিত্য প্রতিযোগিতায় তাঁর একটি গল্প প্রথম পুরস্কার অর্জন করে।
‘দ্য কল অব দ্য ওয়াইল্ড’ উপন্যাস লিখে রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে যান তিনি। এই উপন্যাস নিয়ে সিনেমা নির্মাণ করে পরিচালক লাখ লাখ ডলার আয় করলেও জ্যাক বইটির সর্বস্বত্ব বিক্রি করে পেয়েছেন মাত্র ২ হাজার ডলার। ১৯০৩ সালের মধ্যে তিনি দুটি বই এবং পঁচিশটি ছোটগল্প প্রকাশ করে মার্কিন সাহিত্যজগতে একজন প্রধান আলোচিত লেখকে পরিগণিত হন। তাঁর সাহিত্যচর্চার বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর।
রাজনৈতিকভাবে জ্যাক লন্ডন সমাজতন্ত্রের ঘোর সমর্থক ছিলেন। তিনি ১৯১৬ সালের ২২ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
প্রকৃত নাম জন গ্রিফিথ চেইনে হলেও জ্যাক লন্ডন নামে খ্যাতি পেয়েছেন এই বিখ্যাত মার্কিন লেখক। তাঁর জন্ম ১৮৭৬ সালের ১২ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায়।
শৈশব থেকেই জ্যাককে দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে। তিনি পৃথিবীর অর্ধেকের বেশি জায়গায় যাযাবরের মতো ঘুরে বেড়িয়েছেন। নানা সময় কাজ করেছেন মাস্তুলের নাবিক, জাহাজের খালাসি, ঝিনুক লুণ্ঠনকারী পাইরেট ও স্বর্ণখনির শ্রমিক হিসেবে। প্রায়ই তাঁকে ক্ষুধার্ত থাকতে হয়েছে। পার্কের বেঞ্চিতে কিংবা খড়ের গাদায় ঘুমিয়েছেন। মাঝে মাঝে তিনি এতই ক্লান্ত হয়ে পড়তেন যে মালগাড়ির ওপর বসে থাকতে থাকতে সেখানেই ঘুমিয়ে পড়তেন। গুন্ডামিও করেছেন। নিজ দেশসহ বিভিন্ন দেশে তাঁকে শতবার জেলে যেতে হয়েছে।
জ্যাক লন্ডনের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয় একটি ঘটনা। একদিন তিনি একটি পাবলিক লাইব্রেরিতে ঢুকে রবিনসন ক্রুসো পড়া শুরু করেন। মুগ্ধতার রেশ তাঁকে ছাড়ে না। এভাবে তিনি সেখানে একের পর এক বই পড়তে লাগলেন। প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ ঘণ্টা বই পড়তেন। পড়তে পড়তেই তিনি লেখক হতে চাইলেন। সেই প্রতিজ্ঞা থেকে এক স্কুলে ভর্তি হলেন। দিনরাত পড়তে লাগলেন। এরপর একটা অসম্ভব ঘটনা ঘটিয়ে ফেললেন। সেটা হলো, তিনি চার বছরের পড়া মাত্র তিন মাসে শেষ করে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেন! এরপর প্রতিদিন লেখা শুরু করলেন। এক সাহিত্য প্রতিযোগিতায় তাঁর একটি গল্প প্রথম পুরস্কার অর্জন করে।
‘দ্য কল অব দ্য ওয়াইল্ড’ উপন্যাস লিখে রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে যান তিনি। এই উপন্যাস নিয়ে সিনেমা নির্মাণ করে পরিচালক লাখ লাখ ডলার আয় করলেও জ্যাক বইটির সর্বস্বত্ব বিক্রি করে পেয়েছেন মাত্র ২ হাজার ডলার। ১৯০৩ সালের মধ্যে তিনি দুটি বই এবং পঁচিশটি ছোটগল্প প্রকাশ করে মার্কিন সাহিত্যজগতে একজন প্রধান আলোচিত লেখকে পরিগণিত হন। তাঁর সাহিত্যচর্চার বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর।
রাজনৈতিকভাবে জ্যাক লন্ডন সমাজতন্ত্রের ঘোর সমর্থক ছিলেন। তিনি ১৯১৬ সালের ২২ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
একটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
২১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে অবস্থিত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টকে বলা হয় দেশটির বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর। আর বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম। সংক্ষেপে জাদুঘরটি ‘দ্য মেট’ নামেও পরিচিত। ১৫৫ বছর পুরোনো এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭০ সালে।
৫ দিন আগেবাংলা বর্ষার দ্বিতীয় মাস শ্রাবণ। বাতাসে আর্দ্রতা, আকাশে ঘনঘোর মেঘ, আর রিমঝিম শব্দে প্রকৃতির নীরব সংগীত। এই শ্রাবণেই, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ তারিখ, আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি, বিশ্বকবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই থেকে ২২ শ্রাবণ বাঙালির জন্য শুধু এক প্রাকৃতিক ঋতুর উপলব্ধি নয়—এ এক স্মরণ,
৬ দিন আগেযুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামটি বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক ইতিহাসভিত্তিক জাদুঘর। এটি উদ্বোধন করা হয় ১৮৮১ সালে। ১৭৫৩ সালের দিকে বিজ্ঞানী স্যার হ্যান্স স্লোয়েনের সংগ্রহ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় ব্রিটিশ মিউজিয়ামের। ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম ছিল ব্রিটিশ মিউজিয়ামেরই অংশ।
৬ দিন আগে