সম্পাদকীয়
লেভ তলস্তয় ছিলেন খ্যাতিমান রুশ লেখক এবং বিশ্বসাহিত্যের শ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক। তাঁর পুরো নাম কাউন্ট লেভ নিকোলায়েভিচ তলস্তয়।
তলস্তয়ের জন্ম ১৮২৮ সালের ২৮ আগস্ট (পুরোনো ক্যালেন্ডার অনুযায়ী), রাশিয়ার টুলা প্রদেশের ইয়াস্নায়া পলিয়ানার এক সম্ভ্রান্ত জমিদার পরিবারে।
বাবা ও মায়ের মৃত্যুর পর তিনি ফুফু আলেকজান্দ্রার কাছে বেড়ে ওঠেন। ফরাসি ও জার্মান গৃহশিক্ষকের কাছে বাড়িতেই তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে তিনি কাজান বিশ্ববিদ্যালয়ে ওরিয়েন্টাল ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্সে ভর্তি হন, কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখায় বরাবরই অমনোযোগী থাকার কারণে এ বিষয়ে অকৃতকার্য হন। তারপর তাঁকে আইন অনুষদে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেও একই ফলাফল হওয়ায় অবশেষে তিনি কোনো ডিগ্রি ছাড়াই ১৮৪৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়ার পর তিনি নিজ গ্রামে ফিরে যান। এর কয়েক দিন পর বড় ভাইয়ের অনুরোধে সেনাবাহিনীতে যুক্ত হন। তিনি ক্রিমিয়ার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এই যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে তিনি যুদ্ধ শেষ হতে না-হতেই সেনাবাহিনী থেকে ইস্তফা দেন। সৈনিক জীবনে তাঁর লেখালেখির শুরু। এ সময় তিনি আত্মজীবনীমূলক তিনটি উপন্যাস লেখেন।
‘ওয়ার অ্যান্ড পিস’ উপন্যাসটি ধারাবাহিকভাবে ‘দ্য রাশিয়ান মেসেঞ্জার’ পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর ১৮৬৯ সালে বই আকারে প্রকাশিত হয়। প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই বইটি ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পায় এবং খ্যাতির শীর্ষে আরোহণ করে। এরপর তিনি ‘আন্না কারেনিনা’ ও ‘পুনরুজ্জীবন’ নামে দুটি উপন্যাস লেখেন।
একসময় লেভ তলস্তয় জীবনের অর্থ খুঁজতে অর্থোডক্স চার্চে যাওয়া শুরু করেন। কিন্তু সেখানে তিনি নিরাশ হয়ে যান। অতঃপর তিনি নিজের চেষ্টায় নতুন এক আদর্শ নির্মাণ করতে সমর্থ হন। সেটা ছিল অহিংস চিন্তা। একসময় নতুন চিন্তায় নিজের সম্পদ খরচ করার ইচ্ছা ব্যক্ত করলে স্ত্রীর সঙ্গে বিরোধ বাধে। সেই বিরোধ থেকে তিনি পরিবার ত্যাগ করে বাড়ি ছাড়েন।
তলস্তয় নোবেল পুরস্কারের জন্য একাধিকবার মনোনয়ন পেয়েও পুরস্কার পাননি।
লেভ তলস্তয় ১৯১০ সালের ২০ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
লেভ তলস্তয় ছিলেন খ্যাতিমান রুশ লেখক এবং বিশ্বসাহিত্যের শ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক। তাঁর পুরো নাম কাউন্ট লেভ নিকোলায়েভিচ তলস্তয়।
তলস্তয়ের জন্ম ১৮২৮ সালের ২৮ আগস্ট (পুরোনো ক্যালেন্ডার অনুযায়ী), রাশিয়ার টুলা প্রদেশের ইয়াস্নায়া পলিয়ানার এক সম্ভ্রান্ত জমিদার পরিবারে।
বাবা ও মায়ের মৃত্যুর পর তিনি ফুফু আলেকজান্দ্রার কাছে বেড়ে ওঠেন। ফরাসি ও জার্মান গৃহশিক্ষকের কাছে বাড়িতেই তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে তিনি কাজান বিশ্ববিদ্যালয়ে ওরিয়েন্টাল ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্সে ভর্তি হন, কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখায় বরাবরই অমনোযোগী থাকার কারণে এ বিষয়ে অকৃতকার্য হন। তারপর তাঁকে আইন অনুষদে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেও একই ফলাফল হওয়ায় অবশেষে তিনি কোনো ডিগ্রি ছাড়াই ১৮৪৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়ার পর তিনি নিজ গ্রামে ফিরে যান। এর কয়েক দিন পর বড় ভাইয়ের অনুরোধে সেনাবাহিনীতে যুক্ত হন। তিনি ক্রিমিয়ার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এই যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে তিনি যুদ্ধ শেষ হতে না-হতেই সেনাবাহিনী থেকে ইস্তফা দেন। সৈনিক জীবনে তাঁর লেখালেখির শুরু। এ সময় তিনি আত্মজীবনীমূলক তিনটি উপন্যাস লেখেন।
‘ওয়ার অ্যান্ড পিস’ উপন্যাসটি ধারাবাহিকভাবে ‘দ্য রাশিয়ান মেসেঞ্জার’ পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর ১৮৬৯ সালে বই আকারে প্রকাশিত হয়। প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই বইটি ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পায় এবং খ্যাতির শীর্ষে আরোহণ করে। এরপর তিনি ‘আন্না কারেনিনা’ ও ‘পুনরুজ্জীবন’ নামে দুটি উপন্যাস লেখেন।
একসময় লেভ তলস্তয় জীবনের অর্থ খুঁজতে অর্থোডক্স চার্চে যাওয়া শুরু করেন। কিন্তু সেখানে তিনি নিরাশ হয়ে যান। অতঃপর তিনি নিজের চেষ্টায় নতুন এক আদর্শ নির্মাণ করতে সমর্থ হন। সেটা ছিল অহিংস চিন্তা। একসময় নতুন চিন্তায় নিজের সম্পদ খরচ করার ইচ্ছা ব্যক্ত করলে স্ত্রীর সঙ্গে বিরোধ বাধে। সেই বিরোধ থেকে তিনি পরিবার ত্যাগ করে বাড়ি ছাড়েন।
তলস্তয় নোবেল পুরস্কারের জন্য একাধিকবার মনোনয়ন পেয়েও পুরস্কার পাননি।
লেভ তলস্তয় ১৯১০ সালের ২০ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
গত বছরের ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনীতির ময়দান বেশ টানটান। সংস্কার আর নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। নেই দম ফেলার দুদণ্ড ফুরসত। কোনো কোনো উপদেষ্টাকে ভোররাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও।
১ দিন আগেযতীন স্যারকে নিয়ে কথা বলতে বসলে মনে হয়, কথাগুলো শুধু লেখা নয়—এ যেন হৃদয়ের ভেতরের কিছু টুকরো তুলে ধরা। দুপুরে হঠাৎ এক সুহৃদ ফোন করে বলল, ‘শুনেছ? যতীন স্যার নেই!’—মুহূর্তেই আমার বুক কেঁপে উঠল। মনে হলো, জীবনের এক অমূল্য আশ্রয় হঠাৎ হারিয়ে ফেলেছি।
২ দিন আগেএকটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
৪ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে অবস্থিত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টকে বলা হয় দেশটির বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর। আর বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম। সংক্ষেপে জাদুঘরটি ‘দ্য মেট’ নামেও পরিচিত। ১৫৫ বছর পুরোনো এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭০ সালে।
৯ দিন আগে