সম্পাদকীয়
দীনেশ দাস ছিলেন বাংলা সাহিত্যের বিপ্লবী ধারার কবি। একই সঙ্গে তিনি সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মীও ছিলেন।
দীনেশ দাসের জন্ম ১৯১৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর কলকাতার আলিপুরের চেতলা অঞ্চলে মামাবাড়িতে। মাত্র ১৫ বছর বয়সে নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় তিনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। তিনি ম্যাট্রিক ও আইএ পাস করার পর কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজে বিএ ক্লাসে ভর্তি হন। কিন্তু ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে সক্রিয় কর্মকাণ্ডের কারণে বিএ পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হয়নি। পরবর্তী সময়ে তিনি নতুন করে কলেজে ভর্তি হয়ে বিএ পাস করেন। স্কটিশ চার্চ কলেজে পড়ার সময়ই তাঁর প্রথম কবিতা ‘শ্রাবণে’ প্রকাশিত হয় সাপ্তাহিক ‘দেশ’ পত্রিকায়। সে সময় তিনি ফরাসি ও জার্মান ভাষা শেখেন।
স্বাধীনচেতা কবি ব্রিটিশ সরকারের অধীনে কোনো চাকরি গ্রহণ করেননি। জীবন চালানোর প্রয়োজনে কার্শিয়াং চা-বাগান অঞ্চলে টিউশনি করে অর্থ উপার্জন করেছেন। এক বছর পর আবার কলকাতায় ফিরে যান। এই সময়েই ‘প্রথম বৃষ্টির ফোঁটা’ নামে গদ্য কবিতা দিয়েই নতুন ধারার কবিতা লেখেন। এরপর ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় ‘মৌমাছি’, ‘নখ’, ‘হাই’, ‘চায়ের কাপে’সহ নানা কবিতা। তখনো দীনেশ দাসের কোনো কবিতা সংকলন প্রকাশিত না হওয়া সত্ত্বেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘বাংলা কাব্য পরিচয়’ সংকলন গ্রন্থে ‘মৌমাছি’ কবিতাটি অন্তর্ভুক্ত করেন।
শ্রমিক, কৃষক ও মেহনতি মানুষের প্রতি শ্রদ্ধার জায়গা থেকে তিনি ১৯৩৭ সালে বিখ্যাত ‘কাস্তে’ কবিতাটি রচনা করেন। ব্রিটিশ সরকারের ভয়ে এক বছর কবিতাটি ছাপা হয়নি। কবির বন্ধু অরুণ মিত্রের সহায়তায় সেটি আনন্দবাজারে ছাপা হয়। কবিতাটি লেখার কারণে পুলিশ তাঁর বাড়ি তল্লাশি করে এবং তাঁকে একটি জায়গায় আটকে রাখে।
প্রতিবাদী মানসিকতার জন্য কোথাও স্থায়ী চাকরি করতে পারেননি দীনেশ দাস। এ কারণে তিনি বারবার চাকরি বদল করে ব্যাংকার, সাংবাদিকতা ও শিক্ষকতা করেছেন।
১৯৮৫ সালের ১৩ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন এই বিপ্লবী কবি।
দীনেশ দাস ছিলেন বাংলা সাহিত্যের বিপ্লবী ধারার কবি। একই সঙ্গে তিনি সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মীও ছিলেন।
দীনেশ দাসের জন্ম ১৯১৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর কলকাতার আলিপুরের চেতলা অঞ্চলে মামাবাড়িতে। মাত্র ১৫ বছর বয়সে নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় তিনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। তিনি ম্যাট্রিক ও আইএ পাস করার পর কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজে বিএ ক্লাসে ভর্তি হন। কিন্তু ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে সক্রিয় কর্মকাণ্ডের কারণে বিএ পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হয়নি। পরবর্তী সময়ে তিনি নতুন করে কলেজে ভর্তি হয়ে বিএ পাস করেন। স্কটিশ চার্চ কলেজে পড়ার সময়ই তাঁর প্রথম কবিতা ‘শ্রাবণে’ প্রকাশিত হয় সাপ্তাহিক ‘দেশ’ পত্রিকায়। সে সময় তিনি ফরাসি ও জার্মান ভাষা শেখেন।
স্বাধীনচেতা কবি ব্রিটিশ সরকারের অধীনে কোনো চাকরি গ্রহণ করেননি। জীবন চালানোর প্রয়োজনে কার্শিয়াং চা-বাগান অঞ্চলে টিউশনি করে অর্থ উপার্জন করেছেন। এক বছর পর আবার কলকাতায় ফিরে যান। এই সময়েই ‘প্রথম বৃষ্টির ফোঁটা’ নামে গদ্য কবিতা দিয়েই নতুন ধারার কবিতা লেখেন। এরপর ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় ‘মৌমাছি’, ‘নখ’, ‘হাই’, ‘চায়ের কাপে’সহ নানা কবিতা। তখনো দীনেশ দাসের কোনো কবিতা সংকলন প্রকাশিত না হওয়া সত্ত্বেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘বাংলা কাব্য পরিচয়’ সংকলন গ্রন্থে ‘মৌমাছি’ কবিতাটি অন্তর্ভুক্ত করেন।
শ্রমিক, কৃষক ও মেহনতি মানুষের প্রতি শ্রদ্ধার জায়গা থেকে তিনি ১৯৩৭ সালে বিখ্যাত ‘কাস্তে’ কবিতাটি রচনা করেন। ব্রিটিশ সরকারের ভয়ে এক বছর কবিতাটি ছাপা হয়নি। কবির বন্ধু অরুণ মিত্রের সহায়তায় সেটি আনন্দবাজারে ছাপা হয়। কবিতাটি লেখার কারণে পুলিশ তাঁর বাড়ি তল্লাশি করে এবং তাঁকে একটি জায়গায় আটকে রাখে।
প্রতিবাদী মানসিকতার জন্য কোথাও স্থায়ী চাকরি করতে পারেননি দীনেশ দাস। এ কারণে তিনি বারবার চাকরি বদল করে ব্যাংকার, সাংবাদিকতা ও শিক্ষকতা করেছেন।
১৯৮৫ সালের ১৩ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন এই বিপ্লবী কবি।
বাংলাদেশের অ্যাংলিংকান সম্প্রদায় উপাসনার জন্য নির্মাণ করেছিল সেন্ট থমাস ক্যাথেড্রাল চার্চ। ১৮১৯ সালে শেষ হয় এর নির্মাণকাজ। ঢাকা কারাগারের কয়েদিরা নাকি এটির নির্মাণে শ্রম দিয়েছিল। কলকাতার বিশপ রেজিনাল্ড হেবার ১৮২৪ সালের ১০ জুলাই ঢাকায় এসে উদ্বোধন করেন লক্ষ্মীবাজারে অবস্থিত এই গির্জাটির।
৩ ঘণ্টা আগেআজ বিশ্ব নৃত্য দিবস। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোর সহযোগী সংস্থা আন্তর্জাতিক থিয়েটার ইনস্টিটিউট-আইটিআই ১৯৮২ সালে ২৯ এপ্রিলকে বিশ্ব নৃত্য দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। মূলত নৃত্যশিল্পের বিকাশ ও বিশ্বব্যাপী নৃত্যপ্রেমীদের একত্রিত করাই এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য। ২৯ এপ্রিল আধুনিক
১৭ ঘণ্টা আগেদুপুরের খাবারের বিরতির পর তাঁরা আবার কাজ শুরু করেন। সন্ধ্যা ৭টায় কাজ শেষ হলে সিপির চীনা ও আইরিশ শ্রমিকেরা এক দিনে ১০ মাইল ৫৬ ফুট (১৬.১১১ কিলোমিটার) রেলপথ বসানোর অনন্য রেকর্ড গড়েন।
২ দিন আগেআলীর এই সিদ্ধান্তে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। কেউ কেউ আলীর অবস্থানের প্রশংসা করেন, আবার কেউ কেউ তাঁকে আখ্যায়িত করেন বিশ্বাসঘাতক। তাঁকে বক্সিং রিংয়ে নিষিদ্ধ করা হয়, কেড়ে নেওয়া হয় অর্জিত শিরোপা। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনে ফেডারেল সরকারের বিচার বিভাগ।
২ দিন আগে