Ajker Patrika

অবনকে নিয়ে

আপডেট : ০৫ আগস্ট ২০২১, ২০: ০৬
অবনকে নিয়ে

শেষ বয়সে অসুস্থ হয়ে পড়লেন রবীন্দ্রনাথ। অবনীন্দ্রনাথ ভয়েই সে বাড়িতে যান না। শুধু দূর থেকে খবর নিয়ে যান। রবীন্দ্রনাথের কষ্ট সহ্য করতে পারবেন না বলেই দূরে থাকেন।

একসময় রবীন্দ্রনাথের শরীর একটু ভালো হলো। শান্তিনিকেতনে গিয়ে খোল তাই হলো তাঁর মেজাজ। কয়েকজন যারা ঘুরে ঘুরে রবীন্দ্রনাথের শুশ্রূষা করতেন, তাঁদের একজন ছিলেন রানী চন্দ। সব সময় আগলে রাখতে হয় বলে রবীন্দ্রনাথ একটু বিব্রত হতেন। রানী চন্দকে ডেকে একদিন বললেন, ‘তুই তো একটু লেখালেখি করতে পারিস।’ লিখলে তা সম্পাদনা করে দেবেন বলেও কথা দিলেন রবীন্দ্রনাথ।

রানী চন্দ আঁকতে পছন্দ করতেন; কিন্তু লিখতেন না। রবীন্দ্রনাথ বলার পর রানী চন্দের মনে পড়ল, অবনীন্দ্রনাথের বলা কথাগুলো তো টুকে রেখেছেন তিনি। দৌড়ে খাতা নিয়ে এলেন। রবীন্দ্রনাথ পড়তে শুরু করলেন। বিন্দু বিন্দু ঘাম জমতে লাগল কপালে। ভয় পেয়ে গেলেন রানী চন্দ। পড়তে নিষেধ করলেন। পরে পড়তে বললেন। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ তখন ভাসছেন আনন্দে। বলছেন, ‘এ অপূর্ব হয়েছে। স্পনটেনিয়াস হয়েছে। অবন বলে যাচ্ছে, আমি শুনতে পাচ্ছি। এতে বদলাবার মতো কিছু নেই। তুই অবনের কাছ থেকে আরও আদায় করে নে। এমনি করে না বলিয়ে নিলে ও বসে লিখবার ছেলে নয়।’ যাকে ‘ছেলে’ বলে সম্বোধন করলেন রবীন্দ্রনাথ, সেই অবনীন্দ্রনাথ তখন সত্তর বছরের আশপাশে ঘোরাঘুরি করছেন। রবীন্দ্রনাথ রানী চন্দের লেখার একধারে অবনীন্দ্রনাথকে লিখলেন এক চিঠি। কলকাতায় গেলে অবনকে দিয়ে আসা হবে। রানী চন্দ যখন ‘রবীকা’র চিঠি দিলেন অবনকে, অবন যেন লাফিয়ে উঠলেন। পড়ে বললেন, ‘রানী, এ চিঠি তোমাকে দেব না। এ যে রবীকা আমায় লিখেছেন—আমার চিঠি। এই ঘটনার মধ্য দিয়েই রানী চন্দ লিখতে শুরু করলেন। রবীন্দ্রনাথ–অবনীন্দ্রনাথসহ সেকালের অনেকেই মূর্ত হয়ে আছেন সে লেখাগুলোয়। 

সূত্র: রানী চন্দ, শিল্পীগুরু অবনীন্দ্রনাথ

বিষয়:

আড্ডা
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দাম্পত্য কলহের গুঞ্জন, মুখ খুললেন জাহিদ হাসান

অবশেষে ইকবালের পরিবারমুক্ত হলো প্রিমিয়ার ব্যাংক

‘হেল্প, হেল্প’ বলে চিৎকার—শিক্ষক এগিয়ে যেতেই গলায় ছুরি চালাল কিশোরী

শিশুদের জন্য বিনা মূল্যে টাইফয়েডের টিকা, যেভাবে রেজিস্ট্রেশন করবেন

‘আপত্তিকর’ ভিডিও: বিএফআইইউ প্রধান শাহীনুলকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠালেন গভর্নর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত