শেষ বয়সে অসুস্থ হয়ে পড়লেন রবীন্দ্রনাথ। অবনীন্দ্রনাথ ভয়েই সে বাড়িতে যান না। শুধু দূর থেকে খবর নিয়ে যান। রবীন্দ্রনাথের কষ্ট সহ্য করতে পারবেন না বলেই দূরে থাকেন।
একসময় রবীন্দ্রনাথের শরীর একটু ভালো হলো। শান্তিনিকেতনে গিয়ে খোল তাই হলো তাঁর মেজাজ। কয়েকজন যারা ঘুরে ঘুরে রবীন্দ্রনাথের শুশ্রূষা করতেন, তাঁদের একজন ছিলেন রানী চন্দ। সব সময় আগলে রাখতে হয় বলে রবীন্দ্রনাথ একটু বিব্রত হতেন। রানী চন্দকে ডেকে একদিন বললেন, ‘তুই তো একটু লেখালেখি করতে পারিস।’ লিখলে তা সম্পাদনা করে দেবেন বলেও কথা দিলেন রবীন্দ্রনাথ।
রানী চন্দ আঁকতে পছন্দ করতেন; কিন্তু লিখতেন না। রবীন্দ্রনাথ বলার পর রানী চন্দের মনে পড়ল, অবনীন্দ্রনাথের বলা কথাগুলো তো টুকে রেখেছেন তিনি। দৌড়ে খাতা নিয়ে এলেন। রবীন্দ্রনাথ পড়তে শুরু করলেন। বিন্দু বিন্দু ঘাম জমতে লাগল কপালে। ভয় পেয়ে গেলেন রানী চন্দ। পড়তে নিষেধ করলেন। পরে পড়তে বললেন। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ তখন ভাসছেন আনন্দে। বলছেন, ‘এ অপূর্ব হয়েছে। স্পনটেনিয়াস হয়েছে। অবন বলে যাচ্ছে, আমি শুনতে পাচ্ছি। এতে বদলাবার মতো কিছু নেই। তুই অবনের কাছ থেকে আরও আদায় করে নে। এমনি করে না বলিয়ে নিলে ও বসে লিখবার ছেলে নয়।’ যাকে ‘ছেলে’ বলে সম্বোধন করলেন রবীন্দ্রনাথ, সেই অবনীন্দ্রনাথ তখন সত্তর বছরের আশপাশে ঘোরাঘুরি করছেন। রবীন্দ্রনাথ রানী চন্দের লেখার একধারে অবনীন্দ্রনাথকে লিখলেন এক চিঠি। কলকাতায় গেলে অবনকে দিয়ে আসা হবে। রানী চন্দ যখন ‘রবীকা’র চিঠি দিলেন অবনকে, অবন যেন লাফিয়ে উঠলেন। পড়ে বললেন, ‘রানী, এ চিঠি তোমাকে দেব না। এ যে রবীকা আমায় লিখেছেন—আমার চিঠি। এই ঘটনার মধ্য দিয়েই রানী চন্দ লিখতে শুরু করলেন। রবীন্দ্রনাথ–অবনীন্দ্রনাথসহ সেকালের অনেকেই মূর্ত হয়ে আছেন সে লেখাগুলোয়।
সূত্র: রানী চন্দ, শিল্পীগুরু অবনীন্দ্রনাথ
শেষ বয়সে অসুস্থ হয়ে পড়লেন রবীন্দ্রনাথ। অবনীন্দ্রনাথ ভয়েই সে বাড়িতে যান না। শুধু দূর থেকে খবর নিয়ে যান। রবীন্দ্রনাথের কষ্ট সহ্য করতে পারবেন না বলেই দূরে থাকেন।
একসময় রবীন্দ্রনাথের শরীর একটু ভালো হলো। শান্তিনিকেতনে গিয়ে খোল তাই হলো তাঁর মেজাজ। কয়েকজন যারা ঘুরে ঘুরে রবীন্দ্রনাথের শুশ্রূষা করতেন, তাঁদের একজন ছিলেন রানী চন্দ। সব সময় আগলে রাখতে হয় বলে রবীন্দ্রনাথ একটু বিব্রত হতেন। রানী চন্দকে ডেকে একদিন বললেন, ‘তুই তো একটু লেখালেখি করতে পারিস।’ লিখলে তা সম্পাদনা করে দেবেন বলেও কথা দিলেন রবীন্দ্রনাথ।
রানী চন্দ আঁকতে পছন্দ করতেন; কিন্তু লিখতেন না। রবীন্দ্রনাথ বলার পর রানী চন্দের মনে পড়ল, অবনীন্দ্রনাথের বলা কথাগুলো তো টুকে রেখেছেন তিনি। দৌড়ে খাতা নিয়ে এলেন। রবীন্দ্রনাথ পড়তে শুরু করলেন। বিন্দু বিন্দু ঘাম জমতে লাগল কপালে। ভয় পেয়ে গেলেন রানী চন্দ। পড়তে নিষেধ করলেন। পরে পড়তে বললেন। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ তখন ভাসছেন আনন্দে। বলছেন, ‘এ অপূর্ব হয়েছে। স্পনটেনিয়াস হয়েছে। অবন বলে যাচ্ছে, আমি শুনতে পাচ্ছি। এতে বদলাবার মতো কিছু নেই। তুই অবনের কাছ থেকে আরও আদায় করে নে। এমনি করে না বলিয়ে নিলে ও বসে লিখবার ছেলে নয়।’ যাকে ‘ছেলে’ বলে সম্বোধন করলেন রবীন্দ্রনাথ, সেই অবনীন্দ্রনাথ তখন সত্তর বছরের আশপাশে ঘোরাঘুরি করছেন। রবীন্দ্রনাথ রানী চন্দের লেখার একধারে অবনীন্দ্রনাথকে লিখলেন এক চিঠি। কলকাতায় গেলে অবনকে দিয়ে আসা হবে। রানী চন্দ যখন ‘রবীকা’র চিঠি দিলেন অবনকে, অবন যেন লাফিয়ে উঠলেন। পড়ে বললেন, ‘রানী, এ চিঠি তোমাকে দেব না। এ যে রবীকা আমায় লিখেছেন—আমার চিঠি। এই ঘটনার মধ্য দিয়েই রানী চন্দ লিখতে শুরু করলেন। রবীন্দ্রনাথ–অবনীন্দ্রনাথসহ সেকালের অনেকেই মূর্ত হয়ে আছেন সে লেখাগুলোয়।
সূত্র: রানী চন্দ, শিল্পীগুরু অবনীন্দ্রনাথ
বিশ্বখ্যাত ইংরেজি ভাষার অভিধান কেমব্রিজ ডিকশনারিতে এ বছর যুক্ত হয়েছে ৬ হাজারের বেশি নতুন শব্দ। যেগুলোর বেশির ভাগ জেন-জিদের। এসব শব্দের মধ্যে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহৃত স্ল্যাং বা অমার্জিত শব্দ যেমন ‘স্কিবিডি’, ‘ট্র্যাডওয়াইফ’, ‘ব্রোলিগার্কি’ এবং ‘ডেলুলু’ রয়েছে।
২ দিন আগেগত বছরের ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনীতির ময়দান বেশ টান টান। সংস্কার আর নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। নেই দম ফেলার দুদণ্ড ফুরসত। কোনো কোনো উপদেষ্টাকে ভোররাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও।
৬ দিন আগেযতীন স্যারকে নিয়ে কথা বলতে বসলে মনে হয়, কথাগুলো শুধু লেখা নয়—এ যেন হৃদয়ের ভেতরের কিছু টুকরো তুলে ধরা। দুপুরে হঠাৎ এক সুহৃদ ফোন করে বলল, ‘শুনেছ? যতীন স্যার নেই!’—মুহূর্তেই আমার বুক কেঁপে উঠল। মনে হলো, জীবনের এক অমূল্য আশ্রয় হঠাৎ হারিয়ে ফেলেছি।
৭ দিন আগেএকটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
৯ দিন আগে