সম্পাদকীয়
হাসান আজিজুল হককে আমরা সেরা কথাসাহিত্যিকদের একজন হিসেবেই জানি। ষাটের দশকে ছোটগল্প দিয়ে যে সুনাম তিনি অর্জন করেছিলেন, তা আজও বজায় আছে। তবে শুধু সাহিত্য নয়, রাজনীতিতেও জড়িয়েছিলেন ‘আগুনপাখি’ উপন্যাসের এই জনক।
অবিভক্ত ভারতের পশ্চিমবঙ্গের যবগ্রামে ১৯৩৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন হাসান আজিজুল হক। অনেক শিক্ষার্থী যেমন স্কুল বা কলেজ পাসের পর বাড়ি থেকে দূরে তুলনামূলক ভালো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়তে যায়, তেমনি হাসান আজিজুল হকও গিয়েছিলেন। যবগ্রাম থেকে খুলনা তাঁর কাছে খুব বেশি দূরে মনে হয়নি অবশ্য। তাই স্কুল পাসের পর ১৯৫৪ সালে তিনি খুলনায় চলে আসেন। দৌলতপুরের ব্রজলাল কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক শেষ করেন। রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে দর্শনে সম্মানসহ স্নাতক ডিগ্রি এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পিএইচডি করতে গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ায়, কিন্তু প্রবাস জীবন মোটেও পছন্দ হলো না তাঁর। পড়া শেষ না করেই ফিরে এসেছিলেন।
১৯৬০ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত রাজশাহী সিটি কলেজ, সিরাজগঞ্জ কলেজ, খুলনা সরকারি মহিলা কলেজ এবং সরকারি ব্রজলাল কলেজে অধ্যাপনা করেছেন তিনি। ১৯৭৩ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৩১ বছর অধ্যাপনা করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে। তিনি ২০১৪ সালে বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘের সভাপতি নির্বাচিত হন।
২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর হাসান আজিজুল হক পরপারে পাড়ি জমান। জীবদ্দশায় তিনি পাঠককে উপহার দিয়ে গেছেন গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, নাটক, শিশুসাহিত্য, স্মৃতিকথা, আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থসহ সম্পাদিত গ্রন্থ। তাঁর পাঠকপ্রিয় গল্পের মধ্যে ‘আত্মজা ও একটি করবীগাছ’-এর নাম না নিলেই নয়। বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারের মতো অর্জন আছে তাঁর ঝুলিতে।
গদ্যকে সাবলীল করতে সচেতন ছিলেন তিনি। বলেছিলেন, ‘ভাষা হচ্ছে নদীর তীব্র স্রোতের মতো, ভেতর থেকে বদলে যাবে।...এ হচ্ছে জীবনের রসায়ন, যন্ত্রের ফ্যাক্টরি নয়।’ কী ঋণীই না করে গেলেন বাংলা সাহিত্যকে!
হাসান আজিজুল হককে আমরা সেরা কথাসাহিত্যিকদের একজন হিসেবেই জানি। ষাটের দশকে ছোটগল্প দিয়ে যে সুনাম তিনি অর্জন করেছিলেন, তা আজও বজায় আছে। তবে শুধু সাহিত্য নয়, রাজনীতিতেও জড়িয়েছিলেন ‘আগুনপাখি’ উপন্যাসের এই জনক।
অবিভক্ত ভারতের পশ্চিমবঙ্গের যবগ্রামে ১৯৩৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন হাসান আজিজুল হক। অনেক শিক্ষার্থী যেমন স্কুল বা কলেজ পাসের পর বাড়ি থেকে দূরে তুলনামূলক ভালো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়তে যায়, তেমনি হাসান আজিজুল হকও গিয়েছিলেন। যবগ্রাম থেকে খুলনা তাঁর কাছে খুব বেশি দূরে মনে হয়নি অবশ্য। তাই স্কুল পাসের পর ১৯৫৪ সালে তিনি খুলনায় চলে আসেন। দৌলতপুরের ব্রজলাল কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক শেষ করেন। রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে দর্শনে সম্মানসহ স্নাতক ডিগ্রি এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পিএইচডি করতে গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ায়, কিন্তু প্রবাস জীবন মোটেও পছন্দ হলো না তাঁর। পড়া শেষ না করেই ফিরে এসেছিলেন।
১৯৬০ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত রাজশাহী সিটি কলেজ, সিরাজগঞ্জ কলেজ, খুলনা সরকারি মহিলা কলেজ এবং সরকারি ব্রজলাল কলেজে অধ্যাপনা করেছেন তিনি। ১৯৭৩ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৩১ বছর অধ্যাপনা করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে। তিনি ২০১৪ সালে বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘের সভাপতি নির্বাচিত হন।
২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর হাসান আজিজুল হক পরপারে পাড়ি জমান। জীবদ্দশায় তিনি পাঠককে উপহার দিয়ে গেছেন গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, নাটক, শিশুসাহিত্য, স্মৃতিকথা, আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থসহ সম্পাদিত গ্রন্থ। তাঁর পাঠকপ্রিয় গল্পের মধ্যে ‘আত্মজা ও একটি করবীগাছ’-এর নাম না নিলেই নয়। বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারের মতো অর্জন আছে তাঁর ঝুলিতে।
গদ্যকে সাবলীল করতে সচেতন ছিলেন তিনি। বলেছিলেন, ‘ভাষা হচ্ছে নদীর তীব্র স্রোতের মতো, ভেতর থেকে বদলে যাবে।...এ হচ্ছে জীবনের রসায়ন, যন্ত্রের ফ্যাক্টরি নয়।’ কী ঋণীই না করে গেলেন বাংলা সাহিত্যকে!
১৫৪০ খ্রিষ্টাব্দে ইগ্নেসিয়াস লয়োলা নামে এক স্প্যানিশ ব্যক্তি জেসুইটা বা যিশুর সম্প্রদায় গঠন করেন। এই সম্প্রদায়ের খ্রিষ্টানরা খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে পৃথিবীর নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েন। পিয়েরে ডু জারিক নামের এক ফরাসি ঐতিহাসিকের মতে, ১৫৯৯ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে ফনসেকা নামের একজন খ্রিষ্টান...
২ দিন আগেদুর্ঘটনা ও জ্যাম এড়াতে শহরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক বাতি স্থাপন করা হয়। লাল বাতি জ্বলার সময় গাড়িগুলো থামে। হলুদ বাতি দেখলে অপেক্ষা করে। আর সবুজ বাতি জ্বললেই গাড়ি অবাধে এগিয়ে চলে। এই সিগন্যাল সারা বিশ্বেই স্বীকৃত।
৮ দিন আগেপঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
১৯ দিন আগেলালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস মৌজায় মজদের আড়া নামে একটি পতিত জঙ্গল ছিল। স্থানীয় ভাষায় ‘আড়া’ মানে জঙ্গলময় স্থান। ১৯৮৫ সালে স্থানীয়রা আড়াটি পরিষ্কার করে চাষাবাদের উদ্যোগ নেয়। ওই সময় মাটি খুঁড়ে সমতল করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ফুলেল নকশার প্রচুর প্রাচীন ইট।
২৩ দিন আগে