সম্পাদকীয়
কামাল লোহানীর পেশা ছিল সাংবাদিকতা, কিন্তু জীবনব্যাপী সক্রিয় ছিলেন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে। তাঁর আসল নাম আবু নঈম মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল খান লোহানী।
কামাল লোহানীর জন্ম ১৯৩৪ সালের ২৬ জুন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায়। ১৯৫৫ সালে দৈনিক মিল্লাত পত্রিকায় তাঁর সাংবাদিকতার সূচনা। তাঁর মার্ক্সবাদী মতাদর্শের পথ ধরে সাংস্কৃতিক সংগ্রাম ও আন্দোলনে একেবারে সামনের সারিতে যুক্ত থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
কলেজে পড়ার সময় জড়িয়ে পড়েন বাম রাজনীতিতে। পাবনায় ছাত্র ইউনিয়ন গড়ে তোলার অন্যতম সংগঠক ছিলেন তিনি। ভাষা আন্দোলনে যুক্ত থাকার কারণে তাঁকে জেলে যেতে হয়। জেলে বসেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা পাস করেন।
ঢাকায় এসে পেশা হিসেবে বেছে নেন সাংবাদিকতা। প্রথমে সহসম্পাদক হিসেবে যোগ দেন দৈনিক মিল্লাতে। এরপর কাজ করেন দৈনিক আজাদ, দৈনিক সংবাদ, দৈনিক পূর্বদেশ, দৈনিক বার্তা ইত্যাদি পত্রিকায়। দায়িত্ব পালন করেন প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক হিসেবে।
আবার গ্রেপ্তার হন ১৯৫৪ সালে। ১৯৬২ সালের ছাত্র আন্দোলনের সময়ও তাঁকে জেলে যেতে হয়। জেল থেকে বের হয়ে সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ছায়ানট’-এর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পড়ে তাঁরই কাঁধে। ১৯৬৬ পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন। ছায়ানট ছেড়ে একটি যথার্থ মার্ক্সবাদী গণসাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে ১৯৬৭ সালে গড়ে তোলেন ‘ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী’।
স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় গঠিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সংবাদ বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় অর্জনের সংবাদ বেতারে তিনিই প্রথম পাঠ করেন।
১৯৮৩ সালে গড়ে তোলেন নতুন সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘বাংলাদেশ গণশিল্পী সংস্থা’। প্রথমে আহ্বায়ক এবং পরে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির তিনি ছিলেন অন্যতম উপদেষ্টা। শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকও ছিলেন। তিনি পরপর দুবার উদীচীর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুর আগপর্যন্ত এই সংগঠনের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন।
২০২০ সালের ২০ জুন তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
কামাল লোহানীর পেশা ছিল সাংবাদিকতা, কিন্তু জীবনব্যাপী সক্রিয় ছিলেন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে। তাঁর আসল নাম আবু নঈম মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল খান লোহানী।
কামাল লোহানীর জন্ম ১৯৩৪ সালের ২৬ জুন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায়। ১৯৫৫ সালে দৈনিক মিল্লাত পত্রিকায় তাঁর সাংবাদিকতার সূচনা। তাঁর মার্ক্সবাদী মতাদর্শের পথ ধরে সাংস্কৃতিক সংগ্রাম ও আন্দোলনে একেবারে সামনের সারিতে যুক্ত থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
কলেজে পড়ার সময় জড়িয়ে পড়েন বাম রাজনীতিতে। পাবনায় ছাত্র ইউনিয়ন গড়ে তোলার অন্যতম সংগঠক ছিলেন তিনি। ভাষা আন্দোলনে যুক্ত থাকার কারণে তাঁকে জেলে যেতে হয়। জেলে বসেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা পাস করেন।
ঢাকায় এসে পেশা হিসেবে বেছে নেন সাংবাদিকতা। প্রথমে সহসম্পাদক হিসেবে যোগ দেন দৈনিক মিল্লাতে। এরপর কাজ করেন দৈনিক আজাদ, দৈনিক সংবাদ, দৈনিক পূর্বদেশ, দৈনিক বার্তা ইত্যাদি পত্রিকায়। দায়িত্ব পালন করেন প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক হিসেবে।
আবার গ্রেপ্তার হন ১৯৫৪ সালে। ১৯৬২ সালের ছাত্র আন্দোলনের সময়ও তাঁকে জেলে যেতে হয়। জেল থেকে বের হয়ে সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ছায়ানট’-এর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পড়ে তাঁরই কাঁধে। ১৯৬৬ পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন। ছায়ানট ছেড়ে একটি যথার্থ মার্ক্সবাদী গণসাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে ১৯৬৭ সালে গড়ে তোলেন ‘ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী’।
স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় গঠিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সংবাদ বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় অর্জনের সংবাদ বেতারে তিনিই প্রথম পাঠ করেন।
১৯৮৩ সালে গড়ে তোলেন নতুন সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘বাংলাদেশ গণশিল্পী সংস্থা’। প্রথমে আহ্বায়ক এবং পরে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির তিনি ছিলেন অন্যতম উপদেষ্টা। শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকও ছিলেন। তিনি পরপর দুবার উদীচীর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুর আগপর্যন্ত এই সংগঠনের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন।
২০২০ সালের ২০ জুন তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
১৫৪০ খ্রিষ্টাব্দে ইগ্নেসিয়াস লয়োলা নামে এক স্প্যানিশ ব্যক্তি জেসুইটা বা যিশুর সম্প্রদায় গঠন করেন। এই সম্প্রদায়ের খ্রিষ্টানরা খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে পৃথিবীর নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েন। পিয়েরে ডু জারিক নামের এক ফরাসি ঐতিহাসিকের মতে, ১৫৯৯ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে ফনসেকা নামের একজন খ্রিষ্টান...
১ দিন আগেদুর্ঘটনা ও জ্যাম এড়াতে শহরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক বাতি স্থাপন করা হয়। লাল বাতি জ্বলার সময় গাড়িগুলো থামে। হলুদ বাতি দেখলে অপেক্ষা করে। আর সবুজ বাতি জ্বললেই গাড়ি অবাধে এগিয়ে চলে। এই সিগন্যাল সারা বিশ্বেই স্বীকৃত।
৮ দিন আগেপঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
১৮ দিন আগেলালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস মৌজায় মজদের আড়া নামে একটি পতিত জঙ্গল ছিল। স্থানীয় ভাষায় ‘আড়া’ মানে জঙ্গলময় স্থান। ১৯৮৫ সালে স্থানীয়রা আড়াটি পরিষ্কার করে চাষাবাদের উদ্যোগ নেয়। ওই সময় মাটি খুঁড়ে সমতল করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ফুলেল নকশার প্রচুর প্রাচীন ইট।
২২ দিন আগে