সম্পাদকীয়
অবিভক্ত বাংলার জাতীয় নেতা ছিলেন আবুল কাশেম ফজলুল হক। তিনি সাধারণ মানুষের কাছে শেরেবাংলা বা বাংলার বাঘ নামে সুপরিচিত ছিলেন।
তাঁর জন্ম বর্তমান বরিশালের বর্ধিষ্ণু গ্রাম সাটুরিয়ায়। ছোটবেলা থেকেই তিনি প্রখর মেধাসম্পন্ন ছাত্র ছিলেন। শৈশবে বাড়িতেই আরবি, ফারসি ও বাংলা ভাষায় শিক্ষা লাভ করে ১৮৯০ সালে বরিশাল জিলা স্কুল থেকে এন্ট্রান্স, ১৮৯২ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে এফএ এবং ১৮৯৪ সালে রসায়ন, গণিত ও পদার্থবিদ্যা বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন, যা ছিল একটি বিরল দৃষ্টান্ত। কথিত আছে, তিনি ইংরেজি সাহিত্যে এমএ পড়তে গেলে তাঁর এক সহপাঠী তাঁকে বলেছিলেন, মুসলমান ছাত্ররা গণিত পড়তে ভয় পায়। ওই সহপাঠীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মাত্র ছয় মাসের প্রস্তুতি নিয়ে গণিতে প্রথম শ্রেণিতে এমএ পাস করেন। তিনি আইনেও স্নাতক ডিগ্রি লাভ করে কলকাতা হাইকোর্টে আইন পেশায় যুক্ত হন। পিতার মৃত্যুর পর তিনি বরিশাল আদালতে যোগ দিয়েছিলেন।
আইন ব্যবসা ছেড়ে তিনি সরকারি চাকরি নেন ১৯০৬ সালে। কিন্তু ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের পদ থেকে ইস্তফা দেন ১৯১১ সালে। আবার তিনি ফিরে যান কলকাতা হাইকোর্টে।
মুসলিম লীগের শুরু থেকেই এ কে ফজলুল হক দলটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পরবর্তী সময়ে নিখিল ভারত মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। এরপর তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের যুগ্ম সম্পাদক এবং পরে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন। দিল্লিতে ১৯১৮ সালে অনুষ্ঠিত একমাত্র বাঙালি হিসেবে নিখিল ভারত মুসলিম লীগের বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। ‘লক্ষ্ণৌ চুক্তি’র একজন প্রধান উদ্যোক্তা তিনি ছিলেন।
কর্মজীবনে তিনি কলকাতার মেয়র, অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী, পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর এবং যুক্তফ্রন্ট গঠনে প্রধান নেতা ছিলেন।
মহান এই নেতার মৃত্যু হয় ঢাকায় ১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল।
অবিভক্ত বাংলার জাতীয় নেতা ছিলেন আবুল কাশেম ফজলুল হক। তিনি সাধারণ মানুষের কাছে শেরেবাংলা বা বাংলার বাঘ নামে সুপরিচিত ছিলেন।
তাঁর জন্ম বর্তমান বরিশালের বর্ধিষ্ণু গ্রাম সাটুরিয়ায়। ছোটবেলা থেকেই তিনি প্রখর মেধাসম্পন্ন ছাত্র ছিলেন। শৈশবে বাড়িতেই আরবি, ফারসি ও বাংলা ভাষায় শিক্ষা লাভ করে ১৮৯০ সালে বরিশাল জিলা স্কুল থেকে এন্ট্রান্স, ১৮৯২ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে এফএ এবং ১৮৯৪ সালে রসায়ন, গণিত ও পদার্থবিদ্যা বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন, যা ছিল একটি বিরল দৃষ্টান্ত। কথিত আছে, তিনি ইংরেজি সাহিত্যে এমএ পড়তে গেলে তাঁর এক সহপাঠী তাঁকে বলেছিলেন, মুসলমান ছাত্ররা গণিত পড়তে ভয় পায়। ওই সহপাঠীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মাত্র ছয় মাসের প্রস্তুতি নিয়ে গণিতে প্রথম শ্রেণিতে এমএ পাস করেন। তিনি আইনেও স্নাতক ডিগ্রি লাভ করে কলকাতা হাইকোর্টে আইন পেশায় যুক্ত হন। পিতার মৃত্যুর পর তিনি বরিশাল আদালতে যোগ দিয়েছিলেন।
আইন ব্যবসা ছেড়ে তিনি সরকারি চাকরি নেন ১৯০৬ সালে। কিন্তু ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের পদ থেকে ইস্তফা দেন ১৯১১ সালে। আবার তিনি ফিরে যান কলকাতা হাইকোর্টে।
মুসলিম লীগের শুরু থেকেই এ কে ফজলুল হক দলটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পরবর্তী সময়ে নিখিল ভারত মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। এরপর তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের যুগ্ম সম্পাদক এবং পরে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন। দিল্লিতে ১৯১৮ সালে অনুষ্ঠিত একমাত্র বাঙালি হিসেবে নিখিল ভারত মুসলিম লীগের বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। ‘লক্ষ্ণৌ চুক্তি’র একজন প্রধান উদ্যোক্তা তিনি ছিলেন।
কর্মজীবনে তিনি কলকাতার মেয়র, অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী, পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর এবং যুক্তফ্রন্ট গঠনে প্রধান নেতা ছিলেন।
মহান এই নেতার মৃত্যু হয় ঢাকায় ১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল।
গত বছরের ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনীতির ময়দান বেশ টানটান। সংস্কার আর নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। নেই দম ফেলার দুদণ্ড ফুরসত। কোনো কোনো উপদেষ্টাকে ভোররাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও।
২ দিন আগেযতীন স্যারকে নিয়ে কথা বলতে বসলে মনে হয়, কথাগুলো শুধু লেখা নয়—এ যেন হৃদয়ের ভেতরের কিছু টুকরো তুলে ধরা। দুপুরে হঠাৎ এক সুহৃদ ফোন করে বলল, ‘শুনেছ? যতীন স্যার নেই!’—মুহূর্তেই আমার বুক কেঁপে উঠল। মনে হলো, জীবনের এক অমূল্য আশ্রয় হঠাৎ হারিয়ে ফেলেছি।
৩ দিন আগেএকটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
৬ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে অবস্থিত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টকে বলা হয় দেশটির বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর। আর বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম। সংক্ষেপে জাদুঘরটি ‘দ্য মেট’ নামেও পরিচিত। ১৫৫ বছর পুরোনো এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭০ সালে।
১০ দিন আগে