অনলাইন ডেস্ক
কাশ্মীর প্রিন্সেস—৭০ বছর আগে এক ট্র্যাজেডির সঙ্গে জড়িয়ে আছে এয়ার ইন্ডিয়ার এই উড়োজাহাজ। ১৯৫৫ সালের ১০ এপ্রিল মুম্বাই থেকে যাত্রীদের নিয়ে হংকংয়ের কাই তাক বিমানবন্দরে পৌঁছায় উড়োজাহাজটি। পরদিন, চীনা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার কথা ছিল সেটির।
তৎকালীন চীনা সরকারের কাছে দীর্ঘ পথ ওড়ার মতো কোনো উড়োজাহাজ ছিল না। এ কারণে ১১ জন চীনা কর্মকর্তাকে জাকার্তায় পৌঁছে দিতে কাশ্মীর প্রিন্সেসকে বেছে নেওয়া হয়। আফ্রো–এশীয় সম্মেলন বান্দুং–এ যোগ দিতে ওই ফ্লাইটে জাকার্তা যাওয়ার কথা ছিল তৎকালীন চীনা প্রধানমন্ত্রীর। তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন চৌ এন-লাই।
কিন্তু পরদিন সেই ফ্লাইটে ওঠেননি প্রধানমন্ত্রী, এমনকি কোনো জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকই ওঠেননি ওই ফ্লাইটে। কেবল জুনিয়র স্টাফ, দুজন পোল্যান্ডের সাংবাদিক এবং একজন ভিয়েতনামী সাংবাদিককে নিয়ে জাকার্তার উদ্দেশে রওনা হয় কাশ্মীর প্রিন্সেস। ফ্লাইটের পাইলট ছিলেন ক্যাপ্টেন ডি কে জাতার এবং কো–পাইলট এম সি দীক্ষিত, ফ্লাইট নেভিগেটর জে সি পাঠক, ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার এ এস কার্নিক এবং বিমানবালা গ্লোরিয়া ইভান বেরিসহ ৮ জন ক্রু।
সবকিছু ঠিকই ছিল। আর এক ঘণ্টা পরই জাকার্তায় অবতরণ করার কথা সেটির। কিন্তু হঠাৎ ঘটে বিস্ফোরণ! আগুন ধরে যায় উড়োজাহাজে। সেটি তখন ১৮ হাজার ফুট ওপরে উড়ছে। জওহরলাল নেহরুর মতো বহু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে নিয়ে ওড়া অভিজ্ঞ পাইলট ডি কে জাতার তাৎক্ষণিকভাবে সমুদ্রে জরুরি অবতরণ করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে। ককপিট, কেবিন আর টেইল—তিন ভাগে ভেঙে সমুদ্রে বিধ্বস্ত হয় কাশ্মীর প্রিন্সেস। স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজের চায়না কোয়ার্টারলির তথ্যমতে, কেবিনটি সঙ্গে সঙ্গে সাগরে ডুবে যায়।
এ ঘটনায় তিনজন ক্রু ছাড়া সবাই নিহত হন। এ দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরা একজন এ এস কার্নিক, পরে তিনি কাশ্মীর প্রিন্সেস নামে একটি বই লেখেন। ওই বইয়ের তথ্য অনুসারে, বিধ্বস্ত হওয়ার ২১ দিন পর উদ্ধার করা হয় উড়োজাহাজটির ককপিট। ক্যাপ্টেন জাতারের মরদেহ যখন খুঁজে পাওয়া যায়, তখন দেখা যায়, দেহটি তখনো সিটবেল্টে বাঁধা, আর হাত স্টিয়ারিংয়ে।
জীবিত উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা জানান, ২৩ বছর বয়সী বিমানবালা গ্লোরিয়া শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট পরতে সাহায্য করছিলেন। পাইলট জাতার, বিমানবালা গ্লোরিয়াসহ উড়োজাহাজটির জীবিত ফিরে আসা সব ক্রুকে সর্বোচ্চ সাহসিকতা পুরস্কার অশোক চক্রে ভূষিত করে ভারত সরকার।
এ দুর্ঘটনার রহস্য উদ্ধার করেন আর এন কাও, যিনি পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠা করেন ভারতের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ (RAW)। চীন, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন দীর্ঘদিন ভ্রমণের পর চীনা প্রধানমন্ত্রী চৌ এন–লাইকে একটি রিপোর্ট দেন তিনি। তদন্তে উঠে আসে, তাইওয়ানের কুওমিনতাং পার্টি চৌ চু নামের এক ব্যক্তিকে দিয়ে উড়োজাহাজটিতে একটি টাইম বোমা লুকানো হয়েছিল। চৌ চু ছিলেন হংকং এয়ারক্রাফট ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির টেকনিশিয়ান। এই পুরো বিষয়টির নেতৃত্বে ছিলেন চিয়াং কাইশেক।
চীনা রাজনীতিবিদ, বিপ্লবী সমাজতান্ত্রিক এবং জেনারেল চিয়াং কাই-শেক ১৯২৮ থেকে ১৯৭৫ সালে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত চীন প্রজাতন্ত্রের (আরওসি) নেতৃত্ব দিয়েছেন। চীনের গৃহযুদ্ধকালে ১৯৪৯ সালে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) কাছে পরাজিত হয়ে দলবল নিয়ে তাইওয়ান দ্বীপে চলে যান এবং সেখানে চীন প্রজাতন্ত্রের নেতৃত্ব দেন। ১৯২৬ সাল থেকে মৃত্যু পর্যন্ত জাতীয়তাবাদী কুওমিনতাং (কেএমটি) দলের নেতৃত্ব দেন চিয়াং কাই–শেখ এবং জাতীয় বিপ্লবী সেনাবাহিনীর (এনআরএ) সর্বাধিনায়ক ছিলেন।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই চীনা প্রধানমন্ত্রী চৌ এন–লাইকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন চিয়াং কাই–শেখ। তবে, আগেই আঁচ পেয়ে ওই ফ্লাইটে ওঠেননি প্রধানমন্ত্রী। কাশ্মীর প্রিন্সেসের ওই ফ্লাইটটির শেষ জীবিত সদস্য এম সি দীক্ষিত ২০২২ সালে মারা যান।
কাশ্মীর প্রিন্সেস—৭০ বছর আগে এক ট্র্যাজেডির সঙ্গে জড়িয়ে আছে এয়ার ইন্ডিয়ার এই উড়োজাহাজ। ১৯৫৫ সালের ১০ এপ্রিল মুম্বাই থেকে যাত্রীদের নিয়ে হংকংয়ের কাই তাক বিমানবন্দরে পৌঁছায় উড়োজাহাজটি। পরদিন, চীনা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার কথা ছিল সেটির।
তৎকালীন চীনা সরকারের কাছে দীর্ঘ পথ ওড়ার মতো কোনো উড়োজাহাজ ছিল না। এ কারণে ১১ জন চীনা কর্মকর্তাকে জাকার্তায় পৌঁছে দিতে কাশ্মীর প্রিন্সেসকে বেছে নেওয়া হয়। আফ্রো–এশীয় সম্মেলন বান্দুং–এ যোগ দিতে ওই ফ্লাইটে জাকার্তা যাওয়ার কথা ছিল তৎকালীন চীনা প্রধানমন্ত্রীর। তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন চৌ এন-লাই।
কিন্তু পরদিন সেই ফ্লাইটে ওঠেননি প্রধানমন্ত্রী, এমনকি কোনো জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকই ওঠেননি ওই ফ্লাইটে। কেবল জুনিয়র স্টাফ, দুজন পোল্যান্ডের সাংবাদিক এবং একজন ভিয়েতনামী সাংবাদিককে নিয়ে জাকার্তার উদ্দেশে রওনা হয় কাশ্মীর প্রিন্সেস। ফ্লাইটের পাইলট ছিলেন ক্যাপ্টেন ডি কে জাতার এবং কো–পাইলট এম সি দীক্ষিত, ফ্লাইট নেভিগেটর জে সি পাঠক, ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার এ এস কার্নিক এবং বিমানবালা গ্লোরিয়া ইভান বেরিসহ ৮ জন ক্রু।
সবকিছু ঠিকই ছিল। আর এক ঘণ্টা পরই জাকার্তায় অবতরণ করার কথা সেটির। কিন্তু হঠাৎ ঘটে বিস্ফোরণ! আগুন ধরে যায় উড়োজাহাজে। সেটি তখন ১৮ হাজার ফুট ওপরে উড়ছে। জওহরলাল নেহরুর মতো বহু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে নিয়ে ওড়া অভিজ্ঞ পাইলট ডি কে জাতার তাৎক্ষণিকভাবে সমুদ্রে জরুরি অবতরণ করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে। ককপিট, কেবিন আর টেইল—তিন ভাগে ভেঙে সমুদ্রে বিধ্বস্ত হয় কাশ্মীর প্রিন্সেস। স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজের চায়না কোয়ার্টারলির তথ্যমতে, কেবিনটি সঙ্গে সঙ্গে সাগরে ডুবে যায়।
এ ঘটনায় তিনজন ক্রু ছাড়া সবাই নিহত হন। এ দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরা একজন এ এস কার্নিক, পরে তিনি কাশ্মীর প্রিন্সেস নামে একটি বই লেখেন। ওই বইয়ের তথ্য অনুসারে, বিধ্বস্ত হওয়ার ২১ দিন পর উদ্ধার করা হয় উড়োজাহাজটির ককপিট। ক্যাপ্টেন জাতারের মরদেহ যখন খুঁজে পাওয়া যায়, তখন দেখা যায়, দেহটি তখনো সিটবেল্টে বাঁধা, আর হাত স্টিয়ারিংয়ে।
জীবিত উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা জানান, ২৩ বছর বয়সী বিমানবালা গ্লোরিয়া শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট পরতে সাহায্য করছিলেন। পাইলট জাতার, বিমানবালা গ্লোরিয়াসহ উড়োজাহাজটির জীবিত ফিরে আসা সব ক্রুকে সর্বোচ্চ সাহসিকতা পুরস্কার অশোক চক্রে ভূষিত করে ভারত সরকার।
এ দুর্ঘটনার রহস্য উদ্ধার করেন আর এন কাও, যিনি পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠা করেন ভারতের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ (RAW)। চীন, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন দীর্ঘদিন ভ্রমণের পর চীনা প্রধানমন্ত্রী চৌ এন–লাইকে একটি রিপোর্ট দেন তিনি। তদন্তে উঠে আসে, তাইওয়ানের কুওমিনতাং পার্টি চৌ চু নামের এক ব্যক্তিকে দিয়ে উড়োজাহাজটিতে একটি টাইম বোমা লুকানো হয়েছিল। চৌ চু ছিলেন হংকং এয়ারক্রাফট ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির টেকনিশিয়ান। এই পুরো বিষয়টির নেতৃত্বে ছিলেন চিয়াং কাইশেক।
চীনা রাজনীতিবিদ, বিপ্লবী সমাজতান্ত্রিক এবং জেনারেল চিয়াং কাই-শেক ১৯২৮ থেকে ১৯৭৫ সালে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত চীন প্রজাতন্ত্রের (আরওসি) নেতৃত্ব দিয়েছেন। চীনের গৃহযুদ্ধকালে ১৯৪৯ সালে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) কাছে পরাজিত হয়ে দলবল নিয়ে তাইওয়ান দ্বীপে চলে যান এবং সেখানে চীন প্রজাতন্ত্রের নেতৃত্ব দেন। ১৯২৬ সাল থেকে মৃত্যু পর্যন্ত জাতীয়তাবাদী কুওমিনতাং (কেএমটি) দলের নেতৃত্ব দেন চিয়াং কাই–শেখ এবং জাতীয় বিপ্লবী সেনাবাহিনীর (এনআরএ) সর্বাধিনায়ক ছিলেন।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই চীনা প্রধানমন্ত্রী চৌ এন–লাইকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন চিয়াং কাই–শেখ। তবে, আগেই আঁচ পেয়ে ওই ফ্লাইটে ওঠেননি প্রধানমন্ত্রী। কাশ্মীর প্রিন্সেসের ওই ফ্লাইটটির শেষ জীবিত সদস্য এম সি দীক্ষিত ২০২২ সালে মারা যান।
১৫৪০ খ্রিষ্টাব্দে ইগ্নেসিয়াস লয়োলা নামে এক স্প্যানিশ ব্যক্তি জেসুইটা বা যিশুর সম্প্রদায় গঠন করেন। এই সম্প্রদায়ের খ্রিষ্টানরা খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে পৃথিবীর নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েন। পিয়েরে ডু জারিক নামের এক ফরাসি ঐতিহাসিকের মতে, ১৫৯৯ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে ফনসেকা নামের একজন খ্রিষ্টান...
১৯ ঘণ্টা আগেদুর্ঘটনা ও জ্যাম এড়াতে শহরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক বাতি স্থাপন করা হয়। লাল বাতি জ্বলার সময় গাড়িগুলো থামে। হলুদ বাতি দেখলে অপেক্ষা করে। আর সবুজ বাতি জ্বললেই গাড়ি অবাধে এগিয়ে চলে। এই সিগন্যাল সারা বিশ্বেই স্বীকৃত।
৭ দিন আগেপঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
১৮ দিন আগেলালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস মৌজায় মজদের আড়া নামে একটি পতিত জঙ্গল ছিল। স্থানীয় ভাষায় ‘আড়া’ মানে জঙ্গলময় স্থান। ১৯৮৫ সালে স্থানীয়রা আড়াটি পরিষ্কার করে চাষাবাদের উদ্যোগ নেয়। ওই সময় মাটি খুঁড়ে সমতল করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ফুলেল নকশার প্রচুর প্রাচীন ইট।
২২ দিন আগে