আজকের পত্রিকা ডেস্ক
কলকাতায় কৃত্তিবাস ঘরানার কবিদের বিরুদ্ধে দুর্বোধ্যতা আর অশ্লীলতার অভিযোগ উঠেছিল। পঞ্চাশের দশকে এসে বড়রা শুনতে চাইল তরুণদের কবিতা। নামীদামি বিশিষ্ট মানুষজন বসে আছেন বিচারক হয়ে। এঁদের মধ্যে আছেন শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজনবিহারী ভট্টাচার্য, শশীভূষণ দাশগুপ্ত। কবিতা পড়ছেন তরুণ কবিরা। শঙ্খ ঘোষের নাম উচ্চারিত হলেও তাঁর কবিতাটি পড়ে দিচ্ছেন বন্ধু দীপক। দীপক নিজে থেকেই বলছেন, ‘শঙ্খ ঘোষের গলা দিয়ে আওয়াজ বেরোচ্ছে না, তাই আমি পড়ে দিচ্ছি কবিতাগুলো।’
বিনয় মজুমদারের একটা কবিতা নাকি পড়বেন জ্যোতি। কবিতাটি নাকি ভয়ানক অশ্লীল কবিতা, সে ঘোষণাও তিনি দিয়ে বসেছেন পাঠের আগেই। কী ঘটতে যাচ্ছে, বুঝতে পেরে সভাপতি শশীভূষণ দাশগুপ্তের ফরসা মুখ লাল হয়ে আছে। আদ্যোপান্ত কবিতাটি পড়ার পর দেখা গেল একটিও অশ্লীল শব্দ সেখানে উচ্চারিত হয়নি। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় পকেট থেকে বের করেন একটি নতুন কবিতা, ‘অরুন্ধতী সর্বস্ব আমার, হাঁ করো, আ-আলজিভ চুমু খাও, শব্দ হোক ব্রহ্মাণ্ড পাতালে।’
কবিতার ধরন-ধারণে বিরক্ত হয়ে অন্য বিচারকেরা এরই মধ্যে চলে গেছেন। রয়ে গেছেন শুধু শশীভূষণ দাশগুপ্ত। সভাপতির ভাষণে তিনি তরুণদের তারিফই করলেন। যে যুদ্ধের মনোভাব নিয়ে তরুণেরা এসেছিল, তাতে পানি পড়ল।
এর দুই বছর পর এ রকমই আরেকটা যুদ্ধ হয়েছিল। এখানে বুদ্ধদেব বসু ছিলেন। তরুণদের কোনো কবিতায়ই তাঁর ভালো লাগেনি, এক তারাপদ রায়ের কবিতা ছাড়া। তরুণদের সাহস কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছিল, সে কথা বলার জন্যই এত কথা বলা। বেলাল চৌধুরীও ছিলেন কবিদের মধ্যে। তাঁর দ্বিতীয় কবিতার নাম ছিল, ‘সিটি!’
কোনো পঙ্ক্তি উচ্চারণ না করে মুখে প্রচণ্ড একটা সিটি বাজিয়ে মঞ্চ ত্যাগ করলেন বেলাল চৌধুরী। মুখে বাজানো সিটিটাই ছিল তাঁর কবিতা।
সূত্র: শঙ্খ ঘোষের গদ্যসংগ্রহ ৮, পৃষ্ঠা: ২৪৬-২৫১
কলকাতায় কৃত্তিবাস ঘরানার কবিদের বিরুদ্ধে দুর্বোধ্যতা আর অশ্লীলতার অভিযোগ উঠেছিল। পঞ্চাশের দশকে এসে বড়রা শুনতে চাইল তরুণদের কবিতা। নামীদামি বিশিষ্ট মানুষজন বসে আছেন বিচারক হয়ে। এঁদের মধ্যে আছেন শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজনবিহারী ভট্টাচার্য, শশীভূষণ দাশগুপ্ত। কবিতা পড়ছেন তরুণ কবিরা। শঙ্খ ঘোষের নাম উচ্চারিত হলেও তাঁর কবিতাটি পড়ে দিচ্ছেন বন্ধু দীপক। দীপক নিজে থেকেই বলছেন, ‘শঙ্খ ঘোষের গলা দিয়ে আওয়াজ বেরোচ্ছে না, তাই আমি পড়ে দিচ্ছি কবিতাগুলো।’
বিনয় মজুমদারের একটা কবিতা নাকি পড়বেন জ্যোতি। কবিতাটি নাকি ভয়ানক অশ্লীল কবিতা, সে ঘোষণাও তিনি দিয়ে বসেছেন পাঠের আগেই। কী ঘটতে যাচ্ছে, বুঝতে পেরে সভাপতি শশীভূষণ দাশগুপ্তের ফরসা মুখ লাল হয়ে আছে। আদ্যোপান্ত কবিতাটি পড়ার পর দেখা গেল একটিও অশ্লীল শব্দ সেখানে উচ্চারিত হয়নি। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় পকেট থেকে বের করেন একটি নতুন কবিতা, ‘অরুন্ধতী সর্বস্ব আমার, হাঁ করো, আ-আলজিভ চুমু খাও, শব্দ হোক ব্রহ্মাণ্ড পাতালে।’
কবিতার ধরন-ধারণে বিরক্ত হয়ে অন্য বিচারকেরা এরই মধ্যে চলে গেছেন। রয়ে গেছেন শুধু শশীভূষণ দাশগুপ্ত। সভাপতির ভাষণে তিনি তরুণদের তারিফই করলেন। যে যুদ্ধের মনোভাব নিয়ে তরুণেরা এসেছিল, তাতে পানি পড়ল।
এর দুই বছর পর এ রকমই আরেকটা যুদ্ধ হয়েছিল। এখানে বুদ্ধদেব বসু ছিলেন। তরুণদের কোনো কবিতায়ই তাঁর ভালো লাগেনি, এক তারাপদ রায়ের কবিতা ছাড়া। তরুণদের সাহস কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছিল, সে কথা বলার জন্যই এত কথা বলা। বেলাল চৌধুরীও ছিলেন কবিদের মধ্যে। তাঁর দ্বিতীয় কবিতার নাম ছিল, ‘সিটি!’
কোনো পঙ্ক্তি উচ্চারণ না করে মুখে প্রচণ্ড একটা সিটি বাজিয়ে মঞ্চ ত্যাগ করলেন বেলাল চৌধুরী। মুখে বাজানো সিটিটাই ছিল তাঁর কবিতা।
সূত্র: শঙ্খ ঘোষের গদ্যসংগ্রহ ৮, পৃষ্ঠা: ২৪৬-২৫১
১৬৫৫ সালে গৌড়ীয় রীতিতে রাজবাড়ির বালিয়াকান্দী উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের নলিয়া গ্রামে জোড় বাংলা মন্দির ও বিগ্রহ নির্মাণ করেন রাজা সীতারাম রায়। দুটো মন্দির পাশাপাশি নির্মাণ করা হয় বলে এর এমন নাম। স্থানীয়দের মতে, রাজা সীতারাম বেলগাছিতে সোনায় গড়া মূর্তি দিয়ে দুর্গাপূজা করতে...
৩ দিন আগে১৫৪০ খ্রিষ্টাব্দে ইগ্নেসিয়াস লয়োলা নামে এক স্প্যানিশ ব্যক্তি জেসুইটা বা যিশুর সম্প্রদায় গঠন করেন। এই সম্প্রদায়ের খ্রিষ্টানরা খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে পৃথিবীর নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েন। পিয়েরে ডু জারিক নামের এক ফরাসি ঐতিহাসিকের মতে, ১৫৯৯ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে ফনসেকা নামের একজন খ্রিষ্টান...
৭ দিন আগেদুর্ঘটনা ও জ্যাম এড়াতে শহরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক বাতি স্থাপন করা হয়। লাল বাতি জ্বলার সময় গাড়িগুলো থামে। হলুদ বাতি দেখলে অপেক্ষা করে। আর সবুজ বাতি জ্বললেই গাড়ি অবাধে এগিয়ে চলে। এই সিগন্যাল সারা বিশ্বেই স্বীকৃত।
১৩ দিন আগেপঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
২৪ দিন আগে