সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতা যাঁরা পড়েছেন, তাঁদের অনেকেই জানেন, ‘ইন্দিরা গান্ধীর প্রতি’ নামে তাঁর একটি কবিতা আছে। গুজরাটের বন্যার সময় বন্যা পরিস্থিতি দেখার জন্য ইন্দিরা হেলিকপ্টারে করে অকুস্থলে গিয়েছিলেন। সে সময় ইন্দিরার মুখ ফসকে ‘বাহ্ কী সুন্দর!’-জাতীয় কোনো বাক্য বেরিয়ে যেতে পারে—এমনই ভাবনা ছিল কবিতাটায়।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় নিজেও একবার হেলিকপ্টারে করে বন্যা দেখতে গিয়েছিলেন। হেলিকপ্টারের ওপর থেকে বন্যা দেখলে অসাধারণ লাগে। ছবির মতো মনে হয় চারপাশটা। ওপর থেকে দেখলে বন্যাকবলিত মানুষের যে দুঃখ-কষ্ট আছে, তা বোঝা যায় না। পানির ওপর ভেসে আছে গাছ, ছোট ছোট ঘর মাথা তুলে আছে—এসব দেখে মন ভরে যায়।
ফলে ইন্দিরা গান্ধীরও সে রকম অনুভূতি হয়েছিল কি না, সেটাই ছিল প্রশ্ন।
কবিতাটিতে একটি পঙ্ক্তি এরকম:
‘তোমার শুকনো ঠোঁট, কত দিন সেখানে চুম্বনের দাগ পড়েনি
চোখের নিচে গভীর কালো ক্লান্তি...’
কবি আসলে ‘চুম্বনের দাগ পড়েনি’ দিয়ে বোঝাতে চেয়েছিলেন, মেজাজটা খুব তিরিক্ষি হয়ে থাকে প্রধানমন্ত্রীর। বাংলা বলে রক্ষে। এ কবিতার ইংরেজি অনুবাদ ছাপা হলে সেই পত্রিকা নিষিদ্ধ হয়ে যায়। দিল্লির এক ম্যাগাজিনেও কবিতাটির ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ পায়।
মজার ব্যাপার হলো, ইন্দিরা গান্ধী একটি লিটল ম্যাগাজিনের প্রদর্শনী উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন। সেখানে এক তরুণ সেই ম্যাগাজিন ইন্দিরার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘ম্যাডাম, পড়ুন।’ ইন্দিরা পুরোটাই পড়লেন। পড়ে মন্তব্য করলেন, ‘নটি, ভেরি নটি।’ কিন্তু এই কবিতা লেখার জন্য ইন্দিরার দিক থেকে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কোনো শাস্তি হয়নি।
সূত্র: সাজ্জাদ শরিফ, আলাপে ঝালাতে, পৃষ্ঠা.৩৭-৩৮
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতা যাঁরা পড়েছেন, তাঁদের অনেকেই জানেন, ‘ইন্দিরা গান্ধীর প্রতি’ নামে তাঁর একটি কবিতা আছে। গুজরাটের বন্যার সময় বন্যা পরিস্থিতি দেখার জন্য ইন্দিরা হেলিকপ্টারে করে অকুস্থলে গিয়েছিলেন। সে সময় ইন্দিরার মুখ ফসকে ‘বাহ্ কী সুন্দর!’-জাতীয় কোনো বাক্য বেরিয়ে যেতে পারে—এমনই ভাবনা ছিল কবিতাটায়।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় নিজেও একবার হেলিকপ্টারে করে বন্যা দেখতে গিয়েছিলেন। হেলিকপ্টারের ওপর থেকে বন্যা দেখলে অসাধারণ লাগে। ছবির মতো মনে হয় চারপাশটা। ওপর থেকে দেখলে বন্যাকবলিত মানুষের যে দুঃখ-কষ্ট আছে, তা বোঝা যায় না। পানির ওপর ভেসে আছে গাছ, ছোট ছোট ঘর মাথা তুলে আছে—এসব দেখে মন ভরে যায়।
ফলে ইন্দিরা গান্ধীরও সে রকম অনুভূতি হয়েছিল কি না, সেটাই ছিল প্রশ্ন।
কবিতাটিতে একটি পঙ্ক্তি এরকম:
‘তোমার শুকনো ঠোঁট, কত দিন সেখানে চুম্বনের দাগ পড়েনি
চোখের নিচে গভীর কালো ক্লান্তি...’
কবি আসলে ‘চুম্বনের দাগ পড়েনি’ দিয়ে বোঝাতে চেয়েছিলেন, মেজাজটা খুব তিরিক্ষি হয়ে থাকে প্রধানমন্ত্রীর। বাংলা বলে রক্ষে। এ কবিতার ইংরেজি অনুবাদ ছাপা হলে সেই পত্রিকা নিষিদ্ধ হয়ে যায়। দিল্লির এক ম্যাগাজিনেও কবিতাটির ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ পায়।
মজার ব্যাপার হলো, ইন্দিরা গান্ধী একটি লিটল ম্যাগাজিনের প্রদর্শনী উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন। সেখানে এক তরুণ সেই ম্যাগাজিন ইন্দিরার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘ম্যাডাম, পড়ুন।’ ইন্দিরা পুরোটাই পড়লেন। পড়ে মন্তব্য করলেন, ‘নটি, ভেরি নটি।’ কিন্তু এই কবিতা লেখার জন্য ইন্দিরার দিক থেকে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কোনো শাস্তি হয়নি।
সূত্র: সাজ্জাদ শরিফ, আলাপে ঝালাতে, পৃষ্ঠা.৩৭-৩৮
বিশ্বখ্যাত ইংরেজি ভাষার অভিধান কেমব্রিজ ডিকশনারিতে এ বছর যুক্ত হয়েছে ৬ হাজারের বেশি নতুন শব্দ। যেগুলোর বেশির ভাগ জেন-জিদের। এসব শব্দের মধ্যে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহৃত স্ল্যাং বা অমার্জিত শব্দ যেমন ‘স্কিবিডি’, ‘ট্র্যাডওয়াইফ’, ‘ব্রোলিগার্কি’ এবং ‘ডেলুলু’ রয়েছে।
২ দিন আগেগত বছরের ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনীতির ময়দান বেশ টান টান। সংস্কার আর নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। নেই দম ফেলার দুদণ্ড ফুরসত। কোনো কোনো উপদেষ্টাকে ভোররাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও।
৬ দিন আগেযতীন স্যারকে নিয়ে কথা বলতে বসলে মনে হয়, কথাগুলো শুধু লেখা নয়—এ যেন হৃদয়ের ভেতরের কিছু টুকরো তুলে ধরা। দুপুরে হঠাৎ এক সুহৃদ ফোন করে বলল, ‘শুনেছ? যতীন স্যার নেই!’—মুহূর্তেই আমার বুক কেঁপে উঠল। মনে হলো, জীবনের এক অমূল্য আশ্রয় হঠাৎ হারিয়ে ফেলেছি।
৭ দিন আগেএকটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
৯ দিন আগে