এ কথা অনেকেই জানেন না, শহীদজননী জাহানারা ইমামের লেখা ‘একাত্তরের দিনগুলি’ বইটির শেষ কিস্তিটা ছাপার অক্ষরে বেরিয়েছিল সবার আগে। বেরিয়েছিল `সচিত্র সন্ধানী' নামের একটি শৈল্পিক ম্যাগাজিনে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণা নিয়ে সচিত্র সন্ধানী অনেক কাজ করেছে। তারই একটি ছাপা হয়েছিল বিজয় দিবস উপলক্ষে। সেবার বেশ কয়েকজনের স্মৃতিচারণা ছাপা হয়েছিল, যার একটি ছিল জাহানারা ইমামের লেখা।
লেখাটি আলোড়ন তুলেছিল।
সচিত্র সন্ধানীর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী। শুধু ম্যাগাজিনের অঙ্গসজ্জার দিকেই নজর ছিল না তাঁর; লেখক, লেখার বিষয়বস্তু নিয়েও ছিল তাঁর আগ্রহ। তিনিই এই প্রতিবেদনে জাহানারা ইমামকে যুক্ত করেছিলেন। তাঁরই অনুপ্রেরণায় লিখেছিলেন শহীদজননী।
বিজয় দিবস সংখ্যা প্রকাশিত হওয়ার পর সচিত্র সন্ধানীর সম্পাদক গাজী শাহাবুদ্দীন আহমদকে কাইয়ুম চৌধুরী বললেন, ‘জাহানারা ইমামকে দিয়ে নয় মাসের স্মৃতিচারণা করানো যায়।’
গাজী শাহাবুদ্দীন একবাক্যে রাজি হয়ে গেলেন।
কাইয়ুম চৌধুরী কথাটা পাড়লেন জাহানারা ইমামের কাছে।
জাহানারা ইমাম বললেন, ‘আমি তো কখনো লিখিনি, এ কাজ তো আমার দ্বারা হবে না। ডায়েরি লিখেছি; কিন্তু ছাপার অক্ষরে বই?’
কাইয়ুম চৌধুরী বললেন, ‘বিজয় দিবসে লেখাটা দেখে মনে হয়েছে এ আপনার দ্বারাই সম্ভব। লিখে ফেলুন!’
ফ্যালফ্যাল করে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে জাহানারা ইমাম বললেন, ‘কাইয়ুম ভাই, আপনি বলছেন আমি পারব?’
কাইয়ুম চৌধুরী দৃঢ়তার সঙ্গে বললেন, ‘হ্যাঁ, আপনি পারবেন।’
এরপর তা ধারাবাহিকভাবে ছাপা হতে থাকল সচিত্র সন্ধানীতে। খুব অল্পদিনের মধ্যেই তা জনপ্রিয় হয়ে উঠল।
সূত্র: কাইয়ুম চৌধুরী, জীবনে আমার যত আনন্দ, পৃষ্ঠা: ৩৮
এ কথা অনেকেই জানেন না, শহীদজননী জাহানারা ইমামের লেখা ‘একাত্তরের দিনগুলি’ বইটির শেষ কিস্তিটা ছাপার অক্ষরে বেরিয়েছিল সবার আগে। বেরিয়েছিল `সচিত্র সন্ধানী' নামের একটি শৈল্পিক ম্যাগাজিনে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণা নিয়ে সচিত্র সন্ধানী অনেক কাজ করেছে। তারই একটি ছাপা হয়েছিল বিজয় দিবস উপলক্ষে। সেবার বেশ কয়েকজনের স্মৃতিচারণা ছাপা হয়েছিল, যার একটি ছিল জাহানারা ইমামের লেখা।
লেখাটি আলোড়ন তুলেছিল।
সচিত্র সন্ধানীর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী। শুধু ম্যাগাজিনের অঙ্গসজ্জার দিকেই নজর ছিল না তাঁর; লেখক, লেখার বিষয়বস্তু নিয়েও ছিল তাঁর আগ্রহ। তিনিই এই প্রতিবেদনে জাহানারা ইমামকে যুক্ত করেছিলেন। তাঁরই অনুপ্রেরণায় লিখেছিলেন শহীদজননী।
বিজয় দিবস সংখ্যা প্রকাশিত হওয়ার পর সচিত্র সন্ধানীর সম্পাদক গাজী শাহাবুদ্দীন আহমদকে কাইয়ুম চৌধুরী বললেন, ‘জাহানারা ইমামকে দিয়ে নয় মাসের স্মৃতিচারণা করানো যায়।’
গাজী শাহাবুদ্দীন একবাক্যে রাজি হয়ে গেলেন।
কাইয়ুম চৌধুরী কথাটা পাড়লেন জাহানারা ইমামের কাছে।
জাহানারা ইমাম বললেন, ‘আমি তো কখনো লিখিনি, এ কাজ তো আমার দ্বারা হবে না। ডায়েরি লিখেছি; কিন্তু ছাপার অক্ষরে বই?’
কাইয়ুম চৌধুরী বললেন, ‘বিজয় দিবসে লেখাটা দেখে মনে হয়েছে এ আপনার দ্বারাই সম্ভব। লিখে ফেলুন!’
ফ্যালফ্যাল করে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে জাহানারা ইমাম বললেন, ‘কাইয়ুম ভাই, আপনি বলছেন আমি পারব?’
কাইয়ুম চৌধুরী দৃঢ়তার সঙ্গে বললেন, ‘হ্যাঁ, আপনি পারবেন।’
এরপর তা ধারাবাহিকভাবে ছাপা হতে থাকল সচিত্র সন্ধানীতে। খুব অল্পদিনের মধ্যেই তা জনপ্রিয় হয়ে উঠল।
সূত্র: কাইয়ুম চৌধুরী, জীবনে আমার যত আনন্দ, পৃষ্ঠা: ৩৮
বিশ্বখ্যাত ইংরেজি ভাষার অভিধান কেমব্রিজ ডিকশনারিতে এ বছর যুক্ত হয়েছে ৬ হাজারের বেশি নতুন শব্দ। যেগুলোর বেশির ভাগ জেন-জিদের। এসব শব্দের মধ্যে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহৃত স্ল্যাং বা অমার্জিত শব্দ যেমন ‘স্কিবিডি’, ‘ট্র্যাডওয়াইফ’, ‘ব্রোলিগার্কি’ এবং ‘ডেলুলু’ রয়েছে।
২ দিন আগেগত বছরের ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনীতির ময়দান বেশ টান টান। সংস্কার আর নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। নেই দম ফেলার দুদণ্ড ফুরসত। কোনো কোনো উপদেষ্টাকে ভোররাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও।
৬ দিন আগেযতীন স্যারকে নিয়ে কথা বলতে বসলে মনে হয়, কথাগুলো শুধু লেখা নয়—এ যেন হৃদয়ের ভেতরের কিছু টুকরো তুলে ধরা। দুপুরে হঠাৎ এক সুহৃদ ফোন করে বলল, ‘শুনেছ? যতীন স্যার নেই!’—মুহূর্তেই আমার বুক কেঁপে উঠল। মনে হলো, জীবনের এক অমূল্য আশ্রয় হঠাৎ হারিয়ে ফেলেছি।
৭ দিন আগেএকটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
৯ দিন আগে