Ajker Patrika

‘মম সকল স্বপন’

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আপডেট : ০৫ আগস্ট ২০২১, ২০: ১১
‘মম সকল স্বপন’

এখন তো দেবব্রত বিশ্বাসের কণ্ঠ অনেকেরই পছন্দ। রবীন্দ্রনাথের গানের পৌরুষ অনুভব করা যায় দেবব্রত বিশ্বাসের মধ্যে। কিন্তু রবীন্দ্রসংগীত গাওয়ার পথে তাঁকে অনেকবার অপমানিত হতে হয়েছে, সে কথা তিনি লিখেছেন তাঁর ‘ব্রাত্যজনের রূদ্ধসংগীত’ বইয়ে। তাঁর গাওয়া রবীন্দ্রসংগীতে বারবার ভেটো দিয়েছে বিশ্বভারতী। সে এক কলঙ্কজনক ইতিহাস।

রবীন্দ্রসংগীত নিয়ে একটা ধারণা ছিল যে, ভালো মানুষের মতো মুখ করে আপনমনে গাইতে হবে সে গান। কিন্তু দেবব্রত বিশ্বাস যখন ঠাকুরের উদ্দীপনামূলক গানগুলো গাইলেন কথা বলার ভঙ্গিতে অথবা ধমক দিয়ে, তখন বোঝা গেল, রবীন্দ্রনাথকে আবিষ্কারের সব দায়িত্ব বিশ্বভারতীর হতে পারে না। তাঁকে বারবার নানাভাবে আবিষ্কার করা যায়।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় কলকাতায় একবার দেবব্রত বিশ্বাস ডাকলেন সন্‌জীদা খাতুন আর রাখী চক্রবর্তীকে। গেরুয়া পোশাকে বসে আছেন শিল্পী। অনেকগুলো ছবি এঁকেছেন, যার মধ্যে আছেন তাঁর গানের বিচারকেরা! বোর্ড থেকে গান পাস হলেই তা রেকর্ড করার অনুমতি মিলবে। তাদের নিয়েই সে ছবিতে ঠাট্টা।

‘তুমি রবে নীরবে’ গানটিতে তিনি গেয়েছিলেন, ‘মম সকল স্বপন তুমি ভরিবে সৌরভে, নিশীথিনীসম’। এই বিচারকেরা দেবব্রতকে দেখিয়ে দিলেন, ‘গীতবিতানে’ আছে ‘মম সফল স্বপন’। দেবব্রত তা মানতে রাজি নন। কিন্তু বোর্ডও মানল না দেবব্রতের কথা।

পরে সন্‌জীদা খাতুন শান্তিনিকেতনে পড়াশোনা করতে গিয়ে শোভনলাল গঙ্গোপাধ্যায়ের উপদেশে ‘তুমি রবে নীরবে’ গানটির ইংরেজি অনুবাদ দেখেছিলেন। সেখানে স্পষ্ট লেখা ছিল, ‘অল মাই ড্রিম’। তার মানে ভুল দেবব্রত বিশ্বাস করেননি, ভুল করেছিলেন গীতবিতানের পরবর্তী সংস্করণের সম্পাদক।

তথ্যসূত্র: সন্‌জীদা খাতুন, স্মৃতিপটে গুণিজন, পৃষ্ঠা: ১৯-২০

বিষয়:

আড্ডা
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তেহরান ওপর থেকে সুন্দর, একদিন যেতে চাই: ইরানে বোমা ফেলা ইসরায়েলি পাইলট

যুদ্ধের পর এ যেন এক নতুন ইরান, জনগণের মতো বদলে গেছে সরকারও

ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে ৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের কথা ভাবছেন ট্রাম্প

সাইপ্রাসে বিপুল জমি কিনছে ইসরায়েলিরা, দেশ বেদখলের শঙ্কা রাজনীতিবিদদের

বংশরক্ষায় মৃত ছেলের শুক্রাণু চান মা, সংরক্ষণের নির্দেশ মুম্বাই হাইকোর্টের

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত