Ajker Patrika

গুড আর্থ

আপডেট : ০৫ আগস্ট ২০২১, ২০: ০৪
গুড আর্থ

পার্ল এস বাকের ‘গুড আর্থ’ বইটি কীভাবে পড়েছিলেন, তার বর্ণনা দিয়েছেন সরদার ফজলুল করিম। সে সময় তিনি আইএ পড়েন। ঢাকা কলেজের হোস্টেলে থাকেন। এখন যেটি ফজলুল হক হল, সেটাই তখন ছিল ঢাকা কলেজের হোস্টেল। হিন্দু-মুসলমান ছাত্ররা একসঙ্গে থাকত। একদিকে হিন্দু ছাত্ররা, অন্যদিকে মুসলিম ছাত্ররা।

রাত ১০টার সময় হোস্টেলের সব আলো নিভিয়ে দেওয়ার নির্দেশ ছিল। সারা রাত শুধু বাতি জ্বলত হোস্টেলের তিন দিকের তিন দালানের তিন সিঁড়িঘরে।

কেমন করে ‘গুড আর্থ’ বইটি সরদার ফজলুল করিমের হাতে এসেছিল, তিনি পরে আর মনে করতে পারেননি। তবে সেদিন সন্ধ্যায় পড়তে বসে বইটিতে এতটাই নিমগ্ন হয়ে পড়েন যে, তাঁর কাছে সময়ের আর কোনো মূল্য থাকে না। পুরো মনোযোগ বইয়ের দিকে। বইয়ে বর্ণিত যে দারিদ্র্যের কথা রয়েছে, তা তো শুধু চীনের নয়, বাংলাদেশের সর্বত্রই সেই দারিদ্র্যের চিহ্ন রয়েছে। ফলে বইটিকে খুব আপন মনে হচ্ছিল সরদারের।

চীনের পটভূমিতে লেখা বইটিতে বর্ণনা করা একমুঠো ভাতের জন্য হাহাকার, হাজার হাজার লাশ ইত্যাদি গ্রাস করে ফেলল সরদার ফজলুল করিমকে।

কখন রাত ১০টা পেরিয়ে গেছে, সেটা মনে করতে পারেন না তিনি। আলো নিভে গেলে সিঁড়ির গোড়ায় একটা চেয়ার পেতে বসলেন তিনি। পড়তে লাগলেন বইটি। বিশেষ করে যখন মুখ খুললেন, তখন ‘হোস্টেলের পূর্ব দালানে রেল ইঞ্জিনের শেডের মাথায় সকালবেলাকার সূর্যের লাল রং ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে’। রাত জেগেছেন, কিন্তু ক্লান্তিবোধ নেই। বইটি শেষ করার পর সরদার ফজলুল করিম বুঝতে পারলেন,  তিনি এক নতুন মানুষে পরিণত হয়েছেন। 

সূত্র: সরদার ফজলুল করিম স্মৃতি সমগ্র-১, পৃষ্ঠা: ১৭-১৮

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দাম্পত্য কলহের গুঞ্জন, মুখ খুললেন জাহিদ হাসান

অবশেষে ইকবালের পরিবারমুক্ত হলো প্রিমিয়ার ব্যাংক

‘হেল্প, হেল্প’ বলে চিৎকার—শিক্ষক এগিয়ে যেতেই গলায় ছুরি চালাল কিশোরী

শিশুদের জন্য বিনা মূল্যে টাইফয়েডের টিকা, যেভাবে রেজিস্ট্রেশন করবেন

‘আপত্তিকর’ ভিডিও: বিএফআইইউ প্রধান শাহীনুলকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠালেন গভর্নর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত