আজকের পত্রিকা ডেস্ক
তখন আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ভাঙন। প্রগতিশীল বলে নাম ছিল যাঁদের, সেই বামপন্থায় রুশ-চীন বিভেদ এসে হাজির হয়েছে। জীবনের বড় একটা সময় জেলখাটা সত্যেন সেনের এসব ভালো লাগেনি। কোনো ধরনের বিভেদেই তিনি মুক্তির আলো দেখতে পান না।
দলের প্রতি আনুগত্য বজায় রেখে সংস্কৃতিচর্চার কথা ভাবলেন তিনি। ষাটের দশকের শেষদিকের কথা। নিছক সংস্কৃতির চর্চা নয়, তিনি এমন একটি দল গড়তে চাইলেন, যে দল চলে যাবে সাধারণ মানুষের কাছে। মুকুন্দ দাসের গান যেমন সাধারণ মানুষের কথা বলত, দুলিয়ে দিত মানুষের মন, সে রকমই একটি দলের কথা ভাবলেন তিনি।
গান বাঁধলেন, ‘ও আমার দেশের ভাই, আমার মিনতি শোনো…’
মস্কো বা চীন নিয়ে মাথা ঘামানোর ইচ্ছে ছিল না সত্যেন সেনের। তিনি চেয়েছেন কাজের মাধ্যমে বাংলার মানুষের কাছাকাছি হতে। সংঘর্ষেই শক্তির অপচয় দেখেছেন তিনি অস্থির হয়ে। এভাবেই গড়ে উঠেছে উদীচীর ভাবনা। সঙ্গে পেয়েছিলেন রণেশ দাশগুপ্ত, শহীদুল্লা কায়সারদের।
উদীচী গড়ার কাজে তিনি সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সহযোগী পেয়েছিলেন গোলাম মোহাম্মদ ইদুকে। দুজনেই কাজ করতেন দৈনিক সংবাদে। ইদু রবীন্দ্রসংগীত শিখতেন ছায়ানটে। সত্যেন সেন কোনো শুকনো তাত্ত্বিক ছিলেন না। তিনি ছিলেন সংগীতের রসে বিভোর মানুষ। সন্জীদা খাতুন-ওয়াহিদুল হকের আজিমপুরের ফ্ল্যাটে থেকেছেন কিছুদিন। ভোরবেলায় হাঁটতে হাঁটতে চলে যেতেন অনেক দূর। ফিরে এসে খোলা গলায় গাইতেন রবীন্দ্রসংগীত। নিয়ন্ত্রিত সংস্কৃতির বলয়ে আটকে পড়া কমিউনিস্টদের দলে তিনি ছিলেন না। অস্পৃশ্য বলে ত্যাগ করেননি রবীন্দ্রনাথকে।
১৯৬৫ সালে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ হলো। তিনি সন্জীদা খাতুনদের বাড়ি থেকে চলে গেলেন পুরান ঢাকার আস্তানায়। তিনি জানতেন, এই যুদ্ধের পরিণতিতে গ্রেপ্তার হতে হবে। সন্জীদা খাতুন তখন সরকারি কলেজের শিক্ষক। তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হলে সন্জীদা খাতুনের ভাগ্যে কী ঘটবে, তা ভালো করেই জানতেন সত্যেন সেন।
বাড়ি পরিবর্তন করার পরপরই সত্যেন সেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
সূত্র: সন্জীদা খাতুন, স্মৃতিপটে গুণীজন, পৃষ্ঠা: ৯৬-১০২
তখন আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ভাঙন। প্রগতিশীল বলে নাম ছিল যাঁদের, সেই বামপন্থায় রুশ-চীন বিভেদ এসে হাজির হয়েছে। জীবনের বড় একটা সময় জেলখাটা সত্যেন সেনের এসব ভালো লাগেনি। কোনো ধরনের বিভেদেই তিনি মুক্তির আলো দেখতে পান না।
দলের প্রতি আনুগত্য বজায় রেখে সংস্কৃতিচর্চার কথা ভাবলেন তিনি। ষাটের দশকের শেষদিকের কথা। নিছক সংস্কৃতির চর্চা নয়, তিনি এমন একটি দল গড়তে চাইলেন, যে দল চলে যাবে সাধারণ মানুষের কাছে। মুকুন্দ দাসের গান যেমন সাধারণ মানুষের কথা বলত, দুলিয়ে দিত মানুষের মন, সে রকমই একটি দলের কথা ভাবলেন তিনি।
গান বাঁধলেন, ‘ও আমার দেশের ভাই, আমার মিনতি শোনো…’
মস্কো বা চীন নিয়ে মাথা ঘামানোর ইচ্ছে ছিল না সত্যেন সেনের। তিনি চেয়েছেন কাজের মাধ্যমে বাংলার মানুষের কাছাকাছি হতে। সংঘর্ষেই শক্তির অপচয় দেখেছেন তিনি অস্থির হয়ে। এভাবেই গড়ে উঠেছে উদীচীর ভাবনা। সঙ্গে পেয়েছিলেন রণেশ দাশগুপ্ত, শহীদুল্লা কায়সারদের।
উদীচী গড়ার কাজে তিনি সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সহযোগী পেয়েছিলেন গোলাম মোহাম্মদ ইদুকে। দুজনেই কাজ করতেন দৈনিক সংবাদে। ইদু রবীন্দ্রসংগীত শিখতেন ছায়ানটে। সত্যেন সেন কোনো শুকনো তাত্ত্বিক ছিলেন না। তিনি ছিলেন সংগীতের রসে বিভোর মানুষ। সন্জীদা খাতুন-ওয়াহিদুল হকের আজিমপুরের ফ্ল্যাটে থেকেছেন কিছুদিন। ভোরবেলায় হাঁটতে হাঁটতে চলে যেতেন অনেক দূর। ফিরে এসে খোলা গলায় গাইতেন রবীন্দ্রসংগীত। নিয়ন্ত্রিত সংস্কৃতির বলয়ে আটকে পড়া কমিউনিস্টদের দলে তিনি ছিলেন না। অস্পৃশ্য বলে ত্যাগ করেননি রবীন্দ্রনাথকে।
১৯৬৫ সালে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ হলো। তিনি সন্জীদা খাতুনদের বাড়ি থেকে চলে গেলেন পুরান ঢাকার আস্তানায়। তিনি জানতেন, এই যুদ্ধের পরিণতিতে গ্রেপ্তার হতে হবে। সন্জীদা খাতুন তখন সরকারি কলেজের শিক্ষক। তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হলে সন্জীদা খাতুনের ভাগ্যে কী ঘটবে, তা ভালো করেই জানতেন সত্যেন সেন।
বাড়ি পরিবর্তন করার পরপরই সত্যেন সেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
সূত্র: সন্জীদা খাতুন, স্মৃতিপটে গুণীজন, পৃষ্ঠা: ৯৬-১০২
১৬৫৫ সালে গৌড়ীয় রীতিতে রাজবাড়ির বালিয়াকান্দী উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের নলিয়া গ্রামে জোড় বাংলা মন্দির ও বিগ্রহ নির্মাণ করেন রাজা সীতারাম রায়। দুটো মন্দির পাশাপাশি নির্মাণ করা হয় বলে এর এমন নাম। স্থানীয়দের মতে, রাজা সীতারাম বেলগাছিতে সোনায় গড়া মূর্তি দিয়ে দুর্গাপূজা করতে...
৩ দিন আগে১৫৪০ খ্রিষ্টাব্দে ইগ্নেসিয়াস লয়োলা নামে এক স্প্যানিশ ব্যক্তি জেসুইটা বা যিশুর সম্প্রদায় গঠন করেন। এই সম্প্রদায়ের খ্রিষ্টানরা খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে পৃথিবীর নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েন। পিয়েরে ডু জারিক নামের এক ফরাসি ঐতিহাসিকের মতে, ১৫৯৯ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে ফনসেকা নামের একজন খ্রিষ্টান...
৭ দিন আগেদুর্ঘটনা ও জ্যাম এড়াতে শহরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক বাতি স্থাপন করা হয়। লাল বাতি জ্বলার সময় গাড়িগুলো থামে। হলুদ বাতি দেখলে অপেক্ষা করে। আর সবুজ বাতি জ্বললেই গাড়ি অবাধে এগিয়ে চলে। এই সিগন্যাল সারা বিশ্বেই স্বীকৃত।
১৩ দিন আগেপঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
২৪ দিন আগে