আজকের পত্রিকা ডেস্ক
শিল্পী এস এম সুলতান যে বিচিত্র মানুষ ছিলেন, সে কথা সবাই জানে। তাঁর বর্ণাঢ্য জীবনকাহিনি চলচ্চিত্রকেও হার মানায়। এ কথা বলে রাখা ভালো, শিশুদের অসম্ভব ভালোবাসতেন তিনি। আর অনেকেই যে এস এম সুলতানকে দরবেশ ভাবতেন, সেটাও অনেকেরই অজানা নয়।
পীর-দরবেশ ছিলেন না তিনি; কিন্তু নিজেই একটি গল্প বলতেন মজা করে, সেটাই এখানে বলছি।
একসময় এস এম সুলতান কাশ্মীরে কাটিয়েছেন বেশ কিছুটা সময়। কাশ্মীরের সুউচ্চ পর্বতশ্রেণি তাঁকে টানত খুব। সেই পর্বতের ওপর একটি মন্দিরে গিয়েছিলেন ছবি আঁকতে। সেখানে কিছু মানুষ তাঁকে বলেছিল একটি পর্বতচূড়ার কথা। একটা কিংবদন্তি ছিল সে পাহাড় ঘিরে।
কোনো পাপী-তাপী লোক যদি সব বাধা ডিঙিয়ে কোনোরকমে সেই পাহাড়চূড়ায় উঠতে পারে, তাহলে তার জীবনে রিপ ভ্যান উইংকেলের মতো ঘটনা ঘটে। অর্থাৎ, সেখানে গিয়ে সে ঘুমিয়ে পড়ে, আর ফিরে আসে না। যদিও রিপ ভ্যান উইংকেল ফিরে এসেছিল বিশ বছর পর। কিন্তু পাপী-তাপীরা সেখানে গিয়ে ঘুমের দেশে হারিয়ে যায়। তাই, সুলতানকে সে পাহাড়ে উঠতে মানা করেছিল স্থানীয় মানুষ। সুলতান বললেন, ‘পাপী হয়েও ফিরে আসা যায় কি না, দেখি।’
সুলতান গেলেন সেই পর্বতচূড়ায়। সেই ঠান্ডার মধ্যে বসে আঁকতে লাগলেন ছবি। জলরং। ছবি আঁকার পর দেখলেন একটা মধুর বাতাস আসছে। তাতে ঘুমে জড়িয়ে আসছে চোখ। এখন ঘুমিয়ে পড়লে সে ঘুম আর ভাঙবে না। বরফ-ঠান্ডা সে বাতাসের কথা মনে রেখেই সুলতান আঁকতে শুরু করলেন উপত্যকা দিয়ে বয়ে যাওয়া নদী। তাতে ঘুম কেটে গেল। ফলে এ যাত্রায় মৃত্যু এসে হানা দিল না। যখন ফিরে এলেন সুলতান, তখন এলাকার মানুষ খুবই অবাক হয়ে বলল, ‘তুমি পুণ্যবান। কোনো পাপ নেই বলেই তুমি বেঁচে গেছ।’
তথ্যসূত্র: রফিকুন নবী, দেশসেরা জগৎসেরা শিল্পীকথা, পৃষ্ঠা: ১১০-১১
শিল্পী এস এম সুলতান যে বিচিত্র মানুষ ছিলেন, সে কথা সবাই জানে। তাঁর বর্ণাঢ্য জীবনকাহিনি চলচ্চিত্রকেও হার মানায়। এ কথা বলে রাখা ভালো, শিশুদের অসম্ভব ভালোবাসতেন তিনি। আর অনেকেই যে এস এম সুলতানকে দরবেশ ভাবতেন, সেটাও অনেকেরই অজানা নয়।
পীর-দরবেশ ছিলেন না তিনি; কিন্তু নিজেই একটি গল্প বলতেন মজা করে, সেটাই এখানে বলছি।
একসময় এস এম সুলতান কাশ্মীরে কাটিয়েছেন বেশ কিছুটা সময়। কাশ্মীরের সুউচ্চ পর্বতশ্রেণি তাঁকে টানত খুব। সেই পর্বতের ওপর একটি মন্দিরে গিয়েছিলেন ছবি আঁকতে। সেখানে কিছু মানুষ তাঁকে বলেছিল একটি পর্বতচূড়ার কথা। একটা কিংবদন্তি ছিল সে পাহাড় ঘিরে।
কোনো পাপী-তাপী লোক যদি সব বাধা ডিঙিয়ে কোনোরকমে সেই পাহাড়চূড়ায় উঠতে পারে, তাহলে তার জীবনে রিপ ভ্যান উইংকেলের মতো ঘটনা ঘটে। অর্থাৎ, সেখানে গিয়ে সে ঘুমিয়ে পড়ে, আর ফিরে আসে না। যদিও রিপ ভ্যান উইংকেল ফিরে এসেছিল বিশ বছর পর। কিন্তু পাপী-তাপীরা সেখানে গিয়ে ঘুমের দেশে হারিয়ে যায়। তাই, সুলতানকে সে পাহাড়ে উঠতে মানা করেছিল স্থানীয় মানুষ। সুলতান বললেন, ‘পাপী হয়েও ফিরে আসা যায় কি না, দেখি।’
সুলতান গেলেন সেই পর্বতচূড়ায়। সেই ঠান্ডার মধ্যে বসে আঁকতে লাগলেন ছবি। জলরং। ছবি আঁকার পর দেখলেন একটা মধুর বাতাস আসছে। তাতে ঘুমে জড়িয়ে আসছে চোখ। এখন ঘুমিয়ে পড়লে সে ঘুম আর ভাঙবে না। বরফ-ঠান্ডা সে বাতাসের কথা মনে রেখেই সুলতান আঁকতে শুরু করলেন উপত্যকা দিয়ে বয়ে যাওয়া নদী। তাতে ঘুম কেটে গেল। ফলে এ যাত্রায় মৃত্যু এসে হানা দিল না। যখন ফিরে এলেন সুলতান, তখন এলাকার মানুষ খুবই অবাক হয়ে বলল, ‘তুমি পুণ্যবান। কোনো পাপ নেই বলেই তুমি বেঁচে গেছ।’
তথ্যসূত্র: রফিকুন নবী, দেশসেরা জগৎসেরা শিল্পীকথা, পৃষ্ঠা: ১১০-১১
১৬৫৫ সালে গৌড়ীয় রীতিতে রাজবাড়ির বালিয়াকান্দী উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের নলিয়া গ্রামে জোড় বাংলা মন্দির ও বিগ্রহ নির্মাণ করেন রাজা সীতারাম রায়। দুটো মন্দির পাশাপাশি নির্মাণ করা হয় বলে এর এমন নাম। স্থানীয়দের মতে, রাজা সীতারাম বেলগাছিতে সোনায় গড়া মূর্তি দিয়ে দুর্গাপূজা করতে...
৩ দিন আগে১৫৪০ খ্রিষ্টাব্দে ইগ্নেসিয়াস লয়োলা নামে এক স্প্যানিশ ব্যক্তি জেসুইটা বা যিশুর সম্প্রদায় গঠন করেন। এই সম্প্রদায়ের খ্রিষ্টানরা খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে পৃথিবীর নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েন। পিয়েরে ডু জারিক নামের এক ফরাসি ঐতিহাসিকের মতে, ১৫৯৯ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে ফনসেকা নামের একজন খ্রিষ্টান...
৭ দিন আগেদুর্ঘটনা ও জ্যাম এড়াতে শহরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক বাতি স্থাপন করা হয়। লাল বাতি জ্বলার সময় গাড়িগুলো থামে। হলুদ বাতি দেখলে অপেক্ষা করে। আর সবুজ বাতি জ্বললেই গাড়ি অবাধে এগিয়ে চলে। এই সিগন্যাল সারা বিশ্বেই স্বীকৃত।
১৩ দিন আগেপঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
২৪ দিন আগে