আজিনুর রহমান আজিম, পাটগ্রাম (লালমনিরহাট)

আঙ্গরপোতা, বঙ্গেরবাড়ি, নাজির গুমানি, ঝালঙ্গী কিংবা কিশামত নিজ্জমা—এমন অসংখ্য গ্রাম আছে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায়। এ উপজেলার প্রায় দেড় শ কিলোমিটার সীমানা ভারতের সঙ্গে। দহগ্রাম ইউনিয়নের কিছু অংশ ছাড়া এই বিস্তীর্ণ এলাকার একাংশের পুরোটাতে আছে ভারতীয় কাঁটাতার।
পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধা শহর থেকে সীমান্তবর্তী এ গ্রামগুলোর বেশির ভাগ ৫ থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে। পাটগ্রামের ৮ ইউনিয়নের প্রতিটির সঙ্গে ভারতীয় সীমান্ত রয়েছে। এই বিস্তীর্ণ এলাকায় আনুমানিক ৫০ হাজার পরিবারের বাস। এসব পরিবারের বেশির ভাগই কৃষক এবং পরিবারের নারীদের প্রায় সবাই গৃহিণী।
শিক্ষা
পাটগ্রামের শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ঝালঙ্গী পকেট সীমান্তবর্তী এলাকায় কথা হয়েছিল গৃহিণী রোজিনা বেগমের সঙ্গে। ৪০ বছর বয়সের রোজিনা জানান, এখানে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো গ্রাম থেকে গড়ে ৩ কিলোমিটার দূরে, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৫ এবং কলেজ ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বেশির ভাগ পরিবার ‘দূরের পথ’ বলে মেয়েদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠায় না। এ কারণে সীমান্ত এলাকাগুলোতে সার্বিক শিক্ষার হার কম আর নারীশিক্ষার হার প্রায় তলানিতে।
২০১১ সালের জেলা শুমারি অনুসারে পাটগ্রাম উপজেলায় সাক্ষরতার হার ৪৬ শতাংশ। তবে এর মধ্যে নারীদের হার কত, সে বিষয়ে পরিষ্কার কোনো চিত্র নেই।
বাল্যবিবাহ ও স্বাস্থ্যচিত্র
২০১৬ সালের বিশ্বব্যাংকের এসডিজি প্রতিবেদন বলছে, পাটগ্রামে অতি কম ওজনের শিশুর হার ৮.৬। এ তথ্য বুঝিয়ে দিচ্ছে পাটগ্রামের সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষের দারিদ্র্যের চিত্র। ফলে বয়ঃসন্ধিকালের শারীরিক পরিবর্তনের যে আলাদা গুরুত্ব আছে, এখানকার কিশোরীদের সে বিষয়ে সচেতনতা নেই বললে চলে।
নিরাপত্তার অভাব ও দারিদ্র্যের কারণে এখনো এসব এলাকার পরিবারগুলোতে ছেলেদের কদর বেশি। ফলে স্বাভাবিকভাবে মেয়েদের বাল্যবিবাহের হার বেশি এই এলাকায়। মেয়েদের শারীরিক বৃদ্ধি ছেলেদের তুলনায় বেশি বলে বয়স যা-ই হোক, বিয়ে দেওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু করা হয় কৈশোর উত্তরণের আগে।
সীমান্তে সংসার
শ্রীরামপুর ইউনিয়নের কিশামত নিজ্জমা গ্রামের গৃহবধূ লিপি বেগম। ৪০ বছর বয়সের লিপি বলেন, ‘শরীর অসুস্থ হলেও কোনো উপায় থাকে না, সংসারের কাজ করতেই হয়। অসুস্থ হলে চিকিৎসা মেলে না। অনেক সময় নির্যাতনের শিকার হলেও কিছু করার থাকে না।’
এত ‘না’-এর মধ্যে সংসারের হাল ধরে গৃহের বধূ হয়ে ওঠে সীমান্তের কিশোরীরা। বাবার বাড়ি আর শ্বশুরবাড়ি—এই যেন তাদের জীবনের পাঠ। আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে মানিয়ে চলতে না পারা, দারিদ্র্য এবং শারীরিক পরিশ্রমে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন অনেক নারী। এরই মধ্যে কম বয়সে সন্তান ধারণ করেন। এ যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। খেতে কাজ শেষে গৃহস্থালি, সন্তান সামলানো, গবাদিপশুর দেখভালসহ সংসারের প্রায় সব কাজে নারীদের অংশগ্রহণের মাত্রা বেশি। এর মধ্যে পান থেকে চুন খসলেই কারও কারও জীবনে নেমে আসে নির্যাতন।
‘অধিকার’ ও ‘ক্ষমতায়ন’ শব্দ দুটি যেন সীমান্তের নারীদের জীবনের সঙ্গে বেমানান। স্বামী ও ছেলের নামে করা সম্পত্তির দলিল এবং নারীদের নামে করা দলিলের আনুপাতিক হার আশঙ্কাজনক বৈষম্যে ভরা। সে কথা জানালেন কুচলীবাড়ী ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গ্রাম শমশেরপুরের গৃহিণী মোসলেমা বেগম। তিনি বলেন, ‘ন্যায্য অধিকার নারীরা কোথায় পায়? সব জায়গায় আমরা অবহেলিত। স্বামী-সন্তানের নামে সম্পত্তি বা জমি বেশি লেখা হয়। আর যা কাগজপত্রে থাকে, সেগুলো ভোগ করার ক্ষমতা বা সুযোগ থাকে না।’
প্রযুক্তির ব্যবহারেও পিছিয়ে সীমান্তবর্তী গ্রামের নারীরা। পরিবারের প্রধান স্বামী বা ছেলের হাতে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন। তাতে যুক্ত ইন্টারনেট। বেশির ভাগ নারীর হাতে মোবাইল ফোন নেই। কারও কারও হাতে আছে বেসিক ফোন।
সীমান্তে ঝুঁকি
সীমান্ত সব সময় নারী-পুরুষ সবার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। এসব এলাকায় ঝুঁকি নিয়ে নারীরা খেতে কাজ করেন। গরুসহ বিভিন্ন সামগ্রী পাচার রোধে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) গুলি ছোড়ে। অনেক সময় তারা সীমান্ত অতিক্রম করে গ্রামে ঢুকে পড়ে। পুরুষেরা দ্রুত সরে পড়লেও নারীদের পক্ষে তা সম্ভব হয় না।
শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ভিতরবাড়ি এলাকার গৃহবধূ গলেজা বেগম জানান, সীমান্তে পরিবার নিয়ে, বিশেষ করে মেয়েদের নিয়ে আতঙ্কে থাকতে হয় তাঁদের। চোরাচালান রোধে বিএসএফ বাড়ির আঙিনায় চলে আসে কখনো কখনো। অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে। সীমান্তের জমিতে কাজ করার সময় তারা লাঠি ও বন্দুক দেখিয়ে কথা বলে।
সীমান্তে জীবনের বাস্তবতা আর সরকারি বক্তব্যের ধরন ভিন্ন। এ ব্যাপারে পাটগ্রাম উপজেলা মহিলা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) নাছিমা পারভিন বলেন, ‘মেয়ে ও নারীদের যেকোনো প্রতিকূলতা ও সমস্যা জানতে পারলে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সমাধানের চেষ্টা করি। প্রকৃতপক্ষে নারীরা বিভিন্ন জায়গায় সমস্যার মুখোমুখি হন। সীমান্ত এলাকার পরিবারগুলোতে একটু বেশি। নারী বা মেয়েদের অদম্য ইচ্ছা থাকলে কোনো কিছু বাধা হতে পারবে না।’

আঙ্গরপোতা, বঙ্গেরবাড়ি, নাজির গুমানি, ঝালঙ্গী কিংবা কিশামত নিজ্জমা—এমন অসংখ্য গ্রাম আছে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায়। এ উপজেলার প্রায় দেড় শ কিলোমিটার সীমানা ভারতের সঙ্গে। দহগ্রাম ইউনিয়নের কিছু অংশ ছাড়া এই বিস্তীর্ণ এলাকার একাংশের পুরোটাতে আছে ভারতীয় কাঁটাতার।
পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধা শহর থেকে সীমান্তবর্তী এ গ্রামগুলোর বেশির ভাগ ৫ থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে। পাটগ্রামের ৮ ইউনিয়নের প্রতিটির সঙ্গে ভারতীয় সীমান্ত রয়েছে। এই বিস্তীর্ণ এলাকায় আনুমানিক ৫০ হাজার পরিবারের বাস। এসব পরিবারের বেশির ভাগই কৃষক এবং পরিবারের নারীদের প্রায় সবাই গৃহিণী।
শিক্ষা
পাটগ্রামের শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ঝালঙ্গী পকেট সীমান্তবর্তী এলাকায় কথা হয়েছিল গৃহিণী রোজিনা বেগমের সঙ্গে। ৪০ বছর বয়সের রোজিনা জানান, এখানে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো গ্রাম থেকে গড়ে ৩ কিলোমিটার দূরে, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৫ এবং কলেজ ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বেশির ভাগ পরিবার ‘দূরের পথ’ বলে মেয়েদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠায় না। এ কারণে সীমান্ত এলাকাগুলোতে সার্বিক শিক্ষার হার কম আর নারীশিক্ষার হার প্রায় তলানিতে।
২০১১ সালের জেলা শুমারি অনুসারে পাটগ্রাম উপজেলায় সাক্ষরতার হার ৪৬ শতাংশ। তবে এর মধ্যে নারীদের হার কত, সে বিষয়ে পরিষ্কার কোনো চিত্র নেই।
বাল্যবিবাহ ও স্বাস্থ্যচিত্র
২০১৬ সালের বিশ্বব্যাংকের এসডিজি প্রতিবেদন বলছে, পাটগ্রামে অতি কম ওজনের শিশুর হার ৮.৬। এ তথ্য বুঝিয়ে দিচ্ছে পাটগ্রামের সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষের দারিদ্র্যের চিত্র। ফলে বয়ঃসন্ধিকালের শারীরিক পরিবর্তনের যে আলাদা গুরুত্ব আছে, এখানকার কিশোরীদের সে বিষয়ে সচেতনতা নেই বললে চলে।
নিরাপত্তার অভাব ও দারিদ্র্যের কারণে এখনো এসব এলাকার পরিবারগুলোতে ছেলেদের কদর বেশি। ফলে স্বাভাবিকভাবে মেয়েদের বাল্যবিবাহের হার বেশি এই এলাকায়। মেয়েদের শারীরিক বৃদ্ধি ছেলেদের তুলনায় বেশি বলে বয়স যা-ই হোক, বিয়ে দেওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু করা হয় কৈশোর উত্তরণের আগে।
সীমান্তে সংসার
শ্রীরামপুর ইউনিয়নের কিশামত নিজ্জমা গ্রামের গৃহবধূ লিপি বেগম। ৪০ বছর বয়সের লিপি বলেন, ‘শরীর অসুস্থ হলেও কোনো উপায় থাকে না, সংসারের কাজ করতেই হয়। অসুস্থ হলে চিকিৎসা মেলে না। অনেক সময় নির্যাতনের শিকার হলেও কিছু করার থাকে না।’
এত ‘না’-এর মধ্যে সংসারের হাল ধরে গৃহের বধূ হয়ে ওঠে সীমান্তের কিশোরীরা। বাবার বাড়ি আর শ্বশুরবাড়ি—এই যেন তাদের জীবনের পাঠ। আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে মানিয়ে চলতে না পারা, দারিদ্র্য এবং শারীরিক পরিশ্রমে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন অনেক নারী। এরই মধ্যে কম বয়সে সন্তান ধারণ করেন। এ যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। খেতে কাজ শেষে গৃহস্থালি, সন্তান সামলানো, গবাদিপশুর দেখভালসহ সংসারের প্রায় সব কাজে নারীদের অংশগ্রহণের মাত্রা বেশি। এর মধ্যে পান থেকে চুন খসলেই কারও কারও জীবনে নেমে আসে নির্যাতন।
‘অধিকার’ ও ‘ক্ষমতায়ন’ শব্দ দুটি যেন সীমান্তের নারীদের জীবনের সঙ্গে বেমানান। স্বামী ও ছেলের নামে করা সম্পত্তির দলিল এবং নারীদের নামে করা দলিলের আনুপাতিক হার আশঙ্কাজনক বৈষম্যে ভরা। সে কথা জানালেন কুচলীবাড়ী ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গ্রাম শমশেরপুরের গৃহিণী মোসলেমা বেগম। তিনি বলেন, ‘ন্যায্য অধিকার নারীরা কোথায় পায়? সব জায়গায় আমরা অবহেলিত। স্বামী-সন্তানের নামে সম্পত্তি বা জমি বেশি লেখা হয়। আর যা কাগজপত্রে থাকে, সেগুলো ভোগ করার ক্ষমতা বা সুযোগ থাকে না।’
প্রযুক্তির ব্যবহারেও পিছিয়ে সীমান্তবর্তী গ্রামের নারীরা। পরিবারের প্রধান স্বামী বা ছেলের হাতে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন। তাতে যুক্ত ইন্টারনেট। বেশির ভাগ নারীর হাতে মোবাইল ফোন নেই। কারও কারও হাতে আছে বেসিক ফোন।
সীমান্তে ঝুঁকি
সীমান্ত সব সময় নারী-পুরুষ সবার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। এসব এলাকায় ঝুঁকি নিয়ে নারীরা খেতে কাজ করেন। গরুসহ বিভিন্ন সামগ্রী পাচার রোধে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) গুলি ছোড়ে। অনেক সময় তারা সীমান্ত অতিক্রম করে গ্রামে ঢুকে পড়ে। পুরুষেরা দ্রুত সরে পড়লেও নারীদের পক্ষে তা সম্ভব হয় না।
শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ভিতরবাড়ি এলাকার গৃহবধূ গলেজা বেগম জানান, সীমান্তে পরিবার নিয়ে, বিশেষ করে মেয়েদের নিয়ে আতঙ্কে থাকতে হয় তাঁদের। চোরাচালান রোধে বিএসএফ বাড়ির আঙিনায় চলে আসে কখনো কখনো। অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে। সীমান্তের জমিতে কাজ করার সময় তারা লাঠি ও বন্দুক দেখিয়ে কথা বলে।
সীমান্তে জীবনের বাস্তবতা আর সরকারি বক্তব্যের ধরন ভিন্ন। এ ব্যাপারে পাটগ্রাম উপজেলা মহিলা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) নাছিমা পারভিন বলেন, ‘মেয়ে ও নারীদের যেকোনো প্রতিকূলতা ও সমস্যা জানতে পারলে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সমাধানের চেষ্টা করি। প্রকৃতপক্ষে নারীরা বিভিন্ন জায়গায় সমস্যার মুখোমুখি হন। সীমান্ত এলাকার পরিবারগুলোতে একটু বেশি। নারী বা মেয়েদের অদম্য ইচ্ছা থাকলে কোনো কিছু বাধা হতে পারবে না।’

গর্ত আর খানাখন্দে ভরা জীর্ণ সড়ক পেরিয়ে নিরাপদ জায়গার দিকে ছুটে চলেছে একটি ট্রাক। সীমান্ত পর্যন্ত তিন দিনের যাত্রা। প্রায় ৮০ জনের সঙ্গে সেই ট্রাকে চড়ে বসেছেন অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তাঁর স্বামী। গন্তব্য নির্দিষ্ট হলেও তার দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার! এই দীর্ঘ পথে পদে পদে বিপদ। প্রায় প্রতি ২০ মিনিট
১ ঘণ্টা আগে
হাওয়াইয়ের ঐতিহ্যবাহী গান ‘আলোহা ও-এ’। এই গানের রচয়িতা ছিলেন হাওয়াই রাজ্যের প্রথম ও একমাত্র ক্ষমতাসীন রানি এবং শেষ সার্বভৌম শাসক। লিলিউওকালানি নামে পরিচিত হলেও তাঁর পুরো নাম লিডিয়া লিলিউওকালানি কামাকাএহা। ১৮৯১ সালে তিনি তাঁর ভাই রাজা কালাকাউয়ার মৃত্যুর পর সিংহাসনে আরোহণ করেন।
২ ঘণ্টা আগে
ফ্যাশন জগতের বাইবেল বলা হয় ‘ভোগ’ ম্যাগাজিনকে। ফ্যাশন ও প্রকাশনার জগতের কিংবদন্তি অ্যানা উইন্ট্যুর ছিলেন এর সম্পাদক। দীর্ঘ ৩৭ বছর পর নতুন এক সম্পাদক পেল ভোগ, ৩৯ বছর বয়সী ক্লোয়ে ম্যালে। দীর্ঘদিন ধরে ভোগ-এর সঙ্গে পথচলা নতুন এই সম্পাদকের।
২১ ঘণ্টা আগে
সিঙ্গাপুরের কঠোর আইনব্যবস্থার মধ্যে এক নজিরবিহীন ঘটনার জন্ম দিয়েছেন তিন তরুণী—সিতি আমিরাহ মোহাম্মদ আসররি, কোকিলা আন্নামালাই ও মোসাম্মদ সবিকুন নাহার। ফিলিস্তিনের পক্ষে একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল আয়োজনের অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল।
৩ দিন আগেফিচার ডেস্ক

গর্ত আর খানাখন্দে ভরা জীর্ণ সড়ক পেরিয়ে নিরাপদ জায়গার দিকে ছুটে চলেছে একটি ট্রাক। সীমান্ত পর্যন্ত তিন দিনের যাত্রা। প্রায় ৮০ জনের সঙ্গে সেই ট্রাকে চড়ে বসেছেন অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তাঁর স্বামী। গন্তব্য নির্দিষ্ট হলেও তার দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার! এই দীর্ঘ পথে পদে পদে বিপদ। প্রায় প্রতি ২০ মিনিট পর আরএসএফ চেকপয়েন্ট। ট্রাক থামিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছিল জোর করে। পথে খাবার আর পানির দাম আকাশছোঁয়া। অনেক প্রতিকূলতার পর সেই নারী ও তাঁর স্বামী দক্ষিণ সুদানের সীমান্ত শহর আবেই-এ পৌঁছান। বৃষ্টি ও বন্যার কারণে সেখানেও টেকা কঠিন হয়ে পড়ে তাঁদের। অবশেষে, তাঁরা এন নাহুদ থেকে প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ সুদানের রাজধানী জুবা হয়ে উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় পৌঁছান।
গত ২৮ আগস্ট বিবিসি, সুদানের এমনই একটি গল্প শুনিয়েছে আমাদের। নিরাপত্তার কারণে প্রতিবেদনে ওই নারী এবং তাঁর স্বামীর নাম ব্যবহার করা হয়নি।
সুদানের সেনাবাহিনী এসএএফ, অন্যদিকে শক্তিশালী আধা সামরিক গোষ্ঠী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস বা আরএসএফ। সোনার খনি ও ক্ষমতার দখল নিয়ে এই দুই দলের মধ্যে প্রচণ্ড লড়াই শুরু হয়। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে সে লড়াই গড়ায় গৃহযুদ্ধের দিকে। এর ফলে দুর্ভিক্ষ ও পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে।
দুই বছরের বেশি সময় ধরে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর চরম অত্যাচার চলছে সেখানে। আরএসএফ সম্প্রতি আল-ফাশের শহরটি দখল করার পর সেখানকার বাসিন্দাদের নিয়ে উদ্বেগ বেড়েই চলেছে।
এই গৃহযুদ্ধে নৃশংসতার মাত্রা ব্যাপক। পুড়িয়ে দেওয়া ঘরবাড়ি, বিকৃত মৃতদেহ এবং গণকবরের প্রমাণ মিলেছে স্যাটেলাইট ও ভিডিওর মাধ্যমে। কিন্তু যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় এসব বিষয় যাচাই করা এবং মানবিক সহায়তা প্রচেষ্টাকে ক্রমাগত বাধাগ্রস্ত করছে। নারী ও মেয়েদের হত্যা, ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণ, যৌন দাসত্ব, জোর করে বিয়ে এবং অপহরণের ঘটনা ঘটছে প্রতিদিন। স্থানীয় মেডিকেল নেটওয়ার্ক ও সুদান ডক্টরস ইউনিয়নের তথ্য অনুসারে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে নারী, কিশোরীসহ ২ হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। ৩০ অক্টোবর সৌদি ম্যাটারনিটি হসপিটালে হামলার সময় প্রায় ৫০০ রোগী এবং তাঁদের সঙ্গে থাকা স্বজনেরা নিহত হন বলে জানা যায়। এই হাসপাতালে অনেক নারী নিরাপত্তা ও চিকিৎসার জন্য আশ্রয় নিয়েছিলেন। এ ছাড়া স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর হামলারও তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। স্বাস্থ্য পরিষেবার ওপর আক্রমণ নারীদের মাতৃ ও প্রজননস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে।
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ফলে নারী ও মেয়েদের কাছে জীবন রক্ষাকারী সহায়তা পৌঁছতে পারছে না। চলতি বছরের জুন মাসে একটি হাসপাতালে বিমান হামলায় ৫৭ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে প্রসবকক্ষে থাকা নারীরাও ছিলেন। এ ছাড়া জেন্ডার ইন হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের একটি প্রতিবেদনে সুদানের নারীদের স্বাস্থ্য নিয়ে ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে। স্বাস্থ্যসুবিধাগুলো ধ্বংস হওয়ার কারণে বেঁচে যাওয়া নারীরা ধর্ষণ-পরবর্তী স্বাস্থ্য পরিচর্যা থেকে বঞ্চিত।
এপ্রিলে প্রকাশিত জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুদান সীমান্তের ভেতরে কমপক্ষে ৫৮ লাখ নারী ও কিশোরী বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। সুদান
এবং এর বাইরে বাস্তুচ্যুত হওয়া ১ কোটি ২০ লাখ মানুষের অর্ধেকের বেশি নারী। দুই বছরের কম সময়ে, লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতার ঝুঁকিতে থাকা মানুষের সংখ্যা বেড়েছে তিন গুণের বেশি। ২০২৪ সালে লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতার পরিষেবার
চাহিদা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় বেড়েছিল ২৮৮ শতাংশ। ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের মে মাসের মধ্যে সুদানে ২ কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ
তীব্র খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার শিকার হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির সুদান কান্ট্রি ডিরেক্টর এতিজাজ ইউসিফ এই সংকটকে পুরোপুরিভাবে মানবসৃষ্ট বলে উল্লেখ করেছেন।
যুদ্ধ যে মাত্রারই হোক না কেন, তাতে নারীদের ভিকটিম হওয়ার হার থাকে সবচেয়ে বেশি। সুদানের নারীদের ওপর এখন চলছে ভয়াবহ নির্যাতন। কবে যে দেশটিতে সুদিন ফিরে আসবে, তার কোনো নিশ্চয়তা এই মুহূর্তে কোথাও থেকে পাওয়া যাচ্ছে না।
সূত্র: ইউএন উইমেন, রিলিফওয়েব, বিবিসি

গর্ত আর খানাখন্দে ভরা জীর্ণ সড়ক পেরিয়ে নিরাপদ জায়গার দিকে ছুটে চলেছে একটি ট্রাক। সীমান্ত পর্যন্ত তিন দিনের যাত্রা। প্রায় ৮০ জনের সঙ্গে সেই ট্রাকে চড়ে বসেছেন অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তাঁর স্বামী। গন্তব্য নির্দিষ্ট হলেও তার দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার! এই দীর্ঘ পথে পদে পদে বিপদ। প্রায় প্রতি ২০ মিনিট পর আরএসএফ চেকপয়েন্ট। ট্রাক থামিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছিল জোর করে। পথে খাবার আর পানির দাম আকাশছোঁয়া। অনেক প্রতিকূলতার পর সেই নারী ও তাঁর স্বামী দক্ষিণ সুদানের সীমান্ত শহর আবেই-এ পৌঁছান। বৃষ্টি ও বন্যার কারণে সেখানেও টেকা কঠিন হয়ে পড়ে তাঁদের। অবশেষে, তাঁরা এন নাহুদ থেকে প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ সুদানের রাজধানী জুবা হয়ে উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় পৌঁছান।
গত ২৮ আগস্ট বিবিসি, সুদানের এমনই একটি গল্প শুনিয়েছে আমাদের। নিরাপত্তার কারণে প্রতিবেদনে ওই নারী এবং তাঁর স্বামীর নাম ব্যবহার করা হয়নি।
সুদানের সেনাবাহিনী এসএএফ, অন্যদিকে শক্তিশালী আধা সামরিক গোষ্ঠী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস বা আরএসএফ। সোনার খনি ও ক্ষমতার দখল নিয়ে এই দুই দলের মধ্যে প্রচণ্ড লড়াই শুরু হয়। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে সে লড়াই গড়ায় গৃহযুদ্ধের দিকে। এর ফলে দুর্ভিক্ষ ও পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে।
দুই বছরের বেশি সময় ধরে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর চরম অত্যাচার চলছে সেখানে। আরএসএফ সম্প্রতি আল-ফাশের শহরটি দখল করার পর সেখানকার বাসিন্দাদের নিয়ে উদ্বেগ বেড়েই চলেছে।
এই গৃহযুদ্ধে নৃশংসতার মাত্রা ব্যাপক। পুড়িয়ে দেওয়া ঘরবাড়ি, বিকৃত মৃতদেহ এবং গণকবরের প্রমাণ মিলেছে স্যাটেলাইট ও ভিডিওর মাধ্যমে। কিন্তু যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় এসব বিষয় যাচাই করা এবং মানবিক সহায়তা প্রচেষ্টাকে ক্রমাগত বাধাগ্রস্ত করছে। নারী ও মেয়েদের হত্যা, ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণ, যৌন দাসত্ব, জোর করে বিয়ে এবং অপহরণের ঘটনা ঘটছে প্রতিদিন। স্থানীয় মেডিকেল নেটওয়ার্ক ও সুদান ডক্টরস ইউনিয়নের তথ্য অনুসারে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে নারী, কিশোরীসহ ২ হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। ৩০ অক্টোবর সৌদি ম্যাটারনিটি হসপিটালে হামলার সময় প্রায় ৫০০ রোগী এবং তাঁদের সঙ্গে থাকা স্বজনেরা নিহত হন বলে জানা যায়। এই হাসপাতালে অনেক নারী নিরাপত্তা ও চিকিৎসার জন্য আশ্রয় নিয়েছিলেন। এ ছাড়া স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর হামলারও তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। স্বাস্থ্য পরিষেবার ওপর আক্রমণ নারীদের মাতৃ ও প্রজননস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে।
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ফলে নারী ও মেয়েদের কাছে জীবন রক্ষাকারী সহায়তা পৌঁছতে পারছে না। চলতি বছরের জুন মাসে একটি হাসপাতালে বিমান হামলায় ৫৭ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে প্রসবকক্ষে থাকা নারীরাও ছিলেন। এ ছাড়া জেন্ডার ইন হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের একটি প্রতিবেদনে সুদানের নারীদের স্বাস্থ্য নিয়ে ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে। স্বাস্থ্যসুবিধাগুলো ধ্বংস হওয়ার কারণে বেঁচে যাওয়া নারীরা ধর্ষণ-পরবর্তী স্বাস্থ্য পরিচর্যা থেকে বঞ্চিত।
এপ্রিলে প্রকাশিত জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুদান সীমান্তের ভেতরে কমপক্ষে ৫৮ লাখ নারী ও কিশোরী বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। সুদান
এবং এর বাইরে বাস্তুচ্যুত হওয়া ১ কোটি ২০ লাখ মানুষের অর্ধেকের বেশি নারী। দুই বছরের কম সময়ে, লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতার ঝুঁকিতে থাকা মানুষের সংখ্যা বেড়েছে তিন গুণের বেশি। ২০২৪ সালে লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতার পরিষেবার
চাহিদা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় বেড়েছিল ২৮৮ শতাংশ। ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের মে মাসের মধ্যে সুদানে ২ কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ
তীব্র খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার শিকার হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির সুদান কান্ট্রি ডিরেক্টর এতিজাজ ইউসিফ এই সংকটকে পুরোপুরিভাবে মানবসৃষ্ট বলে উল্লেখ করেছেন।
যুদ্ধ যে মাত্রারই হোক না কেন, তাতে নারীদের ভিকটিম হওয়ার হার থাকে সবচেয়ে বেশি। সুদানের নারীদের ওপর এখন চলছে ভয়াবহ নির্যাতন। কবে যে দেশটিতে সুদিন ফিরে আসবে, তার কোনো নিশ্চয়তা এই মুহূর্তে কোথাও থেকে পাওয়া যাচ্ছে না।
সূত্র: ইউএন উইমেন, রিলিফওয়েব, বিবিসি

আঙ্গরপোতা, বঙ্গেরবাড়ি, নাজির গুমানি, ঝালঙ্গী কিংবা কিশামত নিজ্জমা—এমন অসংখ্য গ্রাম আছে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায়। এ উপজেলার প্রায় দেড় শ কিলোমিটার সীমানা ভারতের সঙ্গে। দহগ্রাম ইউনিয়নের কিছু অংশ ছাড়া এই বিস্তীর্ণ এলাকার একাংশের পুরোটাতে আছে ভারতীয় কাঁটাতার।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
হাওয়াইয়ের ঐতিহ্যবাহী গান ‘আলোহা ও-এ’। এই গানের রচয়িতা ছিলেন হাওয়াই রাজ্যের প্রথম ও একমাত্র ক্ষমতাসীন রানি এবং শেষ সার্বভৌম শাসক। লিলিউওকালানি নামে পরিচিত হলেও তাঁর পুরো নাম লিডিয়া লিলিউওকালানি কামাকাএহা। ১৮৯১ সালে তিনি তাঁর ভাই রাজা কালাকাউয়ার মৃত্যুর পর সিংহাসনে আরোহণ করেন।
২ ঘণ্টা আগে
ফ্যাশন জগতের বাইবেল বলা হয় ‘ভোগ’ ম্যাগাজিনকে। ফ্যাশন ও প্রকাশনার জগতের কিংবদন্তি অ্যানা উইন্ট্যুর ছিলেন এর সম্পাদক। দীর্ঘ ৩৭ বছর পর নতুন এক সম্পাদক পেল ভোগ, ৩৯ বছর বয়সী ক্লোয়ে ম্যালে। দীর্ঘদিন ধরে ভোগ-এর সঙ্গে পথচলা নতুন এই সম্পাদকের।
২১ ঘণ্টা আগে
সিঙ্গাপুরের কঠোর আইনব্যবস্থার মধ্যে এক নজিরবিহীন ঘটনার জন্ম দিয়েছেন তিন তরুণী—সিতি আমিরাহ মোহাম্মদ আসররি, কোকিলা আন্নামালাই ও মোসাম্মদ সবিকুন নাহার। ফিলিস্তিনের পক্ষে একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল আয়োজনের অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল।
৩ দিন আগেফিচার ডেস্ক

হাওয়াইয়ের ঐতিহ্যবাহী গান ‘আলোহা ও-এ’। এই গানের রচয়িতা ছিলেন হাওয়াই রাজ্যের প্রথম ও একমাত্র ক্ষমতাসীন রানি এবং শেষ সার্বভৌম শাসক। লিলিউওকালানি নামে পরিচিত হলেও তাঁর পুরো নাম লিডিয়া লিলিউওকালানি কামাকাএহা। ১৮৯১ সালে তিনি তাঁর ভাই রাজা কালাকাউয়ার মৃত্যুর পর সিংহাসনে আরোহণ করেন।
শুধু এই গানই নয়, তিনি ‘হাওয়াই পোনোই’ শিরোনামে হাওয়াই রাজ্যের জাতীয় সংগীতও লিখেছিলেন, যেটি এখনো সে দেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে গাওয়া হয়।
১৮৯১ থেকে ১৮৯৩ সাল পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত শাসনামলে লিলি তাঁর প্রজাদের জন্য কাজ করেছেন। ১৮৯২ সালে ‘হাইওয়েজ অ্যাক্ট’ আইন পাস করেন তিনি। রাজকুমারী থাকাকালে দরিদ্র মেয়েদের শিক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠা করেন লিলিউওকালানি এডুকেশনাল সোসাইটি। সিংহাসনে বসে একটি নতুন সংবিধান রচনার উদ্যোগ নেন তিনি। তাঁর এই কাজের স্লোগান ছিল, হাওয়াই ফর দ্য হাওয়াইয়ান, অর্থাৎ হাওয়াই হাওয়াইবাসীর জন্য। তিনি বলতেন, ‘পতনের ভয়ে কাজ করা থামিয়ো না।’
লিলির জীবন একাধারে রাজকীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি এবং দেশের জন্য তীব্র ভালোবাসায় পূর্ণ ছিল। বিদেশি শক্তির হাতে তাঁর রাজ্যের পতন বিষাদের ছায়া ফেলেছিল। ১৮৯৩ সালের জানুয়ারি মাসে আমেরিকান ব্যবসায়ী ও জমিদারদের একটি দল মার্কিন নৌবাহিনীর সহায়তায় রানিকে ক্ষমতাচ্যুত করে। প্রজাদের রক্তপাত এড়াতে রানি অনিচ্ছা সত্ত্বেও আত্মসমর্পণ করেন। লিলিউওকালানির জন্ম ১৮৩৮ সালের ২ সেপ্টেম্বর, হনলুলুতে। তিনি ১৯১৭ সালের ১১ নভেম্বর মারা যান।

হাওয়াইয়ের ঐতিহ্যবাহী গান ‘আলোহা ও-এ’। এই গানের রচয়িতা ছিলেন হাওয়াই রাজ্যের প্রথম ও একমাত্র ক্ষমতাসীন রানি এবং শেষ সার্বভৌম শাসক। লিলিউওকালানি নামে পরিচিত হলেও তাঁর পুরো নাম লিডিয়া লিলিউওকালানি কামাকাএহা। ১৮৯১ সালে তিনি তাঁর ভাই রাজা কালাকাউয়ার মৃত্যুর পর সিংহাসনে আরোহণ করেন।
শুধু এই গানই নয়, তিনি ‘হাওয়াই পোনোই’ শিরোনামে হাওয়াই রাজ্যের জাতীয় সংগীতও লিখেছিলেন, যেটি এখনো সে দেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে গাওয়া হয়।
১৮৯১ থেকে ১৮৯৩ সাল পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত শাসনামলে লিলি তাঁর প্রজাদের জন্য কাজ করেছেন। ১৮৯২ সালে ‘হাইওয়েজ অ্যাক্ট’ আইন পাস করেন তিনি। রাজকুমারী থাকাকালে দরিদ্র মেয়েদের শিক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠা করেন লিলিউওকালানি এডুকেশনাল সোসাইটি। সিংহাসনে বসে একটি নতুন সংবিধান রচনার উদ্যোগ নেন তিনি। তাঁর এই কাজের স্লোগান ছিল, হাওয়াই ফর দ্য হাওয়াইয়ান, অর্থাৎ হাওয়াই হাওয়াইবাসীর জন্য। তিনি বলতেন, ‘পতনের ভয়ে কাজ করা থামিয়ো না।’
লিলির জীবন একাধারে রাজকীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি এবং দেশের জন্য তীব্র ভালোবাসায় পূর্ণ ছিল। বিদেশি শক্তির হাতে তাঁর রাজ্যের পতন বিষাদের ছায়া ফেলেছিল। ১৮৯৩ সালের জানুয়ারি মাসে আমেরিকান ব্যবসায়ী ও জমিদারদের একটি দল মার্কিন নৌবাহিনীর সহায়তায় রানিকে ক্ষমতাচ্যুত করে। প্রজাদের রক্তপাত এড়াতে রানি অনিচ্ছা সত্ত্বেও আত্মসমর্পণ করেন। লিলিউওকালানির জন্ম ১৮৩৮ সালের ২ সেপ্টেম্বর, হনলুলুতে। তিনি ১৯১৭ সালের ১১ নভেম্বর মারা যান।

আঙ্গরপোতা, বঙ্গেরবাড়ি, নাজির গুমানি, ঝালঙ্গী কিংবা কিশামত নিজ্জমা—এমন অসংখ্য গ্রাম আছে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায়। এ উপজেলার প্রায় দেড় শ কিলোমিটার সীমানা ভারতের সঙ্গে। দহগ্রাম ইউনিয়নের কিছু অংশ ছাড়া এই বিস্তীর্ণ এলাকার একাংশের পুরোটাতে আছে ভারতীয় কাঁটাতার।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
গর্ত আর খানাখন্দে ভরা জীর্ণ সড়ক পেরিয়ে নিরাপদ জায়গার দিকে ছুটে চলেছে একটি ট্রাক। সীমান্ত পর্যন্ত তিন দিনের যাত্রা। প্রায় ৮০ জনের সঙ্গে সেই ট্রাকে চড়ে বসেছেন অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তাঁর স্বামী। গন্তব্য নির্দিষ্ট হলেও তার দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার! এই দীর্ঘ পথে পদে পদে বিপদ। প্রায় প্রতি ২০ মিনিট
১ ঘণ্টা আগে
ফ্যাশন জগতের বাইবেল বলা হয় ‘ভোগ’ ম্যাগাজিনকে। ফ্যাশন ও প্রকাশনার জগতের কিংবদন্তি অ্যানা উইন্ট্যুর ছিলেন এর সম্পাদক। দীর্ঘ ৩৭ বছর পর নতুন এক সম্পাদক পেল ভোগ, ৩৯ বছর বয়সী ক্লোয়ে ম্যালে। দীর্ঘদিন ধরে ভোগ-এর সঙ্গে পথচলা নতুন এই সম্পাদকের।
২১ ঘণ্টা আগে
সিঙ্গাপুরের কঠোর আইনব্যবস্থার মধ্যে এক নজিরবিহীন ঘটনার জন্ম দিয়েছেন তিন তরুণী—সিতি আমিরাহ মোহাম্মদ আসররি, কোকিলা আন্নামালাই ও মোসাম্মদ সবিকুন নাহার। ফিলিস্তিনের পক্ষে একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল আয়োজনের অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ফ্যাশন জগতের বাইবেল বলা হয় ‘ভোগ’ ম্যাগাজিনকে। ফ্যাশন ও প্রকাশনার জগতের কিংবদন্তি অ্যানা উইন্ট্যুর ছিলেন এর সম্পাদক। দীর্ঘ ৩৭ বছর পর নতুন এক সম্পাদক পেল ভোগ, ৩৯ বছর বয়সী ক্লোয়ে ম্যালে। দীর্ঘদিন ধরে ভোগ-এর সঙ্গে পথচলা নতুন এই সম্পাদকের। বয়সের তুলনায় যোগ্যতায় দায়িত্ব পেলেন বেশ বড়! ক্লোয়ে এতদিন ভোগ ওয়েবসাইটের সম্পাদক ও এর পডকাস্টের সহসঞ্চালক হিসেবে কাজ করছিলেন।
মার্কিন তারকা দম্পতির কন্যা ক্লোয়ে ম্যালে। বাবা প্রয়াত বিখ্যাত পরিচালক লুই মাল্লে আর মা অভিনেত্রী ক্যান্ডিস বার্গেন। লস অ্যাঞ্জেলেস ও নিউইয়র্কে বেড়ে ওঠা তাঁর। পড়েছেন ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে সাহিত্য ও তুলনামূলক সাহিত্য নিয়ে। পরে দ্য নিউইয়র্ক অবজারভারে কাজ শুরু করেন এবং দ্য নিউইয়র্ক টাইমসসহ বিভিন্ন প্রকাশনায় লিখেছেন। তিন বছর বয়সে প্রথমবার তাঁর নাম প্রকাশিত হয় দ্য টাইমস-এর পাতায়।
এক দশক ধরে ফ্যাশন ও গণমাধ্যম শিল্পে জল্পনা চলছিল, ৭৫ বছর বয়সী অ্যানা উইন্ট্যুরের উত্তরসূরি কে হবেন?
নতুন ‘সম্পাদক’ ক্লোয়ে ম্যালে দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ডিনার পার্টির আড্ডা মানেই যেন এই প্রশ্ন। সত্যি বলতে, অ্যানাকে কেউই প্রতিস্থাপন করতে পারবেন না।’
মজার ব্যাপার হলো, দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে গত মে মাসের ১ তারিখে এই সাক্ষাৎকার দেওয়ার ১ সপ্তাহ আগে থেকে ম্যালে জানতেন, তিনিই হচ্ছেন ভোগের নতুন সম্পাদক। কিন্তু অ্যানা উইন্ট্যুরের কড়া নির্দেশে কাউকেই এসব কথা জানাননি। এমনকি নিজের মা অভিনেত্রী ক্যান্ডিস বার্গেনকেও তখনো কিছু বলেননি।
তবে দায়িত্ব হস্তান্তরের বিষয়টি যতটা সহজ মনে হচ্ছে, বাস্তবে তা অনেক জটিল। কেন না অ্যানা উইন্ট্যুর ভোগ-এর প্রকাশনা সংস্থা কনডে ন্যাস্টে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছেন।
সম্পাদকের দায়িত্ব হস্তান্তর করলেও অ্যানা এখনই অবসর নিচ্ছেন না। তিনি এখনো কনডে ন্যাস্টের চিফ কনটেন্ট অফিসার। বাস্তবে তিনি ম্যালের সরাসরি সুপারভাইজার। ভোগ-এর ২৮টি আন্তর্জাতিক সংস্করণের সব কটি তাঁরই তত্ত্বাবধানে। এমনকি নিজের অফিস থেকেও সরছেন না তিনি।

এই হস্তান্তর ব্যবস্থা কিছুটা অস্বাভাবিক দুজনেই স্বীকার করেছেন। কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্যে উইন্ট্যুর নিজেকে একই সঙ্গে ম্যালের ‘গুরু এবং শিক্ষার্থী’ হিসেবে বর্ণনা করেন।
দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ম্যালে বলেন, ‘আমি যেন উঁচু কোনো দড়ির ওপর কসরত দেখাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি জানি, এই পদে আগ্রহী অনেকেই অ্যানার ঠিক পাশের করিডরে থাকার বিষয়টি ভেবে একটু ভয় পেয়েছিলেন। কিন্তু আমি খুশি যে তিনি সেখানেই আছেন, তাঁর ক্ল্যারিস ক্লিফ পটারি নিয়ে।’
নিজেকে ‘নেপো কিড’ হিসেবে অভিহিত করে ম্যালে বলেন, ‘আমার বেড়ে ওঠায় যে বিশেষ সুবিধা ছিল, তা অস্বীকার করা বোকামি হবে। তবে এটা আমাকে আরও পরিশ্রমী করেছে। জীবনের অনেকটা সময় আমি চেষ্টা করেছি প্রমাণ করতে যে আমি শুধু ক্যান্ডিস বার্গেনের মেয়ে নই কিংবা বেভারলি হিলসের কোনো বিশেষাধিকারপ্রাপ্ত মানুষও নই।’

নিয়োগের পুরো প্রক্রিয়ার সময় ম্যালে স্পষ্ট করে বলেছিলেন, এ পদে যে আসবেন, তিনি যদি ‘অ্যানা লাইট’ হওয়ার চেষ্টা করেন, তাহলে কখনোই সফলতা পাবেন না। তিনি যোগ করেন, ‘নিজের ছাপ রেখে যাওয়াটাই হবে এই ভূমিকায় সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। এমন এক দৃশ্যমান পরিবর্তন আনতে হবে, যাতে বোঝা যায়—এটি আমার ভোগ।’
আর ‘ভোগ’-এর সম্পাদক হিসেবে ক্লোয়ের পদবি ‘সম্পাদক’ নয়, বরং ‘হেড অব এডিটোরিয়াল কনটেন্ট’ বা সম্পাদকীয় কনটেন্টের প্রধান দেওয়া হচ্ছে।
এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ২০২৫ সালে এসে অন্যান্য পুরনো গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের মতো ভোগও একই ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এখনকার সম্পাদকদের কাজ শুধু লেখা বা কনটেন্ট সম্পাদনা নয়, তাঁদের নতুন আয়ের পথ তৈরি করতে হয়, বড় মাপের চমকপ্রদ ইভেন্ট আয়োজন করতে হয়, এমনকি পণ্য বিক্রির কৌশলও ভাবতে হয়।
যেসব প্রতিষ্ঠান সময়মতো ডিজিটাল এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই যুগে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারেনি, তারা হারিয়েছে অর্থ ও প্রভাব। এখন তারা মরিয়া হয়ে নতুন পাঠকগোষ্ঠী খুঁজছে এবং পুরনো পাঠকদের ধরে রাখার চেষ্টা করছে।

ভোগের নতুন সম্পাদক নিজেকে ফ্যাশন বিশেষজ্ঞ নয়, বরং একজন সাংবাদিক হিসেবে বেশি দেখেন। যদিও ভোগ ঐতিহ্যগতভাবে ফ্যাশন ভিজ্যুয়ালসের জন্য বেশি পরিচিত। কর্মীদের পাঠানো এক ই-মেইলে অ্যানা উইন্ট্যুর তাঁকে ‘একজন তৃষ্ণার্ত-নিবেদিতপ্রাণ সাংবাদিক, যাঁর চোখ নির্ভুল ছবিতে আটকায়’—বলে প্রশংসা করেন।
২০২৩ সালের অক্টোবরে ভোগ-এর ওয়েব বিভাগের দায়িত্ব নেন ম্যালে। তখন থেকে তিনি বেশ কিছু আলোচিত প্রজেক্ট হাতে নিয়েছিলেন। তার মধ্যে রয়েছে কুকুরদের নিয়ে একটি আড়ম্বরপূর্ণ কভার প্রতিযোগিতা এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির নাতি জ্যাক শ্লসবার্গকে গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক সংবাদদাতা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া।
বর্তমান সময়ে ভোগ-এ ম্যালে বেশির ভাগ সময় বিয়ে সংক্রান্ত স্টোরিগুলো নিয়ে কাজ করে থাকেন। তিনি জানান, ২০২৩ সালের পর থেকে অনলাইনে ভোগ ওয়েডিংস-এর কভারেজ প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে।

সম্প্রতি লরেন সানচেজ বেজোসকে নিয়ে তাঁর ডিজিটাল কভার স্টোরি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন তোলে। অনেকেই মন্তব্য করেন, জেফ বেজোসের নববধূ হিসেবে তিনি ভোগ কভারের মর্যাদা ‘অর্জন করেননি’। এ নিয়ে ম্যালে বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি ভোগ-এর কাভারে আসা মানে এক ধরনের স্বীকৃতি। তবে কখনো কখনো হিসাব করে ঝুঁকি নেওয়াও জরুরি। এটা আমাদের জন্য বড় মুহূর্ত ছিল। সবাই সেই নিয়ে কথা বলছিল। আমরা সেই মুহূর্তটিকে ধরতে পেরেছিলাম।’
তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল মেলানিয়া ট্রাম্পকে কখনো ভোগের কভারে দেখা যাবে কি না। এ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান নতুন সম্পাদক। তবে তরুণ প্রজন্মের হাত ধরে ভোগে কি পরিবর্তন আসছে তা অনেকেই দেখার অপেক্ষায়।
ম্যালের সম্পাদনায় প্রথম প্রিন্ট সংখ্যা সম্ভবত আগামী বছর প্রকাশিত হবে। তিনি মনে করেন, ভোগ–এর সংখ্যাগুলো মাসিক নিয়মে প্রকাশের পরিবর্তে নির্দিষ্ট থিম বা সাংস্কৃতিক মুহূর্তকে ঘিরে প্রকাশিত হওয়া উচিত, যেন উচ্চমানের পুরু কাগজে মুদ্রিত এই ম্যাগাজিনের প্রতিটি সংখ্যা হয় সংগ্রহযোগ্য সংস্করণ।
ম্যালে বলেন, আজকের ভোগ ‘কৌশলী, চটপটে এবং তীক্ষ্ণ’। পপ সংস্কৃতিতে প্রচলিত ‘ঝলমলে কিন্তু নির্মম ফ্যাশন সাম্রাজ্য’-এর চিত্র থেকে অনেকটা আলাদা। সেই পুরোনো ঠান্ডা, প্রতিযোগিতামূলক গ্ল্যামার যুগ মূলত শেষ হয়ে গেছে।
এই পরিবর্তনের প্রতীক হিসেবে ম্যালে নিজেও অনেকটা ভিন্ন ধাঁচের। নিউইয়র্কের তারকা পরিবারে বেড়ে ওঠা হলেও তিনি সহজ-স্বভাব, প্রাণবন্ত ও অহংবর্জিত। ফ্যাশন অভিজাতদের তিনি বিশেষ পছন্দ করেন না। একবার টমি হিলফিগারের ফ্যাশন শোতে তিনি সংগীতশিল্পী জন বাতিস্তের অনুরোধে উঠে দাঁড়িয়ে নাচতে শুরু করেছিলেন। তাঁর অফিসে ডিজনির দুই ভিলেন ম্যালিফিসেন্ট ও ক্রুয়েলা দে ভিল-এর লেগো মডেল সাজানো, যেগুলো তাঁর পাঁচ বছরের ছেলের তৈরি।

ফ্যাশন জগতের বাইবেল বলা হয় ‘ভোগ’ ম্যাগাজিনকে। ফ্যাশন ও প্রকাশনার জগতের কিংবদন্তি অ্যানা উইন্ট্যুর ছিলেন এর সম্পাদক। দীর্ঘ ৩৭ বছর পর নতুন এক সম্পাদক পেল ভোগ, ৩৯ বছর বয়সী ক্লোয়ে ম্যালে। দীর্ঘদিন ধরে ভোগ-এর সঙ্গে পথচলা নতুন এই সম্পাদকের। বয়সের তুলনায় যোগ্যতায় দায়িত্ব পেলেন বেশ বড়! ক্লোয়ে এতদিন ভোগ ওয়েবসাইটের সম্পাদক ও এর পডকাস্টের সহসঞ্চালক হিসেবে কাজ করছিলেন।
মার্কিন তারকা দম্পতির কন্যা ক্লোয়ে ম্যালে। বাবা প্রয়াত বিখ্যাত পরিচালক লুই মাল্লে আর মা অভিনেত্রী ক্যান্ডিস বার্গেন। লস অ্যাঞ্জেলেস ও নিউইয়র্কে বেড়ে ওঠা তাঁর। পড়েছেন ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে সাহিত্য ও তুলনামূলক সাহিত্য নিয়ে। পরে দ্য নিউইয়র্ক অবজারভারে কাজ শুরু করেন এবং দ্য নিউইয়র্ক টাইমসসহ বিভিন্ন প্রকাশনায় লিখেছেন। তিন বছর বয়সে প্রথমবার তাঁর নাম প্রকাশিত হয় দ্য টাইমস-এর পাতায়।
এক দশক ধরে ফ্যাশন ও গণমাধ্যম শিল্পে জল্পনা চলছিল, ৭৫ বছর বয়সী অ্যানা উইন্ট্যুরের উত্তরসূরি কে হবেন?
নতুন ‘সম্পাদক’ ক্লোয়ে ম্যালে দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ডিনার পার্টির আড্ডা মানেই যেন এই প্রশ্ন। সত্যি বলতে, অ্যানাকে কেউই প্রতিস্থাপন করতে পারবেন না।’
মজার ব্যাপার হলো, দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে গত মে মাসের ১ তারিখে এই সাক্ষাৎকার দেওয়ার ১ সপ্তাহ আগে থেকে ম্যালে জানতেন, তিনিই হচ্ছেন ভোগের নতুন সম্পাদক। কিন্তু অ্যানা উইন্ট্যুরের কড়া নির্দেশে কাউকেই এসব কথা জানাননি। এমনকি নিজের মা অভিনেত্রী ক্যান্ডিস বার্গেনকেও তখনো কিছু বলেননি।
তবে দায়িত্ব হস্তান্তরের বিষয়টি যতটা সহজ মনে হচ্ছে, বাস্তবে তা অনেক জটিল। কেন না অ্যানা উইন্ট্যুর ভোগ-এর প্রকাশনা সংস্থা কনডে ন্যাস্টে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছেন।
সম্পাদকের দায়িত্ব হস্তান্তর করলেও অ্যানা এখনই অবসর নিচ্ছেন না। তিনি এখনো কনডে ন্যাস্টের চিফ কনটেন্ট অফিসার। বাস্তবে তিনি ম্যালের সরাসরি সুপারভাইজার। ভোগ-এর ২৮টি আন্তর্জাতিক সংস্করণের সব কটি তাঁরই তত্ত্বাবধানে। এমনকি নিজের অফিস থেকেও সরছেন না তিনি।

এই হস্তান্তর ব্যবস্থা কিছুটা অস্বাভাবিক দুজনেই স্বীকার করেছেন। কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্যে উইন্ট্যুর নিজেকে একই সঙ্গে ম্যালের ‘গুরু এবং শিক্ষার্থী’ হিসেবে বর্ণনা করেন।
দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ম্যালে বলেন, ‘আমি যেন উঁচু কোনো দড়ির ওপর কসরত দেখাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি জানি, এই পদে আগ্রহী অনেকেই অ্যানার ঠিক পাশের করিডরে থাকার বিষয়টি ভেবে একটু ভয় পেয়েছিলেন। কিন্তু আমি খুশি যে তিনি সেখানেই আছেন, তাঁর ক্ল্যারিস ক্লিফ পটারি নিয়ে।’
নিজেকে ‘নেপো কিড’ হিসেবে অভিহিত করে ম্যালে বলেন, ‘আমার বেড়ে ওঠায় যে বিশেষ সুবিধা ছিল, তা অস্বীকার করা বোকামি হবে। তবে এটা আমাকে আরও পরিশ্রমী করেছে। জীবনের অনেকটা সময় আমি চেষ্টা করেছি প্রমাণ করতে যে আমি শুধু ক্যান্ডিস বার্গেনের মেয়ে নই কিংবা বেভারলি হিলসের কোনো বিশেষাধিকারপ্রাপ্ত মানুষও নই।’

নিয়োগের পুরো প্রক্রিয়ার সময় ম্যালে স্পষ্ট করে বলেছিলেন, এ পদে যে আসবেন, তিনি যদি ‘অ্যানা লাইট’ হওয়ার চেষ্টা করেন, তাহলে কখনোই সফলতা পাবেন না। তিনি যোগ করেন, ‘নিজের ছাপ রেখে যাওয়াটাই হবে এই ভূমিকায় সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। এমন এক দৃশ্যমান পরিবর্তন আনতে হবে, যাতে বোঝা যায়—এটি আমার ভোগ।’
আর ‘ভোগ’-এর সম্পাদক হিসেবে ক্লোয়ের পদবি ‘সম্পাদক’ নয়, বরং ‘হেড অব এডিটোরিয়াল কনটেন্ট’ বা সম্পাদকীয় কনটেন্টের প্রধান দেওয়া হচ্ছে।
এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ২০২৫ সালে এসে অন্যান্য পুরনো গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের মতো ভোগও একই ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এখনকার সম্পাদকদের কাজ শুধু লেখা বা কনটেন্ট সম্পাদনা নয়, তাঁদের নতুন আয়ের পথ তৈরি করতে হয়, বড় মাপের চমকপ্রদ ইভেন্ট আয়োজন করতে হয়, এমনকি পণ্য বিক্রির কৌশলও ভাবতে হয়।
যেসব প্রতিষ্ঠান সময়মতো ডিজিটাল এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই যুগে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারেনি, তারা হারিয়েছে অর্থ ও প্রভাব। এখন তারা মরিয়া হয়ে নতুন পাঠকগোষ্ঠী খুঁজছে এবং পুরনো পাঠকদের ধরে রাখার চেষ্টা করছে।

ভোগের নতুন সম্পাদক নিজেকে ফ্যাশন বিশেষজ্ঞ নয়, বরং একজন সাংবাদিক হিসেবে বেশি দেখেন। যদিও ভোগ ঐতিহ্যগতভাবে ফ্যাশন ভিজ্যুয়ালসের জন্য বেশি পরিচিত। কর্মীদের পাঠানো এক ই-মেইলে অ্যানা উইন্ট্যুর তাঁকে ‘একজন তৃষ্ণার্ত-নিবেদিতপ্রাণ সাংবাদিক, যাঁর চোখ নির্ভুল ছবিতে আটকায়’—বলে প্রশংসা করেন।
২০২৩ সালের অক্টোবরে ভোগ-এর ওয়েব বিভাগের দায়িত্ব নেন ম্যালে। তখন থেকে তিনি বেশ কিছু আলোচিত প্রজেক্ট হাতে নিয়েছিলেন। তার মধ্যে রয়েছে কুকুরদের নিয়ে একটি আড়ম্বরপূর্ণ কভার প্রতিযোগিতা এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির নাতি জ্যাক শ্লসবার্গকে গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক সংবাদদাতা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া।
বর্তমান সময়ে ভোগ-এ ম্যালে বেশির ভাগ সময় বিয়ে সংক্রান্ত স্টোরিগুলো নিয়ে কাজ করে থাকেন। তিনি জানান, ২০২৩ সালের পর থেকে অনলাইনে ভোগ ওয়েডিংস-এর কভারেজ প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে।

সম্প্রতি লরেন সানচেজ বেজোসকে নিয়ে তাঁর ডিজিটাল কভার স্টোরি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন তোলে। অনেকেই মন্তব্য করেন, জেফ বেজোসের নববধূ হিসেবে তিনি ভোগ কভারের মর্যাদা ‘অর্জন করেননি’। এ নিয়ে ম্যালে বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি ভোগ-এর কাভারে আসা মানে এক ধরনের স্বীকৃতি। তবে কখনো কখনো হিসাব করে ঝুঁকি নেওয়াও জরুরি। এটা আমাদের জন্য বড় মুহূর্ত ছিল। সবাই সেই নিয়ে কথা বলছিল। আমরা সেই মুহূর্তটিকে ধরতে পেরেছিলাম।’
তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল মেলানিয়া ট্রাম্পকে কখনো ভোগের কভারে দেখা যাবে কি না। এ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান নতুন সম্পাদক। তবে তরুণ প্রজন্মের হাত ধরে ভোগে কি পরিবর্তন আসছে তা অনেকেই দেখার অপেক্ষায়।
ম্যালের সম্পাদনায় প্রথম প্রিন্ট সংখ্যা সম্ভবত আগামী বছর প্রকাশিত হবে। তিনি মনে করেন, ভোগ–এর সংখ্যাগুলো মাসিক নিয়মে প্রকাশের পরিবর্তে নির্দিষ্ট থিম বা সাংস্কৃতিক মুহূর্তকে ঘিরে প্রকাশিত হওয়া উচিত, যেন উচ্চমানের পুরু কাগজে মুদ্রিত এই ম্যাগাজিনের প্রতিটি সংখ্যা হয় সংগ্রহযোগ্য সংস্করণ।
ম্যালে বলেন, আজকের ভোগ ‘কৌশলী, চটপটে এবং তীক্ষ্ণ’। পপ সংস্কৃতিতে প্রচলিত ‘ঝলমলে কিন্তু নির্মম ফ্যাশন সাম্রাজ্য’-এর চিত্র থেকে অনেকটা আলাদা। সেই পুরোনো ঠান্ডা, প্রতিযোগিতামূলক গ্ল্যামার যুগ মূলত শেষ হয়ে গেছে।
এই পরিবর্তনের প্রতীক হিসেবে ম্যালে নিজেও অনেকটা ভিন্ন ধাঁচের। নিউইয়র্কের তারকা পরিবারে বেড়ে ওঠা হলেও তিনি সহজ-স্বভাব, প্রাণবন্ত ও অহংবর্জিত। ফ্যাশন অভিজাতদের তিনি বিশেষ পছন্দ করেন না। একবার টমি হিলফিগারের ফ্যাশন শোতে তিনি সংগীতশিল্পী জন বাতিস্তের অনুরোধে উঠে দাঁড়িয়ে নাচতে শুরু করেছিলেন। তাঁর অফিসে ডিজনির দুই ভিলেন ম্যালিফিসেন্ট ও ক্রুয়েলা দে ভিল-এর লেগো মডেল সাজানো, যেগুলো তাঁর পাঁচ বছরের ছেলের তৈরি।

আঙ্গরপোতা, বঙ্গেরবাড়ি, নাজির গুমানি, ঝালঙ্গী কিংবা কিশামত নিজ্জমা—এমন অসংখ্য গ্রাম আছে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায়। এ উপজেলার প্রায় দেড় শ কিলোমিটার সীমানা ভারতের সঙ্গে। দহগ্রাম ইউনিয়নের কিছু অংশ ছাড়া এই বিস্তীর্ণ এলাকার একাংশের পুরোটাতে আছে ভারতীয় কাঁটাতার।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
গর্ত আর খানাখন্দে ভরা জীর্ণ সড়ক পেরিয়ে নিরাপদ জায়গার দিকে ছুটে চলেছে একটি ট্রাক। সীমান্ত পর্যন্ত তিন দিনের যাত্রা। প্রায় ৮০ জনের সঙ্গে সেই ট্রাকে চড়ে বসেছেন অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তাঁর স্বামী। গন্তব্য নির্দিষ্ট হলেও তার দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার! এই দীর্ঘ পথে পদে পদে বিপদ। প্রায় প্রতি ২০ মিনিট
১ ঘণ্টা আগে
হাওয়াইয়ের ঐতিহ্যবাহী গান ‘আলোহা ও-এ’। এই গানের রচয়িতা ছিলেন হাওয়াই রাজ্যের প্রথম ও একমাত্র ক্ষমতাসীন রানি এবং শেষ সার্বভৌম শাসক। লিলিউওকালানি নামে পরিচিত হলেও তাঁর পুরো নাম লিডিয়া লিলিউওকালানি কামাকাএহা। ১৮৯১ সালে তিনি তাঁর ভাই রাজা কালাকাউয়ার মৃত্যুর পর সিংহাসনে আরোহণ করেন।
২ ঘণ্টা আগে
সিঙ্গাপুরের কঠোর আইনব্যবস্থার মধ্যে এক নজিরবিহীন ঘটনার জন্ম দিয়েছেন তিন তরুণী—সিতি আমিরাহ মোহাম্মদ আসররি, কোকিলা আন্নামালাই ও মোসাম্মদ সবিকুন নাহার। ফিলিস্তিনের পক্ষে একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল আয়োজনের অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিঙ্গাপুরের কঠোর আইনব্যবস্থার মধ্যে এক নজিরবিহীন ঘটনার জন্ম দিয়েছেন তিন তরুণী—সিতি আমিরাহ মোহাম্মদ আসররি, কোকিলা আন্নামালাই ও মোসাম্মদ সবিকুন নাহার। ফিলিস্তিনের পক্ষে একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল আয়োজনের অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল।
রোববার (২ নভেম্বর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, দেশটির ‘পাবলিক অর্ডার অ্যাক্ট’ অনুযায়ী, অনুযায়ী তাঁরা সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার সিঙ্গাপুর ডলার জরিমানার মুখে পড়তে পারতেন। কিন্তু বিচারক জন এনজি সম্প্রতি তাঁদের নির্দোষ ঘোষণা করেছেন। এই রায় পুরো সিঙ্গাপুরকেই অবাক করে দিয়েছে।
এই তিন নারী ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সালে প্রায় ৭০ জনকে নিয়ে প্রেসিডেন্টের দপ্তর অভিমুখে এক শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা করেন। তাঁদের দাবি ছিল—ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে সিঙ্গাপুর যেন তেলআবিবের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। গাজার চলমান যুদ্ধে হাজারো ফিলিস্তিনির মৃত্যু তাঁদের গভীরভাবে নাড়া দিয়েছিল।
এদিকে প্রসিকিউশন পক্ষ অভিযোগ তোলে, তাঁরা অনুমতি ছাড়া একটি ‘অবৈধ মিছিল’ আয়োজন করেছেন, যা প্রেসিডেন্টের ভবন ‘ইস্তানা’ এর সংরক্ষিত এলাকার পাশ দিয়ে গেছে।
কিন্তু বিচারক এনজি তাঁর রায়ে বলেছেন—রাস্তার কোথাও সংরক্ষিত এলাকার কোনো চিহ্ন ছিল না এবং প্রসিকিউশন প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে যে, অভিযুক্তরা জানতেন তাঁরা কোনো নিষিদ্ধ এলাকায় প্রবেশ করছেন। এই প্রযুক্তিগত দিকই মামলার মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
৩৭ বছর বয়সী আন্নামালাই বলেন, ‘আমি প্রায় নিশ্চিত ছিলাম আমরা দোষী সাব্যস্ত হব। এমনকি রায় ঘোষণার পর আদালতে প্রতিবাদী বক্তব্য পড়ার প্রস্তুতিও নিয়েছিলাম।’ খালাসের ঘোষণায় আদালতকক্ষে নেমে আসে এক অপ্রত্যাশিত স্বস্তি, নিঃশব্দ উল্লাস।
২৬ বছর বয়সী সবিকুন নাহার জানান, প্রচার পাওয়া নয়, বরং নৈতিক দায়বোধ থেকেই ওই মিছিলের আয়োজন করেছিলেন তাঁরা। তিনি বলেন, ‘গাজার মানুষের যন্ত্রণা দেখে মনে হয়েছে কিছু না কিছু করা জরুরি।’
তাঁদের মতে, সিঙ্গাপুরে সাধারণ মানুষ রাজনীতি বা প্রতিবাদে অংশ নিতে ভয় পায়। তাই এই রায় সমাজে সাহস জোগাবে।
রায়ের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বহু তরুণ তাঁদের ‘আশার প্রতীক’ হিসেবে বরণ করেছেন। অনেকেই মনে করেন, এই রায় সিঙ্গাপুরে ভিন্নমত প্রকাশের সংস্কৃতিতে এক ক্ষুদ্র কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তনের সূচনা করেছে।
আন্নামালাই বলেন, ‘এই জয় শুধু তিনজনের নয়; এটা সেই সব মানুষের বিজয় যারা ভয়কে অতিক্রম করে সাহসের পক্ষে দাঁড়াতে চায়। সিস্টেম আমাদের বিরুদ্ধে হলেও, লড়াই চালিয়ে যাওয়াই আসল শক্তি।’

সিঙ্গাপুরের কঠোর আইনব্যবস্থার মধ্যে এক নজিরবিহীন ঘটনার জন্ম দিয়েছেন তিন তরুণী—সিতি আমিরাহ মোহাম্মদ আসররি, কোকিলা আন্নামালাই ও মোসাম্মদ সবিকুন নাহার। ফিলিস্তিনের পক্ষে একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল আয়োজনের অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল।
রোববার (২ নভেম্বর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, দেশটির ‘পাবলিক অর্ডার অ্যাক্ট’ অনুযায়ী, অনুযায়ী তাঁরা সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার সিঙ্গাপুর ডলার জরিমানার মুখে পড়তে পারতেন। কিন্তু বিচারক জন এনজি সম্প্রতি তাঁদের নির্দোষ ঘোষণা করেছেন। এই রায় পুরো সিঙ্গাপুরকেই অবাক করে দিয়েছে।
এই তিন নারী ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সালে প্রায় ৭০ জনকে নিয়ে প্রেসিডেন্টের দপ্তর অভিমুখে এক শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা করেন। তাঁদের দাবি ছিল—ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে সিঙ্গাপুর যেন তেলআবিবের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। গাজার চলমান যুদ্ধে হাজারো ফিলিস্তিনির মৃত্যু তাঁদের গভীরভাবে নাড়া দিয়েছিল।
এদিকে প্রসিকিউশন পক্ষ অভিযোগ তোলে, তাঁরা অনুমতি ছাড়া একটি ‘অবৈধ মিছিল’ আয়োজন করেছেন, যা প্রেসিডেন্টের ভবন ‘ইস্তানা’ এর সংরক্ষিত এলাকার পাশ দিয়ে গেছে।
কিন্তু বিচারক এনজি তাঁর রায়ে বলেছেন—রাস্তার কোথাও সংরক্ষিত এলাকার কোনো চিহ্ন ছিল না এবং প্রসিকিউশন প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে যে, অভিযুক্তরা জানতেন তাঁরা কোনো নিষিদ্ধ এলাকায় প্রবেশ করছেন। এই প্রযুক্তিগত দিকই মামলার মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
৩৭ বছর বয়সী আন্নামালাই বলেন, ‘আমি প্রায় নিশ্চিত ছিলাম আমরা দোষী সাব্যস্ত হব। এমনকি রায় ঘোষণার পর আদালতে প্রতিবাদী বক্তব্য পড়ার প্রস্তুতিও নিয়েছিলাম।’ খালাসের ঘোষণায় আদালতকক্ষে নেমে আসে এক অপ্রত্যাশিত স্বস্তি, নিঃশব্দ উল্লাস।
২৬ বছর বয়সী সবিকুন নাহার জানান, প্রচার পাওয়া নয়, বরং নৈতিক দায়বোধ থেকেই ওই মিছিলের আয়োজন করেছিলেন তাঁরা। তিনি বলেন, ‘গাজার মানুষের যন্ত্রণা দেখে মনে হয়েছে কিছু না কিছু করা জরুরি।’
তাঁদের মতে, সিঙ্গাপুরে সাধারণ মানুষ রাজনীতি বা প্রতিবাদে অংশ নিতে ভয় পায়। তাই এই রায় সমাজে সাহস জোগাবে।
রায়ের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বহু তরুণ তাঁদের ‘আশার প্রতীক’ হিসেবে বরণ করেছেন। অনেকেই মনে করেন, এই রায় সিঙ্গাপুরে ভিন্নমত প্রকাশের সংস্কৃতিতে এক ক্ষুদ্র কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তনের সূচনা করেছে।
আন্নামালাই বলেন, ‘এই জয় শুধু তিনজনের নয়; এটা সেই সব মানুষের বিজয় যারা ভয়কে অতিক্রম করে সাহসের পক্ষে দাঁড়াতে চায়। সিস্টেম আমাদের বিরুদ্ধে হলেও, লড়াই চালিয়ে যাওয়াই আসল শক্তি।’

আঙ্গরপোতা, বঙ্গেরবাড়ি, নাজির গুমানি, ঝালঙ্গী কিংবা কিশামত নিজ্জমা—এমন অসংখ্য গ্রাম আছে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায়। এ উপজেলার প্রায় দেড় শ কিলোমিটার সীমানা ভারতের সঙ্গে। দহগ্রাম ইউনিয়নের কিছু অংশ ছাড়া এই বিস্তীর্ণ এলাকার একাংশের পুরোটাতে আছে ভারতীয় কাঁটাতার।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
গর্ত আর খানাখন্দে ভরা জীর্ণ সড়ক পেরিয়ে নিরাপদ জায়গার দিকে ছুটে চলেছে একটি ট্রাক। সীমান্ত পর্যন্ত তিন দিনের যাত্রা। প্রায় ৮০ জনের সঙ্গে সেই ট্রাকে চড়ে বসেছেন অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তাঁর স্বামী। গন্তব্য নির্দিষ্ট হলেও তার দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার! এই দীর্ঘ পথে পদে পদে বিপদ। প্রায় প্রতি ২০ মিনিট
১ ঘণ্টা আগে
হাওয়াইয়ের ঐতিহ্যবাহী গান ‘আলোহা ও-এ’। এই গানের রচয়িতা ছিলেন হাওয়াই রাজ্যের প্রথম ও একমাত্র ক্ষমতাসীন রানি এবং শেষ সার্বভৌম শাসক। লিলিউওকালানি নামে পরিচিত হলেও তাঁর পুরো নাম লিডিয়া লিলিউওকালানি কামাকাএহা। ১৮৯১ সালে তিনি তাঁর ভাই রাজা কালাকাউয়ার মৃত্যুর পর সিংহাসনে আরোহণ করেন।
২ ঘণ্টা আগে
ফ্যাশন জগতের বাইবেল বলা হয় ‘ভোগ’ ম্যাগাজিনকে। ফ্যাশন ও প্রকাশনার জগতের কিংবদন্তি অ্যানা উইন্ট্যুর ছিলেন এর সম্পাদক। দীর্ঘ ৩৭ বছর পর নতুন এক সম্পাদক পেল ভোগ, ৩৯ বছর বয়সী ক্লোয়ে ম্যালে। দীর্ঘদিন ধরে ভোগ-এর সঙ্গে পথচলা নতুন এই সম্পাদকের।
২১ ঘণ্টা আগে