ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা
ব্রাজিলের উত্তরাঞ্চলের সার্জিপ অঞ্চলের ছোট্ট গ্রাম সেরা কাইডা। সেখানে দাদা-দাদির সঙ্গে বসবাস করত এক শিশু। সকালে উঠে সমবয়সী শিশুদের সঙ্গে ফুটবল খেলেই বড় হচ্ছিল সে। একপর্যায়ে তার দাদা-দাদি মারা গেলে মা এসে তাকে নিয়ে যান নিজের কাছে।
সে সময় ১৩ বছরের কিশোরী সে। মায়ের সঙ্গে তার খুব গভীর সম্পর্ক ছিল না। সেখানে গিয়ে থাকতে হতো সৎবাবার সঙ্গে। প্রতিদিন দেখতে হতো সহিংসতা। সহ্য করতে হতো অস্ত্রধারী মাস্তানদের নিপীড়ন। এরই মাঝে পথে পথে ফুটবল খেলে বেড়ে উঠতে লাগল সে।
অনেক কিছুই বেছে নিতে পারত এই কিশোরী। কিন্তু সে বেছে নিল ফুটবল। বুঝতে পারল, একমাত্র ফুটবল খেলাই একটা কাজ, যা তাকে সব ভুলে থাকতে সাহায্য করে। এই কিশোরীর নাম দ্রিকা।
এ পর্যন্ত ব্রাজিলের বাস্তবতায় সবকিছু ঠিকই ছিল। কিন্তু জীবনের হিসাব তো আলাদা। দ্রিকা নামের এই শিশু একদিন স্থানীয় একটি ফুটবল দলের অধিনায়ক হয়ে বসল। দ্রিকা ব্রাজিলিয়ান নারী ফুটবল দলের সদস্য নন। তিনি ২০১৪ সালে ব্রাজিলের স্ট্রিট চাইল্ড ওয়ার্ল্ড কাপ দলের অধিনায়ক ছিলেন। এরপর তিনি হয়ে ওঠেন একজন কোচ।
গ্রামের জীবন কঠিন হলেও সেখানে সুখী ছিলেন বলে এক সাক্ষাৎকারে জানান দ্রিকা। ছিলেন স্বাধীন। তিনি বন্ধুদের সঙ্গে সড়কের ওপর ফুটবল খেলতে পারতেন। কিন্তু রিওতে আসার পর তাঁর জীবন বদলে যায়। সেখানে তাঁর স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়। প্রতিনিয়ত নিপীড়ন, অস্ত্রবাজি আর বীভৎসতা দেখে কষ্ট পান। তাঁর সৎবাবার বাড়িতেও তাঁকে কষ্ট করতে হতো। এমন এক অনিশ্চিত জীবন চলতে চলতেই তিনি ফুটবলে ডুব দেন। ফুটবলেই খুঁজে পান আনন্দ আর শান্তি।
সরকারের পক্ষ থেকে পাওয়া ভাতা সৎবাবাকে দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় একপর্যায়ে দ্রিকাকে সৎবাবার বাড়ি থেকেও বেরিয়ে যেতে হয়। তিনি তাঁর বন্ধুর হাত ধরে বেরিয়ে পড়েন। আট মাস একসঙ্গে থাকার পর তাঁরা আলাদা হয়ে যান। দ্রিকা তাঁর এক আত্মীয়ের বাড়িতে ওঠেন। সেখানে আরও এক কঠিন জীবন শুরু হয় তাঁর।
একদিন ১৬ বছর বয়সী দ্রিকা বন্ধুদের সঙ্গে ফুটবল খেলছিলেন। তাঁদের খেলা দেখে এক ডাচ ভদ্রলোক প্রস্তাব দেন তাঁর দলের হয়ে খেলার জন্য। দ্রিকা ও তাঁর বন্ধুরা এমন যেকোনো জায়গায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন, যেখানে ফুটবল আছে। সেই ডাচ ভদ্রলোক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা, যারা পথশিশুদের নিয়ে কাজ করেন। এখানেই দ্রিকা প্রস্তাব পান সংগঠনটির দলের হয়ে স্ট্রিট চিলড্রেন ইউনাইটেড ওয়ার্ল্ড কাপ খেলার। ২০১৪ সালে দ্রিকা সেই দলের অধিনায়কত্ব করেন। এরপর কোচ হিসেবে যাত্রা শুরু তাঁর।
ফুটবল তাঁকে স্বপ্ন দেখতে শেখায়। এই অনুভূতি তাঁর চোখে আরও নতুন স্বপ্নের দানা বাঁধতে সাহায্য করে। দ্রিকা শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে লেখাপড়া করছেন। শিখছেন ইংরেজি। তাঁর স্বপ্ন, একদিন নিজে ব্যবসা করবেন আর জিমের মালিক হবেন তিনি; পাশাপাশি নিজের কমিউনিটির শিশুদের জন্য কাজ করবেন। ফুটবল তাঁকে নতুন জীবন দিয়েছে এবং তাঁর কমিউনিটির শিশুদের জন্য কাজ করার সাহস ও সামর্থ্য জুগিয়েছে।
সূত্র: আল জাজিরা
ব্রাজিলের উত্তরাঞ্চলের সার্জিপ অঞ্চলের ছোট্ট গ্রাম সেরা কাইডা। সেখানে দাদা-দাদির সঙ্গে বসবাস করত এক শিশু। সকালে উঠে সমবয়সী শিশুদের সঙ্গে ফুটবল খেলেই বড় হচ্ছিল সে। একপর্যায়ে তার দাদা-দাদি মারা গেলে মা এসে তাকে নিয়ে যান নিজের কাছে।
সে সময় ১৩ বছরের কিশোরী সে। মায়ের সঙ্গে তার খুব গভীর সম্পর্ক ছিল না। সেখানে গিয়ে থাকতে হতো সৎবাবার সঙ্গে। প্রতিদিন দেখতে হতো সহিংসতা। সহ্য করতে হতো অস্ত্রধারী মাস্তানদের নিপীড়ন। এরই মাঝে পথে পথে ফুটবল খেলে বেড়ে উঠতে লাগল সে।
অনেক কিছুই বেছে নিতে পারত এই কিশোরী। কিন্তু সে বেছে নিল ফুটবল। বুঝতে পারল, একমাত্র ফুটবল খেলাই একটা কাজ, যা তাকে সব ভুলে থাকতে সাহায্য করে। এই কিশোরীর নাম দ্রিকা।
এ পর্যন্ত ব্রাজিলের বাস্তবতায় সবকিছু ঠিকই ছিল। কিন্তু জীবনের হিসাব তো আলাদা। দ্রিকা নামের এই শিশু একদিন স্থানীয় একটি ফুটবল দলের অধিনায়ক হয়ে বসল। দ্রিকা ব্রাজিলিয়ান নারী ফুটবল দলের সদস্য নন। তিনি ২০১৪ সালে ব্রাজিলের স্ট্রিট চাইল্ড ওয়ার্ল্ড কাপ দলের অধিনায়ক ছিলেন। এরপর তিনি হয়ে ওঠেন একজন কোচ।
গ্রামের জীবন কঠিন হলেও সেখানে সুখী ছিলেন বলে এক সাক্ষাৎকারে জানান দ্রিকা। ছিলেন স্বাধীন। তিনি বন্ধুদের সঙ্গে সড়কের ওপর ফুটবল খেলতে পারতেন। কিন্তু রিওতে আসার পর তাঁর জীবন বদলে যায়। সেখানে তাঁর স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়। প্রতিনিয়ত নিপীড়ন, অস্ত্রবাজি আর বীভৎসতা দেখে কষ্ট পান। তাঁর সৎবাবার বাড়িতেও তাঁকে কষ্ট করতে হতো। এমন এক অনিশ্চিত জীবন চলতে চলতেই তিনি ফুটবলে ডুব দেন। ফুটবলেই খুঁজে পান আনন্দ আর শান্তি।
সরকারের পক্ষ থেকে পাওয়া ভাতা সৎবাবাকে দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় একপর্যায়ে দ্রিকাকে সৎবাবার বাড়ি থেকেও বেরিয়ে যেতে হয়। তিনি তাঁর বন্ধুর হাত ধরে বেরিয়ে পড়েন। আট মাস একসঙ্গে থাকার পর তাঁরা আলাদা হয়ে যান। দ্রিকা তাঁর এক আত্মীয়ের বাড়িতে ওঠেন। সেখানে আরও এক কঠিন জীবন শুরু হয় তাঁর।
একদিন ১৬ বছর বয়সী দ্রিকা বন্ধুদের সঙ্গে ফুটবল খেলছিলেন। তাঁদের খেলা দেখে এক ডাচ ভদ্রলোক প্রস্তাব দেন তাঁর দলের হয়ে খেলার জন্য। দ্রিকা ও তাঁর বন্ধুরা এমন যেকোনো জায়গায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন, যেখানে ফুটবল আছে। সেই ডাচ ভদ্রলোক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা, যারা পথশিশুদের নিয়ে কাজ করেন। এখানেই দ্রিকা প্রস্তাব পান সংগঠনটির দলের হয়ে স্ট্রিট চিলড্রেন ইউনাইটেড ওয়ার্ল্ড কাপ খেলার। ২০১৪ সালে দ্রিকা সেই দলের অধিনায়কত্ব করেন। এরপর কোচ হিসেবে যাত্রা শুরু তাঁর।
ফুটবল তাঁকে স্বপ্ন দেখতে শেখায়। এই অনুভূতি তাঁর চোখে আরও নতুন স্বপ্নের দানা বাঁধতে সাহায্য করে। দ্রিকা শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে লেখাপড়া করছেন। শিখছেন ইংরেজি। তাঁর স্বপ্ন, একদিন নিজে ব্যবসা করবেন আর জিমের মালিক হবেন তিনি; পাশাপাশি নিজের কমিউনিটির শিশুদের জন্য কাজ করবেন। ফুটবল তাঁকে নতুন জীবন দিয়েছে এবং তাঁর কমিউনিটির শিশুদের জন্য কাজ করার সাহস ও সামর্থ্য জুগিয়েছে।
সূত্র: আল জাজিরা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে গ্রাফিক ডিজাইনে পড়ার সময়ের কথা। অনেকটা শখের বশে শুরু করেন শরদিন্দু নামে একটি শপ। বিক্রি করেছেন হাতে আঁকা টি-শার্ট। ক্রেতা ছিলেন তাঁরই পরিচিত লোকজন। এরই মধ্যে চারুকলায় পড়াশোনা শেষ হলে লন্ডনের ইউনিভার্সিটি ফর দ্য ক্রিয়েটিভ আর্টসে স্নাতকোত্তর করতে পাড়ি জমান। তত দিনে
২ দিন আগেকথাসাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ এবং একাত্তরের ঘাতক দালালবিরোধী আন্দোলনের নেত্রী জাহানারা ইমাম। ১৯৯২ সালের ১৯ জানুয়ারি ১০১ সদস্যবিশিষ্ট একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠিত হয় তাঁর নেতৃত্বে। জাহানারা ইমামের জন্ম ১৯২৯ সালের ৩ মে।
২ দিন আগেবিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১২ মে পালন করা হয় আন্তর্জাতিক নার্স দিবস। তবে যুক্তরাষ্ট্র ৬ মে থেকে ১২ মে পর্যন্ত পালন করে জাতীয় নার্স সপ্তাহ। সপ্তাহ কিংবা দিবস—যা-ই হোক না কেন, এর মূল লক্ষ্য হলো নার্সদের কঠোর পরিশ্রম, মানবিকতা ও স্বাস্থ্যসেবায় অবদানের স্বীকৃতি দেওয়া। এই সময় দেশগুলো নার্সিং পেশাজীবীদের সম্মা
২ দিন আগেফ্রান্সের একটি বিদ্যুৎ কোম্পানির একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মী ছিলেন ডমিনিক পেলিকট। তিনি ১৯৭৩ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন গিসেল নামের এক নারীর সঙ্গে। ৫০ বছরের সংসারজীবনে তাঁরা তিনটি সন্তানের জনক-জননী হন। সন্তান এবং নাতি-নাতনিদের নিয়ে যদিও ছবির মতো নিখুঁত একটি পারিবারিক জীবন ছিল তাঁদের।
২ দিন আগে