উত্তরণ
ফারজানা রহমান
আমি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বর্ষে পড়ি। একটি ছেলের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল কলেজজীবন থেকে। সে এখন একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। আমাদের কথা বন্ধ হয়ে যায় এক বছর আগে তার ইচ্ছাতেই। এ ঘটনায় আমি খুবই বিষণ্ন হয়ে যাই। পরে তা কাটিয়ে উঠি। কিছুদিন আগে সে আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে আনব্লক করে, স্টোরি দেখে, রিঅ্যাক্ট করে, মেসেজ দেয়। আমি সিন করে রেখে দিই। কিছুদিন পর দেখি, সে আমার ক্যাম্পাসে বাইক নিয়ে আসে বিল্ডিংয়ের সামনে। আমাকে দেখে সে চলে যায়, কথা বলেনি। তারপর আমি বিষয়টি জানতে তাকে মেসেজ দিই। আমি অনেক আবেগ নিয়ে তাকে অনেক মেসেজ করি। কিন্তু সে আমার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপেই খারাপ ব্যবহার করে ব্লক করে দেয়। তারপর আমার এক বন্ধুর সহযোগিতায় বিষয়টি জানতে চেষ্টা করি। সে তাকে বলে, সে আমাকে কোনো দিন ভালোবাসেনি। ফেক আইডি দিয়ে দেখেছি, সে রেস্টুরেন্টে খেতে গেছে। এতে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। এরপর থেকে আমি অনেক অনুশোচনায় ভুগছি। খাবার খেতে পারছি না, পড়ালেখা হচ্ছে না। আমি একটা লুপে আটকে যাচ্ছি। এখান থেকে বের হতে চাই। সাফিকা ইসলাম, ঢাকা
আপনি একজন মানুষ, রোবট তো নন। সে জন্যই আপনি আবেগে আপ্লুত হয়েছেন। যাঁকে ভালোবেসেছিলেন, তিনি যোগাযোগ করায় হয়তো আপনার হৃদয়ে তাঁর প্রতি সুপ্ত অনুভবটি প্রকাশিত হয়েছিল। এতে আপনার কোনো দোষ নেই। তবে আপনার সাবেক বন্ধু কিন্তু অস্থির চিত্তের মানুষ। তাঁর মধ্যে সিদ্ধান্তহীনতাও আছে। এ ধরনের মানুষের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক স্থায়ী হয় না।
আপনি এ সময় নিজেকে নিয়ে থাকুন। পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারেন। আপনার কোনো শখ বা ইচ্ছা থাকলে তা পূর্ণ করার চেষ্টা করাটাই বরং ভালো হবে। খুব প্রিয় কোনো বন্ধু অথবা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন। বই পড়া, এমনকি ডায়েরিও লিখতে পারেন। শিল্প প্রদর্শনী, ঐতিহাসিক অথবা ঐতিহ্যপূর্ণ জায়গায় ঘুরতে পারেন। প্রকৃতির কাছে যেতে পারেন। তবে তাঁকে ভুলতে গিয়ে তাড়াহুড়ো করা যাবে না। এ ছাড়া আরেকটি সম্পর্কে না জড়িয়ে সময় নেওয়া ভালো।
নিজেকে সময় দিন। মনের যত্ন নিন। আপনার চারপাশের প্রিয় মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত হোন। দেখবেন আপনি ভালো আছেন। যে মানুষের কাছে আপনার অনুভব, উপলব্ধি, উপস্থিতি মূল্যহীন, তাকে অগ্রাহ্য ও উপেক্ষা করুন। কোনো অবস্থাতেই তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা ঠিক হবে না। আশা করছি, এই চক্র থেকে আপনি সম্পূর্ণ বের হয়ে আসতে পারবেন।
পরামর্শ দিয়েছেন: সহযোগী অধ্যাপক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা
আমি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বর্ষে পড়ি। একটি ছেলের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল কলেজজীবন থেকে। সে এখন একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। আমাদের কথা বন্ধ হয়ে যায় এক বছর আগে তার ইচ্ছাতেই। এ ঘটনায় আমি খুবই বিষণ্ন হয়ে যাই। পরে তা কাটিয়ে উঠি। কিছুদিন আগে সে আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে আনব্লক করে, স্টোরি দেখে, রিঅ্যাক্ট করে, মেসেজ দেয়। আমি সিন করে রেখে দিই। কিছুদিন পর দেখি, সে আমার ক্যাম্পাসে বাইক নিয়ে আসে বিল্ডিংয়ের সামনে। আমাকে দেখে সে চলে যায়, কথা বলেনি। তারপর আমি বিষয়টি জানতে তাকে মেসেজ দিই। আমি অনেক আবেগ নিয়ে তাকে অনেক মেসেজ করি। কিন্তু সে আমার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপেই খারাপ ব্যবহার করে ব্লক করে দেয়। তারপর আমার এক বন্ধুর সহযোগিতায় বিষয়টি জানতে চেষ্টা করি। সে তাকে বলে, সে আমাকে কোনো দিন ভালোবাসেনি। ফেক আইডি দিয়ে দেখেছি, সে রেস্টুরেন্টে খেতে গেছে। এতে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। এরপর থেকে আমি অনেক অনুশোচনায় ভুগছি। খাবার খেতে পারছি না, পড়ালেখা হচ্ছে না। আমি একটা লুপে আটকে যাচ্ছি। এখান থেকে বের হতে চাই। সাফিকা ইসলাম, ঢাকা
আপনি একজন মানুষ, রোবট তো নন। সে জন্যই আপনি আবেগে আপ্লুত হয়েছেন। যাঁকে ভালোবেসেছিলেন, তিনি যোগাযোগ করায় হয়তো আপনার হৃদয়ে তাঁর প্রতি সুপ্ত অনুভবটি প্রকাশিত হয়েছিল। এতে আপনার কোনো দোষ নেই। তবে আপনার সাবেক বন্ধু কিন্তু অস্থির চিত্তের মানুষ। তাঁর মধ্যে সিদ্ধান্তহীনতাও আছে। এ ধরনের মানুষের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক স্থায়ী হয় না।
আপনি এ সময় নিজেকে নিয়ে থাকুন। পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারেন। আপনার কোনো শখ বা ইচ্ছা থাকলে তা পূর্ণ করার চেষ্টা করাটাই বরং ভালো হবে। খুব প্রিয় কোনো বন্ধু অথবা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন। বই পড়া, এমনকি ডায়েরিও লিখতে পারেন। শিল্প প্রদর্শনী, ঐতিহাসিক অথবা ঐতিহ্যপূর্ণ জায়গায় ঘুরতে পারেন। প্রকৃতির কাছে যেতে পারেন। তবে তাঁকে ভুলতে গিয়ে তাড়াহুড়ো করা যাবে না। এ ছাড়া আরেকটি সম্পর্কে না জড়িয়ে সময় নেওয়া ভালো।
নিজেকে সময় দিন। মনের যত্ন নিন। আপনার চারপাশের প্রিয় মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত হোন। দেখবেন আপনি ভালো আছেন। যে মানুষের কাছে আপনার অনুভব, উপলব্ধি, উপস্থিতি মূল্যহীন, তাকে অগ্রাহ্য ও উপেক্ষা করুন। কোনো অবস্থাতেই তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা ঠিক হবে না। আশা করছি, এই চক্র থেকে আপনি সম্পূর্ণ বের হয়ে আসতে পারবেন।
পরামর্শ দিয়েছেন: সহযোগী অধ্যাপক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা
দেশে সবকিছু নিয়ে একটি পরিবর্তনের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু নারীদের নিরাপত্তা, তাঁদের অধিকার, তাঁদের সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে অংশগ্রহণের বিষয়গুলো নিয়ে কতটুকু কথা হচ্ছে? নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নিয়ে কথা হচ্ছে। এর মধ্যে নারীদের অংশগ্রহণের বিষয়টি কতটা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে? রাজনৈতিক দলগুলোতে নারী নেতৃত্বের...
১৫ ঘণ্টা আগে১২ আগস্ট মঙ্গলবার, সকালেই এক গভীর শূন্যতা নেমে এল চারপাশে। অধ্যাপক মাহফুজা খানম আর নেই! বুকের ভেতর যেন এক অপার শূন্যতার ঢেউ আছড়ে পড়ল। মানুষ চলে গেলে পৃথিবী তো থেমে যায় না, আকাশের রংও বদলায় না, রাস্তাঘাটে মানুষের ভিড় থাকে। কিন্তু আমাদের ভেতরের পৃথিবী থেমে যায়। আমার কাছে তিনি শুধু একজন খ্যাতিমান..
১৫ ঘণ্টা আগেযুদ্ধের উত্তাপে জর্জরিত গাজায় প্রতিটি মুহূর্তে মৃত্যুর ছায়া ঘোরে। তবু সেখানে নতুন প্রাণের আশা যেন এক অনন্য বিজয়। গাজার আসসাহাবা মেডিকেল কমপ্লেক্সের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসক, নার্স আর ইন্টার্নরা এই জীবন ও মৃত্যুর এক অপরিহার্য সম্পর্কের সাক্ষী হয়ে ওঠেন প্রতিনিয়ত। সেখানে অনিশ্চিত নিকষ কালো..
১৬ ঘণ্টা আগেলুসি স্টোন ১৮৪৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ওবারলিন কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি কলেজ থেকে ডিগ্রি নিয়ে বের হওয়া প্রথম মার্কিন নারী। তিনি ছিলেন নারীবাদী, সমাজসংস্কারক ও নারী অধিকার আন্দোলনের নেত্রী। লুসি সক্রিয়ভাবে কাজ করেছেন নারীর ভোটের অধিকার, সমান অধিকার এবং দাসপ্রথা বিলুপ্তির পক্ষে। তিনি...
১৮ ঘণ্টা আগে