বয়ঃসন্ধিকালে যেসব মেয়ে সম্পর্কে জড়ায়, তাদের প্রায় এক-চতুর্থাংশই (২৪%) সঙ্গীর হাতে শারীরিক অথবা যৌন অথবা উভয় নির্যাতনের শিকার হয়। বিশ্বব্যাপী এই সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখ। ২০ বছর বয়সের মধ্যে তারা এ ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক নতুন গবেষণায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। গতকাল সোমবার দ্য ল্যানসেট চাইল্ড অ্যান্ড অ্যাডলসেন্ট হেলথ সাময়িকীতে এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ডব্লিউএইচওর সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রায় ৬ জনের মধ্যে একজন (১৬%) গত বছর এ ধরনের সহিংসতার শিকার হয়েছে।
ডব্লিউএইচওর যৌন ও প্রজননস্বাস্থ্য ও গবেষণা বিভাগের পরিচালক ড. প্যাসকেল অ্যালোটি বলেন, বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ কিশোরীর ওপর সঙ্গীর সহিংসতার ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ ধরনের সহিংসতা গভীর এবং দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতির কারণ হতে পারে। এটিকে একটি জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে আরও গুরুত্বসহকারে নেওয়া এবং প্রতিরোধ ও সহায়তার ওপর দৃষ্টি দেওয়া জরুরি বলে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সঙ্গীর হাতে সহিংসতার শিকার হওয়া কিশোরীদের স্বাস্থ্য, শিক্ষাগত অর্জন, ভবিষ্যৎ সম্পর্ক এবং আজীবন সম্ভাবনার ওপর বিধ্বংসী প্রভাব ফেলতে পারে। স্বাস্থ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে এটি ট্রমা, বিষণ্নতা, উদ্বেগজনিত ব্যাধি, অপরিকল্পিত গর্ভধারণ, যৌনরোগ এবং অন্যান্য শারীরিক ও মানসিক সমস্যার শঙ্কাকে বাড়িয়ে তোলে।
এই সমীক্ষায় প্রথমবারের মতো ১৫–১৯ বছর বয়সী মেয়েদের যারা ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের মধ্যে রয়েছে, তাদের শারীরিক এবং/অথবা যৌন সহিংসতার শিকার হওয়ার ব্যাপকতার একটি বিশদ বিশ্লেষণ উঠে এসেছে। বলা হয়েছে, এটি বৃহত্তর সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক সেই কারণগুলোকে চিহ্নিত করে, যেগুলো তাদের ঝুঁকি বাড়ায়।
কিশোরীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা কমবেশি পৃথিবীর সবখানেই ঘটে। তবে ব্যাপকতার দিক থেকে অঞ্চলভেদে পার্থক্য তুলে ধরেছেন গবেষকেরা। ডব্লিউএইচওর মতে, এ ধরনের সহিংসতা সবচেয়ে বেশি ঘটে এমন অঞ্চলগুলোর মধ্যে রয়েছে ওশেনিয়া (৪৭%) এবং মধ্য সাব-সাহারান আফ্রিকা (৪০%)। আর সর্বনিম্ন হার দেখা গেছে ইউরোপ (১০%) এবং মধ্য এশিয়ায় (১১%)। দেশভেদে পরিসরটি ৬ শতাংশ থেকে ৪৯ শতাংশের মধ্যে বিস্তৃত।
নতুন এই সমীক্ষায় দেখা গেছে, সঙ্গীর হাতে সহিংসতার শিকার কিশোরীদের সংখ্যা নিম্ন আয়ের দেশ ও অঞ্চলে সবচেয়ে সাধারণ ঘটনা। এসব দেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত পড়াশোনা করা মেয়ের সংখ্যা বেশ কম। সেই সঙ্গে পুরুষদের তুলনায় সম্পত্তির মালিকানা এবং উত্তরাধিকারের আইনি কাঠামো দুর্বল, এমন দেশেও কিশোরীদের এমন পরিণতি ঘটার হার বেশি।
এ ছাড়া বাল্যবিবাহ (১৮ বছর বয়সের আগে) উল্লেখযোগ্যভাবে এ ধরনের সহিংসতার ঝুঁকি বাড়ায়। যেহেতু এ ধরনের বিয়েতে সাধারণত স্বামী-স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতা, অর্থনৈতিক নির্ভরতা এবং সামাজিক বিচ্ছিন্নতা তৈরি করে, এ কারণে এ ক্ষেত্রে সহিংসতার আশঙ্কা বেশি থাকে।
এ ধরনের সহিংসতা নিরসনে বাল্যবিবাহ নিরোধ, লিঙ্গনির্বিশেষে সম্পত্তির সম-অধিকার সুরক্ষিত করা, সমাজের সব ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করা, সর্বোপরি সমতাভিত্তিক সমাজ গঠনের ওপর জোর দিয়েছেন গবেষকেরা।
আরও খবর পড়ুন:
বয়ঃসন্ধিকালে যেসব মেয়ে সম্পর্কে জড়ায়, তাদের প্রায় এক-চতুর্থাংশই (২৪%) সঙ্গীর হাতে শারীরিক অথবা যৌন অথবা উভয় নির্যাতনের শিকার হয়। বিশ্বব্যাপী এই সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখ। ২০ বছর বয়সের মধ্যে তারা এ ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক নতুন গবেষণায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। গতকাল সোমবার দ্য ল্যানসেট চাইল্ড অ্যান্ড অ্যাডলসেন্ট হেলথ সাময়িকীতে এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ডব্লিউএইচওর সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রায় ৬ জনের মধ্যে একজন (১৬%) গত বছর এ ধরনের সহিংসতার শিকার হয়েছে।
ডব্লিউএইচওর যৌন ও প্রজননস্বাস্থ্য ও গবেষণা বিভাগের পরিচালক ড. প্যাসকেল অ্যালোটি বলেন, বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ কিশোরীর ওপর সঙ্গীর সহিংসতার ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ ধরনের সহিংসতা গভীর এবং দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতির কারণ হতে পারে। এটিকে একটি জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে আরও গুরুত্বসহকারে নেওয়া এবং প্রতিরোধ ও সহায়তার ওপর দৃষ্টি দেওয়া জরুরি বলে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সঙ্গীর হাতে সহিংসতার শিকার হওয়া কিশোরীদের স্বাস্থ্য, শিক্ষাগত অর্জন, ভবিষ্যৎ সম্পর্ক এবং আজীবন সম্ভাবনার ওপর বিধ্বংসী প্রভাব ফেলতে পারে। স্বাস্থ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে এটি ট্রমা, বিষণ্নতা, উদ্বেগজনিত ব্যাধি, অপরিকল্পিত গর্ভধারণ, যৌনরোগ এবং অন্যান্য শারীরিক ও মানসিক সমস্যার শঙ্কাকে বাড়িয়ে তোলে।
এই সমীক্ষায় প্রথমবারের মতো ১৫–১৯ বছর বয়সী মেয়েদের যারা ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের মধ্যে রয়েছে, তাদের শারীরিক এবং/অথবা যৌন সহিংসতার শিকার হওয়ার ব্যাপকতার একটি বিশদ বিশ্লেষণ উঠে এসেছে। বলা হয়েছে, এটি বৃহত্তর সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক সেই কারণগুলোকে চিহ্নিত করে, যেগুলো তাদের ঝুঁকি বাড়ায়।
কিশোরীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা কমবেশি পৃথিবীর সবখানেই ঘটে। তবে ব্যাপকতার দিক থেকে অঞ্চলভেদে পার্থক্য তুলে ধরেছেন গবেষকেরা। ডব্লিউএইচওর মতে, এ ধরনের সহিংসতা সবচেয়ে বেশি ঘটে এমন অঞ্চলগুলোর মধ্যে রয়েছে ওশেনিয়া (৪৭%) এবং মধ্য সাব-সাহারান আফ্রিকা (৪০%)। আর সর্বনিম্ন হার দেখা গেছে ইউরোপ (১০%) এবং মধ্য এশিয়ায় (১১%)। দেশভেদে পরিসরটি ৬ শতাংশ থেকে ৪৯ শতাংশের মধ্যে বিস্তৃত।
নতুন এই সমীক্ষায় দেখা গেছে, সঙ্গীর হাতে সহিংসতার শিকার কিশোরীদের সংখ্যা নিম্ন আয়ের দেশ ও অঞ্চলে সবচেয়ে সাধারণ ঘটনা। এসব দেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত পড়াশোনা করা মেয়ের সংখ্যা বেশ কম। সেই সঙ্গে পুরুষদের তুলনায় সম্পত্তির মালিকানা এবং উত্তরাধিকারের আইনি কাঠামো দুর্বল, এমন দেশেও কিশোরীদের এমন পরিণতি ঘটার হার বেশি।
এ ছাড়া বাল্যবিবাহ (১৮ বছর বয়সের আগে) উল্লেখযোগ্যভাবে এ ধরনের সহিংসতার ঝুঁকি বাড়ায়। যেহেতু এ ধরনের বিয়েতে সাধারণত স্বামী-স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতা, অর্থনৈতিক নির্ভরতা এবং সামাজিক বিচ্ছিন্নতা তৈরি করে, এ কারণে এ ক্ষেত্রে সহিংসতার আশঙ্কা বেশি থাকে।
এ ধরনের সহিংসতা নিরসনে বাল্যবিবাহ নিরোধ, লিঙ্গনির্বিশেষে সম্পত্তির সম-অধিকার সুরক্ষিত করা, সমাজের সব ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করা, সর্বোপরি সমতাভিত্তিক সমাজ গঠনের ওপর জোর দিয়েছেন গবেষকেরা।
আরও খবর পড়ুন:
২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ক্রিস্ট্রুন মজল ফ্রস্টাডোত্তির। ৩৬ বছর বয়সে তিনি আইসল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এদিকে নিজের দেশ থেকে নির্বাসিত হয়ে দেশে ফিরে দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন নামিবিয়ার সাবেক
২ দিন আগেআমি এইচএসসি পরীক্ষার্থী। আমার বাবা-মা প্রায় চার বছর ধরে আলাদা থাকছেন। বাবা একাধিক নারীতে আসক্ত ছিলেন। সে কারণে মাকে মারধর করতেন। শেষমেশ মা বাড়ি ছেড়ে চলে আসেন। এর পর থেকে বাবা আমার খরচ দেওয়া বন্ধ করে দেন। তবে কখনো কখনো পারিবারিক চাপের কারণে কিছু দেন, আবার বন্ধ করে দেন।
২ দিন আগেতার কোনো সাম্রাজ্য নেই, রাজপ্রাসাদ নেই। কখনো স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটারি ল্যাট্রিন বানানো, কখনো বিশুদ্ধ পানির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি, কখনো ইভ টিজিং, বাল্যবিবাহ, যৌতুক প্রথা বন্ধসহ বিভিন্ন বিষয়ে সতর্কতা গড়ে তোলাতেই তার আগ্রহ বেশি। মেয়েটির নাম মীনা। আমরা জানি না মীনার বয়স কত, তার বাড়ি কোথায়। কোথায় সেই
২ দিন আগেদক্ষিণ আফ্রিকার সমাজকর্মী, রাজনীতিবিদ ও বর্ণবাদবিরোধী সংগ্রামের নেত্রী উইনি ম্যান্ডেলা। তিনি ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবৈষম্যবিরোধী সংগ্রামের এক কিংবদন্তি চরিত্র। তিনি নেলসন ম্যান্ডেলার দ্বিতীয় স্ত্রী। যখন ম্যান্ডেলা প্রায় ২৭ বছর কারাবন্দী ছিলেন, তখন উইনি বাইরে থেকে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
২ দিন আগে